পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি পণ্য পরিবহনকারী জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং দ্বিতীয় দফায় দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাহাজটির চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
গত নভেম্বরে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমবার এই জাহাজে ৩৭০টি কনটেইনার আনা হয়েছিল, যার মধ্যে ২৯৭টি পাকিস্তান থেকে এবং বাকিগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
দ্বিতীয়বারে এই জাহাজে আনুমানিক ৭৮০টি কনটেইনার আনা হচ্ছে। এর মধ্যে ১০৫টি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এবং বাকি ৬৭৫টি পাকিস্তানের করাচি থেকে লোড করা হয়েছে।
পণ্য এবং সাশ্রয়:
এসব কনটেইনারে রয়েছে সোডা অ্যাশ, চিনি, পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, আলু এবং মার্বেল পাথরসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পাকিস্তান থেকে সরাসরি পণ্য পরিবহনের ফলে আমদানিকারকদের সময় এবং খরচ কমছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন,
“আগে এসব পণ্য বিভিন্ন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের মাধ্যমে আসত। এখন সরাসরি করাচি থেকে আসায় ৮-৯ দিন সময় সাশ্রয় হচ্ছে। এতে পণ্যের পরিবহন খরচও কমছে এবং এই সুবিধা পণ্যের বাজারমূল্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
পরীক্ষা-নিরীক্ষার আশ্বাস:
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান,
“প্রত্যেকটি জাহাজের ক্ষেত্রেই পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্র বা বিশেষ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। অনুমোদন ছাড়া এসব পণ্য খালাস সম্ভব নয়।”
ব্যবসায়িক সম্ভাবনা:
দুবাই ভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রিজেনসি লাইনস লিমিটেড জানিয়েছে, চাহিদা বাড়লে ভবিষ্যতে এই রুটে আরও জাহাজ যোগ হতে পারে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন,
“পাকিস্তান থেকে আগে থেকেই পণ্য আসত। এখন নতুন রুটের কারণে পরিবহনের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে রমজান সামনে রেখে প্রয়োজনীয় পণ্য বেশি আমদানি করা হচ্ছে। এতে কোনো গোপনীয়তার কিছু নেই।”
জাহাজটি প্রতি ৩৮ থেকে ৪২ দিন পর আরব আমিরাত হয়ে করাচি থেকে চট্টগ্রামে পণ্য পরিবহন করবে। এই নতুন রুট ব্যবসায়ীদের জন্য সময় ও খরচ সাশ্রয়ের সুযোগ এনে দিচ্ছে।