টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চক ভরুয়া এলাকায় মো. সাইফুল ইসলাম (৪২) নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পাওয়ার পর হেমনগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত দুই যুবককে আটক করেছে

ভুক্তভোগী মো. সাইফুল ইসলাম উপজেলার সোনামুই বাজারে দীর্ঘদিন ধরে একটি খাবার হোটেল পরিচালনা করে আসছেন। তিনি জানান, গত ৩০ মে রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১টা ১০ মিনিটে বিজয় (২০) ও সোহাগ (১৯) নামের দুই যুবকসহ আরও কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে জানায়, বিজয়ের দাদা গুরুতর অসুস্থ এবং তিনি সাইফুলকে দেখতে চেয়েছেন।

সারল্যবশত তাদের সঙ্গে বের হলে, সাইফুলকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে আটকে রাখা হয় এবং শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি তার কাছ থেকে ২০,০০০ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় অপহরণকারীরা।

বাংলাদেশ রিলেটেড নিউজ

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা – এনজেএফ-এর তীব্র নিন্দা

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মুসলিম মেয়েকে গর্ভবতী করে পালাল হিন্দু যুবক! ইসকন চক্রের ভয়ঙ্কর ফাঁদ!

বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে ভারত বা আমেরিকার সহযোগিতার প্রয়োজন নাই: গয়েশ্বর

বেগমগঞ্জে বসতবাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, নারীসহ আহত ৪: ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত বিজয় ও সোহাগকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মুক্তিপণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং মামলা না করতে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তরা মামলা করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করার হুমকিও দিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, বিজয় একজন মাদকাসক্ত ও দুর্বৃত্ত প্রকৃতির লোক, যার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় গোপালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভরুয়া, সোনামুই ও কাহেতা মোড় এলাকায় বিগত কয়েক মাস ধরে রাতের বেলায় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে।এলাকায় একাধিক যুবক মাদকাসক্ত, যার ফলেই এ ধরনের অপরাধ ঘটছে।অভিযুক্ত বিজয় একটি সক্রিয় মাদকচক্রের সদস্য এবং এ চক্রের সঙ্গে আরও প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও জড়িত থাকতে পারে।