পঞ্চগড় জেলার একটি মাদ্রাসায় সেহেরিতে ডাকাডাকি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রমজান মাসে সেহেরির সময় গ্রামবাসীদের জাগিয়ে তোলার জন্য মাইকে ডাকাডাকি করছিল। এতে কয়েকজন এলাকাবাসী আপত্তি জানালে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে মাইক বন্ধ রাখে। তবে পরে স্থানীয় অনেকে এসে পুনরায় মাইক চালু করার অনুরোধ করেন, কারণ ডাকাডাকি বন্ধ থাকায় তারা সময়মতো সেহরি খেতে পারেননি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দিন হাফেজ মোহাম্মদ তাহসিন বিল্লাহ ও হাফেজ মোহাম্মদ আরিফ হোসেন নামের দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্থানীয় কায়েদী নামের এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী সাবিনা তাদের বাধা দেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এসময় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে যে, কায়েদী ও তার সহযোগীরা ২০-২৫ জন লোক নিয়ে এসে মাদ্রাসার ভিতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্ররা চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়ে এবং তাদের ওপর চালানো নির্যাতনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এক ছাত্রের নানি যখন হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন, তখন তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এলাকাবাসীর সুবিধার কথা চিন্তা করে তারা সেহেরিতে ডাকাডাকি বন্ধ করলেও, বেশিরভাগ মানুষ তা পুনরায় চালু করার অনুরোধ জানান। কিন্তু এই বিষয়ে আপত্তি জানানো ব্যক্তিরা শিক্ষার্থীদের উপর অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়েছেন, যা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।
এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের পরিবার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন