আমাদের দেশে বিভিন্ন উৎসবে অহরহ দেখা যায় আমাদের সুন্দরী ষোড়শী মেয়েরা তাদের সমবয়সী ছেলে বন্ধু বা সমবয়সী আত্মীয়-স্বজনের সাথে বিশেষ করে ঈদে,পূঁজায়,ওরশে,বনভোজনে বিয়ের অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বাড়িতে বেড়াতে যাই,অনেক আত্মীয় স্বজন বন্ধু-বান্ধবও আমাদের বিভিন্ন আয়োজনে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসে থাকেন।তারা সাধারণত খালু-ফুপা-চাচা-মামা এবং তালতো ভাই সহ চাচাতো-মামাতো-ফুফাতো-খালাতো ভাই বোনেরা একত্রিত হন। এ ছাড়াও নানা রকম পরিচিত নিকট-দূর সম্পর্কের অনেক আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব পরিচিত মানুষ আমাদের বিভিন্ন আয়োজনের সময়ে বেড়াতে আসেন,আমরাও যাই।এসময় আমাদের অল্প বয়সি কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা একে অপরের সঙ্গে মত বিনিময় কৌশল বিনিময় করার সুযোগ পাই।এ সুযোগটাই এক সময় তাদের জন্য সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।আমরা যারা অভিভাবক তাদের অসর্তকতা ছাড়কও অনেক অভিভাবক নিজেকে অভার স্মার্ট, ফ্রী মাইন্ড ফ্যামিলি,ধর্মীয় রীতিনীতিকে হেয় করার মানসিকতা, নিজেকে এ-যুগে সমাজের আভিজাত্যপূর্ণ পরিবার হিসেবে উপস্থাপন করা,ধর্মীয় রীতিনীতি,পর্দাকে সেকেলে মনে করা।ধর্মীয় রীতিনীতি কে কুসংস্কার মনে করা এসব কারনে অল্প বয়সি ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশাকে আমরা স্মার্টনেস বলে মনে করি।ফলে ছেলে মেয়েদের মাঝে তৈরি হয় অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ড দ্বিতীয়ত অপসংস্কৃতি, এন্ড্রয়েড ফোন,হিন্দি সিরিয়াল,ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব ফলে ঘরে ঘরে মহামারীর মতো ছড়িয়ে ছিড়িয়ে পড়ছে এসব অপসংস্কৃতি।কোমলমতি টিনএজারদের মনে এসব দৃশ্যমান অপসংস্কৃতি গুলো আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা।এছাড়া নিজ ঘরে চোখের সামনে নিকট আত্মীয় স্বজনদের অহরহ অবৈধ এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকাটাও শিশু কিশোর কিশোরীদের মনে চরমভাবে দাগ কাটে, অনৈতিক অবৈধ ও অনাকাঙ্ক্ষিত এসব আচরণ দেখতে দেখতে তারাও খুব সহজে এসব অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার সাহস পাই। বড়দের থেকে দেখতে দেখতে কিশোর কিশোরীরাও অনাকাঙ্ক্ষিত এসব অবৈধ আচরণকে স্বাভাবিক কার্যকলাপ মনে করার সাহস পাই।ফলে ছেলে মেয়েদের মাঝে খুব সহজেই বেড়ে চলছে অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ড,অবাধ যৌনচার, পরকীয়া,একে অপরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পালিয়ে যাওয়া সহ হাজারো কিশোর অপরাধ। শুধু তাই নয় কিশোর কিশোরীর হাতে মা-বাবা খুন হওয়ার মতো অনেক ঘটনায় বাংলাদেশে ঘটছে যার নেপথ্যে ছিলো ছেলে মেয়েদের অবৈধ ও অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক।অনেক স্ত্রী তার স্বামীকে হত্যা করছে আবার অনেক স্বামীও তার স্ত্রী কে হত্যা করছে শুধুমাত্র পরকীয়ার কারনে,অনেক ক্ষেত্রে পরকীয়ার কারনে নিজের গর্ভের সন্তানকেও হত্যা করার নজিরও রয়েছে।আবার অনেকে এসব অপকর্মে জড়িয়ে অবশেষে আত্মহত্যা করেছে।এবার অন্য একটা প্রসঙ্গে বলি বিভিন্ন আয়োজনের সময় বাসায় যখন আমাদের মেহমান বা আত্মীয় স্বজনরা থাকে তখন ঘুমানোর
জায়গা নিয়েও অনেক পরিবারে সংকট দেখা যায়। স্থান সংকুলান না করতে পেরে ছেলেমেয়েদেরকে অনেক সময় আমরা এমন মানুষদের সাথে ঘুমাতে দিয়ে থাকি, যেটা ইসলামি মূল্যবোধের সাথে যায় না। মেহমানদের আপ্যায়ন, নানারকম ব্যস্ততার কারণে ছেলেমেয়েরা কোথায় থাকে, তার খোঁজ রাখতে মায়েরা ভুলে যান। আর এই সুযোগেই অনেক সময় আমাদের ছেলেমেয়েদের জীবনে ঘটে যায় অনেক ভয়াবহ ঘটনা।সিয়ান পাবলিকেশনের প্রধান সম্পাদক আবু তাসমিয়া আহমদ রফিক একটা ঘটনা লিখেছেন "দাম্পত্য ও পারিবারিক কাউন্সেলিংয়ের কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে আমার। আমি প্রফেশনাল কোনো কাউন্সেলর নই, নিজের জানাশোনা লোকদের মধ্যে অনেক সময় অনেকে এসেছেন কাউন্সেলিংয়ের জন্য। আমার যতটুকু জ্ঞানবুদ্ধি আল্লাহ দিয়েছেন, সে অনুযায়ী সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আজ তেমনই একটা কাউন্সেলিংয়ের ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বেশ অনেক বছর আগের কথা। এক ভদ্রলোক আমাকে ইনবক্স করেছেন, তিনি আমার সাথে দেখা করতে চান। পারিবারিক বিষয়ে তার পরামর্শ প্রয়োজন। আমি ব্যক্তিগতভাবে না-চেনার কারণে সাক্ষাতে আগ্রহবোধ করছিলাম না। তিনি জানালেন—বিষয়টি খুবই মানবিক এবং তাকে একজন নির্ভরযোগ্য লোক আমার সাথে এ নিয়ে পরামর্শ করতে বলেছে।
পারিপার্শ্বিক নানা পরিস্থিতির কারণে আমি তারপরও সাক্ষাতের ব্যাপারে অনাগ্রহ দেখালে তিনি সমস্যার কথা ইনবক্সেই বললেন। সমস্যা হলো তিনি তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চান। মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। শেষবারের মতো তিনি একটু বুঝতে চান; আর এজন্যই আমার শরণাপন্ন হয়েছেন। একটি সংসার রক্ষা করার কথা চিন্তা করে অবশেষে তাকে অফিসে আসতে বললাম।ডিভোর্সের মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, বিছানায় যেতে চাইলেই তার স্ত্রী রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। কিছুতেই তাকে শান্ত করা যায় না। এরপর এক পর্যায়ে অপ্রকৃতস্থ হয়ে পড়েন। তখন কাউকে সহ্য করতে পারেন না—বিশেষ করে পুরুষ কাউকে। মারাত্মকরকম অস্বাভাবিক আচরণ করেন।আমি তার কাছে জানতে চাইলাম—এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন। তিনি খুব নির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারলেন না। তবে পরিবারের অন্যান্যরা বলে—তার স্ত্রীর নাকি অন্য কারও সাথে রিলেশন আছে, তার কাছ থেকে ডিভোর্স নেওয়ার জন্য এসব অভিনয় করে। আর স্ত্রীর পরিবার থেকে কে নাকি বলেছে তার ‘উপরি ভাব’; অর্থাৎ জিনের আছর আছে। কারণ যা-ই হোক, বেচারা স্বামীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। নতুন বিয়ে করে কোথায় একটু সুখ-আনন্দ করবে, তার তো উপায় নাই-ই, উলটো ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। তবে ভদ্রলোক নিজে এর কোনোটায় বিশ্বাস করেন বলে মনে হলো না; বরং স্ত্রীর প্রতি তিনি যথেষ্ট আন্তরিক, তবে পরিস্থিতি এতটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে যে, তিনি একরকম অসহায় বোধ করছেন।
