ঢাকা, রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনপন্থিদের কাছে বেধড়ক পিটুনি খেলো ইসরায়েলিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:২৩ পিএম

ফিলিস্তিনপন্থিদের কাছে বেধড়ক পিটুনি খেলো ইসরায়েলিরা

নেদারল্যান্ডসে সম্প্রতি ফিলিস্তিনি পতাকা অবমাননা এবং মুসলিম বিরোধী স্লোগানের কারণে দেশজুড়ে উত্তেজনা ও দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে রাজধানী আমস্টারডামে একটি মিছিল চলাকালে, যেখানে একদল ব্যক্তিকে ফিলিস্তিনি পতাকা অবমাননা করতে এবং মুসলিম বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে তা দ্রুত ভাইরাল হয় এবং দেশজুড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে।

ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকটের প্রতি বৈশ্বিক সহানুভূতির প্রেক্ষাপটে ইউরোপের দেশগুলিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থনের পাশাপাশি বিরোধিতার ঘটনাও দেখা যাচ্ছে। নেদারল্যান্ডসেও ইসরাইলের পক্ষ ও ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন সমাবেশ ও প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। তবে সম্প্রতি মুসলিম বিরোধী স্লোগান এবং পতাকা অবমাননার ঘটনা আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

ফিলিস্তিনি পতাকার অবমাননা এবং ইসলামবিরোধী বক্তব্যে দেশজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রোধ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মুসলিম সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এই ঘটনাকে জাতিগত বিদ্বেষ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বৈরিতার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা প্রশাসনের কাছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কিছু সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। তবে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই এই পদক্ষেপকে অপর্যাপ্ত বলে মনে করছেন। অনেকেই এই ঘটনাকে কেবল ইসলামবিরোধী আচরণের প্রমাণ বলেই নয়, বরং ইউরোপে বসবাসরত মুসলিমদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং নিরাপত্তাহীনতার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী এবং আমস্টারডাম মেয়র এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সহনশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রশাসন জানিয়েছে, তারা দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তদ্ব্যতীত, শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং সাধারণ জনগণকে উত্তেজিত না হতে অনুরোধ করা হয়েছে।

ইউরোপে মুসলিমদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

এই ঘটনার পর ইউরোপে বসবাসরত মুসলিমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের প্রতি সহনশীলতা ও সংহতি প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি আরো বেশি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।

HTML tutorial