হিজবুল্লাহ ঘোষণা করেছে যে রোববার ইসরায়েলি হামলায় তাদের চারজন মিডিয়া কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বৈরুতের এই হামলায় নিহতদের মধ্যে গ্রুপটির প্রধান মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফও রয়েছেন।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, নিহত চার মিডিয়া কর্মকর্তারা হলেন: মুসা হায়দার, মাহমুদ আল-শারকাউই, হিলাল টারমোস, এবং হুসেইন রমাদান। তারা মিডিয়া ক্ষেত্রে হিজবুল্লাহর বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারা মিডিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদের সত্য প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছিলেন। তাদের সাহসিকতা এবং নির্ভীক মনোভাবের কারণে তারা হুমকি বা হামলার দ্বারা ভীত হয়নি।”
হিজবুল্লাহ নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, তারা প্রতিরোধ আন্দোলনের "চিরন্তন চিন্তা, কারণ এবং বার্তা"র অংশ ছিলেন। সংগঠনটি তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেছে, “তারা তাদের নেতার প্রতি অটল ছিল এবং নিশ্চিত করেছিল যে প্রতিরোধের বার্তা সর্বত্র পৌঁছে।”
বৈরুতের হামলাটি ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান উত্তেজনার একটি অংশ। সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আরও প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। মিডিয়া স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো আহ্বান জানিয়েছে।
হিজবুল্লাহর এই ক্ষতি তাদের প্রচার কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে গ্রুপটি প্রতিরোধের বার্তা ছড়িয়ে দিতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে। এই হামলার ফলে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে আরও সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
হিজবুল্লাহর চার মিডিয়া কর্মীর মৃত্যু ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ বিরোধের একটি মর্মান্তিক দিক তুলে ধরেছে, যা সংঘাতের মাত্রাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।