আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে সবার আগে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন করবো বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্ল্যাহ বুলু।
তিনি আজ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ১২নং কতুবপুর ইউনিয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
এসময় প্রধান সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ।
এছাড়াও অন্যান্য গুনীজন সামাজিক ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধক চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক সোহেল।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানিমা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন।
সংগঠনের সেক্রেটারি আবুল হোসেন সঞ্চালনায় ও যুগ্ম সম্পাদক জমিদারহাট রেডিয়ান্ট রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এম.এ হাসান এর সঞ্চালনায়
এ সময় বক্তব্য দেয় যুগ্ম সম্পাদক বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক জাতীয় নিশান পত্রিকার সম্পাদক ইয়াকুব নবী ইমন।
নোয়াখালী জেলা সমিতির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মানিক সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ স্কুলের শিক্ষকগন, অভিভাবকবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী প্রিন্ট ও সাংবাদিকবৃন্দ
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
শনিবার ১৫ নভেম্বর বিকেলে সল্লা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই এলাকায় দেখা যায় কর্মী–সমর্থকদের ব্যাপক সমাগম। ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় পতাকা, ব্যানার আর স্লোগানে মুখর হয়ে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে মাঠে এসে জড়ো হন। মুহূর্তেই পুরো এলাকা রূপ নেয় এক মিলনমেলায়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জননেতা বেনজীর আহমেদ টিটো। তার বক্তব্যে তিনি বলেন— বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নাম নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন, অধিকার আর গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামী শক্তি। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে যে আন্দোলন চলছে, সে আন্দোলনের সাহস আসে তৃণমূল থেকে। তিনি বলেন, যেখানে যাই না কেন, কালিহাতীর মানুষের ভালোবাসা তাকে টেনে আনে। তার ভাষায়, কালিহাতী তার প্রাণ—এই এলাকার মানুষের শক্তিই তাকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। তিনি আরো বলেন— যাই বাধা আসুক, জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম থেকে বিএনপি পিছিয়ে যাবে না। চাপ, ভয়, দমন-পীড়ন— কিছুই তাদের পথ থেকে সরাতে পারবে না। তৃণমূলের ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি, তাই সবাইকে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম— ভিপি রফিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান বালা ও শামীম প্রামাণিক, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান লেলিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওয়াদুদ তৌহিদ, এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারন অর রশিদ মিনু, পাইকরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুস ছাত্তার পলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আতোয়ার রহমান তালুকদার লিটনসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অসংখ্য নেতা-কর্মী। বক্তারা বলেন— দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে তৃণমূল থেকেই শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বর্ধিত সভা শেষে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্যম ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সল্লা ইউনিয়নের এই বর্ধিত সভা ভবিষ্যতের আন্দোলন, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং তৃণমূলকে আরও সুসংহত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আজ সোমবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করে সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিস ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তর। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজেশ সিংহ মিথুন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোশারফ হোসেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার শতাব্দী ভট্টাচার্য এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধি তানভীরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি সমর কুমার পাল তাঁর বক্তব্যে বলেন— টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে, যা চলবে সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলায়। তিনি আরও জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সবাইকে দূষিত পানি ও খাবার থেকে বিরত থাকা, উন্নত স্যানিটেশন ব্যবহার এবং টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানান।
নেত্রকোণার দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ সোমেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত হবে একটি নতুন কাঠের সেতু — বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে। এরই অংশ হিসেবে, বুধবার সকাল ১১টায় শুরু হয় পুরনো ও পরিত্যক্ত বাঁশ-কাঠ উঠানোর কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা ও পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা। উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ জিন্নাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দীন মাস্টারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ এলাকার মানুষ একটি স্থায়ী সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ছিলেন। গেলো বন্যায় পুরনো কাঠের সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, এবছর পুনরায় শুরু হচ্ছে দুইশো মিটার দীর্ঘ নতুন কাঠের সেতুর নির্মাণকাজ। প্রায় পনেরো লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি সম্পূর্ণ হলে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, এমনকি ছোট গাড়িও সহজে চলাচল করতে পারবে। জনগণের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে এই উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।