কিতাবুত তাওয়াবীন এ একটি ঘটনা আছে। এক ব্যক্তি গুনাহ করতে করতে নিজেকে নিকৃষ্টতার নিম্ন স্তরে নিয়ে গিয়েছিল। একসময় তার অন্তরে আল্লাহপাক নিজের গুনাহের জঘন্যতার ব্যাপারে অনুশোচনা পয়দা করে দিলেন।
আল্লাহ তা’আলা তাকে পবিত্র করার জন্য তার অন্তরে তওবার ইচ্ছা জাগ্রত করে দিলেন। লোকটি তার স্ত্রীকে বলল, আমার গুনাহের ব্যাপারে আমার ভয় হচ্ছে। আমিতো মহান রাব্বুল আলামীনের চরম অবাধ্য। আমি তওবা করব। নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করব।
একথা বলে জনমানবহীন এক স্থানে চলে গেল। সে চিৎকার করে বলতে লাগলো হে আকাশ মন্ডলী! আমার জন্য সুপারিশ করো। হে পাহাড়! আমার জন্য সুপারিশ করো। হে ভূমন্ডল! আমার জন্য সুপারিশ করো। হে ফেরেশতাগণ! আমার জন্য সুপারিশ করো। এভাবে চিৎকার করতে করতে সে বেহুশ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।
এই সময় আল্লাহতায়ালা তাঁর নিকট একজন ফেরেশতা পাঠিয়ে দিলেন। ফেরেশতা এসে তাকে বসিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বললেন, আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে সু সংবাদ গ্রহণ করো, তোমার তওবা কবুল হয়েছে। লোকটি বলল, তোমার প্রতি আল্লাহ রহম করুন।
কেয়ামতের সেই কঠিন দিনে মহান রবের দরবারে আমার পক্ষে কে সুপারিশকারী হবে?ফেরেশতা সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, তোমার আল্লাহ ভীতি ও তোমার অন্তরে পাপের ভয়ের কারণই। তোমার পক্ষে সুপারিশকারী হবে প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
এখানে লক্ষ্য করার বিষয় হলো। লোকটি নিজের কৃত গুনাহ গুলো থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে করতে বেহুঁশ হয়ে গেল। নিজের গুনাহ এর ব্যাপারে কত কঠিন অনুশোচনা লোকটির অন্তরে এসেছিল। প্রকৃতই সবারই তো এমন অবস্থা হওয়া উচিত।
অথচ আমাদের কি অবস্থা! গুনাহের কারণে আমাদের অন্তর সামান্য সময়ের জন্য বেচাইন হয় না। আমাদের অন্তর পাথরের চেয়েও শক্ত হয়ে গেছে। আমরা দুনিয়ার পিছে পড়ে দুনিয়ার আরাম-আয়েশ কে প্রধান করে নিয়েছি। আখেরাতকে ভুলে গেছি।
মহান আল্লাহ্ আমাদের দীনের সহী বুঝ দান করুন। ”আমিন”