সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শ্রীবাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রউফ, শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক সোমা বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক শ.ম মমতাজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক যথাক্রমে ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল, জয়শ্রী ঘোষ, নজরুল ইসলাম, তারক চন্দ্র সরকার, আব্দুল ওহাব, সুকুমার ঘোষ, দেবব্রত কুমার মিস্ত্রী, মোশাররফ হোসাইন চৌধুরী, মো. বদরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদুর রহমান, ইকবাল খলিল খান, বিকাশ চন্দ্র মিস্ত্রী, মর্জিনা মোমতাহানা শিখা সুলতানা, বিলকিস আক্তার, আরেফা ফারজানা, রতন কুমার ঘোষ, প্রভাষক আওছাফুর রহমান, গোবিন্দ দুলাল বর, শম্পা রানী মৃধা, সাইয়েদুতুন্নেছা মুক্তা, আমিনুর রহমান, শাহিনুর রহমান, হাফিজুর রহমান, নন্দলাল মন্ডল, নবতরণ গাইন, কামরুল ইসলাম, প্রদর্শক সনজিত সরকার, সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. সাইফুজ্জামান প্রমুখ।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।
(সাজিদ পিয়াল)-মাওলানা ভাসানীর ১৪৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ২ দিন ব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে দুই দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থা টাঙ্গাইল এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ।শুক্রবার ও শনিবার (১২ ও ১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থা টাঙ্গাইলের সভাপতি তালহা আল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক আলহাজ সুলতান টুকু।সংস্থার উপদেষ্টা অধ্যাপক তরুণ ইউসুফ এবং সাধারণ সম্পাদক এস. এম. রেজাউল ইসলাম সোহাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন টাঙ্গাইলের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মো. মাহমুদুল হক সানু।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থা টাঙ্গাইলের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ সাধারণ গ্রন্থাগার টাঙ্গাইলের সদস্য সচিব কবি মাহমুদ কামাল এবং স্বকাল পরিষদের সভাপতি নুরুল ইসলাম বাদল। আলোচনা সভায় বক্তারা মাওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার আপসহীন অবস্থান এবং এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, মাওলানা ভাসানীর আদর্শ আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া সময়ের দাবি। দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য, গান ও পুথি পাঠ পরিবেশন করা হয়। শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা এতে অংশ নেন। এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় জাতীয় আবৃত্তি শিল্পী আরিফ আহমেদ ও তার দলের পরিবেশিত পুথি পাঠ দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অনুষ্ঠানটি টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং মাওলানা ভাসানীর আদর্শ ও চেতনা নতুনভাবে স্মরণ করার এক অনন্য উপলক্ষ হয়ে ওঠে।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদায় করা হচ্ছে পরীক্ষার ফি, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা** টাঙ্গাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে কোনো লিখিত নির্দেশনা ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি আদায় করায় অভিভাবক ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা দিতেই এ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ সত্ত্বেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, প্রশ্নপত্র সিলগালা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় খামের সরকারি বরাদ্দ না থাকায় প্রশ্নের গোপনীয়তা রক্ষা করা যাচ্ছে না। জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার ফি নির্ধারণে অনলাইনে মতামত চেয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি – ২০ টাকা,তৃতীয় শ্রেণি – ৩০ টাকা,চতুর্থ শ্রেণি – ৪০ টাকা,পঞ্চম শ্রেণি – ৫০ টাকা ফি নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে লিখিত অনুমোদন বা আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগেই বিদ্যালয়গুলোতে ফি আদায় শুরু হয়ে যায়, যা নিয়মবহির্ভূত। অভিভাবকদের প্রতিবাদেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, আদায়কৃত টাকার মধ্য থেকে ১৫ টাকা করে শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হচ্ছে। এছাড়া মডেল বৃত্তি পরীক্ষার OMR শিটের জন্যও প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ৩০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনিয়ম। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রিকশাচালক লাল চান বলেন, “গরিব বলেই ছেলেকে সরকারি স্কুলে দিয়েছি। আগে কোনো পরীক্ষার ফি লাগত না। কিন্তু এবার ফি না দিলে ছেলেকে পরীক্ষায় বসতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়েছি।” সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জাকারিয়া হায়দার বলেন, “পরীক্ষার ফি নেওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত আদেশ পাইনি, তবে মৌখিক অনুমতি পেয়েছি। আর প্রশ্নপত্র সিলগালা করার জন্য বরাদ্দ না থাকায় গোপনীয়তা রক্ষা করা কঠিন। প্রশ্ন বাইরে ছড়িয়ে পড়লে করার কিছু থাকে না।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিনও ২৪ নভেম্বর পরীক্ষার সময়সূচিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করলেও প্রশ্নপত্র নিরাপত্তা বা ফি আদায়ের বিষয়ে কোনো পরিষ্কার নির্দেশনা দেননি। অভিভাবকরা বলছেন, পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁস, আবার কোনো অনুমোদন ছাড়াই ফি আদায়—এসব ঘটনায় তারা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। তাঁরা দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন
টাঙ্গাইলে কুমুদিনী সরকারি কলেজ ছাত্রীনিবাসে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বার্ষিক প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ছাত্রীনিবাসের মুক্তমঞ্চে আনন্দঘন পরিবেশে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চারদিকে উৎসবমুখরতা ছড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কুমুদিনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক খান এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোয়াজ্জম হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান হোস্টেল সুপার ও সহযোগী অধ্যাপক (ইংরেজি) মোহাম্মদ আকতার হোসেন। বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক উন্নয়ন গঠনে এ ধরনের সৃজনশীল আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীদের আত্ম-উন্নয়ন, শৃঙ্খলা, সৃজনশীলতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান। সাংস্কৃতিক পর্বে ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি, নাটিকা ও একক পরিবেশনায় দর্শকদের মুগ্ধ করেন। শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে একটি উৎসবমুখর ও অনুপ্রেরণাদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সবশেষে প্রীতিভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। আয়োজকরা জানান, এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্প্রীতি ও ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে