ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিন ইস্যুতে নীরব এরদোয়ান: একসময়ের ‘নব্য সুলতান’ আজ কোথায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইন ডেক্স

প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম

ফিলিস্তিন ইস্যুতে নীরব এরদোয়ান: একসময়ের ‘নব্য সুলতান’ আজ কোথায়?
HTML tutorial

এক সময় যিনি গোটা মুসলিম বিশ্বের আশা-ভরসার প্রতীক ছিলেন, সেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান আজ মুসলিম জনতার চোখে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রায় দুই দশক ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা এই নেতা তার আগ্রাসী বক্তব্য এবং ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার অবস্থানের কারণে মুসলিমদের কাছে ছিলেন একজন সম্ভাব্য ‘নব্য সুলতান’।

আরব বিশ্বের নেতারা যখন বিলাসবহুল জীবনে মত্ত এবং পশ্চিমাদের প্রতি নমনীয়, তখন এরদোয়ান ছিলেন একমাত্র উচ্চকণ্ঠ। ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে মুসলিমদের উপর নির্যাতন হলে তিনি প্রতিবাদ জানাতেন নির্ভীকভাবে। এর ফলে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুসলিম বিশ্বে।

কিন্তু ৭ অক্টোবরের পর পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। ইসরাইল যখন গাজায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, তখন এরদোয়ানের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকে শুধু নিন্দা ও কিছু ত্রাণ সহায়তায়। সাত মাস পর, ২০২৪ সালের মে মাসে ব্যাপক চাপের মুখে তুরস্ক ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। তবে এটি অনেকেই দেখছেন প্রতীকী সিদ্ধান্ত হিসেবে।

সবচেয়ে সমালোচিত বিষয় হলো, যুদ্ধ চলাকালেও ইসরাইলের প্রতি জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করেননি এরদোয়ান। আজারবাইজান থেকে আসা তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে তুরস্কের সেহান বন্দরে পৌঁছে এবং সেখান থেকে তা জাহাজে করে সরাসরি ইসরাইলে পৌঁছে যায়। এই সরবরাহ এখনো অব্যাহত রয়েছে।

যে এরদোয়ানকে একসময় মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের প্রতীক মনে করা হতো, সেই নেতাই আজ ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তির দোহাই দিয়ে গাজায় গণহত্যার মাঝেও তাদের জ্বালানি সরবরাহে অংশ নিচ্ছেন। ফলে অনেকেই এখন এরদোয়ানকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।

এই নীরবতা, দ্বিচারিতা ও রাজনৈতিক সুবিধার রাজনীতি—সবকিছু মিলিয়ে এরদোয়ানের ভূমিকা আজ প্রশ্নের মুখে।

মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Google News Icon গুগল নিউজে দেখুন

মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ

HTML tutorial