বর্তমান আমাদের দেশের প্রতিটি মসজিদে পহেলা রমজান হতে খতম তারাবিহ শুরু হয়ে ২৭শে রমজানের শেষ হয়ে যায়, পরবর্তী ২-৩ দিন সুরা তারাবিহ পড়া হয়। এ সম্পর্কে কিছু সংখ্যক আলেমদের সম্মতি থাকলেও অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মতে এর দ্বারা পূর্ণ রমজানে মাসের তারাবিতে এক খতম কুরআন পাঠ করা বা শোনা যে সুন্নত সে সুন্নতটি আদায় হবে না।
কেননা এতে পূর্ণ রমজানের ২৯ বা ৩০ দিনের তারাবিতে কুরআন খতম হলো না। বরং আরো দুই-তিন দিন বাকি রয়ে গেল। এমনিভাবে যারা প্রাইভেট হাফেজ রেখে মাত্র অল্প কদিনে তারাবির মধ্যে কুরআন খতম করেন পরবর্তীতে আবার খতমে তারাবিতে যোগ দেন এতে তারা শুধু মাত্র রমজানের তারাবিতে এক খতম কুরআন পড়ার বা শোনার সওয়াব পেলেন কিন্তু পূর্ণ ২৯-৩০ দিনের তারাবিতে যে কোরআন খতম করা সুন্নত। তার সওয়াব থেকে বঞ্চিত থাকলেন। যদি তারা কদিনে খতম না করে পূর্ণ তারাবিতে এক খতম পড়তেন বা শুনতেন তবে দুইটি সুন্নত আদায়ের সওয়াব পেতেন।(১) রমজানের তারাবিতে এক খতমের সওয়াব। (২) পূর্ণ রমজান মাসের ২৯-৩০ দিনের তারাবিতে এক খতমের সওয়াব। কিন্তু কদিনে খতম করার কারণে পূর্ণ রমজানের তারাবীতে এক খতম করা সম্ভব হয়নি বিধায় তারা একটি সুন্নত আদায়ের সওয়াব পাবেন।
সুতরাং আমাদের সকলের এ মিটে যাওয়া সুন্নতকে জিন্দা করার ব্যাপারে সচেতন হওয়া অত্যাবশক। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন মসজিদ কর্তৃপক্ষে তাদের জন্য এ বিষয়টি চিন্তা করার সাথে সাথে এ সুন্নত মসজিদে চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। অন্যথায় কেয়ামতের ময়দানে কঠিন জবাবদিহীর সম্মুখীন হতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন।