জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছে নওগ্রাম পুলিশ স্টেশনে জব্দ করা বিস্ফোরকের বিশাল স্তুপ হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৯ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে ফরিদাবাদ থেকে আনা বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন পুলিশ ও ফরেন্সিক কর্মীরা—তখনই ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
নিহতদের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহতদের সেনাবাহিনীর একটি হাসপাতাল এবং শেরি কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্সে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে প্রশাসন।
সম্প্রতি নওগ্রাম এলাকায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার লাগানোর ঘটনার তদন্তে যে নেটওয়ার্ক ধরা পড়ে, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ বিপুল বিস্ফোরক। এ ঘটনায় কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের একজন আদিল আহমেদ রাথের—সিসিটিভিতে পোস্টার লাগাতে দেখা যায় তাকে। তার তথ্যের ভিত্তিতেই ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিল ও শাহিন সাঈদসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী।
এই নেটওয়ার্কের সূত্র ধরেই দিল্লির লালকেলার কাছে আই২০ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায়ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় তদন্তকারীরা। সেই বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হন, আহত হন ২০ জনের বেশি।
জাতীয় তদন্ত সংস্থার ধারণা, আতঙ্কে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ভুলভাবে আইইডি তৈরি করেছিল, যার ফলেই দুই জায়গার বিস্ফোরণ ঘটে। পুরো নেটওয়ার্ক পুনরায় পর্যালোচনা করছে তারা।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছে নওগ্রাম পুলিশ স্টেশনে জব্দ করা বিস্ফোরকের বিশাল স্তুপ হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৯ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে ফরিদাবাদ থেকে আনা বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন পুলিশ ও ফরেন্সিক কর্মীরা—তখনই ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিহতদের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহতদের সেনাবাহিনীর একটি হাসপাতাল এবং শেরি কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্সে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে প্রশাসন। সম্প্রতি নওগ্রাম এলাকায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার লাগানোর ঘটনার তদন্তে যে নেটওয়ার্ক ধরা পড়ে, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ বিপুল বিস্ফোরক। এ ঘটনায় কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের একজন আদিল আহমেদ রাথের—সিসিটিভিতে পোস্টার লাগাতে দেখা যায় তাকে। তার তথ্যের ভিত্তিতেই ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিল ও শাহিন সাঈদসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। এই নেটওয়ার্কের সূত্র ধরেই দিল্লির লালকেলার কাছে আই২০ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায়ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় তদন্তকারীরা। সেই বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হন, আহত হন ২০ জনের বেশি। জাতীয় তদন্ত সংস্থার ধারণা, আতঙ্কে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ভুলভাবে আইইডি তৈরি করেছিল, যার ফলেই দুই জায়গার বিস্ফোরণ ঘটে। পুরো নেটওয়ার্ক পুনরায় পর্যালোচনা করছে তারা।
মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের মাননীয় হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম, দেশটিতে অবস্থিত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াহিয়া হাসান আলকাহতানির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে দুই রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও মালদ্বীপের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা পরিবহন, আবাসন, স্বাস্থ্য, মৎস্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনকূটনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়নের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। হাইকমিশনার ড. নাজমুল ইসলাম মালদ্বীপ ও সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পরিশ্রম, দক্ষতা ও সততার প্রশংসা করে বলেন, “তারা বাংলাদেশের গর্ব।” জবাবে রাষ্ট্রদূত আলকাহতানি সৌদি আরবের উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদান এবং প্রবাসীদের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আলোচনার শেষে দুই পক্ষ ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের বন্ধন আরও মজবুত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন
আফরিন, সিরিয়া - সেদিনের বিকেলে যখন তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভূমিকম্পের একটি সিরিজ ছিঁড়েছিল, তখন ডাঃ হানি মারুফ, 43, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমে আফরিনের জেহান হাসপাতালে তার দায়িত্বে ফিরে এসেছিলেন, নিশ্চিত হয়েছিলেন যে তার স্ত্রী এবং সাত সন্তান আছে। নিরাপদ ছিল। বিকাল ৩টার দিকে, একজন পুরুষ ও মহিলা দৌড়ে আসেন, লোকটি তার বাহুতে একটি ছোট বান্ডিল ধরে চিৎকার করে বলেছিল যে তাদের একজন শিশু বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন। তাদের মুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল যা হতাশায় পরিণত হয়েছিল। এটি ছিল ষষ্ঠ হাসপাতাল যা তারা তাদের মূল্যবান বান্ডিল নিয়ে ছুটে গিয়েছিল - শিশু আয়া, যে সবেমাত্র একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে জন্মেছিল একটি মা যে মারা গিয়েছিল। তাদের আশ্বস্ত করে যে তিনি একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, মারুফ আলতো করে তাদের কাছ থেকে শিশুটিকে নিয়েছিলেন কিন্তু তিনি যা দেখেছিলেন তা তাকে "ভয়ঙ্কিত" করেছিল। "আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে সে বেঁচে ছিল - সে ফ্যাকাশে, ঠান্ডা, নীরব ছিল। তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নীল ছিল এবং তার শরীর ক্ষত দিয়ে ঢাকা ছিল,” তিনি স্মরণ করেন। তারপরে একটি ক্ষীণ স্পন্দন আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং তিনি এবং তার দল কাজ শুরু করেছিলেন। তারা শিশুটিকে উষ্ণ কম্বল দিয়ে মুড়ে তাকে একটি ইনকিউবেটরে রেখেছিল, যতক্ষণ না সে যথেষ্ট গরম না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে দেখছিল যাতে তারা তাকে ক্যালসিয়াম এবং গ্লুকোজ সলিউশনের সাথে সংযুক্ত করার জন্য একটি শিরা খুঁজে পেতে সক্ষম হয়। শিশু আয়াকে স্টেথোস্কোপ দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বেবি আয়া স্টেথোস্কোপের অনুরাগী নন, তবে এটি ডাক্তারদের নির্ধারণ করতে সাহায্য করে যে সে ঠিক আছে যে লোকটি তাকে ভিতরে নিয়ে এসেছিল - তার খালার স্বামী - এবং যে মহিলা তার সাথে ছিল - একজন প্রতিবেশী - স্বস্তি পেয়েছিল যে আয়াকে রক্ষা করা যাচ্ছে, কিন্তু সেদিনের নিষ্ঠুর বাস্তবতার অর্থ হল তারা আর তার পাশে থাকতে পারবে না। তাদের নিজেদের পরিবার খুঁজে বের করতে হয়েছিল, এবং সম্ভবত তাদের মৃতদের গণনা করে কবর দিতে হয়েছিল। শিশু আয়াকে হাসপাতালের কর্মীদের দ্বারা প্রথম আনার এবং নাম দেওয়ার চার দিন পরে, মারুফ আল জাজিরাকে বলেছেন যে তিনি আরও ভাল করছেন এবং হাসপাতালের দল তার ভাল যত্ন নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য একত্রিত হয়েছে। যদিও সে এখনও একটি ইনকিউবেটরে দিন কাটায়, শিশু আয়াকে একজন স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা বুকের দুধ খাওয়ানো হয় যিনি দিনে বেশ কয়েকবার আসেন, যা তাকে দেয় মানুষের, ত্বক থেকে ত্বকের সংস্পর্শে থাকা শিশুদের উন্নতির জন্য অ্যান্টিবডি ছাড়াও পুষ্টি যা শুধুমাত্র মানুষের বুকের দুধে পাওয়া যায়। এবং তিনি উন্নতি করেছেন, মারুফ গর্বিতভাবে বলেছেন, তিনি যোগ করেছেন যে তিনি ওজন বাড়াচ্ছেন, সমস্ত ইতিবাচক সূচক দেখাচ্ছে এবং চারপাশে তার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভাল করছে। যখন তিনি, সাত সন্তানের বাবা হিসাবে, প্রায়শই নিজেকে তার পাশে খুব বেশি সময় কাটাতে শিশুর দুর্দশার দ্বারা খুব গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হন, তখন অনেক নার্সিং স্টাফ তাকে দেখতে আসেন, তার ইনকিউবেটরের পাশে বসে তাকে ঘুমাতে দেখেন এবং তার হাত নেড়ে দেন। . ডাঃ মারুফ ইনকিউবেটরে পৌঁছেছে শিশু আয়াকে পরীক্ষা করার জন্য ডঃ মারুফ আয়া কতটা উন্নতি করেছে তার জন্য গর্বিত কিন্তু, সাত সন্তানের বাবা হিসাবে, তিনি তার দুর্দশার জন্য গভীরভাবে দুঃখিত শিশু আয়ার মায়ের প্রসবের পরিস্থিতি অনির্ধারিত রয়ে গেছে, তবে মারুফ বলেছেন যে একজন মহিলার পক্ষে শকের কারণে প্রসব হওয়া এবং প্রসব নির্বিশেষে তার শেষ পর্যন্ত চলতে থাকা খুব সম্ভব। মারুফ বলেছেন যে উদ্ধারকারীরা সোমবার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে শিশু আয়ার কান্না শুনেছিল এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাকে সরিয়ে নিতে এবং তাকে সাহায্য করতে সক্ষম হয়েছিল "প্রথম এবং সর্বাগ্রে ঈশ্বরের করুণার কারণে", মারুফ বলেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, তিনি যোগ করেছেন, এটি সম্ভব ছিল যে তীব্র ঠান্ডা জটিল উদ্ধার প্রচেষ্টা শিশু আয়াকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তাকে বাঁচিয়ে রাখতে ভূমিকা পালন করেছিল। ঠাণ্ডার কারণে, তিনি হাইপোথার্মিয়ায় চলে যান, যা আসলে একটি থেরাপি যা নবজাতক হাসপাতালে ব্যবহার করা হয় শিশুদের বাঁচানোর জন্য যাদের মস্তিষ্কে জন্মের সময় অক্সিজেনের অভাব হয়। হাসপাতালের কর্মীরা তাকে গরম করতে এবং তার যত্ন শুরু করতে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত এটি তার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা রক্ষা করত। মারুফ যখন শিশু আয়ার আত্মীয়দের আশ্বস্ত করেছিল যে তারা শিশুটির যত্ন নেবে এবং তাদের পরিবারের বাকি সদস্যদের পরীক্ষা করা উচিত, তখন তিনি আফরিনকে যে ভয়াবহতা আঘাত করেছিল তার সম্পূর্ণ জ্ঞানের সাথে কথা বলছিলেন। এবং গত 12 বছর ধরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়া কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, কারণ তিনি নিজেই 2019 সালে মারেত আল-নামান থেকে আফরিনে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। ভূমিকম্পের দিনে তিনি তার স্ত্রী এবং সন্তানদের সাথে গাড়িতে ঘন্টা কাটিয়েছিলেন যতক্ষণ না তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া নিরাপদ বলে মনে করা হয় এবং সেই দিন তাদের সাথে 40 জন লোক আশ্রয় নিয়েছিল কারণ তাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। সেই চিন্তাই তাকে সেদিন কাজে ফিরে যেতে ঠেলে দিয়েছিল, যে কেউ সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। "আমাদের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা, আমরা এই বিপর্যয়ের নায়ক নই, দীর্ঘ শটের মাধ্যমে নয়," তিনি আল জাজিরাকে বলেছিলেন। “সত্যিকারের নায়করা হলেন সার্জন, সিভিল ডিফেন্সের লোকেরা যারা আক্ষরিক অর্থে প্রতি মিনিটে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাচ্ছে। “এই অঞ্চলে আঘাত হানার এটাই প্রথম বিপর্যয় নয়, ঈশ্বর জানেন, আমাদের বহু বছর ধরে বোমাবর্ষণ এবং যুদ্ধ হয়েছে। সেই সময় জুড়ে, আমরা প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় লাইন, আমরা সাধারণত এমন শিশুদের যত্ন নিই যাদের নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন হয়, যাদের পূর্ব-বিদ্যমান অবস্থা রয়েছে, যাদের এখনও দেয়াল পড়ে যাওয়ার পরেও আমাদের যত্নের প্রয়োজন। সেজন্য আমি বলেছিলাম যে আমরা হাসপাতাল বন্ধ করব না, আমরা খোলা থাকব, যাই হোক না কেন।” এমনকি ভূমিকম্পের পর প্রথম দিনগুলিতে এটি কঠিন ছিল, যা আজ পর্যন্ত 21,500 জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে। “ফার্মেসি বন্ধ, মেডিকেল ডিপো বন্ধ, সবকিছু বন্ধ। আমরা বৃত্তে ঘুরছিলাম কারণ হাসপাতালের ডিসপেনসারিতে আমাদের হাতে অনেক ওষুধ নেই,” মারুফ বলেছিলেন। একজন ডাক্তার শিশু আয়ার ইনকিউবেটরের কাছে এক্স-রে দেখছেন দলটি সমস্ত প্রয়োজনীয় চেক চালিয়েছিল এবং আয়া তার অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে কতটা ভালভাবে এসেছিল তা দেখে অবাক হয়েছিল “একদিন, আমাদের বেবি আয়ার জন্য কিছুটা সূত্রের প্রয়োজন ছিল কারণ স্বেচ্ছাসেবক এখনও তাকে দুধ খাওয়াতে আসেনি। আমি আমার বুদ্ধির শেষের দিকে ছিলাম যতক্ষণ না আমি মনে করি যে আমার অফিসে কোথাও সূত্রের কয়েকটি ছোট নমুনা ছিল, তাই পরিস্থিতিটি সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এখন, জিনিসগুলি একটু ভাল, সম্ভবত 50 শতাংশে। "কিন্তু এটি এখনও যথেষ্ট ভাল নয়। আমরা কোন ধরনের সাহায্যের জন্য কতক্ষণ অপেক্ষা করছি তা দেখুন! সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা ও জাতিসংঘ। তাই তারা সবাই এখানে সাহায্যের জন্য একটি হেলিকপ্টার খুঁজে পাচ্ছেন না?" সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাংশ দেশটির 12 বছরের যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধী বাহিনীর হাতে রয়েছে। এটি মূলত বিচ্ছিন্ন, শুধুমাত্র একটি অনুমোদিত স্থল সীমান্ত ক্রসিং তুরস্কের মাধ্যমে তার চার মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দাকে সহায়তা আনতে ব্যবহৃত হয়, যাদের বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। তুরস্কে ব্যাপক রাস্তার ক্ষতির কারণে ভূমিকম্পের পর তিন দিন বাব আল-হাওয়া ক্রসিং অতিক্রম করে কোনো সাহায্য আসেনি, তবে বৃহস্পতিবার কনভয়গুলি আবার আসতে শুরু করেছে। তবে, চাহিদাগুলি প্রচুর রয়ে গেছে, শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সতর্কতার সাথে এটি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় স্টক ফুরিয়ে গেছে এবং আরও করিডোর খোলার জন্য আবেদন করেছে। পরিস্থিতির উপর রাগ এবং দুঃখ থাকা সত্ত্বেও, অথবা সম্ভবত একটি অভ্যন্তরীণ স্থিতিস্থাপকতার কারণে যা এই অঞ্চলের জন্য ক্রমাগত বিপর্যয়ের কয়েক বছর ধরে তৈরি হয়েছে, তিনি একটি অসাধারণ শান্ত কণ্ঠে এবং তার চারপাশের সকলের প্রতি গভীর সহানুভূতির সাথে কথা বলেন। এর মাধ্যমে যাচ্ছে. তার খালার স্বামী তখন থেকে শিশু আয়াকে দেখতে এসেছেন, তবে মনে হচ্ছে না যে পরিবারটি এখনও তাকে নিতে আসতে কোনো অবস্থায় আছে, মারুফ বলেছেন। এবং এটি তার সাথে ঠিক আছে, জেহান হাসপাতালের সমস্ত লোকেরা শিশু আয়াকে যতক্ষণ সময় নেয় ততক্ষণ খুশি।