আমি তাকে আরেকটু ধৈর্য ধরতে বললাম। বললাম আপনি ডিভোর্স দিলে তো যেকোনো সময়েই দিতে পারবেন, তবে তার এ-আচরণের কারণ উদ্ঘাটন না করে যদি ডিভোর্স দেন, তা বোকামি হবে। কারণ উদ্ঘাটন করে যদি দেখেন তা সমাধান সম্ভব, তাহলে সমাধানের চেষ্টা করেন আর যদি সমাধানের অযোগ্য হয়, তাহলে আপনি তখন যা খুশি, সিদ্ধান্ত নিয়েন। পরামর্শ দিলাম স্ত্রীর বাবা-মা, ভাইবোন কারও সাথে একান্তে বসে তাদের থেকে জানতে চেষ্টা করুন এর পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি না!কিছুদিন পর ভদ্রলোক আবার এলেন। তিনি জানালেন যে এবার তিনি কারণ উদ্ধার করতে পেরেছেন। কারণটা হলো, তার স্ত্রী কিশোরী বয়সে তাদের বাসায় বেড়াতে আসা এক দূর সম্পর্কের মামা বা চাচা টাইপের এক আত্মীয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। তাদের বাসার লোকজন তেমন ধর্ম-কর্ম করতেন না, পর্দা-পুশিদার ধার ধারতেন না। দশ-এগারো বছর বয়স। বাচ্চা মেয়ে। ‘আরে উনি তো তোমার মামা লাগেন, এখানেই ঘুমাও, কী হবে!’ এভাবে নাকি একই রুমে ঘুমাতে দিয়েছিলেন বাবা মা।
সেই দুর্ঘটনা তার কিশোরী মনে এত গভীর রেখাপাত করেছিল যে, এখন তার জীবনটাই ধ্বংসের মুখে। যখন তার স্বামী তার কাছে আসতে চায়, তখন তার মানসপটে কৈশোরের সেই ভয়ংকর দৃশ্য ভেসে ওঠে। তার স্বামীকে সে তখন চিনতে পারে না, মনে হয় সেই ধর্ষক তার দিকে এগিয়ে আসছে। সে প্রাণপণ চেষ্টা করে বাঁচতে। সে চিৎকার করে ওঠে। দৌড় দেয়। ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর প্রলাপ বকতে থাকে।একটু অসচেতনতা, একটু অসতর্কতা, একটি ঘটনা। আজ একজন পুরুষের, একজন নারীর ও দুটি পরিবারের জীবন এমন সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে, যা থেকে কোনো দিন উত্তরণ হবে কিনা, কেউ জানে না"।
এখন প্রশ্ন হলো আপনি কেমন বাবা-মা হলেন, আপনার যে সন্তানের জীবনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়া ছিল আপনার দায়িত্ব, আপনি তাকে ধর্ষিতা হওয়ার জন্য তুলে দিচ্ছেন অন্যের হাতে।তাও নিজেকে আভিজাত্যপূর্ণ পরিবার হিসেবে সমাজে উপস্থাপন করেন,ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করেন,ধর্মীয় নিয়ম নীতিকে কুসংস্কার মনে করেন।আবার আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষও আছেন; যারা নিজেরা নামাজ-কালাম করেন,দ্বীন ধর্ম পালন করেন অনেক মহিলা আছেন; যারা বাইরে যাওয়ার সময় যথারীতি মুখ-ঢাকা বোরকা পরে যান; কিন্তু নিজ বাড়ি ঘরে নীতি নৈতিকতার ব্যাপারে ও কোমলমতি শিশু কিশোর কিশোরীদের মাঝে অবাধ মেলামেশা ব্যাপারে পর্দার ব্যাপারে মোটেই সচেতন নন। চাচাত, মামাত,তালতো আর পাড়াত ভাই-বোনদের সাথে এমনভাবে চলেন, যেন তারা পর্দার হুকুমের বাইরে।তাসমিয়া আহমদ রফিকের লেখা থেকে মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী নামের একজন লিখেছেন:"মনে রাখবেন, রাস্তার একজন মানুষ হঠাৎ এসে আপনার মেয়ের ওপর, আপনার ছেলের ওপর চড়াও হবে না। যারা আপনার বাড়িতে থাকে কিংবা আসা-যাওয়া করে, তাদের দ্বারাই ধর্ষণের অঘটন ঘটার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। অথচ বাইরে বেরোবার সময় সাতপাট্টা পরে বের হলেও বাড়ি-ঘরে নারী-পুরুষদের পৃথকীকরণ ও পর্দার ব্যাপারে আমরা সবচে বেশি উদাসীন"।
প্রত্যেক মানুষের একটি পাবলিক চেহারা আছে, যেটা সবাই প্রকাশ করে। এখানে কেউই নিজেকে খারাপভাবে প্রকাশ করে না। নিজের চারিত্রিক, নৈতিক যত খারাপ দোষ আছে, তার ওপর অনেকগুলো পর্দা ঝুলিয়ে তা ঢেকে রাখে। নিজে যতটুকু ভালো, তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো সাজিয়ে নিজেকে প্রকাশ করে। এ-কারণে আমাদের মনে আমাদের চারপাশের মানুষদের সম্পর্কে একটা সাধারণ নিষ্পাপ ধারণা থাকে। আরে ও আমাদের অমুক, আরে এ তো আমাদের ঘরের লোক এসব।