দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
ঢাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প: ভবন হেলে পড়া, বংশালে রেলিং ধসে ৩ জনের মৃত্যু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত হয়েছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭, উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ঘর-বাড়ি, অফিস, শপিংমল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত বের হয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নেন। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই কম্পনে ভবন কেঁপে ওঠে, জানালা-দরজায় শব্দ হয় এবং দুলুনির কারণে অনেক এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাটও দেখা দেয়। ভূমিকম্পের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক ভবনে ফাটল ও হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বেশ কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের বাসিন্দারা নিরাপত্তার ঝুঁকি বিবেচনায় বাইরে অবস্থান করছেন। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলগুলোতে গিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করছে। ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, জরুরি হটলাইনে কয়েক মিনিটের মধ্যে ভবন হেলে পড়া, দেয়াল ফাটল ও রেলিং ভেঙে পড়া সংক্রান্ত বহু কল এসেছে। তবে অনেক তথ্য এখনো যাচাই-বাছাই চলছে। ভূমিকম্পের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর বংশাল এলাকায়। ভূমিকম্পের সময় একটি ভবনের বারান্দার রেলিং ধসে নিচে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। দুর্ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ জোরে কম্পন অনুভূত হতেই ভবনটির রেলিং খুলে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। গুরুতর আহত আরেকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলেছে এবং ভবনে আরো কাঠামোগত ঝুঁকি আছে কিনা তা পরীক্ষা করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প ইউনিট জানায়— মাপ: ৫.৭ মাত্রা সময়: সকাল ১০:৩৮ মিনিট উৎপত্তিস্থল: নরসিংদীর মাধবদী গভীরতা: পরিমাপ চলছে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প ভবনে ফাটল ধরাতে পারে। পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা । ভূমিকম্পের পরপরই বিভিন্ন সরকারি দপ্তর নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে তৎক্ষণাৎ প্রবেশ না করা ফাটল দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো পরবর্তী কম্পনের সম্ভাবনা বিবেচনায় খোলা জায়গায় অবস্থান করা জরুরি ব্যাগ বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতের কাছে রাখা এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসনকে ইতোমধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে।
টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম ওফাতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে তাঁর মাজারে পরিবার, বিশ^বিদ্যালয়, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ভক্ত অনুরাগীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। মওলানা ভাসানীর মাজারে সকাল সাড়ে ৭টায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রোভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থদের নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় ‘যুগ যুগ জিও তুমি, মওলানা ভাসানী’ স্লোগানে মাজার প্রাঙ্গন প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এদিন পুস্পার্ঘ অর্পন শেষে ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। এ সময় কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতারা বক্তব্য রাখেন।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ভিপি নুরুল হক নুর ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা শাখার আমীর আহসান হাবিব মাসুদের নেতৃত্বে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ভক্ত অনুরাগীরা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে সন্তোষে মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও হুজুরের আত্নার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়েছে। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পন শেষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আজ খুব ভালো লাগছে। মজলুম জননেতার কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পেরেছি। ইতোপূর্বে এই ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেও আমি রক্তাক্ত হয়েছি। ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আমাদের ১২ জন কর্মী শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই সহস্রাধিক কর্মী। আন্তর্জাতিক আদালতে শেখ হাসিনাসহ অন্য ফ্যাসিস্টদের সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে এটাই প্রত্যাশা করেছি। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশে যারা খুন করেছে তাদের প্রত্যেকের বিচার হতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্বিচারে মানুষকে গণহত্যা করা হয়েছে, আদালতে তার বিচার চলছে। আমরা মনে করি আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ অন্যদের ফাঁসির রায় হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। মওলানা ভাসানীর মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা শাখা আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান-২৪ পরবর্তীতে বর্তমানেও বাংলাদেশে মওলানা ভাসানীর প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সাইফুর রহমান রেজা। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আওয়াল মাহমুদ। সভায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স নেতা আওয়াল মাহমুদ। সভায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বহ্নিশিখা জামালী, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন ও খোদা-ই-খেদমতগার এর আয়োজনে মওলানা ভাসানীর ওফাতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ, ওরশ, স্মরণ সভা, গণভোজসহ সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’র আয়োজন করা হয়। সাতদিন আগে থেকে মওলানা ভাসানীর ভক্ত-অনুসারী ও মুরিদানরা সন্তোষে এসে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ নভেম্বর। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে দাফন করা হয় টাঙ্গাইলের সন্তোষে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষে তাঁর মাজার প্রাঙ্গণে পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভক্ত, রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে। এ ছাড়া মাজার প্রাঙ্গণে সাত দিনব্যাপী মেলা চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল রবিবার ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বলেছেন, ‘ভাসানী সব সময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।’ আবদুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও তাঁকে কখনো ক্ষমতার মোহ আবিষ্ট করেনি। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধা। তাঁর সাধারণ জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আবদুল হামিদ খানের জন্ম ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার সয়াধানগড়া গ্রামে। তিনি ছিলেন হাজী শরাফত আলী ও মজিরন বিবির ছোট সন্তান। তাঁকে ছোটবেলায় ‘চেগা মিয়া’ নামে ডাকা হত।তিনি জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তাঁর কৈশোর থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মওলানা ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি লাইন প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন করেছেন। তাঁর উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তাঁর সর্বশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে তাঁর মাজারে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাঁর ভক্ত-অনুসারী ও মুরিদানরা সন্তোষে এসেছেন। সন্তোষ তাঁর মাজার প্রাঙ্গণে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে।