বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির সহযোগি সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ দলের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ তরুণ দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আবুল ফজল আকাশ ও সাধারন সম্পাদক মোঃ মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে র্যালীটি শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় আলফাত উদ্দিন স্কয়ার(ট্রাফিক) পয়েন্টে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুনামগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি আবুল ফজল আকাশের সভাপতিত্বে ও দলের সাধারন সম্পাদক মোঃ মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহেল আহমদ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বআহবায়ক মনাজ্জিও হোসেন,জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু,যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল হক কালারচাঁন,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সম্পাদক সুহেল মিয়া,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম,জেলা তরুণ দলের সিনিয়র সহ-সভাপতিশাহীনুর আলম,সহ সভাপতি সেলিম আহমদ,সহ সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান,আব্দুল্লাহ আল মামুন,জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আলম,যুবদল নেতা রিপন মিয়াসহ জেলা যুবদল,ছাত্রদল কৃষকদলসহ সহযোগি সঙগঠনের সকল নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দরা বলেন,সুনামগঞ্জে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিএনপিসহ সহযোগিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নামে অসংখ্য হামলা মামলা দিলেও আমরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে বিগত সরকার পতনের আন্দোলন সংগ্রামে সুনামগঞ্জের রাজপথ দখলে রেখেছিলাম। এখন সময় এসেছে তৃণমূলের সকলের জনপ্রিয় নেতা এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট জোর দাবী জানান।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) এবং সুনামগঞ্জ-৫( ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে দলীয় ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত দুইজন প্রার্থী। আজ রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার নিকট তারা এই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা হিমেল এবং সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দুই প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষ এখন পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে। যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে সুনামগঞ্জ-৪ ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনের ভোটাররা লাঙ্গল প্রতীকে বিপুল ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করবেন। উল্লেখ্য আজকে পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলার মোট ৫ টি আসনে বিএনপি,জামায়াত, স্বতন্ত্র এবং জাতীয়পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা হিমেল ও মো. জাহাঙ্গীর আলম তাদের বক্তব্যে আরও বলেন “জাতীয় পার্টি সবসময় সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে। আমরা নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পল্লীবন্ধু এরশাদের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়, যা কেবল লাঙ্গল প্রতীকের মাধ্যমেই সম্ভব। আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন একটি সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখবে যেখানে ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় জেলা জাতীয় পার্টি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানান, যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় তারা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে প্রস্তুত। সুনামগঞ্জের এই দুটি আসনেই জাতীয় পার্টির শক্ত অবস্থান রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সুষ্ঠু ভোট হলে এখানে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী গুরুতরভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। ঘটনা ঘটে শুক্রবার জুমার নামাজের পর, রাজধানীর পল্টন এলাকায়। দুর্বৃত্তরা সরাসরি তার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে হাদী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, "যেহেতু ঢাকা-৮ এ আমার পোস্টার-ফেস্টুন কিছুই নাই, তাই আমার এখন ছেঁড়া-ছিঁড়িরও চাপ নাই। দুদকের সামনে থেইকা জুম্মা মোবারক।" পরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইনকিলাব মঞ্চের সমন্বয়ক এবং জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী, তিনি জানান, হাদীর মাথা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বাংলাভিশনকে জানান, হাদী বিজয় নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে, যা স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে হামলার সময় হাদী কোথায় অবস্থান করছিলেন এবং দুর্বৃত্তরা কিভাবে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণমানুষের অধিকার ও শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে সংগঠনের করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি জননেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, "গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তির বিকল্প নেই। শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় হতে হবে।" সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল রেজা মামুন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়াল মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রফিকুল ইসলাম বাবলু, জননেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শেখ আব্দুর নুর, মাহমুদুল হাসান পিপলু ও বন্নিশিখা জামালী। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে রাজনৈতিক সচেতনতা ও সংগঠনের ভূমিকা আরও জোরদার করতে হবে। সভায় টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তব্য পর্ব শেষে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।