Search : জাতিসংঘ

সারা দেশ
নেত্রকোনা দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

‘মানবাধিকার, আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টারের আয়োজনে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জন ক্রসওয়েল খকসি‘র সভাপতিত্বে, সংস্থার উপজেলা কোঅর্ডিনেটর পল সুকান্ত বিশ^াস এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমবায় অফিসার বিজন কান্তি ধর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট এম এ জিন্নাহ্, প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাবেক সভাপতি মো: মেহান মিয়া, সংস্থার ফাইন্যান্স অফিসার পল সুকান্ত বিশ^াস প্রমুখ। এছাড়া কবি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এরপর থেকে সারাবিশ্বেই এই দিনে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের গড় হার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ এখনো অর্ধেক মানুষকে নিবন্ধন না থাকার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। নিবন্ধনহীনতা দেশে শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, মানবপাচারসহ বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ত্বরান্বিত করছে। একইভাবে, মৃত্যু নিবন্ধন না থাকায় উত্তরাধিকার প্রমাণেও জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। আইন সংস্কারের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম জনবান্ধব করতে হবে, যাতে কোনো মানুষই পরিচয়হীন না থাকে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সকল মৌলিক অধিকার সমানভাবে ভোগ করতে পারে। এ কাজে সরকারের পাশাপাশি সকলকে সহায়তা করতে আহবান জানানো হয়।

আল আমিন হাওলাদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
গ্রাম বাংলার খবর
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট পালন — সবুজ অর্থনীতি ও ন্যায্য রূপান্তরের দাবিতে তরুণদের জোরালো সমাবেশ

মোস্তফা মাসুদ: বিশ্ব জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ন্যায়বিচারভিত্তিক পদক্ষেপের দাবিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পালিত হলো ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক–২০২৫, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশ ও গ্লোবাল প্লাটফর্ম বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্বজুড়ে যখন ব্রাজিলের বেলেম শহরে জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন কপ–৩০ চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে কালিগঞ্জে তরুণ জলবায়ু কর্মীদের এই সমাবেশ বৈশ্বিক আন্দোলনের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করে।সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যুব সংগঠন ও পরিবেশবাদী তরুণরা অংশ নেন। রঙিন ফেস্টুন,ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের বার্তা তুলে ধরা হয়। তরুণদের দৃপ্ত ঘোষণা: “সবুজ অর্থনীতি হতে হবে তরুণবান্ধব” সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তরুণ জলবায়ু কর্মী মো. মারুফ হাসান বলেন,“ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশবান্ধব কাজের সৃষ্টি, মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং তরুণের নেতৃত্বাধীন সমাধানগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সবুজ অর্থনীতি অবশ্যই তরুণবান্ধব হতে হবে, যেখানে জলবায়ু অর্থায়ন সহজলভ্য থাকবে। টেকসই ভবিষ্যতের পথে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে একশন এইডের সংহতি এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে একশনএইড বাংলাদেশ-এর ইয়ুথ অ্যান্ড জাস্ট সোসাইটি টিমের লিড মো. নাজমুল আহসান বলেন,“ কপ৩০-এর আগে যারা জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য সোচ্চার হচ্ছে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। তরুণদের ন্যায্য রূপান্তরের দাবি যৌক্তিক,যা তাদের জীবন- জীবিকা, মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান এবং জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার অধিকারকে সম্মান করে। প্রান্তিক পর্যায়ে যুব–নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করতে নিঃশর্ত আর্থিক সহায়তার দাবিতে আমরা তাদের কণ্ঠকে সমর্থন করি। নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবি সমাবেশে বক্তারা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিতে অর্থায়ন বৃদ্ধির দাবি জানান। তারা বলেন—“সবুজ, সমতাপূর্ণ, ন্যায্য ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করে জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”জলবায়ু আন্দোলনে তরুণদের এমন সক্রিয় ভূমিকা স্থানীয় পর্যায়ে নতুন আশা ও দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে—এমনটাই মনে করছেন আয়োজকেরা।

মোস্তফা মাসুদ নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
বিরতি চুক্তির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯৭ ফিলিস্তিনি

বিরতি চুক্তি কার্যকর থাকার পরও ইসরায়েলি বাহিনীর ৮০ বার লঙ্ঘন; জাতিসংঘ প্রতিনিধি গাজা শহরের ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেছেন গাজা সরকারী মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ২৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত ৮০ বার লঙ্ঘন করেছে বলেও তারা দাবি করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই বিমান হামলাগুলো নাকি হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় চালানো হয়েছে। তবে হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গাজা অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৮ হাজার ১৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ২০৩ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে আটক করা হয়েছিল। জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়ক ইতিমধ্যে গাজা শহরের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেছেন এবং মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ২০, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
সীমান্ত উত্তেজনার পর পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের ওপর নিপীড়ন ও গ্রেফতার বৃদ্ধি

সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার পর পাকিস্তানে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের ওপর পুলিশি হয়রানি, গ্রেফতার ও উচ্ছেদ কার্যক্রম নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে হাজারো বাস্তুচ্যুত আফগান পরিবারের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা আরও গভীর হয়েছে। আফগান শরণার্থীরা জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তানি পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি ও অভিযান চালাচ্ছে, এবং বাড়িওয়ালাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা বৈধ ভিসাবিহীন আফগান নাগরিকদের বাসা থেকে উচ্ছেদ করে দেন। রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা রাহিমুল্লাহ, একজন সাবেক আফগান সেনা কর্মকর্তা, রেডিও আজাদিকে বলেন, সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকেই জীবনযাপন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “গতরাতে বাড়িওয়ালা আমাকে বলেছে বাড়ি খালি করে দিতে, কারণ আমাদের ভিসা নেই। এখন পুলিশ টহল বেড়েছে, আর সর্বত্র বাড়িওয়ালারা আফগানদের ঘর থেকে বের করে দিচ্ছে।” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, পাকিস্তানের কোয়েটায় পুলিশ ট্রাকে করে আফগান শরণার্থীদের আটক করছে। শহরের হাজারা টাউনে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশ ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে, দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পরীক্ষা করছে এবং যাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তায়েবা হুসাইনী, কোয়েটার এক বাসিন্দা, বলেন—“বাস্তব অবস্থা অনলাইনে যা দেখা যায় তার চেয়েও ভয়াবহ। কর্তৃপক্ষ রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে, আর যাদের আফগান বলে সন্দেহ করছে তাদের আটক করছে।” আফগান শরণার্থীরা পাকিস্তান সরকার ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন এই নিপীড়ন বন্ধ করা হয় এবং তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকলে তাদের হয় আটক করা হবে, নয়তো জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হবে। এই দমন অভিযান আসে সীমান্তে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ও পাকিস্তানের কাবুল ও পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলার পর। ইসলামাবাদ ঘোষণা দিয়েছে, অবৈধভাবে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, “আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখন পরিবর্তিত হয়েছে। তাই আফগান শরণার্থীদের পাকিস্তানে থাকা এখন শেষ হতে হবে।” সরকার গত সপ্তাহে ১০টি আফগান শরণার্থী শিবির বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে এবং জানিয়েছে, এসব শিবিরের সম্পদ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে। ২০২১ সালে আফগান প্রজাতন্ত্র পতনের পর তালেবান নিপীড়ন, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও মেয়েদের শিক্ষাবঞ্চনা থেকে বাঁচতে লক্ষ লক্ষ আফগান পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়। তাদের অনেকেই এখনও পশ্চিমা দেশগুলোতে আশ্রয়ের প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, শুধু ২০২৫ সালেই ইরান ও পাকিস্তান থেকে দুই মিলিয়নেরও বেশি আফগানকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা আফগানিস্তানের সীমিত মানবিক সম্পদের ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের ওপর ক্রমবর্ধমান পুলিশি নিপীড়ন ও গ্রেফতার তাদের জীবনে ভয়াবহ সংকট ডেকে এনেছে। তারা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ও সংলাপের মাধ্যমে শরণার্থীদের অধিকার সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: রেডিও আজাদি

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১৫, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
কাতার ও সৌদি মধ্যস্থতায় আফগানিস্তান–পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত

কাতার, সৌদি আরব ও ইরানসহ আঞ্চলিক দেশগুলো আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত বাহিনী ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা দুই দেশকে সংযম প্রদর্শন এবং সংলাপ ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই পক্ষকে সংলাপ, কূটনীতি ও সংযমের মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করতে আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।” ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান তার প্রতিবেশী পরিবেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং দুই মুসলিম প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসে যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত।” রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ কারিবুল্লাহ সাদাত বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধের অব্যাহত থাকা সকল দেশের জন্য ক্ষতিকর। সমস্যার সমাধান কূটনৈতিক বোঝাপড়া ও পুনর্মিলনের মাধ্যমে হতে পারে—আফগানিস্তানে পাকিস্তানের দূতাবাস এবং পাকিস্তানে আফগান দূতাবাসের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া উচিত।” ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কাতার ও সৌদি আরবের অনুরোধে দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, পাকিস্তান যদি আবারও হামলা চালায়, তবে আফগানিস্তান উপযুক্ত জবাব দেবে। মুজাহিদ বলেন, “কাতার ও সৌদি আরব যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, এবং ইসলামিক আমিরাত সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ স্থগিত করেছে। তবে আজ সকালে পাকিস্তানের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এই হামলা অব্যাহত থাকলে আফগানিস্তান তার ভূখণ্ড রক্ষার পূর্ণ অধিকার রাখে।” অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেন, “আমাদের দেশ জাতীয় স্বার্থ ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আফগান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূখণ্ড থেকে ভারতের মদদপুষ্ট খারেজি সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে—এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে নথিভুক্ত বাস্তবতা।” এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি দাবি করেন, আফগান বাহিনীর পাকিস্তান ভূখণ্ডে গুলি চালানো আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এদিকে ভারতের সফরে থাকা আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি বলেন, “আফগান জাতির বৈশিষ্ট্য হলো—যখন কোনো বিদেশি শক্তি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, তখন সকল আলেম, নেতা ও সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়।” উল্লেখ্য, পাকিস্তান আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এর জবাবে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দুরান্ড লাইনের পারের পাকিস্তানি পোস্টগুলোতে পাল্টা হামলা চালায়, যা চলতে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১২, ২০২৫ 0
সূত্রঃ মিডল ইস্ট আই
মুসলিম বিশ্ব
ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত গাজায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণার পরও ভয়াবহ বোমাবর্ষণ

গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যদিও এর আগেই মধ্যস্থতাকারীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতভর গাজা সিটি ও খান ইউনুসে ভয়াবহ বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ হয়। এমনকি ইসরায়েলি ড্রোন থেকেও সাধারণ মানুষের উপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়। অন্তত একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানান, চুক্তির প্রথম ধাপে যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময় এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধের অবসান, দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার, সহায়তা প্রবেশের নিশ্চয়তা এবং বন্দি বিনিময়ের পথ প্রশস্ত করবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে একে “ইসরায়েলের জন্য এক মহান দিন” বলে মন্তব্য করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার তার সরকার এই চুক্তি অনুমোদনের জন্য বৈঠকে বসবে এবং “জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনবে।” গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, রবিবার বা সোমবারের মধ্যে হামাস প্রায় ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। একইসাথে ইসরায়েলি সেনারা ধাপে ধাপে গাজা থেকে প্রত্যাহার শুরু করবে। তবে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারের সীমারেখা এখনও পরিষ্কার নয়। চুক্তি কার্যকর হলে অবিলম্বে অন্তত ৪০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তির অন্যান্য ধাপ—যেমন ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন—পরে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। গাজায় এই যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাসের আকস্মিক ইসরায়েল আক্রমণের পর। হামাস জানিয়েছিল, ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের দখলনীতি, আল-আকসা মসজিদে হামলা, গাজা অবরোধ ও বন্দিদের প্রতি অমানবিক আচরণের প্রতিবাদেই তারা এই পদক্ষেপ নেয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড হামাসের প্রথম আক্রমণের পরপরই ভেঙে পড়ে, ফলে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দফায় হামাসের আক্রমণে অন্তত ১,১৮০ জন ইসরায়েলি নিহত হয় এবং পরবর্তী লড়াইয়ে আরও ৭০০ জন মারা যায়। এদের অর্ধেকের বেশি ছিল বেসামরিক নাগরিক। এর প্রতিশোধে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালায়, যা দুই বছর ধরে চলে এবং প্রায় পুরো গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। ইসরায়েলি সামরিক সূত্রে ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা যায়, এই দুই বছরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন—যাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক। গাজায় এখন দুর্ভিক্ষ, ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো এবং অবর্ণনীয় মানবিক বিপর্যয় চলছে। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, গির্জা—সবই ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ডকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে “গণহত্যা” হিসেবে ঘোষণা করেছে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ৯, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাসের ঐকমত্য: গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার গভীর রাতে ঘোষণা করেছেন যে, ইসরায়েল ও হামাস গাজা যুদ্ধের অবসানে তাঁর প্রস্তাবিত “২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার” প্রথম ধাপে একমত হয়েছে। ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যম “ট্রুথ সোশ্যাল”-এ লিখেছেন— “এর মানে হলো খুব শিগগিরই সকল বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েল তাদের সেনা নির্ধারিত সীমারেখা পর্যন্ত প্রত্যাহার করবে। এটি একটি শক্তিশালী, টেকসই এবং স্থায়ী শান্তির প্রথম পদক্ষেপ। সকল পক্ষ ন্যায়সঙ্গত আচরণ পাবে।” তিনি আরও বলেন, “আজ আরব ও মুসলিম বিশ্ব, ইসরায়েল, প্রতিবেশী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি মহৎ দিন। আমরা কাতার, মিসর ও তুরস্ককে ধন্যবাদ জানাই যারা এই ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন ঘটনাটিতে মধ্যস্থতা করেছেন।” কাতারের নিশ্চয়তা: ঘোষণার অল্প সময় পরেই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপের “সব শর্ত ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া” নিয়ে চুক্তি হয়েছে। তিনি জানান— “এই চুক্তি যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করবে এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেবে।” বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি। ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিক্রিয়া: ইসরায়েল সরকারের এক মুখপাত্র জানান, শনিবারের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে হামাস একটি বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল নিশ্চয়তা প্রদানকারী রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় যেন ইসরায়েল এই চুক্তি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক্স (X)-এ লিখেছেন— “এটি ইসরায়েলের জন্য একটি মহান দিন। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর দলকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের বন্দিদের মুক্ত করার এই পবিত্র মিশনে তাঁদের ভূমিকার জন্য।” তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর মন্ত্রিসভাকে ডেকে এই চুক্তি অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন এবং “বন্দিদের ঘরে ফিরিয়ে আনবেন।” হামাসের অবস্থান: বুধবারের শুরুতে হামাসের আলোচক দলের প্রধান খালিল আল-হায়া জানান, তাদের প্রতিনিধিদল মিশরের শার্ম আল-শেখ শহরে এসেছে “দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক আলোচনার জন্য”। তিনি বলেন, তাদের লক্ষ্য হলো— 1️⃣ যুদ্ধের অবসান, 2️⃣ গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, 3️⃣ সকল ইসরায়েলি বন্দির (জীবিত বা মৃত) বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি। জাতিসংঘে প্রতিক্রিয়া: জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের উপ-রাষ্ট্রদূত মাজেদ বামিয়া এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এক্স-এ এক শব্দে লিখেছেন— “Finally…” (অবশেষে...)। চুক্তির পটভূমি ও সমালোচনা: গত সপ্তাহে ট্রাম্প তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা উন্মোচন করেন, যা অনেকেই “ইসরায়েল-কেন্দ্রিক” বলে সমালোচনা করেছেন। প্রথম দফায় বলা হয়— “গাজাকে একটি সন্ত্রাসমুক্ত ও প্রতিবেশী-বান্ধব অঞ্চল হিসেবে পুনর্গঠন করা হবে।” এই পরিকল্পনায় আরও বলা হয় যে, ট্রাম্প ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার একটি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধান কমিটিতে নেতৃত্ব দেবেন, যা গাজা পরিচালনা করবে। এছাড়াও একটি “আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী” গঠনের প্রস্তাব রয়েছে, যারা গাজায় নিরাপত্তা রক্ষা করবে। তবে সমালোচকরা একে “নতুন ঔপনিবেশিক পরিকল্পনা” হিসেবে দেখছেন, যেখানে ট্রাম্প নিজেকে “Board of Peace”-এর প্রধান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। যুদ্ধের ভয়াবহ চিত্র: ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত, আহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। গাজার বাড়িঘর, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল, স্কুল ও অবকাঠামোর অধিকাংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একাধিক জাতিসংঘ তদন্ত কমিটি ও মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে— ইসরায়েলের গাজা অভিযান গণহত্যা (Genocide) হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ইসরায়েলি সেনা গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের ৮০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক। সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ: 📍 চুক্তি: গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ 📍 মধ্যস্থতাকারী: যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্ক 📍 মূল বিষয়: যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময়, সেনা প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তা 📍 সম্ভাব্য সময়সীমা: বন্দি মুক্তি শনিবারের মধ্যে শুরু হতে পারে 📍 উক্তি: ট্রাম্প – “Blessed are the Peacemakers!

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ৯, ২০২৫ 0
আন্তর্জাতিক
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিল পশ্চিমা শক্তিগুলো

কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে, আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন এবং বলেন, “আমরা ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ নির্মাণে অংশীদারিত্বের প্রস্তাব দিচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল সরকার পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ধ্বংস করছে। এ স্বীকৃতি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাওয়া শক্তিগুলোকে ক্ষমতায়ন করবে এবং হামাসকে নয়। একইসঙ্গে এটি সন্ত্রাসবাদের বৈধতা দিচ্ছে না বা কোনো পুরস্কারও নয়। কার্নি জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কানাডাকে সরাসরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন ও রাষ্ট্রকে নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে। তবে এতে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। একইসময়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং-এর সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, এ সিদ্ধান্ত দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের নতুন গতি সঞ্চার করবে। এর সূচনা হবে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও আটককৃতদের মুক্তির মধ্য দিয়ে। তবে তাদেরও শর্ত, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও এ ঘোষণার পরপরই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন। তিনি বলেন, “এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলিদের জন্য শান্তির আশা পুনরুজ্জীবিত করবে এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথ খুলে দেবে।” আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিনের মিত্র পশ্চিমা শক্তিগুলোর এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন করে তুলছে। বিশেষ করে গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে, যেখানে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য অভিযোগ করছে, এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করা। তবে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারে। এর মধ্যে ফ্রান্সের নামও রয়েছে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
জাতিসংঘ মহাসচিবের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানালেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

কাবুল: ইসলামী আমিরাতের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আফগানিস্তানে নারীদের সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলোকে “মূর্খতা” বলে মন্তব্য করেছিলেন। মুজাহিদ বলেন, “আমরা এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অনুপযুক্ত বক্তব্য দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা জানাই।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানকে তার কথার গুরুত্ব ও প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং বেপরোয়া ভাষা ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।” মুজাহিদ আরও উল্লেখ করেন যে, আফগানিস্তানে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য প্রণীত সকল নীতি ও বিধিবিধান ইসলামী শরীয়াহ আইনের ভিত্তিতে নির্ধারিত। তিনি বলেন, “যদি কারও শরীয়াহ সম্পর্কে জ্ঞান বা বোঝাপড়া না থাকে, তবে সেটি তাদের নিজস্ব ঘাটতি। ভিত্তিহীন অভিযোগ করার পরিবর্তে তাদের উচিত যথাযথভাবে শিক্ষা গ্রহণ করা।” বিবৃতির শেষাংশে আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক মহল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় যেন তারা ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং অপমানজনক বা অজ্ঞতাপূর্ণ মন্তব্য থেকে বিরত থাকে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞে গাজা সিটির স্থায়ী উচ্ছেদের শঙ্কা

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের টানা ধ্বংসযজ্ঞে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে স্থায়ী উচ্ছেদের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বরের হামলায় ১৫ তলা মুশতাহা টাওয়ার মুহূর্তের মধ্যে ধসে পড়ে। এক দশক ধরে ঋণ শোধ করে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা শাদি সালামা আল-রাইয়েস। কিন্তু সেই ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন তিনি পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অস্থায়ী তাঁবুতে। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছে, এসব বহুতল ভবন হামাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। গত দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে তাদের দাবি। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৫০টি “সন্ত্রাসী টাওয়ার” ধ্বংস করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ—এটি আসলে জনগণকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনার অংশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর (OHCHR) বলেছে, জনসংখ্যা উচ্ছেদ করার এ ধরনের পরিকল্পনা জাতিগত নিধনযজ্ঞের শামিল হতে পারে। তবে ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র নাদাভ শোশানি বলেছেন, গাজাকে সমতল করার কোনো কৌশল নেই। তাদের লক্ষ্য কেবল হামাসকে ধ্বংস করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা। সাক্ষীদের দাবি, হামলার আগে ফোনে কয়েক মিনিট সময় দিয়ে ভবন খালি করতে বলা হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা খালি হাতে বের হয়ে আসেন। এরপর মুহূর্তের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনে মুশতাহা টাওয়ারকে ধুলিস্যাৎ করে দেয়। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশের শরণার্থী শিবিরেও। শুধু টাওয়ার ধ্বংসই নয়, গাজা সিটির প্রান্তিক এলাকায় প্রতিদিন ডজন ডজন বাড়ি উড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল। স্থানীয় এনজিও নেটওয়ার্কের হিসাবে, ইতোমধ্যেই গাজা সিটির ৬৫ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘ স্যাটেলাইট সেন্টারের তথ্য বলছে, গাজার মোট ভবনের প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২১৩টি হাসপাতাল এবং ১,০২৯টি স্কুল। মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা অক্সফাম জানিয়েছে, বহুতল টাওয়ারগুলো ছিল ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়। এগুলো ধ্বংস হলে দক্ষিণাঞ্চলে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ২৩ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি তরুণ তারেক আবদেল-আল বলেন, “আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে তারা ফেরার শেষ আশা পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে।”

মুক্তধ্বনি ডেক্স সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা, ইসরায়েলি আগ্রাসন আরও তীব্র

জাতিসংঘ-সমর্থিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (IPC) গাজার রাজধানী গাজা সিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত সামরিক হামলার কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কেই এ ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে IPC মাত্র পাঁচবার দুর্ভিক্ষ স্বীকৃতি দিয়েছে। দীর্ঘ মাসব্যাপী সতর্কবার্তার পর এবার সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে যে গাজা দুর্ভিক্ষের মানদণ্ডে পৌঁছে গেছে: অন্তত ২০% পরিবার চরম খাদ্য সংকটে, ৩০% শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে, প্রতিদিন প্রতি ১০,০০০ জনের মধ্যে অন্তত ২ জন না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। IPC-এর তথ্যমতে, গাজা গভর্নরেটের (যার অন্তর্ভুক্ত গাজা সিটি ও আশপাশের শহরগুলো) অর্ধ মিলিয়নের বেশি বাসিন্দা বর্তমানে দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এই দুর্যোগ অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ জরুরি খাদ্য সংকটে পড়তে পারে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দুর্ভিক্ষের কথা অস্বীকার করেছেন এবং অভিযোগ নাকচ করেছেন যে তাঁর সরকার যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অনাহার ব্যবহার করছে। তিনি দাবি করেছেন, “শত শত ট্রাক” খাদ্য সাহায্য প্রবেশ করেছে। কিন্তু মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েল সীমান্ত বন্ধ করে রাখায় সহায়তা কার্যত আটকে আছে। দুর্ভিক্ষ ঘোষণার সমান্তরালে, ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসী হামলা বাড়িয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করে নগরীতে অগ্রসর হচ্ছে তারা। টানা বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। এর মধ্যেই গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহারে এখন পর্যন্ত ২৭১ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ১১২ জন শিশু। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে চালানো "আল-আকসা ঝড়" অভিযানের পর থেকে ইসরায়েলি গণহত্যায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬২ হাজার ১২২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৮ জন আহত হয়েছেন। ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেনসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগণ এখন "বিপর্যয়কর" অবস্থার দ্বারপ্রান্তে। ইসরায়েল অবরোধ বজায় রেখে খাদ্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ঢুকতে না দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছে তারা। ইতিহাসে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত দুর্ভিক্ষ যা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘটিত হলো।

মুক্তধ্বনি ডেক্স আগস্ট ২৩, ২০২৫ 0
ধ্বংসস্তুপ থেকে বেঁচে ফেরা নবজাতকের বর্তমান অবস্থা কি
আন্তর্জাতিক
ধ্বংসস্তুপ থেকে বেঁচে ফেরা নবজাতকের বর্তমান অবস্থা কি

আফরিন, সিরিয়া - সেদিনের বিকেলে যখন তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভূমিকম্পের একটি সিরিজ ছিঁড়েছিল, তখন ডাঃ হানি মারুফ, 43, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমে আফরিনের জেহান হাসপাতালে তার দায়িত্বে ফিরে এসেছিলেন, নিশ্চিত হয়েছিলেন যে তার স্ত্রী এবং সাত সন্তান আছে। নিরাপদ ছিল। বিকাল ৩টার দিকে, একজন পুরুষ ও মহিলা দৌড়ে আসেন, লোকটি তার বাহুতে একটি ছোট বান্ডিল ধরে চিৎকার করে বলেছিল যে তাদের একজন শিশু বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন। তাদের মুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল যা হতাশায় পরিণত হয়েছিল। এটি ছিল ষষ্ঠ হাসপাতাল যা তারা তাদের মূল্যবান বান্ডিল নিয়ে ছুটে গিয়েছিল - শিশু আয়া, যে সবেমাত্র একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে জন্মেছিল একটি মা যে মারা গিয়েছিল। তাদের আশ্বস্ত করে যে তিনি একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, মারুফ আলতো করে তাদের কাছ থেকে শিশুটিকে নিয়েছিলেন কিন্তু তিনি যা দেখেছিলেন তা তাকে "ভয়ঙ্কিত" করেছিল। "আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে সে বেঁচে ছিল - সে ফ্যাকাশে, ঠান্ডা, নীরব ছিল। তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নীল ছিল এবং তার শরীর ক্ষত দিয়ে ঢাকা ছিল,” তিনি স্মরণ করেন। তারপরে একটি ক্ষীণ স্পন্দন আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং তিনি এবং তার দল কাজ শুরু করেছিলেন। তারা শিশুটিকে উষ্ণ কম্বল দিয়ে মুড়ে তাকে একটি ইনকিউবেটরে রেখেছিল, যতক্ষণ না সে যথেষ্ট গরম না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে দেখছিল যাতে তারা তাকে ক্যালসিয়াম এবং গ্লুকোজ সলিউশনের সাথে সংযুক্ত করার জন্য একটি শিরা খুঁজে পেতে সক্ষম হয়। শিশু আয়াকে স্টেথোস্কোপ দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বেবি আয়া স্টেথোস্কোপের অনুরাগী নন, তবে এটি ডাক্তারদের নির্ধারণ করতে সাহায্য করে যে সে ঠিক আছে যে লোকটি তাকে ভিতরে নিয়ে এসেছিল - তার খালার স্বামী - এবং যে মহিলা তার সাথে ছিল - একজন প্রতিবেশী - স্বস্তি পেয়েছিল যে আয়াকে রক্ষা করা যাচ্ছে, কিন্তু সেদিনের নিষ্ঠুর বাস্তবতার অর্থ হল তারা আর তার পাশে থাকতে পারবে না। তাদের নিজেদের পরিবার খুঁজে বের করতে হয়েছিল, এবং সম্ভবত তাদের মৃতদের গণনা করে কবর দিতে হয়েছিল। শিশু আয়াকে হাসপাতালের কর্মীদের দ্বারা প্রথম আনার এবং নাম দেওয়ার চার দিন পরে, মারুফ আল জাজিরাকে বলেছেন যে তিনি আরও ভাল করছেন এবং হাসপাতালের দল তার ভাল যত্ন নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য একত্রিত হয়েছে। যদিও সে এখনও একটি ইনকিউবেটরে দিন কাটায়, শিশু আয়াকে একজন স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা বুকের দুধ খাওয়ানো হয় যিনি দিনে বেশ কয়েকবার আসেন, যা তাকে দেয় মানুষের, ত্বক থেকে ত্বকের সংস্পর্শে থাকা শিশুদের উন্নতির জন্য অ্যান্টিবডি ছাড়াও পুষ্টি যা শুধুমাত্র মানুষের বুকের দুধে পাওয়া যায়। এবং তিনি উন্নতি করেছেন, মারুফ গর্বিতভাবে বলেছেন, তিনি যোগ করেছেন যে তিনি ওজন বাড়াচ্ছেন, সমস্ত ইতিবাচক সূচক দেখাচ্ছে এবং চারপাশে তার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভাল করছে। যখন তিনি, সাত সন্তানের বাবা হিসাবে, প্রায়শই নিজেকে তার পাশে খুব বেশি সময় কাটাতে শিশুর দুর্দশার দ্বারা খুব গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হন, তখন অনেক নার্সিং স্টাফ তাকে দেখতে আসেন, তার ইনকিউবেটরের পাশে বসে তাকে ঘুমাতে দেখেন এবং তার হাত নেড়ে দেন। . ডাঃ মারুফ ইনকিউবেটরে পৌঁছেছে শিশু আয়াকে পরীক্ষা করার জন্য ডঃ মারুফ আয়া কতটা উন্নতি করেছে তার জন্য গর্বিত কিন্তু, সাত সন্তানের বাবা হিসাবে, তিনি তার দুর্দশার জন্য গভীরভাবে দুঃখিত শিশু আয়ার মায়ের প্রসবের পরিস্থিতি অনির্ধারিত রয়ে গেছে, তবে মারুফ বলেছেন যে একজন মহিলার পক্ষে শকের কারণে প্রসব হওয়া এবং প্রসব নির্বিশেষে তার শেষ পর্যন্ত চলতে থাকা খুব সম্ভব। মারুফ বলেছেন যে উদ্ধারকারীরা সোমবার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে শিশু আয়ার কান্না শুনেছিল এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাকে সরিয়ে নিতে এবং তাকে সাহায্য করতে সক্ষম হয়েছিল "প্রথম এবং সর্বাগ্রে ঈশ্বরের করুণার কারণে", মারুফ বলেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, তিনি যোগ করেছেন, এটি সম্ভব ছিল যে তীব্র ঠান্ডা জটিল উদ্ধার প্রচেষ্টা শিশু আয়াকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তাকে বাঁচিয়ে রাখতে ভূমিকা পালন করেছিল। ঠাণ্ডার কারণে, তিনি হাইপোথার্মিয়ায় চলে যান, যা আসলে একটি থেরাপি যা নবজাতক হাসপাতালে ব্যবহার করা হয় শিশুদের বাঁচানোর জন্য যাদের মস্তিষ্কে জন্মের সময় অক্সিজেনের অভাব হয়। হাসপাতালের কর্মীরা তাকে গরম করতে এবং তার যত্ন শুরু করতে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত এটি তার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা রক্ষা করত। মারুফ যখন শিশু আয়ার আত্মীয়দের আশ্বস্ত করেছিল যে তারা শিশুটির যত্ন নেবে এবং তাদের পরিবারের বাকি সদস্যদের পরীক্ষা করা উচিত, তখন তিনি আফরিনকে যে ভয়াবহতা আঘাত করেছিল তার সম্পূর্ণ জ্ঞানের সাথে কথা বলছিলেন। এবং গত 12 বছর ধরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়া কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, কারণ তিনি নিজেই 2019 সালে মারেত আল-নামান থেকে আফরিনে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। ভূমিকম্পের দিনে তিনি তার স্ত্রী এবং সন্তানদের সাথে গাড়িতে ঘন্টা কাটিয়েছিলেন যতক্ষণ না তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া নিরাপদ বলে মনে করা হয় এবং সেই দিন তাদের সাথে 40 জন লোক আশ্রয় নিয়েছিল কারণ তাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। সেই চিন্তাই তাকে সেদিন কাজে ফিরে যেতে ঠেলে দিয়েছিল, যে কেউ সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। "আমাদের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা, আমরা এই বিপর্যয়ের নায়ক নই, দীর্ঘ শটের মাধ্যমে নয়," তিনি আল জাজিরাকে বলেছিলেন। “সত্যিকারের নায়করা হলেন সার্জন, সিভিল ডিফেন্সের লোকেরা যারা আক্ষরিক অর্থে প্রতি মিনিটে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাচ্ছে। “এই অঞ্চলে আঘাত হানার এটাই প্রথম বিপর্যয় নয়, ঈশ্বর জানেন, আমাদের বহু বছর ধরে বোমাবর্ষণ এবং যুদ্ধ হয়েছে। সেই সময় জুড়ে, আমরা প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় লাইন, আমরা সাধারণত এমন শিশুদের যত্ন নিই যাদের নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন হয়, যাদের পূর্ব-বিদ্যমান অবস্থা রয়েছে, যাদের এখনও দেয়াল পড়ে যাওয়ার পরেও আমাদের যত্নের প্রয়োজন। সেজন্য আমি বলেছিলাম যে আমরা হাসপাতাল বন্ধ করব না, আমরা খোলা থাকব, যাই হোক না কেন।” এমনকি ভূমিকম্পের পর প্রথম দিনগুলিতে এটি কঠিন ছিল, যা আজ পর্যন্ত 21,500 জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে। “ফার্মেসি বন্ধ, মেডিকেল ডিপো বন্ধ, সবকিছু বন্ধ। আমরা বৃত্তে ঘুরছিলাম কারণ হাসপাতালের ডিসপেনসারিতে আমাদের হাতে অনেক ওষুধ নেই,” মারুফ বলেছিলেন। একজন ডাক্তার শিশু আয়ার ইনকিউবেটরের কাছে এক্স-রে দেখছেন দলটি সমস্ত প্রয়োজনীয় চেক চালিয়েছিল এবং আয়া তার অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে কতটা ভালভাবে এসেছিল তা দেখে অবাক হয়েছিল “একদিন, আমাদের বেবি আয়ার জন্য কিছুটা সূত্রের প্রয়োজন ছিল কারণ স্বেচ্ছাসেবক এখনও তাকে দুধ খাওয়াতে আসেনি। আমি আমার বুদ্ধির শেষের দিকে ছিলাম যতক্ষণ না আমি মনে করি যে আমার অফিসে কোথাও সূত্রের কয়েকটি ছোট নমুনা ছিল, তাই পরিস্থিতিটি সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এখন, জিনিসগুলি একটু ভাল, সম্ভবত 50 শতাংশে। "কিন্তু এটি এখনও যথেষ্ট ভাল নয়। আমরা কোন ধরনের সাহায্যের জন্য কতক্ষণ অপেক্ষা করছি তা দেখুন! সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা ও জাতিসংঘ। তাই তারা সবাই এখানে সাহায্যের জন্য একটি হেলিকপ্টার খুঁজে পাচ্ছেন না?" সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাংশ দেশটির 12 বছরের যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধী বাহিনীর হাতে রয়েছে। এটি মূলত বিচ্ছিন্ন, শুধুমাত্র একটি অনুমোদিত স্থল সীমান্ত ক্রসিং তুরস্কের মাধ্যমে তার চার মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দাকে সহায়তা আনতে ব্যবহৃত হয়, যাদের বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। তুরস্কে ব্যাপক রাস্তার ক্ষতির কারণে ভূমিকম্পের পর তিন দিন বাব আল-হাওয়া ক্রসিং অতিক্রম করে কোনো সাহায্য আসেনি, তবে বৃহস্পতিবার কনভয়গুলি আবার আসতে শুরু করেছে। তবে, চাহিদাগুলি প্রচুর রয়ে গেছে, শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সতর্কতার সাথে এটি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় স্টক ফুরিয়ে গেছে এবং আরও করিডোর খোলার জন্য আবেদন করেছে। পরিস্থিতির উপর রাগ এবং দুঃখ থাকা সত্ত্বেও, অথবা সম্ভবত একটি অভ্যন্তরীণ স্থিতিস্থাপকতার কারণে যা এই অঞ্চলের জন্য ক্রমাগত বিপর্যয়ের কয়েক বছর ধরে তৈরি হয়েছে, তিনি একটি অসাধারণ শান্ত কণ্ঠে এবং তার চারপাশের সকলের প্রতি গভীর সহানুভূতির সাথে কথা বলেন। এর মাধ্যমে যাচ্ছে. তার খালার স্বামী তখন থেকে শিশু আয়াকে দেখতে এসেছেন, তবে মনে হচ্ছে না যে পরিবারটি এখনও তাকে নিতে আসতে কোনো অবস্থায় আছে, মারুফ বলেছেন। এবং এটি তার সাথে ঠিক আছে, জেহান হাসপাতালের সমস্ত লোকেরা শিশু আয়াকে যতক্ষণ সময় নেয় ততক্ষণ খুশি।

মুক্তধ্বনি ডেক্স জুলাই ৩১, ২০২৫ 0
ভারতের ছয়স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা জবাবে পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক
ভারতের ছয়স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা জবাবে পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ছয়টি আলাদা স্থানে একযোগে হামলা চালানোর পর যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে। ভারতের এই অভিযানকে “অপারেশন সিঁদুর” নাম দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতেই তারা এই অভিযান চালিয়েছে। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি পাকিস্তানও। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, ভারতের মিসাইল হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের সামরিক জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর জানিয়েছে, পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরে হামলার পর পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী কড়া জবাব দিয়েছে। পাঁচটি ভারতীয় ফাইটার জেটে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে একটি ড্রোন ও একটি ব্রিগেড সদর দপ্তরও। পাকিস্তান দাবি করেছে, অভিযানে অংশ নেওয়া তাদের সমস্ত যুদ্ধবিমান নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে। ভূপাতিত ভারতীয় জেটগুলোর মধ্যে রয়েছে—তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল, একটি রাশিয়ান এসইউ-৩০ এমকেআই এবং একটি মিগ-২৯। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে ঢোকা হয়নি; বরং তারা কাশ্মীরে অবস্থানরত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র ভারতের এই পদক্ষেপকে “লজ্জাজনক ও কাপুরুষোচিত” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের আকাশসীমায় ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতের আরও বড় ক্ষতি হবে। আমরা সব ধরনের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত।” সর্বশেষ পরিস্থিতি: ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে তীব্র কূটনৈতিক বিবৃতি আদান-প্রদান চলছে। জাতিসংঘ এবং ওআইসি (OIC) উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে না এলে এটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধেও রূপ নিতে পারে। পাকিস্তানে উচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে; স্কুল, সরকারি দপ্তর এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের জনগণ চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। পুরো দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স মে ৭, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
গাজায় ৭০,০০০ শিশুর চরম পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি, অনাহারে আরও এক শিশুর মৃত্যু

ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধের কারণে গাজার শিশুদের মধ্যে চরম পুষ্টিহীনতা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা শহরে মুস্তাফা ইয়াসিন নামের এক ফিলিস্তিনি শিশু অনাহার ও পানির অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। এই মৃত্যু গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয়ের আরেকটি মর্মান্তিক নিদর্শন। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র অবরোধ ও সংঘর্ষে শিশু ও বৃদ্ধদের অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, গাজায় ৭০,০০০ এরও বেশি শিশু মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তারা জানিয়েছে— "আমরা গাজায় খাবার সরবরাহের প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করছি, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। যা প্রবেশ করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।" WFP অবিলম্বে “নিরাপদ, নিরবিচারে ও পর্যাপ্তভাবে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের” সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়, যাতে দুর্ভিক্ষ রোধ করা যায় এবং জীবন রক্ষা সম্ভব হয়। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাজেদ আবু রমাদান শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানান, গত দুই দিনে আরও ২৯ শিশু ও বৃদ্ধ অনাহার-সংক্রান্ত কারণে মারা গেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "হাজার হাজার মানুষ এখনও বিপদের মুখে রয়েছে, এবং এই মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে।" নবজাতকদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন— "বর্তমান অবরোধ অব্যাহত থাকলে এবং ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছালে গাজায় ১৪,০০০ নবজাতকের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।" তিনি এই পূর্বাভাসকে “সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত” বলে উল্লেখ করেন। জাতিসংঘের খাদ্যের অধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করে বলেন— "ইসরায়েল বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।"   তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান এবং এই “অন্যায় অবরোধ” অবসানের মাধ্যমে গাজার ২৩ লাখ মানুষের দুর্ভোগ বন্ধ করার দাবি জানান।

মুক্তধ্বনি ডেক্স জুলাই ২৫, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে