ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে তাইওয়ানও এখন অন্যায়ের সহযোগী!

ইরানের পাল্টা প্রতিরোধমূলক হামলায় বিপর্যস্ত দখলদার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছে তাইওয়ান এবং কিছু পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান, যার ফলে তাইওয়ানকেও আজ ন্যায়ের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলছে বিশ্ববাসীর বিবেক।
সাম্প্রতিক এক সফরে ইসরায়েলে নিযুক্ত তাইওয়ানের প্রতিনিধি অ্যাবি লি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত বাট ইয়াম শহর পরিদর্শন করেন এবং ইসরায়েলি জনগণের জন্য সহানুভূতি ও সহায়তার বার্তা দেন। তিনি বলেন,
“তাইওয়ান ও ইসরায়েল একই মূল্যবোধে বিশ্বাস করে, এবং আমরা বন্ধুত্ব ও মানবিক সহায়তার বার্তা দিতে এসেছি।”
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
কিন্তু প্রশ্ন ওঠে—কী সেই মূল্যবোধ? একটি রাষ্ট্র যেটি অবৈধ দখল, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর দিনের পর দিন বর্বরতা ও গণহত্যা চালাচ্ছে, সেই রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়ে তাইওয়ান কি সত্যিই মানবিকতার বার্তা দিচ্ছে, নাকি বরং অন্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্ত হচ্ছে?
বিশ্লেষকরা বলছেন,
“ইসরায়েল হচ্ছে একমাত্র রাষ্ট্র যে জাতিসংঘের বহু প্রস্তাব উপেক্ষা করে অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করছে। এমন একটি রাষ্ট্রকে এখন সহানুভূতির ছায়ায় রাখা মানেই অন্যায়ের বৈধতা দেওয়া। তাইওয়ানের মতো একটি ছোট ও সম্ভাবনাময় দেশের জন্য এটি অত্যন্ত লজ্জার।”
এদিকে তাইওয়ানের সরকার ZAKA নামক ইসরায়েলি জরুরি সেবাদানকারী সংগঠনকে ১,৬০,০০০ ডলার অনুদান দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের Cedars-Sinai হাসপাতাল থেকেও সোরোকা মেডিকেল সেন্টার-কে ১,০০,০০০ ডলার সাহায্য পৌঁছেছে। এই অর্থ ব্যবহার হবে দখলদার রাষ্ট্রের যুদ্ধ-পরবর্তী উদ্ধার অভিযানে—যেটি আবার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে পরিচালিত আগ্রাসনের অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
একজন ফিলিস্তিনি মানবাধিকার কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“যেখানে গাজা ও পশ্চিম তীরের মানুষ খাদ্য, পানি ও ওষুধের জন্য কাঁদছে, সেখানে দখলদারকে সহায়তা করে তাইওয়ান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শুধু মানবতার মুখে চপেটাঘাতই করছে।”
বিশ্বজুড়ে মুক্তিকামী মানুষদের আহ্বান—মানবতা কখনো দখলদারদের পক্ষে নয়। তাইওয়ানের মতো রাষ্ট্র যেন ভবিষ্যতে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়, অন্যায়ের নয়।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন