১৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার আমাদের ডিবেটিং ক্লাবে অনুষ্ঠিত হলো ২০২৪–২৫ সেশনের বিদায়ী কমিটির সভাপতি সানজিদা মেহের নাহিদা ও সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার রাহমান সাজিদ এর বিদায় এবং নতুন কমিটি (২০২৫–২৬) ও নতুন তার্কিকদের আনুষ্ঠানিক বরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত, উৎসবমুখর এবং আবেগঘন। ক্লাবের পুরনো ও নতুন প্রজন্ম একসাথে মিলিত হয়ে এক সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনিরুজ্জামান মিয়া, সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা ও সাবেক উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মৃদুনচন্দ্র ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: আব্দুল্যাহ তালুকদার সাধারণ -সম্পাদক, সরকারি সাদ'ত কলেজ শিক্ষক পরিষদ, ড. আরমান হোসেন আজম সহকারি অধ্যাপক, বাংলা ও শিক্ষক উপদেষ্টা, সরকারি সা'দত কলেজ ডিবেটিং ক্লাব,মো. নাইমুল হাসান সহকারী অধ্যাপক ইসলামী শিক্ষা ও শিক্ষক উপদেষ্টা, সরকারি সা'দত কলেজ ডিবেটিং ক্লাব, সাইফুল মালেক আনসারি, বিভাগীয় প্রধান অর্থনীতি, আবেদ আহাদ, বিভাগীয় প্রধান, সমাজকর্ম। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ আবু হানিফ, সভাপতি সরকারি সা'দত কলেজ ডিবেটিং ক্লাব। সাথে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের গর্ব, সম্মানিত সাবেকরা: প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার নিপুণ হোসাইন,সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান রুবেল,সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন,সাবেক সভাপতি আবু আহমেদ শেরশাহ,সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হাসান ও এছাড়াও সরকারি সা'দত কলেজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সরকারি সা'দত কলেজ ছাত্রদলের সদস্য , সরকারি সা'দত কলেজ ছাত্রশিবির। এসময় বিদায়ী কমিটির সদস্যদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সম্মাননা জানানো হয় এবং নতুন কমিটি ও সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত জানানো হয়। আলোচনা পর্বে ক্লাবের অর্জন, অতীত ইতিহাস, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, ক্লাবের সম্ভাবনা, বর্তমান কার্যক্রম সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন সম্মানিত অতিথিবৃন্দ। ক্লাবের সদস্যরা রম্য বিতর্ক, গান, ম্যাজিক ও আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিলো। অংশগ্রহণকারী সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সকলের সমর্থন প্রত্যাশা করি। বিদায়ী কমিটির দায়িত্বশীল নেতৃত্ব আমাদের ক্লাবকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে। আর নতুন কমিটি ও নতুন তার্কিকরা ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা সবসময় ক্লাবের পাশে থেকেছেন। তাদের দিকনির্দেশনা, সহযোগিতা এবং একান্ত সমর্থনই অনুষ্ঠানটিকে এত সুন্দরভাবে আয়োজন করতে সাহায্য করেছে। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের প্রধান অতিথি মনিরুজ্জামান মিয়া স্যারকে, তার সহযোগিতা ও সমর্থনের কারণে আয়োজন সফল হয়েছে। ডিবেটিং ক্লাব সবসময় যুক্তি, সত্য ও সুন্দর মত প্রকাশের জায়গা। পুরানোদের অভিজ্ঞতা আর নতুনদের স্বপ্ন এক হয়ে ক্লাবকে এগিয়ে নেবে আরও অনেক দূর।
১৬,১৭,১৮ নভেম্বর টানা তৃতীয় দিনের মত সরকারি সা'দত কলেজ প্রভাষকবৃন্দ কর্মবিরতি পালন করলো। তাদের দাবি ৩ টিঃ- ১।শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক যোগ্য সকলের প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা। ২.শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত ২০০০ বিধির কলেজসমূহে জাতীয়করণের তারিখ হতে ক্যাডারভুক্তির নিয়মিত করণের সকল অবৈধ প্রজ্ঞাপন সমূহ বাতিল করতে হবে। ৩. শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা। "No promotion, No work" কর্মসূচি চলমান থাকবে। ১৯/১১/২৫ তারিখ মাউশিতেও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।
সরকারি সা'দত কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কর্তৃক "উপাধ্যক্ষ (সাবেক বিভাগীয় প্রধান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ) প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা স্যারের অবসরজনিত বিদায় ও মিলনমেলা"-র আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সরকারি সাদ'ত কলেজের অধ্যক্ষ জনাব, মো: মনিরুজ্জামান মিঞা, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সরকারি সাদ'ত কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ-সম্পাদক জনাব, মো: আব্দুলাহ তালুকদার, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান জনাব,এস এম গিয়াস উদ্দিন । এ ছাড়াও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থী এ "বিদায় ও মিলন" মেলায় অংশ নিয়ে সফল ভাবে সম্পন্ন করেন।
নাদিম তালুকদার:বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত যোগ্য সকল প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির দাবিতে সরকারি সা'দত কলেজে প্রভাষকদের "No Promotion, No Work" কর্মসূচি পালন। গত ১৪ নভেম্বর ২০২৫ বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন এর সাথে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সারাদেশে "NO PROMOTION, NO WORK" কর্মসূচির ডাক দেন "বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ"। ১৬ এবং ১৭ নভেম্বর দুই দিন উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে টাঙ্গাইলের করটিয়ায় অবস্থিত সরকারি সা'দত কলেজের প্রভাষকবৃন্দ।
সাজিদ পিয়াল: বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি সজীব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী। ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সজীব হোসেনকে সভাপতি ও নবাব আলীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত প্যাডে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন, সহ-সভাপতি আরাফাত অনিম, রেজাউল হান্নান, মাহমুদুল হাসান মিলন, আল আমিন উদয়, সুলতান খান, অনিক হাসান, এস এ শিশির; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হাসেম, আমির হামজা, তামান্না ইসলাম তরী, আল আমিন, সজীব হাসান, রাসেল রানা, শামীম পারভেজ খান। সাংগঠনিক সম্পাদক কায়ছার আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মেহেদী, রনি, রবিউল ইসলাম মোছা: সাজিয়া আক্তার, মমিনুর রহমান, পলাশ আহমেদ, নাজমুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সহ দপ্তর সম্পাদক জুবায়দুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নিলয়, সহ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাসরুফ মইন উদ্দিন এছাড়া অর্থ সম্পাদক মাহাতাব আহমদ মাহি, সহ অর্থ সম্পাদক মাহীম তালুকদার, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক ফামিম হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সজীব সিকদার, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক আরিয়ান ইসলাম আশা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রনি ইসলাম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক নাঈমুল রহমান। সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাজমুন নাহার শিখা, ক্রীড়া সম্পাদক ইমরুল হাসান পারভেজ, রাজনৈতিক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি সংরক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক রুহুল আমিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদ বিন মুজিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক শাহীন আল মামুন। কার্যকরী সদস্যরা হলেন-আসাদুল ইসলাম, শাহীন শাহ, কালাম শেখ, এনামুল হক, সাব্বির আহমেদ, আবদুলনতুন কমিটিতে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, থানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় ও ত্যাগী ছাত্রনেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দীর্ঘদিন পর টাঙ্গাইল জেলায় সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হলো। ছাত্র অধিকার আন্দোলনকে আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী করতে এই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। নতুন কমিটির নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, ক্যাম্পাসে বৈষম্য ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখা এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার আদায়ে কাজ করাই হবে তাদের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে। অন্যদিকে, নতুন কমিটি ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা সংগঠন এবং বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি জানিয়েছে, খুব শিগগিরই টাঙ্গাইল জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে এবং উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে নবীনবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত। টাঙ্গাইল সদরের ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে সকাল থেকেই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে বা এমএম আলী কলেজে বৃহস্পতিবার উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠান। নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতিনাট্যের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় নবীনবরণ অনুষ্ঠান। পরে কলেজের অধ্যক্ষ (অধ্যক্ষের নাম, জানা থাকলে) নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভালো ফল অর্জন নয়, বরং একজন সৎ, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠা।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি, সহকারী অধ্যাপকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সিনিয়র শিক্ষার্থীরা নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় এবং কলেজের ঐতিহ্য, নিয়মনীতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিকতা, সহনশীলতা ও দেশপ্রেমের চেতনা জাগিয়ে তোলার আহ্বানও জানান। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, সংগীত, নৃত্য ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দর্শকসারি মুখরিত হয়ে ওঠে। দিনব্যাপী এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে কলেজ ক্যাম্পাসে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে প্রাণ ফিরে আসে। অনুষ্ঠান শেষে সবার মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ ও বানান চর্চা জাতিসত্তার ভিত্তি’ — প্রধান অতিথি মনছুরুল আলম হীরা গৌরাঙ্গ বিশ্বাস,বিশেষ প্রতিনিধি যে জাতি তার ভাষাকে শুদ্ধভাবে ভালোবাসতে শেখে, সেই জাতি কখনোই পরাধীন থাকে না”— এমন আহ্বান জানিয়ে সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. মুনছুরুল আলম হীরা বলেছেন, এই বিদ্যালয় আমার স্বপ্ন দেখার সূতিকাগার। এখানে আমি শিখেছি কীভাবে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা মানুষকে চিন্তাশীল, শিকড়সচেতন এবং জ্ঞানসমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ কেবল ভাষাগত দক্ষতা নয়, এটি সাংস্কৃতিক দায়িত্বও বটে। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘সর্বস্তরে বাংলা ভাষা: শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ চর্চা’ শীর্ষক কর্মশালা এবং মুক্ত পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠান। ‘ছায়ানীড়’ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় স্থানীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নানা ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানীড়ের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও প্রশাসনিক পরিচালক শাহানাজ রহমান। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অব.) মো. শাহীনুর ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কালিহাতী শাখার সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. জহুরুল হক সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক, এবং সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভাষা-দক্ষতা গড়ে তুলতে এ কর্মশালা ও পাঠাগার একটি মাইলফলক হবে। শিক্ষার্থীরা যেন শুদ্ধ উচ্চারণ ও বানানে বাংলা ভাষা ব্যবহার করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। ছায়ানীড়’-এর প্রশাসনিক পরিচালক শাহানাজ রহমান কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষাকে শুধু পাঠ্যবইয়ের সীমায় না রেখে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মর্যাদার সঙ্গে ব্যবহার করুক। মুক্ত পাঠাগার সেই চর্চার দ্বার খুলে দেবে। দিনব্যাপী আয়োজিত এই কর্মশালায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় সাহিত্যপ্রেমী, সাংবাদিক, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষার শুদ্ধতা রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই আয়োজন উপস্থিত সবার মধ্যে গভীর প্রশংসা কুড়ায়।
ঝাওয়াইল দারুল উলুম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার গভার্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. মো. রফিকুল ইসলাম মাদ্রাসাটি পরিদর্শন, বৃক্ষরোপণ এবং আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ৩টায় তিনি মাদ্রাসায় পৌঁছালে মাদ্রাসার সুপার ও কমিটির সদস্য সচিব মো. ওয়াহিদুজ্জামান তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে একটি ফুলের চারা রোপণ করেন এবং মাদ্রাসার হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় যোগ দেন। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ছালেহ আহমদ কর্তৃক গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডা. মো. রফিকুল ইসলামকে সভাপতি এবং মাদ্রাসার সুপারকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন অভিভাবক সদস্য মো. মমিনুর রহমান, মো. ছানোয়ার হোসেন, আল আলামিনুল হক, মো. মোজাম্মেল হক; সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য আনোয়ারা পারভীন; সাধারণ শিক্ষক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, মো. বেলায়েত হোসেন এবং সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য চামেলী আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝাওয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, সম্পাদক কায়ী খসরু, নগদা শিমলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কমিটির সদস্য, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
পাঁচ বছরে কোন ক্লাস না নিয়েই সরকারি নিয়মে বেতন ভাতা নিচ্ছে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার কাশীপুর মুহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষক হোসেন মিয়ার। এই অনিয়মে একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের জড়িয়ে থাকার অভিযোগ করছে এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। সরেজমিনে জানা যায়, কাশিপুর মুহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক হোসেন মিয়া সহকারী অধ্যাপক হিসেবে সরকারি বেতনভুক্ত হলেও গত পাঁচ বছরে একদিনও ক্লাস করেনিও মাদ্রাসা ও আসেনা। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা কেউই এই শিক্ষককে কখনো ক্লাস নিতে দেখেনি, এমনকি চিনেও না। ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তিনি মাদ্রাসায় উপস্থিত হননি, হাজিরায় কখনো দেখানো হয়েছে হোসেন মিয়ার স্বাক্ষর, আবার কখনো দেখানো হয়েছে ছুটি, বিষয়টি কোন শিক্ষক বা কমিটি জানেনা কেনো বা কি কারণে অনুপস্থিত। তারপর ও অধ্যক্ষের সহায়তায় নিয়মিত বেতন ও বোনাস নিচ্ছে, এই অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা আলা উদ্দিনকে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই নিয়ম আমার আগের অধ্যক্ষ থেকে হয়ে আসছে (যদিও তিনি প্রায় ৪বছর এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ) তবে নতুন কমিটির সমন্বয়ে বিষয়টি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিয়মিতভাবে সরকারি তহবিল থেকে নিচ্ছেন বেতন- ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা যেখানে প্রতি মাসে প্রতিষ্ঠান প্রধান বেতন নথিতে স্বাক্ষর করতে হয় একথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি একন ঢাকা আছি, আপনারা আগামীকাল আসেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, অধ্যক্ষ মাওলানা আলা উদ্দিনের যোগসাজশে শিক্ষক হোসেন মিয়া হাজিরা স্বাক্ষর করতে পারে, এই শিক্ষক মাদ্রাসায় না এলেও সরকারের নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন যা শিক্ষা ব্যবস্থায় এক ধরনের দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার উদাহরণ। মাদ্রাসার সভাপতি ও পরিচালনা কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি একাধিকবার আলোচনা হয়, কিন্তু অধ্যক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। তারা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের কোনো অস্তিত্ব না থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন। তাদের দাবি,অধ্যাদেশ জারি করে সেমিস্টারের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৪ মাস নির্ধারণ করতে হবে। শনিবার (২৫ অক্টোবর ২০২৫ইং) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখেন— ‘মোদের দাবি একটাই, ৪ মাসে সেমিস্টার চাই’,ডিগ্রি নিতে দশ বছর, চাকরি নেব কোন বছর’এক দফা এক দাবি, ৪ মাসে সেমিস্টার দিবি’,‘সেশনজটে পুড়ছে প্রাণ, এবার চাই সমাধান। ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে একদফা বৈঠক করে শিক্ষার্থীর একটি বড় অংশ কিন্তু তাঁদের দাবি না মানায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে বিকেল ৪টা থেকে তারা আমরণ অনশনে বসেন। ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা‘সেশনজট নিরসনে সেমিস্টারের সময়কাল ৪ মাসে করার জন্য আমরা গত ১২ অক্টোবর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে কিন্তু একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানায়, ২৪ তারিখের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ২৫ তারিখ ২০২৫ ইং তারিখ থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু করব। দুপুরে ভিসি স্যারের সঙ্গে বৈঠকেও দাবি না মানায় আমরা আমরণ অনশনে বসেছি।
নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আজ নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৫। ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার ৪টি উপজেলা বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী,চাটখিল, সেনবাগ এর বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা থেকে আগত ২ হাজার এরও বেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে , গণিত অলিম্পিয়াডে আগত শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরকে উচ্ছ্বাসিত দেখা যায়। অভিভাবকগণ জানান ছাত্রশিবির এটি চমৎকার আয়োজন করেছে, এমন আয়োজনে সন্তানেরা মেধার বিকাশ ঘটাবে। আগত শিক্ষকগণ জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রশিবির যে আয়োজন করেছে এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়, খুব ভালো উদ্যোগ। ছাত্রশিবির তাদের এ শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ অব্যাহত রাখবে বলে আমরা আশা করি। গণিত অলিম্পিয়াডে পরিদর্শনে আসেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান। বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান বলেন ছাত্রশিবির একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে আমরা তাদের কাছে এমন শিক্ষার্থীবান্ধব কাজেই প্রত্যাশা করি। ছাত্রশিবিরের এই চমৎকার আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। দেশ এবং জাতি গঠনে ছাত্রশিবির মেধাবীদেরকে নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন করে যাবে এটাই প্রত্যাশা। ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সভাপতি দাউদ ইসলাম বলেন “গণিত কেবল একটি বিষয় নয়, এটি যুক্তিবোধ ও সৃজনশীলতার বিকাশের চাবিকাঠি। আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মাঝে চিন্তা, অনুসন্ধান ও যুক্তির চর্চাকে জাগ্রত করা। এ লক্ষ্যেই ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করেছে। ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সেক্রেটারি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন। গণিত শুধু একটি সংখ্যা নয় এটি চিন্তা চেতনার এক শৃঙ্খলা, আজকের এই গণিত অলিম্পিয়াড ইসলামী ছাত্রশিবিরের ধারাবাহিক কাজেরই অংশ। ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীবান্ধব কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহযোগী হবে ইনশাল্লাহ
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠানের পাসের হার শূন্য শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর বকশিবাজারে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি ফলের বিস্তারিত তুলে ধরে। চলতি বছরে শতভাগ পাস করেছে ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত বছর যেখানে শতভাগ ফেল প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি, এবার তা বেড়ে ২০২টিতে পৌঁছেছে, অর্থাৎ ১৩৭টি প্রতিষ্ঠান বেশি ফেল করেছে। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ, যা এবার প্রায় ১৯ শতাংশ কমে গেছে। একইসঙ্গে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীও কমেছে প্রায় ৭৮ হাজার। অপরদিকে, এবারও মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের চেয়ে ৫৯ হাজার ২৩২ জন বেশি নারী শিক্ষার্থী পাস করেছে, আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯৯১ জন বেশি। উল্লেখ্য, এর আগে এত কম পাসের হার দেখা গিয়েছিল ২০০৫ সালে। এরপর থেকে ফলাফলের হার ক্রমান্বয়ে বেড়েছিল। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।এবারও ফলাফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন নীতিতে’। নির্ধারিত Short Code–16222–এ এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পাবেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে HSC Board Name (First 3 Letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে শিক্ষার্থীদের। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222–তে পাঠাতে হবে।
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা নব সার্ভেয়ার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রশিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে গফরগাঁও পৌরসভার পশু হাসপাতাল রোডে আমাদের রেস্তোরায় গভমেন্ট রেজিনংপিএফ ৩৭২৩৩ উত্তরায় সার্ভে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্য সার্ভেয়ার সনদপত্র বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩ মাস যাবত ৩৭জন প্রশিক্ষনার্থী এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। এনালগ ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। উক্ত সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার, গফরগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মোঃ মাজহারুল ইসলাম বাচ্চু।প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার পরিসংখ্যানবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উত্তরায় সার্ভে ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এর সুযোগ্য প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শামীম আহমেদ ও মোঃ অহিদুর রহমান।প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ সোহরাব উদ্দিন লিটন,মোঃআসাদুজ্জামান (আসাদ মেম্বার),ইমরান হোসেন,মোঃ সোহরাব উদ্দিন আর্মি, মোঃ রিপন মিয়া,আল আমিন,সুরুজ মিয়া,রফিক ইসলাম, মোস্তফা কামাল প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে সনদ বিতরণ ও ডিজিটাল সার্ভেয়ার এসোসিয়েশন গঠন এবং মধ্যহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।
ঘাগড়া কলেজ মিলনায়তনে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রাঙ্গামাটি সদরস্থ কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঘাগড়া কলেজে'র আয়োজনে নবীন বরণ ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান -২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চায়না চাকমা অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ঘাগড়া কলেজ, কাউখালী, রাঙ্গামাটি জেলা এর সভাপতিত্বেঃ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিঃ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কাউখালী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ালীন খালেক,সহকারী কমিশনার ভুমি, কাউখালী, রাঙ্গামাটি জেলা। এসময় সকল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সহ অত্র কলেজের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শ্রীবাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রউফ, শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক সোমা বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক শ.ম মমতাজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক যথাক্রমে ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল, জয়শ্রী ঘোষ, নজরুল ইসলাম, তারক চন্দ্র সরকার, আব্দুল ওহাব, সুকুমার ঘোষ, দেবব্রত কুমার মিস্ত্রী, মোশাররফ হোসাইন চৌধুরী, মো. বদরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদুর রহমান, ইকবাল খলিল খান, বিকাশ চন্দ্র মিস্ত্রী, মর্জিনা মোমতাহানা শিখা সুলতানা, বিলকিস আক্তার, আরেফা ফারজানা, রতন কুমার ঘোষ, প্রভাষক আওছাফুর রহমান, গোবিন্দ দুলাল বর, শম্পা রানী মৃধা, সাইয়েদুতুন্নেছা মুক্তা, আমিনুর রহমান, শাহিনুর রহমান, হাফিজুর রহমান, নন্দলাল মন্ডল, নবতরণ গাইন, কামরুল ইসলাম, প্রদর্শক সনজিত সরকার, সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. সাইফুজ্জামান প্রমুখ।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”