রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে বিএনপির ৬ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ | 0
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে বিএনপির ৬ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে বিএনপির ৬ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ছয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন: এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তবে দলের মনোনয়নবঞ্চিত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত বা বহিষ্কৃত নেতাদের অংশগ্রহণ এই আসনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে দলের মনোনয়ন না পাওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোরহাব এবং বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ফিরোজ হায়দার খান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ নিয়ে মির্জাপুর আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির মনোনয়ন দাবি করা সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল, যিনি কোনো দলীয় পরিচয় বহন করেন না। এছাড়া বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সখীপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শেখ হাবিবও মনোনয়নপত্র তুলেছেন। টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত মোট ২১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত বা বহিষ্কৃত নেতা-সমর্থকদের অংশগ্রহণ নির্বাচনী বৃত্তে দলীয় স্থিতিশীলতা এবং ভোটের ফলাফলের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থীদের প্রচারণা কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের মনোযোগ মূলত দলীয় প্রার্থী বনাম স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বিভাজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

রাজনীতি

আরও পড়ুন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে বিএনপির ৬ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে বিএনপির ৬ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ছয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন: এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তবে দলের মনোনয়নবঞ্চিত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত বা বহিষ্কৃত নেতাদের অংশগ্রহণ এই আসনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে দলের মনোনয়ন না পাওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোরহাব এবং বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ফিরোজ হায়দার খান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ নিয়ে মির্জাপুর আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির মনোনয়ন দাবি করা সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল, যিনি কোনো দলীয় পরিচয় বহন করেন না। এছাড়া বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সখীপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শেখ হাবিবও মনোনয়নপত্র তুলেছেন। টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত মোট ২১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত বা বহিষ্কৃত নেতা-সমর্থকদের অংশগ্রহণ নির্বাচনী বৃত্তে দলীয় স্থিতিশীলতা এবং ভোটের ফলাফলের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থীদের প্রচারণা কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের মনোযোগ মূলত দলীয় প্রার্থী বনাম স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বিভাজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে ওসমান হাদীর হত্যার প্রতিবাদে জেলা জামায়াতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

টাঙ্গাইলে ওসমান হাদীর হত্যার প্রতিবাদে জেলা জামায়াতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে ফরহাদ ইকবালকে বিএনপির মনোনয়নের দাবিতে জনসভা

টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে ফরহাদ ইকবালকে বিএনপির মনোনয়ন দাবিতে জনসভা অনুষ্ঠিত

কর্মমুখী শিক্ষা চালু করে বেকারত্ব দূর করা হবে—আব্দুল্লাহ তালুকদার

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ হাবিব এবং সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর ২০২৫) নির্ধারিত সময়ে তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় প্রার্থীরা বলেন এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষা স্বাস্থ্যসেবা যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিকে তারা তাদের অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল-৮ আসনে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যে নির্বাচনী উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
জিয়া পরিবারের নেতৃত্বেই সব আন্দোলনে জনগণের বিজয়: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

জিয়া পরিবারের নেতৃত্বেই সব আন্দোলনে জনগণের বিজয়: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ।

মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিজয় দিবসে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিজয় দিবসে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা আবারও নতুন কৌশলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘাতকচক্রের প্রতিনিধিরা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে আলোচনা সভা করছে, যা জাতির বিবেককে আঘাত করে এবং দেশের মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় র‍্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “যারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছে, তারাই আজ শহীদদের নিয়ে আলোচনা করে—এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।” সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শের জনক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা কোনোভাবেই নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আগামী দিনের রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান যে স্লোগান দিয়েছেন—‘দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, সবার আগে বাংলাদেশ’—এই চেতনাই আগামী দিনের রাজনীতির দিকনির্দেশনা। এই আদর্শকে বুকে ধারণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি বীরের বেশে দেশে ফিরবেন ইনশাল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বেই আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃত অর্থে বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে টুকু বলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে দেশে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “হাদির ওপর গুলি চালানো হয়েছে, এরশাদ উল্লাহকে গুলি করা হয়েছে। এসব কাজ কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, এসব করছে গুপ্ত ও সন্ত্রাসী সংগঠন। এর মাধ্যমে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।” তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের আরও সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকল মতভেদ ভুলে গিয়ে ধানের শীষের বিজয়ের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বিজয় র‍্যালির আগে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি বের করা হয়, যা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর উদ্যানে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও দেশবাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফ পাহেলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইথেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল ৮ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান (বায়ে) ও টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন (ডানে)।

বহিষ্কারের প্রতিবাদে ফেসবুক লাইভ, টাঙ্গাইল-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থীকে বহিষ্কারের দাবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল

নির্বাচন ঠেকাতে ভারতে বসে ষড়যন্ত্র চলছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

নির্বাচন ঠেকাতে ভারতে বসে ষড়যন্ত্র চলছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

0 মন্তব্য