আবু তাসমিয়া আহমদ রফিক আরও লিখেছেন "আমরা এখনো স্বতন্ত্র একটি ছেলে বা মেয়ে, একজন নারী বা পুরুষ হিসেবে মূল্যায়ন করে উঠতে পারি না। এভাবে আমরা বিষয়টিকে হালকাভাবে নিই।আসলে আমরা মানুষদেরকে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গভাবে চিনি না।নারী পুরুষদের অবাধ মেলামেশাকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। আর আমরা যে এভাবে হালকাভাবে দেখিয়ে নিজেদেরকে ভালো মানুষ সাজাতে চাই, এটাও আসলে ভালো মানুষ সাজানো নয়। আমরা মনে করি না আমার বোনের ছেলেকে, ভাইয়ের ছেলেকে যদি ভেতরের ঘরে ঢুকতে নিষেধ করি, ড্রয়িংরুমে বসিয়ে রাখি, তাহলে তারা মাইন্ড করবে, আমার ভাই বোনেরা মনে কষ্ট পাবে। পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে যদি ঘরে অবাধে প্রবেশ করতে না-দেওয়া হয়,তারা মনে মনে কষ্ট পাবে।অথচ সেই একই লোকেরা আমাদের মেয়েদের ক্ষতি করে ভীন দেশ থেকে কেউ এসে ক্ষতি করে নি।আমরা আমাদের মেয়েদের ইজ্জত লুণ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিই। পরে আবার আফসোস করি।অন্যকে দোষ দেই,যে লোকদের ওপর আমরা সামান্য টাকা পয়সার ব্যাপারে আস্থা রাখি না,আমাদের অমূল্য সম্পদ কন্যাটির ব্যাপারে তাদেরকে কীভাবে ফেরেশতা ভাবি? অথচ অর্থের প্রতি লোভের চেয়ে নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণের মাত্রা শত শত গুণ বেশিই থাকে।এখানে চমৎকার একটা বিষয় হলো পর্দার ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিলে যে বহিরাগতদের সাথে পরিবারের লোকদের অবাধ মেলামেশা বাধাগ্রস্ত হয়, তারা অনেক সময় এমন কথা নিয়ে উপস্থিত হন যে, এর দ্বারা তাদেরকে অপমান করা হয়েছে। তারা বোঝাতে চান যে, তাদেরকে এর দ্বারা চরিত্রহীন সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, তাহলে একই ব্যক্তি যখন তার টাকাপয়সা সোনাদানা সুরক্ষিত স্থানে লুকিয়ে রাখেন, তখন কি আপনারা আপনাদেরকে চোর সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে অপমান বোধ করেন? করেন না; অথচ ওটা করলে এটা মনে করাও যৌক্তিক ছিল!আসলে সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে যেসব সাবধানতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার উদ্দেশ্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে অপরাধী মনে করা নয়। আপনি বাইরে গেলে আপনার ঘরে তালা দিয়ে যান—এর অর্থ আপনার প্রতিবেশীরা সব চোর তা নয়। আপনার বাড়িতে ঘরের টাকাপয়সা, সোনাদানা বিশেষভাবে আলমারি সিন্দুকে লুকিয়ে রাখেন—এর অর্থ এই নয় যে, আপনার বাড়িতে আগত মেহমানরা সবাই চোর!যে-কারণে তারপরও আমরা এসব সতর্ক থাকি তা হলো, আমরা তো সবাইকে নিশ্চিতভাবে চিনি না, কারও একটু হাতটানের স্বভাব থাকতে পারে। কারও চুরির স্বভাব থাকতেও পারে। আর এ-ধরনের লোকেরা যদি অরক্ষিত কিছু পায়, তা নিয়ে যেতেও পারে। একইভাবে পর্দা-ব্যবস্থা গ্রহণ করা দ্বারা সবাইকে চরিত্রহীন সাব্যস্ত করা হয় না। তবে অবাধ মেলামেশা হলে নারী-পুরুষের কারও সাথে কারও অনৈতিক কিছু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়ে ওঠে।তাই আপনার প্রাণপ্রিয় কন্যাটির ব্যাপারে, ছেলেটির ব্যাপারে আরও একটু সচেতন হোন। আপনি তার অভিভাবক। তার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনার। আপনার সামান্য অবহেলা তার গোটা জীবনটাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে"।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন