ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১২, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনে নৃশংস ইসরাইলি গণহত্যা এবং ভারতে মুসলিম নিধন অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ মার্চ, ২০২৫, ০৪:৩৮ এএম

ফিলিস্তিনে নৃশংস ইসরাইলি গণহত্যা এবং ভারতে মুসলিম নিধন অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে
HTML tutorial
দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানরা নিপিড়ীত ও নির্যাতিত-এমন মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ইবরাহীম খলিল। নিজ দেশে পরাধীন হয়ে বসবাস করতে হচ্ছে ইসরায়েলী দখলদারিত্বের কারণে,যুদ্ধ বিরতির নামে গাজায় যেভাবে নৃশংস হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনের এই মুসলিম নিধন আজ নতুন নয় ইসরায়েলী বাহিনী যেভাবে নারী ও শিশু হত্যা করেছে পৃথিবীতে এমন নজীর আর কোথাও নাই।বর্তমান বিশ্বে খাদ্যের সরবরাহের জোয়ার থাকলেও ফিলিস্তিনে নারী শিশুরা খাদ্যের অভাবে ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে।
প্রধান অতিথি তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আজ ১৯ মার্চ, বুধবার নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান হোসাইন সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল মুমিত এর সঞ্চালনায় গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা এবং ভারতের নাগপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এর প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
নগর সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন:
যতদিন পর্যন্ত মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্বভাবে আওয়াজ তুলতে পারবে না ততদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানরা মুক্তি পাবেনা। আরব রাষ্ট্রগুলো মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছে না যা খুবই দুঃখজনক। আমেরিকা প্রকাশ্যে ইসরায়েলী গনহত্যার সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও সারাবিশ্ব চুপ হয়ে আছে জাতি সংঘ কোন প্রতিবাদ করছে না। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পক্ষে একটি প্রতিবাদ বাক্যও উচ্চারণ করেনি জাতিসংঘ। আমরা মনে করি জাতিসংঘ হচ্ছে মুসলিম নিধন সংঘ ছাড়া আর কিছু নয়। সবার জন্য মানবতা থাকলেও বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের জন্য কোন মানবতা নাই। সবার জন্য বেচেঁ থাকার অধিকার থাকলেও মজলুম ফিলিস্তিনিদের শহীদ হওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই।
উপস্থিত বক্তারা আরও বলেন -
আজ আমার ফিলিস্তিনি ভাই বোনরা খোলা আকাশের নীচে ঘুমাচ্ছে, অন্যহীন, বস্ত্রহীন, চিকিৎসাবিহীন এক মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রতিটি মুহূর্তে তাদের সামনে বোমা হামলা হচ্ছে, নারী শিশুরা বন্দুকের নলের মুখে জীবন খাটাচ্ছে। চোখের সামনে নিজের মা বোন আত্মীয় স্বজন ইসরায়েলী নৃশংস হামলায় শহীদ হচ্ছে।
সব হারিয়ে দিশেহারা আমার ফিলিস্তিনের ভাই বোনরা।
এক সেকেন্ড পর পৃথিবীর আলোর মুখ দেখবে কিনা সেই নিশ্চিয়তা নাই। এই নৃশংস চিত্র দেখে আমরা আর ঘরে বসে থাকতে পারছি না আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহ থেমে যাচ্ছে। হে মহান আল্লাহ! আপনি আমাদের সাহায্য করুন,আমরা আর ধৈর্য ধরতে পারছি না বিশ্বের সকল মুসলিমদের এক দেহ এক প্রাণ।
আমরা এই মূহুর্তে ফিলিস্তিনে গিয়ে প্রতিবাদ করতে না পারলেও আমরা আজকে থেকে ফিলিস্তিনি পণ্য বয়কটের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব। ফিলিস্তিনের মুসলমানরা যতদিন পর্যন্ত স্বাধীন হতে পারবে না আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
যেই টাকা দিয়ে অস্ত্র বারুদ সরবরাহ করে আমার ফিলিস্তিনি ভাই বোনদের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে আমরা তাদের পণ্য ক্রয় করে তাদের ফান্ড শক্তিশালী করতে পারিনা।
বক্তারা আরও বলেন,
ভারতের মুসলমানরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে। স্বাধীনভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করতে পারছে না। বিভিন্ন জায়গায় তারাবীর নামাজে, জুমার নামাজ, উগ্র হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। মুসলমানদের মসজিদ গুলো ভেঙে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমাদের মা বোনরা উগ্র হিন্দু কর্তৃক ভারতের প্রতিটি জায়গায় ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে। ভারত সরকার প্রকাশ্যে এগুলোর মদদ দিয়ে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রেীয় মদদে সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে যা সভ্যতার চূড়ান্ত অধঃপতন বলে আমরা মনে করি। ইসলাম শান্তির ধর্ম আমরা সব ধর্মের মানুষকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে অভ্যস্হ কিন্তু ভারতের সরকার প্রতিনিয়ত মুসলিম নিধন কার্যক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে অনেক জায়গায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গনহত্যা পর্যন্ত ভারত সরকার চালিয়েছে। গরুর গোস্ত খাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার এক বোনকে জিহবা সিলাই করে দিয়েছিল উগ্র হিন্দুরা। সম্প্রতি ভারতের নাগপুরে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে সভ্যতার চূড়ান্ত অধঃপতন হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দেশব্যাপী সর্বস্তরের জনগণকে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে ঘোষণা করা হয় অনতিবিলম্বে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ হিসেবে জাতি সংঘে ফিলিস্তিনি নৃশংস হামলার নিন্দা প্রস্তাব ও কূটনৈতিকভাবে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে এবং ভারতের সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক কর্মকান্ড বন্ধ করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে ভারত সরকারের এমন কর্মকান্ডের নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে।
এরপর আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদের উত্তর গেইট থেকে হাজার হাজার মুসলিম তাওহিদী জনতাকে নিয়ে মিছিল শুরু হয়ে নিউমার্কেটে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) তাজুল ইসলাম শাহীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উপদেষ্টা মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এডভোকেট পারভেজ তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম খলিল,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতব্বর, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারী মুহাম্মাদ নোয়াব মিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এর সভাপতি আল মিজান মুহাম্মাদ নোহেল,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ শাহরিয়ার হোসাইন,প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ নেওয়াজ মোরশেদ শাহীন, দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম,প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক হাসিব বিন সেলিম, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ ঈসমাইল খান, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মদ হাফিজ উল্যাহ রাফি, কওমি মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ ইব্রাহিম,আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ নাইম হায়দার, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক মুহাম্মদ নোমান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মদ জুনায়েদ আব্দুল্লাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম।
এছাড়াও নগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা প্রেরক:
মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম
তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগর

মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Google News Icon গুগল নিউজে দেখুন
HTML tutorial