সম্প্রতি বাংলাদেশের নতুন ধর্ষণবিরোধী আইন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন লিঙ্গ বৈষম্যমূলক এবং বিশেষভাবে পুরুষদের জন্য প্রতিকূল।
বিতর্কিত বিষয়গুলো:
নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনো পুরুষ যদি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং পরে বিয়ে না করে, তবে সেটি ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে।
সমালোচকরা বলছেন, এটি একতরফাভাবে পুরুষদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করছে, যেখানে নারীদের দায়বদ্ধতা নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।
অন্য দেশে এমন উদাহরণ খুবই কম। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছে, যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী নিজে সম্মতি দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে সেটি ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না।
প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া:
অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই আইনের অপব্যবহার হতে পারে এবং মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে অনেক নিরপরাধ পুরুষ হয়রানির শিকার হতে পারেন।
ধর্ষণ মামলায় অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হলেও অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ করা হয়, যা সামাজিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে।
মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি সমাজে কলঙ্কিত হয়ে যান, এমনকি মামলা প্রমাণিত না হলেও তার সম্মানহানি হয়।
এই আইন নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে, এবং আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন। নতুন আইনটি কার্যকর হলে এটি সমাজে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন