গাজায় ৫০,০০০-এরও বেশি শিশু নিহত: প্রতি ২০ মিনিটে একটি নিষ্পাপ প্রাণ শেষ

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ এক হৃদয়বিদারক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে, গাজায় চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনি শিশুদের উপর বিপর্যয় নেমে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০,০০০-এরও বেশি শিশু নিহত বা আহত হয়েছে। গড়ে প্রতি ২০ মিনিটে একজন শিশু আহত বা নিহত হচ্ছে—যা মানবতার জন্য এক ভয়াবহ সংকেত।
ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, এই দুর্ভোগ প্রতিদিন আরও গভীরতর হচ্ছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের ধারাবাহিক আক্রমণে শিশুরাই সবচেয়ে বড় মূল্য দিচ্ছে। অসংখ্য শিশু প্রাণ হারিয়েছে, অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছে কিংবা চিরতরে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
"গুরুতর লঙ্ঘন, সাহায্য বন্ধ, অনাহার, ঘরবাড়ি-স্কুল-হাসপাতাল ধ্বংস—এই সবই যেন শৈশবের ধ্বংস, জীবনের ধ্বংস। এরা শিশু, কোনো সংখ্যা নয়। কোনো শিশুরই এর মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকা উচিত নয়। আর একটিও নয়।"
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অবস্থাকে মানবিক বিপর্যয়ের চূড়ান্ত রূপ হিসেবে দেখা উচিত। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা, চিকিৎসা সুবিধার অভাব এবং টানা বিমান হামলা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
এই ভয়াবহ তথ্য সামনে আসার পর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানবিক উদ্বেগ ও সহানুভূতির ঢল নেমেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং পূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রবেশের দাবি জানিয়েছে।
বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন নিরীহ শিশুদের জীবন রক্ষা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেন।
গাজার এই ভয়াবহ পরিস্থিতি বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো। প্রতিটি শিশু একটি সম্ভাবনা, একটি ভবিষ্যৎ। সেই ভবিষ্যৎ ধ্বংস হচ্ছে বোমার শব্দে ও নিষ্ঠুর রাজনৈতিক স্বার্থে। ইউনিসেফের সতর্কতা যেন বিশ্বের সব মানবপ্রেমী মানুষকে জাগিয়ে তোলে—আর যেন কোনো শিশুকে এভাবে নিঃশেষ হতে না হয়।
More than 50,000 children reportedly killed or injured in #Gaza since October 2023.
One child, every 20 minutes.
Grave violations. Blocked aid. Starvation.
Homes, schools, hospitals — destroyed.
This is the destruction of childhood. Of life itself.
These are children. Not… pic.twitter.com/F23RYhsg8R
— UNICEF MENA - يونيسف الشرق الأوسط وشمال إفريقيا (@UNICEFmena) May 30, 2025
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন