ঢাকা, ৫ আগস্ট: ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো বুধবার রাতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার লাইভ ঘোষণার পরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে পৌঁছে এবং সেখানে আগুন ও ভাঙচুর শুরু করে। রাত ১১টার দিকে এক্সকাভেটর ও ক্রেন ব্যবহার করে ভবনটি ভাঙতে শুরু করে তারা। একইসঙ্গে ধানমন্ডি ৫ নম্বরের সুধা সদনেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করে, "ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থান রুখতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।" তারা আরও জানায়, "বাংলাদেশে ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরশাসকের জন্ম হলে তার পরিণতি যেন একই হয়, সেটাই আমরা দেখাতে চাই।"

শাহবাগ থেকে শুরু হওয়া মিছিল ধানমন্ডির দিকে অগ্রসর হলে হাজারো মানুষ এতে যোগ দেয়, ফলে পুরো এলাকা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, "শেখ হাসিনা ভারতীয় দালাল এবং ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে মদদ দিচ্ছে।"

রাজধানী/ঢাকা রিলেটেড নিউজ

মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকায় যৌথ বাহিনীর উপর গুলি, নিহত ২, অস্ত্রসহ আটক ৫

ঢাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে মোটরসাইকেল ব্লগার লাঞ্ছিত হয়েছে

বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব শুরু

বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে ষড়যন্ত্র: অনন্ত জলিল, মুফতি ওসামা ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র

রাত পৌনে বারোটার দিকে এক্সকাভেটর ও ক্রেন দিয়ে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। রাতভর এই কার্যক্রম চলতে থাকে এবং ভোর ৬টার দিকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। পরে সকাল ৭টার দিকে আবারও ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসুক জনতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অনেকে ফেসবুকে লাইভ করছেন এবং দৃশ্য ধারণ করছেন। অনেকেই ভবনের ইট-পাথর সংগ্রহ করছেন, কেউ স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য, আবার কেউ দরিদ্রতার কারণে সেগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় রাজনৈতিক প্রতিবাদ কর্মসূচি, যা দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তবে ভবন ধ্বংসের পুরো কাজটি শেষ হতে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: যমুনা নিউজ