মোস্তফা মাসুদ: মানবকল্যাণে ঐক্য সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল কালিগঞ্জ” এই প্রতিপাদ্য স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সমিতির গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সংক্রান্ত ও সমিতির কার্যকরী কমিটি গঠন বিষয়ে সর্বশেষ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরা, বাড়ি নং ৩ রোড নম্বর ১০ এবং ৭ সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম এর বাসভবনে কালিগঞ্জ উপজেলা সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুৃষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা প্রস্তাবিত সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা বকুলুজ্জামান, এ্যাডঃ মরিয়ম মনসুর, স ম মেহেদী হাসান, মুন্সি আব্দুর রাশেদ, এস এম ইমদাদ হোসেন, মোহাম্মদ রুবায়েত, শেখ সাইফুল বারী সফু, সুকুমার দাশ বাচ্চু, নুর আহমেদ প্রমুখ। এ সভায় উপজেলা সমিতির গঠনতন্ত্র অনুমোদন, সদস্য অন্তর্ভুক্তি সিদ্ধান্ত, জানুয়ারিতে সাধারণ সভা, ও পিকনিক অনুষ্ঠিত হবে। কার্যকরী কমিটির ব্লেজার সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: বিষয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বকুলুজ্জামান জানান, ঢাকা মহানগরীতে নিয়মিতভাবে বসবাসরত উপজেলার অধিবাসীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কল্যাণ সাধন এবং সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা,পরস্পারিস সৌহার্দ্য ও ঐক্য স্থাপন, তাদের কল্যাণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং একই সাথে কালিগঞ্জ উপজেলা সার্বিক উন্নয়নকে সক্রিয়ভাবে উদ্বুদ্ধকরণ করা। এছাড়া ঢাকা সহ অবস্থানরত কালিগঞ্জ উপজেলার অধিবাসীদের কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, সহায়তা, অস্থায়ী আশ্রয় প্রদান এবং মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা, উপজেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ধারা উপস্থাপন এবং সার্বিক উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালানো। কালিগঞ্জ উপজেলা সমিতির ঢাকা ও কালিগঞ্জে লাইব্রেরীতে একটি কার্যালয় প্রাথমিক পর্যায়ে থাকবে। কালিগঞ্জ উপজেলা প্রস্তাবিত সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেমকে প্রধান উপদেষ্টা করে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট পৃষ্ঠপোষক, ১৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ ও মোঃ আবু মাসুদকে সভাপতি ও মোস্তফা বকুলুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে মোট ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্র। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাইমুন রাজিব তূর্য (১৬)। সে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের পুলিশ সদস্য মৃত রবিউল ইসলামের পুত্র এবং মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে পরিবার, সহপাঠী ও এলাকাবাসীর মাঝে নেমে এসেছে গভীর শোক।একই ঘটনায় আহত হয়েছে অপর মোটরসাইকেল আরোহী সিয়াম হোসেন, পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে দুটি মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে বিপরীত দিক থেকে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে তূর্য গুরুতরভাবে আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষ, শিক্ষক ও সহপাঠীরা হাসপাতালে ভিড় করেন এবং তূর্যের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তার মৃত্যুতে বিদ্যালয় ও এলাকায় নেমে এসেছে মাতম। কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে।
মোস্তফা মাসুদ: জুলাই–আগস্ট ২০২৪ সালে সংঘটিত সহিংস ঘটনাবলীর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে উপজেলা তাঁতীদলের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা এই ঘটনাগুলোকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।রবিবার (১৬ নভেম্বর ২০২৫) বিকালে আয়োজিত এই বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে তারালি চৌরাস্তা মোড় এলাকায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হন।পরে উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক শরীফ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে মিছিলটি তারালি চৌরাস্তা মোড় থেকে শুরু হয়ে কাকশিয়ালী ব্রিজ পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিভিন্ন মোড়ে স্লোগান, ব্যানার ও ফেস্টুনে পুরো এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। কাকশিয়ালী ব্রিজ এলাকায় গিয়ে মিছিলটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।মিছিলে অংশগ্রহণ করেন— কালিগঞ্জ উপজেলা তাঁতি দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম,নুর ইসলাম,আবু হাসান,আব্দুল আলিম,এবাদুল ইসলাম, কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রদলের আহ্বায়ক হৃদয় হোসেন , রতনপুর ইউনিয়ন তাঁতী দলের আহ্বায়ক ওয়াহেদুর রহমান মান্নান, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান, দক্ষিণ শ্রীপুর তাঁতি দলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম মধু, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মথুরেশপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন,সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর ইসলাম ছোট, ভাড়াসিমলা ইউনিয়ন ইউনিয়নের আহবায়ক মহিউদ্দিন গাজী ,সদস্য সচিব আলামিন হোসেন পুটু,ইব্রাহিম খলিল ও শাওন মুখার্জি প্রমূখ। বিক্ষোভকারীরা জুলাই–আগস্ট ২০২৪ সালের ঘটনাবলীর নিরপেক্ষ তদন্ত,নিহতদের পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বক্তারা বলেন—“ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। এ ধরনের ঘটনায় বিচারহীনতা চলতে থাকলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এটি জাতির সামনে একটি বড় পরীক্ষা।”অঞ্চলের জনগণ দাবি জানায় যে, অনতিবিলম্বে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে এবং প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “আমাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ন্যায়বিচারের জন্য এই সংগ্রাম আমরা থামাবো না।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের থালনা দক্ষিণপাড়ায় এক অসহায় পরিবারের ওপর চরম হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় এক চিটার ও মামলাবাজ চক্রের নেতৃত্বে চলছে এই অমানবিক নির্যাতন। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন কুখ্যাত প্রতারক কার্তিক চন্দ্র সরকার—যিনি তার সহযোগীদের নিয়ে নিরীহ ও গরিব গাজী পরিবারকে বারবার মিথ্যা মামলা ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বিপর্যস্ত করে তুলেছেন। থালনা দক্ষিণপাড়ার ইউসুফপুর গ্রামের আলী বাক্স গাজীর দুই ছেলে আকিম গাজী (৩৬) ও তকিম গাজী (৩৮) বহু বছর ধরে সরকারি পজিশন জমিতে একটি ছোট টিনের ঘর ও সিমেন্ট পাইপের ছাউনি দেওয়া ছাপড়া ঘরে বসবাস করে আসছেন। এই জায়গায় বসবাসের জন্য তারা এক সময় স্থানীয়দের পরামর্শে টাকা দিয়ে বসবাসের অনুমতি পান। কিন্তু পরবর্তীতে কার্তিক চন্দ্র সরকার পুনরায় অর্থ দাবি করলে গাজী পরিবার তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেই থেকেই শুরু হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ, মামলা ও ষড়যন্ত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,“থালনা দক্ষিণপাড়া সর্বজনীন শ্মশান ঘাট ও শ্রীশ্রী তারকনাথ বাবার ধাম কমিটি”র নাম ব্যবহার করে কার্তিক চক্র বিভিন্ন সময় এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি প্রশাসনের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে পরিবারকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করারও চেষ্টা চালায়। সরজমিনে গেলে দেখা যায়, উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। ভাঙা টিনের টুকরো, সিমেন্ট পাইপের ভাঙা অংশ আর কান্নায় ভেজা এক পরিবার—এই যেন প্রতারণার এক বাস্তব চিত্র।পরিবারের সদস্যরা বলেন, “আমরা কারও জায়গা দখল করিনি, বৈধভাবে এখানে ছিলাম। হঠাৎ একদিন উচ্ছেদের নামে আমাদের মাথার ওপরের ছাউনিটা পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হলো। এখন আমরা পথে বসে আছি।স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনি, আজিজুর রহমান, জয়ন্ত কুমার ও নজরুল ইসলাম জানান “এই পরিবার শান্তিপ্রিয় ও পরিশ্রমী মানুষ। চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকার ও তার দলবল টাকার লোভে পড়ে এই পরিবারটিকে উচ্ছেদ করিয়েছে। প্রশাসন যেন প্রকৃত সত্য যাচাই করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। অভিযোগ রয়েছে, গত ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গাজী পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের প্রভাব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে প্রকৃত সত্য যাচাই ছাড়াই অভিযানটি পরিচালিত হয়।স্থানীয়রা দাবি করেন,“চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকার ও তার মামলাবাজ চক্রকে আইনের আওতায় আনা না হলে, তারা আরও নিরীহ পরিবারকে একইভাবে সর্বস্বান্ত করবে। এলাকাবাসী প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে তদন্ত ও অবিলম্বে চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকারসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন,ন্যায়বিচার পেলে শুধু একটি পরিবারই নয়, পুরো এলাকা প্রতারক ও মামলাবাজদের হাত থেকে মুক্তি পাবে।এ বিষয়ে অসহায় দিনমজুর আকিম গাজী ও তকিম গাজী তারা বলেন" চাম্পাফুল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম সহ একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি জানেন এই চিটার কার্তিক চন্দ্র আমার কাছে এই পজিশনের সরকারি জায়গাটি বিক্রি করে টাকা নিয়ে তারপরে আবারো টাকার দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকার করাই ,আমার নামে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিতে থাকেন বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী ও জানেন। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়, ফলে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোস্তফা মাসুদ: বিশ্ব জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ন্যায়বিচারভিত্তিক পদক্ষেপের দাবিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পালিত হলো ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক–২০২৫, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশ ও গ্লোবাল প্লাটফর্ম বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্বজুড়ে যখন ব্রাজিলের বেলেম শহরে জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন কপ–৩০ চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে কালিগঞ্জে তরুণ জলবায়ু কর্মীদের এই সমাবেশ বৈশ্বিক আন্দোলনের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করে।সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যুব সংগঠন ও পরিবেশবাদী তরুণরা অংশ নেন। রঙিন ফেস্টুন,ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের বার্তা তুলে ধরা হয়। তরুণদের দৃপ্ত ঘোষণা: “সবুজ অর্থনীতি হতে হবে তরুণবান্ধব” সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তরুণ জলবায়ু কর্মী মো. মারুফ হাসান বলেন,“ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশবান্ধব কাজের সৃষ্টি, মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং তরুণের নেতৃত্বাধীন সমাধানগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সবুজ অর্থনীতি অবশ্যই তরুণবান্ধব হতে হবে, যেখানে জলবায়ু অর্থায়ন সহজলভ্য থাকবে। টেকসই ভবিষ্যতের পথে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে একশন এইডের সংহতি এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে একশনএইড বাংলাদেশ-এর ইয়ুথ অ্যান্ড জাস্ট সোসাইটি টিমের লিড মো. নাজমুল আহসান বলেন,“ কপ৩০-এর আগে যারা জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য সোচ্চার হচ্ছে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। তরুণদের ন্যায্য রূপান্তরের দাবি যৌক্তিক,যা তাদের জীবন- জীবিকা, মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান এবং জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার অধিকারকে সম্মান করে। প্রান্তিক পর্যায়ে যুব–নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করতে নিঃশর্ত আর্থিক সহায়তার দাবিতে আমরা তাদের কণ্ঠকে সমর্থন করি। নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবি সমাবেশে বক্তারা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিতে অর্থায়ন বৃদ্ধির দাবি জানান। তারা বলেন—“সবুজ, সমতাপূর্ণ, ন্যায্য ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করে জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”জলবায়ু আন্দোলনে তরুণদের এমন সক্রিয় ভূমিকা স্থানীয় পর্যায়ে নতুন আশা ও দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে—এমনটাই মনে করছেন আয়োজকেরা।
মোস্তফা মাসুদ: উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন ধারণাকে এগিয়ে নিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ টাইগার পয়েন্টে সুশীলনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়ন নিশ্চিত করি, টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখি, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গণমাধ্যমকর্মী এবং পরিবেশ সচেতন মানুষজন। শনিবার (১৫ নভেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে অতিথিদের বরণ করতে শাপলা ফুল প্রদান, মোমবাতি প্রজ্বালন এবং ফুল ছিটিয়ে টাইগার পয়েন্টের হলরুমে উৎসবের আবহ সৃষ্টি করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানস্থল পরিণত হয় এক মিলনমেলায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,সুশীলনের পরিচালক মোস্তফা আখতারুজ্জামান পল্টু,সভাপতি অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান,কোষাধ্যক্ষ এ্যাডভোকেট জাফরউল্লাহ ইব্রাহিম,নকশি কাঁথার পরিচালক চন্ডিকা ব্যানার্জি,দেশ টিভির প্রতিনিধি শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন,উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান,চ্যানেল ২৪ টিভির প্রতিনিধি আমেনা বিলকিস ময়না, সুশীলনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিক্ষিকা কণিকা রাণী সরকার,সদস্য সেলিনা সাঈদ এবং টাইগার পয়েন্টের পরিচালক আব্দুল হামিদসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব উপকূলীয় মানুষের জীবন যাত্রাকে প্রতিনিয়ত কঠিন করে তুলছে। ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, নদী ভাঙন সহ নানা দুর্যোগে স্থায়ী জীবিকায়ন হুমকির মুখে। এ পরিস্থিতিতে সুশীলনের মতো সমাজকেন্দ্রিক সংগঠন গুলো শুধু সচেতনতা বৃদ্ধি নয়, বাস্তবভিত্তিক সহায়তা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, নারী নেতৃত্ব, যুব উন্নয়ন, সামাজিক দায়িত্বশীলতা ও উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বক্তারা আরও বলেন, উপকূলকে বাঁচাতে চাই জনগণ, সরকার ও এনজিও খাতের সম্মিলিত উদ্যোগ। সুশীলনের দীর্ঘ ৩৪ বছরের পথচলা এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, সম্মাননা প্রদান এবং কেক কাটা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সুশীলনের নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী শিশু সুরক্ষা, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জীবিকায়ন উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়ন নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়নে আরও বড় অবদান রাখতে চায় সুশীলন।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিষ্ণুপুর চৌমুহনী ঈদগাহ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাষ্টার নুর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস রবিউল বাসার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,“দাঁড়িপাল্লা হলো জনগণের ন্যায়বিচার ও কল্যাণের প্রতীক। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে আল্লাহভীরু, সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জনগণের ভোট ও বিশ্বাসে আমরা ইনশাআল্লাহ ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলব।তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের রায় নিশ্চিত করতে হবে।পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল গফফার, উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম সরদার এবং ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি আব্দুর রহিম প্রমুখ। সভা শেষে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় স্থানীয় জনগণের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। এলাকাবাসী ন্যায়, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রার্থী মুহাদ্দিস রবিউল বাসারের প্রতি সমর্থন জানান।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের চিংড়িখালিতে মিথ্যা মামলা দায়ের, ভুমিহীন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অপ-প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন জনপদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শতশত ভুমিহীন নারী পুরুষের অংশগ্রহনে এ মানববন্ধনে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে আতঙ্ক সৃষ্টি, সন্ত্রাস, মাদক বিস্তারসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্বে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী মামলাবাজ সাইদুল ও সাত্তারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার নলতা ইউনিয়নের চিংড়িখালিতে ভূমিহীন নেতা শহিদুল ইসলাম, মধু সরদারসহ তাদের একান্ত সহযোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, নানান ষড়যন্ত্র ও অপ-প্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১লা নভেম্বর) বিকেলে চিংড়িখালি বৈরাগীর চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বসুখালী বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে মানববন্ধনে অংশ নেন চিংড়িখালি ভূমিহীন জনপদের প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ। মানববন্ধনে উপস্থিত জনতা একক কণ্ঠে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভূমিহীন জনপদের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভুমিহীন জনপদের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম গাজী, সহ- সভাপতি আব্দুল হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বুল্লা, উপদেষ্টা আবুল হোসেন গাজী, সদস্য মধু সরদার, কুতুব মোড়ল, শওকত হাজী, গোলাপ ঢালী, মজিবার, রফিকুল ইসলাম, আরিজুল সরদার, ভুমিহীন নেত্রী নুরবানু, জাহানারা, শামসুন্নাহার ও মমতাজ প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আশাশুনি উপজেলার বসুখালী গ্রামের মৃত আব্দুল হক গাজীর ছেলে মাদক সম্রাট ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী সাইদুল ইসলাম গাজী (৪৭) এবং নলতা ইউনিয়নের কাজলা কাশিবাটি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মাদকসেবী শেখ সাত্তার (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। এরা ভূমিহীন ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ভয় সৃষ্টি করে, চাঁদা দাবি করার পাশাপাশি নলতার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানসহ অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়ানো, মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনসহ এলাকায় দুঃশাসন কায়েম করে অশান্ত করার পায়তারা করে আসছে। বক্তারা আরও বলেন, বিগত সরকারের সময়ে এদের বিরুদ্ধে মাদক, নারী কেলেঙ্কারি ও চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ অভিযোগ থাকলেও প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে থেকেছে। এরা আজও রয়েছে বহালতবিয়তে ও বেপরোয়া হয়ে। তারা বৈরাগীর চক, চিংড়িখালি, বসুখালী, সন্ন্যাসীর চক ও ঝায়ামারিসহ আশপাশের এলাকায় তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। ভূমিহীন জনপদের নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,“অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে আতঙ্ক সৃষ্টি করা সন্ত্রাসীদের আর ছাড় দেয়া হবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব। ”বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মাদক-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একই সাথে তিন শতাধিক ভুমিহীনের শেষ সম্বল যায়গাটুকু ফেরত পেতে সরকার বাহাদুরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা। এছাড়াও চিংড়িখালির শান্তি স্থাপন ও ভূমিহীনদের ন্যায়সঙ্গত দাবিতে জনতার এই জাগরণ এখন পুরো কালিগঞ্জের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতা শরীফে আহছানিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর আয়োজনে বার্ষিক পাঠ, পুরষ্কার বিতরণী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১লা নভেম্বর (শনিবার) বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকায় আহছানিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তা শিক্ষক মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আহছানিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল ফজল (শিক্ষক), নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সহ-সম্পাদক আলহাজ্ব মালেকুজ্জামান, মিশনের কর্মকর্তা আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস, নলতা কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব গোলাম কিবরিয়া, পীরজাদা মোঃ রবিউল ইসলাম ও একরামুল রেজা, শিক্ষক মোহর আলী, লেকচারার আনিছুর রহমান, লেকচারার মাহমুদন্নবী খান, বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থী সহ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর অনুসারী ও সাধারণ মুসুল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। বার্ষিক পাঠ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিক্ষা সংস্কারক পীরে কামেল হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর জীবনী সম্পর্কিত পাঠ প্রতিযোগিতায় ক-গ্রুপে প্রথম স্থান দখল করে পুরস্কার তুলে নেন নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বুশরা নিশাত। খ-গ্রুপে হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর চাকুরী জীবন নিয়ে পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করে পুরস্কার গ্রহণ করেন নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান। এবং গ-গ্রপে হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) আধ্যাত্মীক জীবন নিয়ে পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করে পুরস্কার নেন নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার।পুরস্কার বিতরণী শেষে বক্তারা পীরে কামেল হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর জীবনী, আধ্যাত্মিকতা, ধর্মপ্রচার ও ইসলাম নিয়ে তার কর্ম জীবন ও তার লেখা বইগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
মোস্তফা মাসুদ: : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের এক শ্রমিক খুলনায় কাজ করতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। ঠিকাদারের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা খরচ না পেয়ে তিনি এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ঘটনায় আহত শ্রমিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নারায়নপুর গ্রামের মৃত জামাত মোড়লের ছেলে আহত শ্রমিক মোঃ আফজাল হোসেন (৪০) ,তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, সোনালি কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার আব্দুল হাকিম সরদার (৫৮) এবং তার লেবার সর্দার মোঃ ইকবাল হোসেন (৪০) এর অধীনে কাজ করতে গিয়ে তিনি গুরুতর দুর্ঘটনার শিকার হন।ভুক্তভোগী জানান,খুলনা শহরের বউবাজার এলাকায় একটি সরকারি বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের নির্মাণকাজ চলাকালীন অসাবধানতাবশত তিনি তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ঠিকাদার পক্ষ তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে মাত্র তিন দিন চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সেই সময় ঠিকাদার হাকিম সরদার প্রতিশ্রুতি দেন যে, পরবর্তীতে চিকিৎসার পূর্ণ খরচ বহন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কোনো সহায়তা বা খোঁজখবর নেয়নি। বর্তমানে আফজাল হোসেন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, “২৬ অক্টোবর বিকেলে আমি চিকিৎসা খরচ চাওয়ার জন্য ঠিকাদার হাকিম সরদার ও লেবার সর্দার ইকবালের কাছে গেলে তারা আমাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং বলে—‘তোর কিছু করার থাকলে করে নিস।এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,আমি তাকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম, কিছু খরচও দিয়েছি। বাড়ি নিয়ে এসে আরো দেবো বলেছিলাম।” এরপর তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা বলেন, “একজন দিনমজুর শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এখন ঠিকাদার চিকিৎসা ব্যয় না দিলে তা অমানবিক আচরণ ছাড়া কিছু নয়। বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।আহত শ্রমিক আফজাল হোসেন বর্তমানে চিকিৎসাহীন অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মানবিক সংগঠনগুলোর কাছে চিকিৎসা সহায়তা ও ন্যায়বিচার কামনা করেছেন।
মোস্তফা মাসুদ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম 'কে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলা তাঁতি দলের আওতাধীন ০৪ নং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল ৫টায় উপজেলা তাঁতি দলের আহবায়ক শরিফ মোঃ আব্দুল রাজ্জাক ও সদস্য সচিব শেখ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অনুমোদন পত্রে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই আহবায়ক কমিটির অনুমোদন প্রদান করা হয়। গঠিত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- আহবায়ক: মোঃ শরিফুল ইসলাম (মধু),সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক: মোঃ আবু বকর আলী কারিকর, যুগ্ম আহবায়ক: মোঃ ওহিদুল ইসলাম, মোঃ শাজউদ্দিন,মোঃ নুরুজ্জামান,সদস্য সচিব: মোঃ আল আমিন, সদস্য মোঃ মাহফুজুর রহমান,মোঃ ফারুক হোসেন,মোঃ মিজানুর রহমান,মোঃ আরিফ হোসেন ও মোঃ মুজিবর রহমান। নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, তাঁতি দলের রাজনীতিকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও শক্তিশালী ও জনমুখী করতে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। তাঁদের বিশ্বাস,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে দলীয় সংগঠন আরও সুসংহত হবে। উপজেলা আহবায়ক মোঃ আব্দুল রাজ্জাক বলেন,“ তাঁতি দল হচ্ছে বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন।আমরা প্রত্যাশা করি,নতুন এই আহবায়ক কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে আরও তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবে।এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও নতুন কমিটি গঠনের খবরে উৎসাহ ও নবউদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তাঁরা মনে করেন, নতুন এই নেতৃত্ব তাঁতি দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আনবে এবং আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদারের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল, উচ্ছেদ এবং নামজারির অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তারা এক বৃদ্ধা নারীকে ভয়ভীতির মাধ্যমে উচ্ছেদ করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষ্ণনগর মৌজার ১৪২১ খতিয়ানের ২০৭৯ দাগের ১১ শতক জমি সরকারি (১/১ খাস) খতিয়ানের আওতাভুক্ত। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে বিভ্রান্ত করে জায়গাটি প্রথমে শ্যামলী রানীর নামে নামজারি করা হয়। পরে তা বাতিল হলেও একই জমি পুনরায় সীতা রানীর নামে নামজারি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, এ ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদার। তারা কৌশলে বৃদ্ধা সীতা রানীকে ভুল বুঝিয়ে উক্ত জমি তাদের নামে কবলা দলিল করে নেন। এরপর চেয়ারম্যান তার প্রভাব খাটিয়ে সীতা রানীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে তার সম্পত্তি দখলে নেন। এমনকি পরবর্তীতে ওই বৃদ্ধাকে আটক রেখে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী উক্ত ১১ শতক সরকারি খাস জমি নিজেদের নামে নামজারির জন্য ভূমি অফিসে প্রভাব খাটাচ্ছেন। অথচ উক্ত জমি মূলত খাস খতিয়ানের রাস্তার আওতাভুক্ত, যা কোনোভাবেই ব্যক্তিমালিকানায় নামজারি বা কবলা হওয়া আইনত অবৈধ। অভিযোগকারী মিজানুর তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন যে, অসহায় এক বৃদ্ধার আশ্রয় কেড়ে নেওয়া মানবিক ও আইনি উভয় দিক থেকেই অন্যায়। প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও খাস জমি রক্ষার আবেদন জানান তিনি। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল বলেন, অভিযোগটির তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এক চুরি মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ সময় পুলিশ উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আব্দুল করিমের ছেলে মিলন হোসেন (৩৮) কে গ্রেফতার করে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। মোট ২,৯৯০ জন কৃষক ও কৃষাণী এই কর্মসূচির আওতায় বীজ ও সার পান। বিতরণকৃত বীজের মধ্যে ছিল সরিষা, গম, সূর্যমুখী, পেঁয়াজ, মুগডাল ও খেসারি ডাল। এছাড়া বসতবাড়ির আঙ্গিনায় চাষের উপযোগী বেগুন, পালংশাক, লালশাক, মটরশুটি, লাউ, মুলা, বাটিশাক ও মিষ্টিকুমড়া বীজও বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরাই আমাদের কৃষি অর্থনীতির মেরুদণ্ড। সরকার তাদের সহায়তায় সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে, যুবকদের উদ্দ্যেক্তা করে তুলছেন - রনি মিত্র যেদিতে চোখ যায়, শুধু মাল্টা ফলের বাগান। থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা। বাগানের গাছের ডাল গুলো যেনো মাল্টার ভারে নুয়ে পড়ছে। পতিত জমিতে মাল্টা আবাদ করে একজন সফল উদ্দ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিজয়পুর এলাকার রনি মিত্র। এই বাগান থেকে বছরে আয় করছেন ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। রনি মিত্র, নিকুঞ্জ মল্লিক ও সুমন মল্লিকের এই মাল্টাবাগান দেখে স্থানীয় যুবকরা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। রনি মিত্রের মাল্টার বাগান পরিদর্শন করে জানা গেছে, ২০২২ সাল থেকে এক একর পতিত জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় গড়ে তুলেছেন এই বিশাল মাল্টার বাগান। প্রথমে ৩শতাধিক এবং পরে আরে ২শত চারা রোপন করেছেন তিনি। বর্তমানে বাগানে প্রায় ৫ শতাধিকের বেশি চারা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছরের মধ্যেই মাল্টা বিক্রি শুরু করেছেন রনি মিত্র। ওই এলাকার কয়লা পোর্টের মামা-ভাগ্নের অনাবাদি পতিত এক একর জমিতে মাল্টার গাছ লাগিয়েছিলেন রনি। এই পতিত জমি প্রস্তুত, রাসায়নিক ও জৈব সার প্রদান, বিদ্যুৎ নামানো, শ্রমিক খরচ মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ১২লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাগানে ৫ শতাধিকের বেশি চারা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছরেই মাল্টার বাজার জাতকরণ করতে পেরেছেন তিনি। প্রথম বছরেই মাল্টা বিক্রি করেছেন প্রায় দুই লাখ টাকার মতো। তবে এ বছর যে পরিমান মাল্টার ফলন হয়েছে তাতে ৪ থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার অধিক বিক্রি করতে পারবেন। এর পরের বছর মাল্টা বিক্রি এর দ্বিগুন হবে বলেও জানা তিনি। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রনি মিত্রের মাল্টা বাগান দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবকগণ বাগান করার স¦প্ন দেখছেন। যুবকদের নিজের বাগানে এনে নানা পরমর্শ দিয়ে চাকরির আশায় বসে না থেকে, নিজের শ্রমেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার পরিকল্পনাকারী হিসেবে গড়ে তুলতে পরিশ্রমও করে যাচ্ছেন তিনি। পাইকারী দরে মাল্টা নিতে আসা ব্যবসায়ী মিলন মিয়া জানান, বর্তমান পাইকারী মুল্যে আমরা ২,৬০০/- টাকায় প্রতিমন মাল্টা ক্রয় করতেছি। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা খুবই সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। যে কারণে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। এখানের মাটি যে উর্বর, যদি সোমেশ^রী নদীতে যদি একটা ব্রিজ থাকতো, তাহলে বিজয়পুর এলাকার ফসল দিয়েই বৃহত্তর ময়মনসিংহে কৃষি বিপ্লব ঘটানো যেতো। অপর এক ব্যবসায়ী হারিছ মিয়া বলেন, এই বাগান থেকে মাল্টা নিয়ে আমরাও লাভবান। বাগানের ফলন যেভাবে আসছে, কয়েক বছরের মধ্যেই সকল খরচ উঠে যাবে। বিক্রি বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। মাত্র আড়াই বছর বয়সী একেকটি গাছে দুই মণ পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। গাছের বয়স ও আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাল্টার পরিমাণ ও স্বাদ বাড়তে থাকে। এ দেখে আমি নিজেও মাল্টা চাষ করবো ভাবছি। রনি মিত্র জানান, পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায়না। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এই বাগান করেছি আমি। গত বছরের তুলনায় এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়েছে তাতে তার সব খরচ মিটিয়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাভবান হবে। আগামী বছর এর পরিমান দ্বিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার অধিক বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী। কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় বিক্রি নিয়ে একটু চিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, যুবরাই পারে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোড়াতে। বিজয়পুর এলাকার মাটি যে উর্ব্বর, সোমেশ^রী নদীতে যদি একটা ব্রিজ থাকতো, তাহলে বিজয়পুর এলাকার যুবদের উৎপাদিত ধান, রবিশস্য এবং উৎপাদিত ফল বিক্রি দিয়েই সরাদেশে দুর্গাপুর উপজেলাকে একটা অর্থনৈতিক জোন হিসেবে পরিচিতি করানো যেতো। এথেকে কর্মহীন যুবসমাজ একজন সফল উদ্দ্যেক্তা হিসেবে গড়ে উঠতো। দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হানুল হক বলেন, আশপাশের উপজেলার তুলনায় দুর্গাপুরে প্রায় সব ধরনের ফসলই ভালো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে দিন দিন বেড়ে চলেছে মাল্টার চাষ। অত্র এলাকার কর্মহীন যুবদের উদ্দ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন বাগানের মালিক রনি মিত্র। মাল্টা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই উপজেলার কৃষকরা। রণি মিত্র মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। ওনার বাগানে এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়ে তাতে তিনি অনেক বেশি লাভবান হবেন। মাল্টা বাগানের গাছ প্রতি ১৫-২০ কেজি হারে বাজারজাত করতে পারবে। তার এই সফলতার কারণ যদি বলি, সম্পুর্নই উনার আগ্রহ ও বাগানের যতœ নিয়েছেন বলেই সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের সহযোগিতা ছিল।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যার মামলার আসামি নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুল হক মাসুদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। রবিবার সকালে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সিরাজকান্দী বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিকরাইল ইউনিয়ন ছাত্র জনতার আয়োজনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় সর্বস্তরের জনগণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পলাতক আসামি মাসুদুল হক মাসুদ এখনো এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। তার স্ত্রী শেফালী বেগম অবৈধভাবে বালু ব্যবসা পরিচালনা করছে। এছাড়া তার অনুসারীরা এলাকায় নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে, এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই যমুনা সেতু পূর্ব গোলচত্বরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন শেষে কর্মীরা ভূঞাপুরের পথে ফেরার সময় সিরাজকান্দী বাজারে পৌঁছালে মাসুদের নেতৃত্বে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং পরবর্তীতে টাঙ্গাইল শহরে গুলিতে দুইজন নিহত হয়। এই ঘটনায় ৫ আগস্ট মাসুদুল হক মাসুদকে প্রধান আসামি করে টাঙ্গাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান। একই সঙ্গে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তার ফাঁসির দাবিও তোলেন তারা। দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিকরাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম, যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুব আলম বেল্টু, ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিন প্রামানিক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রমুখ।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে কালিগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে মারা গেছে আরিফ হোসেন নামে দেড়বছর বয়সের এক শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রখালী গ্রামে। আরিফ হোসেন দেবহাটা উপজেলার আতাপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে। কালিগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলায় নিহত শিশুর পিতা আশরাফুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে তিনি ভদ্রখালী গ্রামে নিকট আত্মীয় মরহুম আব্দুর সাত্তার গাজীর ছেলে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। দুপুর দেড়টার দিকে আত্মীয়ের বাড়ির উঠানে খেলা করছিল শিশু আরিফ হোসেন। কিছুক্ষণ পর আরিফকে উঠানে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ১ টা ৩৫ মিনিটের দিকে ওই বাড়ির সামনের পুকুরে তাকে ভাসতে দেখা যায়। আরিফকে উদ্ধার করে দ্রুত কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মোস্তফা মাসুদ: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ১১নং রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন।সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ইউপি সদস্যদের অংশগ্রহণে ১৩ জন ভোটারের মধ্যে ১০ জন ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. আলিম আল রাজি টোকন। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন ইউপি সচিব জয়দেব কুমার মল্লিক। ভোট গণনা শেষে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ পদে ৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মোঃ আবুল কালাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ সুমন আহমেদ পান ৪ ভোট।প্যানেল চেয়ারম্যান-২ পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মোঃ সাইফুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।অন্যদিকে প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ পদে ৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোছাঃ নূরনাহার পারভিন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মোছাঃ হালিমা বেগম পেয়েছেন ৪ ভোট। নির্বাচন শেষে চেয়ারম্যান এম. আলিম আল রাজি টোকন বলেন, “গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে নির্বাচিত নেতৃত্ব স্থানীয় সরকারের ভিত্তিকে আরও দৃঢ় করে। আজকের এই নির্বাচন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলকভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা রতনপুর ইউনিয়নের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের দৃষ্টান্ত।” স্থানীয় জনগণও নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ইউনিয়নের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার মাধ্যমে এই সফলতা আরও অর্থবহ হবে। উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ললিতা রানী, মোঃ সাইবুল্লাহ, সুপেন্দ্র মন্ডল, মোঃ আব্দুল কাদের, পরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি প্রমুখ। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই ভোটগ্রহণে আনন্দ ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে শেষ হয় রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন।
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার ৪ নম্বর আওনা ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে মোঃ হারুন (৩৮) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ মাখনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন শিপ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং কিছুদিন আগে ছুটিতে নিজ বাড়িতে এসেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতের কোনো এক সময় হারুন বাটিকামারী গ্রামে তার মামার বাড়ির দরজার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে দরজায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি মানিব্যাগ (যার ভেতরে ছিল ২,৪১০ টাকা) এবং কিছু ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদকসেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, “খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান মিনারা আশরাফ ও পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।” পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের দাবি, হারুন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন এবং সম্প্রতি মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলেন, এক সময় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন হারুন, কিন্তু নেশার কবলে পড়ে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েন তিনি।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ১নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কালিকাপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন মাঠে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মুকুল ঢালী (৫০) ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায় একই এলাকার কয়েকজন যুবক। অভিযুক্তরা হলেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৪২), আজগার আলী মোড়ল (২৪) আলাউদ্দীন (৩২), নাসির উদ্দীন (২৫), সাইফুল আলম সুমন (২৮), হাসান (২৫), ইমরান হোসেন (২২), মনিরুল ইসলাম (২৩) সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক (ইয়াবা) ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় এবং পাওনা টাকা দাবি করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুকুল ঢালী ও তার আত্মীয়রা মাঠের পাশে অবস্থানকালে বিবাদীরা ধারালো দা, রামদা, লোহার রড, স্টাম্প, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় মুকুল ঢালীর ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম (১৯)-এর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। হামলায় তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। এছাড়া আব্দুর রহমান (৩৮), মাছুম ঢালী (৩৫), মিজান ঢালী (৫০) ও আয়ুব আলী (৪২) গুরুতর জখম হন। হামলাকারীরা মুকুল ঢালীর লুঙ্গির গাঁটিতে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত মোঃ হারুন অর রশিদ মৃধা বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ২নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চাঁচাই ফুটবল মাঠে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে ১০ দিনব্যাপী “৭ম বার্ষিকী বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠান”এর বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনুজা মণ্ডল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপি’র ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানা সেকেন্ড অফিসার শাহাদাত হোসেন, এসআই রাজিব সরদার, চাঁচাই সবুজ সংঘের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর হোসেন, সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সনজয় মণ্ডল, ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রচার সম্পাদক সুমন হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক লাল্টু ইসলাম,ও আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৃক্ষ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু ভারসাম্য ও টেকসই উন্নয়নের জন্য বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। বর্তমান প্রজন্মকে প্রকৃতি ও সবুজের প্রতি আরও সচেতন হতে হবে। ইউএনও অনুজা মণ্ডল তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, গাছ শুধু অক্সিজেন দেয় না, এটি জীবন দেয়। প্রতিটি মানুষ যদি একটি করে গাছ রোপণ ও যত্ন নেয়, তবে আমাদের পরিবেশ আরও সুন্দর, নিরাপদ ও সবুজ হয়ে উঠবে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন,এই বৃক্ষমেলা শুধু একটি প্রদর্শনী নয়—এটি মানুষের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম ও পরিবেশ-সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। বৃক্ষমেলায় স্থানীয় নার্সারি মালিক, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পরিবেশপ্রেমীরা অংশ নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,পরিবেশ সচেতনতামূলক আলোচনা ও বৃক্ষবিক্রয় মেলার আয়োজন করা হবে। মেলা চলবে আগামী ১৮ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।সবুজে গড়ে উঠুক মানবতার ভবিষ্যৎ—প্রকৃতিই আমাদের প্রাণ, বৃক্ষই আমাদের জীবন।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”