নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামে মনু ব্যাপারী বাড়ির খুকুমণির পরিবারের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো, নারীসহ ৪ জনকে আহত করা এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

শনিবার (তারিখ উল্লেখ করুন) বেগমগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রবাসী মো. ইউসুফের স্ত্রী খুকুমণি।

তিনি বলেন, “আমার স্বামীর বোনের স্বামী ফজলুল হক আমার বসতবাড়ির মালিকানা দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। গত ৬ ও ৮ মে তার নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা নির্মাণাধীন ওয়াল ও টিন ভেঙে ফেলে এবং বাড়ি দখলের চেষ্টা করে। অথচ এ বিষয়ে জেলা জজ কোর্টে দেওয়ানি মামলা (নং ৪১৩৪/২০২৪) চলমান রয়েছে এবং হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশও রয়েছে।”

বাংলাদেশ রিলেটেড নিউজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত ৩১ দফা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের উপায় : সিআইপি কেফায়েত উল্ল্যাহ

নোয়াখালীতে র‍্যাব-১১ হাতে অস্ত্রসহ যুবক আটক ; এলজি উদ্ধার

চৌমুহনীতে হকার্স সমবায় সমিতির সংবর্ধনা পেলো নোয়াখালী-৩ এর সংসদ সদস্য কিরণ

আন্দোলনে যেভাবে অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে

৮ মে পুনঃনির্মাণের সময় হামলায় খুকুমণির বড় মেয়ে দেশীয় অস্ত্রের (ছেনি) আঘাতে গুরুতর জখম হন। মেয়ের চিৎকারে এগিয়ে আসা তার জামাই নাছিরকেও মারধর করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

খুকুমণি জানান, “৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে, তবে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”

ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে, তারা মামলা করতে চাইলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রহস্যজনক কারণে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান। বরং উল্টো পক্ষ ফজলুল হক গং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় (জিআর-১৪২/২০২৪) ১১ জনকে আসামি করে, যাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পরে জামিনে তাদের মুক্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খুকুমণি প্রশাসনের প্রতি তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।