গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ডজনখানেক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, যা পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শহরে ইসরায়েলি বাহিনী একটি একক আক্রমণে ৩৬ জনকে হত্যা করেছে, এবং লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উত্তরে আলমাত গ্রামে আরেকটি হামলায় ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই ভয়াবহ হামলার পর ফিলিস্তিনি ও লেবানিজ জনগণ তাদের স্বজনদের হারানোর শোকে মূহ্যমান।
গাজায়, চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে যে রোববারের হামলায় ইসরায়েলি বাহিনী ছিটমহল জুড়ে অন্তত ৪৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। লেবাননে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দৈনিক গড়ে ৩৮ জন লোক ইসরায়েলি হামলায় নিহত হচ্ছে। এই হামলাগুলো সীমান্তের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং সাধারণ জনগণের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর সিরিয়ায় হামলাও অব্যাহত রয়েছে। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলি বাহিনী রাজধানী দামেস্কে বোমাবর্ষণ করেছে এবং একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে, যেখানে কমপক্ষে সাতজনের প্রাণহানি ঘটে। সিরিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিনে এই অব্যাহত হামলা মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখ থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৪৩,৬০৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০২,৯২৯ জন আহত হয়েছে। ঐ দিন হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে পরিচালিত একটি হামলায় ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি মানুষ বন্দী হয়। এই ঘটনার পর থেকে সংঘর্ষ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
লেবাননে গাজার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩,১৮৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৪,০৭৮ জন আহত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ এই অব্যাহত সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং তাদের ওপর মানবিক সংকটের চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই হামলাগুলোর ফলে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা আরও দুর্বল করে তুলছে।