Search : শিক্ষার্থী

টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
জাতীয়
টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের জেলা সদরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। সকালে রাষ্ট্রের পক্ষে জেলা প্রশাসক শরীফা হক শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে তাঁদের আদর্শ ধারণ করে দেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এরপর ক্রমান্বয়ে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রবিউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক মন্ডল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক গোলম মোস্তফা মিয়াসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এই দিনটি জাতির ইতিহাসে এক শোকাবহ ও কলঙ্কিত অধ্যায়। বক্তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও ত্যাগ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং তাঁদের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
সেতু নয় ভোগান্তি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোটি টাকার ব্রিজের কাজ থেমে আছে পাঁচ বছর
সারা দেশ
সেতু নয় ভোগান্তি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোটি টাকার ব্রিজের কাজ থেমে আছে পাঁচ বছর

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার করটিয়াপাড়া বাজারের উত্তর পাশে কাঁকড়ার ঝোড়া এলাকায় বংশাই নদীর শাখা টুঙ্গি নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের কাজ দীর্ঘ পাঁচ বছরেও শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় হাজারো মানুষ। প্রায় ২ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৩১ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পিএসসি গার্ডার ব্রিজটি এলাকাবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের কথা থাকলেও বাস্তবে তা এখন ভোগান্তির প্রতীকে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় ও এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলার কালিদাস–বহুরিয়া সড়কের করটিয়াপাড়া বাজারসংলগ্ন কাঁকড়ার ঝোড়া নামক স্থানে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন বছর পার হয়ে গেলেও এখনো তা সম্পন্ন হয়নি। কাজ চলছে থেমে থেমে—একটানা কয়েকদিন কাজ করার পর দীর্ঘ সময় ধরে পুরোপুরি বন্ধ থাকে নির্মাণ কার্যক্রম। এর ফলে ব্রিজের দুই পাড়ের মানুষের স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা শহর কিংবা আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করতে স্থানীয়দের বাধ্য হয়ে ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি বাড়ছে যাতায়াত ব্যয়। বিশেষ করে দিনমজুর, কৃষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এলাকাবাসী জানান, এই একটি ব্রিজের ওপর নির্ভর করে কালিদাস, ঠকাইনাপাড়া, ফুলঝুড়িপাড়া, করটিয়াপাড়া, বেলতলী, হারিঙ্গাচালা, হতেয়া–রাজাবাড়ি, কালমেঘা, ছলংগা ও বহুরিয়া চতলবাইদসহ ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন চলাচল। ব্রিজটি অসম্পূর্ণ থাকায় স্কুল–কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে যেতে পারছে না। অনেক সময় অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগীদের কাঁধে করে কিংবা ঝুঁকি নিয়ে নদী পার করতে হয়, যা অত্যন্ত মানবিক সংকট তৈরি করছে। স্থানীয় কৃষকরাও পড়েছেন বিপাকে। ব্রিজ না থাকায় ফসল, শাকসবজি ও অন্যান্য কৃষিপণ্য বাজারে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, দুই পাড়ের কালিদাস ও করটিয়াপাড়া বাজারে মালামাল পরিবহন এখন সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে তারা এই বাড়তি খরচ বহন করে আসছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাইন উদ্দিনবাসী কিছুদিন কাজ করে দীর্ঘ সময়ের জন্য লাপাত্তা হয়ে যায়। ফলে মাসের পর মাস কোনো কাজ হয় না। সাময়িক পারাপারের জন্য সরকারি বিধান থাকলেও ঠিকাদার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে ব্রিজের পশ্চিম পাশে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো তৈরি করেছেন। সখীপুর উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাইন উদ্দিনবাসী ব্রিজটির কার্যাদেশ পায়। এলজিইডির কাগজপত্রে কাজের ৮০ শতাংশ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, “পিএসসি গার্ডার ব্রিজটির প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কারিগরি ও প্রশাসনিক কারণে কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। আশা করছি খুব শিগগিরই পুনরায় কাজ শুরু হবে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ব্রিজটির কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।” তবে স্থানীয়দের দাবি, শুধু আশ্বাস নয়—দীর্ঘ পাঁচ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটাতে এখন প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ ও কঠোর নজরদারি। তারা দ্রুত ব্রিজের কাজ সম্পন্নের পাশাপাশি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
জাতীয়
বাসাইল শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

(সাজিদ পিয়াল):বাসাইল শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। মহান শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহিদ হওয়া দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন শহিদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন জাতির মেধা ও মননের আলোকবর্তিকা। স্বাধীনতার প্রাক্কালে পরিকল্পিতভাবে তাঁদের হত্যা করে দেশকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের আদর্শ ও ত্যাগ আজও জাতিকে পথ দেখাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের ইতিহাস জানানো অত্যন্ত জরুরি বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন। সভায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
রাজনীতি
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দুই দিনব্যাপী কর্মশালার শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত

(সাজিদ পিয়াল):- বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দুই দিনব্যাপী কর্মশালার শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মশালার শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) শেষ দিনের অধিবেশনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি এবং গণসংহতি আন্দোলন (জিএসএ)-এর প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শেষ অধিবেশনে জোনায়েদ সাকি ছাত্র রাজনীতির বর্তমান বাস্তবতা, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা, শিক্ষার অধিকার এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনে ছাত্রসমাজ সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আগামীতেও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে ছাত্রদের সচেতন, সংগঠিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনায় তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার বাণিজ্যিকীকরণ, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সংকুচিত হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ—এসবের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক আদর্শ ও নৈতিকতার ভিত্তিতে ছাত্র আন্দোলন পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। কর্মশালার শেষ অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন অন্যান্য অতিথিরাও। এ সময় প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমসাময়িক রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে মতামত ও প্রশ্ন তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা জানান, দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় রাজনৈতিক শিক্ষা, সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, আন্দোলনের কৌশল এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একাধিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনকে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মশালা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা। কর্মশালার শেষ অধিবেশন শেষে অংশগ্রহণকারীরা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক দরবার হলে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মওলানা ভাসানীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “মওলানা ভাসানী ছিলেন আপসহীন রাজনীতির প্রতীক। তিনি আজীবন মজলুম মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর আদর্শ আজও আমাদের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে মওলানা ভাসানীর ন্যায় সাহসী ও জনবান্ধব নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। তাঁর দেখানো পথে দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে।” মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রফেসর এ. কে. এম. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানীর আদর্শ ও দর্শন নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিয়মিত গবেষণা, আলোচনা সভা ও স্মরণ কর্মসূচি জোরদার করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
জাতীয়
গৌরব ও ঐতিহ্যের দিন টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইল, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫: গৌরব ও ঐতিহ্যের দিন টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আজ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, টাঙ্গাইলের অবদান এবং স্বাধীনতার চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতেই এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুব। তিনি তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের এই দিনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন—টাঙ্গাইলের মানুষ অসম সাহসিকতা, ত্যাগ ও ঐক্যের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিল। তাঁর মতে, টাঙ্গাইলের মুক্তির দিন শুধু একটি জেলা নয়, পুরো জাতির বিজয়সংগ্রামের বড় মাইলফলক। বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুব আরও বলেন, যে স্বাধীনতার জন্য আমরা জীবন বাজি রেখেছিলাম, সেই স্বাধীনতা আজকের তরুণ প্রজন্মের হাতে সুরক্ষিত থাকবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ইতিহাস জানতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।সভায় অন্যান্য বক্তারাও ১১ ডিসেম্বরের ঘটনা, বিডিআর বিদ্রোহী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘবদ্ধ অভিযান, টাঙ্গাইলের কৌশলগত গুরুত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখযুদ্ধে জেলার অবদান তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিকব্যক্তি, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন সড়কে র‌্যালি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ ও দেশাত্মবোধক আবেগের উচ্ছ্বাসে ভরপুর অংশগ্রহণ।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
তরুনীর ধর্ষনের অভিযোগ: পুলিশ পেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

শরীয়তপুরে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ; তদন্তে ভিন্ন তথ্য বলছে পুলিশ শরীয়তপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন—এমন অভিযোগ সামনে এলে তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার ভিন্ন চিত্র পেয়েছে বলে জানিয়েছে। অভিযোগকারী তরুণী নিজেকে শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিলেও পুলিশ বলছে—তিনি কলেজ শিক্ষার্থী নন। বরং তদন্তে জানা গেছে, ওই নারীর বিয়ে হয়েছে এবং তার দুইটি সন্তান রয়েছে। পালং মডেল থানা পুলিশ জানায়, তরুণী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে গিয়ে ফেরার পথে তাকে কেউ মারধর করেছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান বলেছেন, তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। এছাড়া মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও ওই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমকে তরুণী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের বনবিভাগ কার্যালয়ের পাশের নির্জন এলাকায় কয়েকজন যুবক তাদের পথরোধ করে। এ সময় তার সহপাঠীকেও আটক রেখে মারধর করা হয় এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তরুণীর দাবি, তাকে তিন যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখে। সহপাঠীর বর্ণনাও প্রায় একই। তিনি বলেন, বাস না পেয়ে তারা হাঁটছিলেন। দুই যুবক ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের ভিতরে নিয়ে যায়। তাকে মারধর করে টাকা দাবি করা হয় এবং বান্ধবীকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। তরুণী আরও অভিযোগ করেছেন, তাকে টেনে নেওয়ার সময় দুইজন নারী ঘটনাটি দেখলেও কোনো সহায়তা করেনি। এছাড়াও ঘটনাস্থল এলাকায় কিছু কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু কেউ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি। স্থানীয় বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন জানান, তিনি বাসায় ফেরার সময় দেখতে পান কয়েকজন যুবক এক মেয়েকে নিয়ে বনবিভাগের দিক থেকে বের হচ্ছে। মেয়ে আতঙ্কে কিছু বলতে পারছিল না। সঙ্গী ছেলেটির ইশারায় তিনি সন্দেহ করেন। তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে যুবকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে ঘটনাটি খুলে বলে।ওসি শাহ আলম বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে গেছি। কিন্তু তরুণী আমাদের কাছে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে। প্রাথমিক তদন্তেও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। তারপরও বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
৭৭তম বিশ্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে আয়োজিত র‌্যালি
জাতীয়
"আগামীর বাংলাদেশ হবে মানবিক"—টুকু

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। আগামীর বাংলাদেশ হবে মানবিক, গণতান্ত্রিক এবং সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা একটি রাষ্ট্র।” তিনি আরও বলেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কোনো প্রকার হানাহানি থাকবে না, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ হবে এবং মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। বুধবার দুপুরে ৭৭তম বিশ্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধন ঘিরে প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। টুকু অভিযোগ করে বলেন, “বিগত দিনে দেশে একটি অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় ছিল, যারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। যে দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়, সেখানে মানবাধিকার টিকে থাকতে পারে না।” তিনি বলেন, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়—একটি মানবিক রাষ্ট্র চায় যেখানে মানুষ নিরাপদে মতামত প্রকাশ করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, “জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করা রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব। সমাজে এখনো অনেক প্রতিবন্ধী মানুষ বঞ্চিত। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইলচেয়ার বিতরণ করেছি। রাস্তার পাশে ফুটপাতে যারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়, তাদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। ভবিষ্যতেও মানবিক কাজে আমাদের ভূমিকা আরও বাড়ানো হবে।” দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সামনের নির্বাচন জনগণের। দেশের ভবিষ্যৎ আপনারা নির্ধারণ করবেন। যেন কোনো অমানবিক, স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিবাদী সরকার আর এ দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে।” মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন—জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, সদস্য সচিব মামুনুর রহমান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জুয়েল, উপদেষ্টা মনোয়ার হোসেন, বুলবুল আহমেদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এখন একটি বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। মানবাধিকার রক্ষায় রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজকে সমন্বিত ভূমিকা রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। মানববন্ধন শেষে একটি শান্তিপূর্ণ র‌্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সমগ্র কর্মসূচিতে ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
সারা দেশ
বৈঠাখালি মঙল শরী নদীতে কাঠের সেতু নির্মাণ: জনদুর্ভোগে ত্বরিত সাড়া দিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

যাদের জন্য সেতু নির্মাণ, সেই ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের হাতে উদ্বোধন; উপকৃত হবে ৬ গ্রামের হাজারো মানুষ, নেত্রকোণার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা এলাকার জনজীবনে দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় সমস্যা ছিল “বৈঠাখালি মঙ্গল শরি” নদী পারাপার। নদীতে সারা বছর পানি থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হতো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষক, নারী ও সাধারণ পথচারীদের। সরকারি উদ্যোগের অভাবে বহু বছর ধরে এলাকা ছিল অবহেলিত। আর সেই দুর্ভোগের মধ্যেই স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হলো ১০৫ ফুট দীর্ঘ কাঠ-বাঁশের সেতু—যা নির্মাণ করে দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ২৯/১১/২০২৫ ইং নাজিরপুর কৃষক সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দেখতে পান—স্কুলের শ’খানেক ছাত্র-ছাত্রী এবং কয়েকজন শিক্ষক নদীর পাড়ে অসহায়ভাবে অপেক্ষা করছেন। তিনি গাড়ি থামিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান এবং জানতে চান সমস্যার কারণ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কে জানান, স্যার, প্রতিদিনই এই নদী পার হতে গিয়ে আমরা বহু কষ্ট করি। বর্ষায় নৌকা না পেলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ থাকে। গ্রামবাসীর জন্যও নদী পার হওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই কথাগুলো তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নেন—এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশনা ও আশ্বাসে স্থানীয় জনগণ, ছাত্রদের অভিভাবক, যুবসমাজ এবং দলীয় কর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে আসেন। মাত্র একদিনের প্রস্তুতির পরই শুরু হয় সেতু নির্মাণ। ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে শুরু হওয়া এই কাজটি দিনে-রাতে অব্যাহত থাকে। নির্মিত সেতুর বৈশিষ্ট্য—দৈর্ঘ্য: ১০৫ ফুট ,প্রস্থ: ৫ ফুট কাঠ ও বাঁশের সমন্বয়ে মজবুতভাবে তৈরি বর্ষাকালসহ সারা বছর ব্যবহারযোগ্য করে নকশা করা স্থানীয় প্রবীণ নাগরিকদের মতে, “বিগত ৩০ বছরে এমন কাজ কেউ দেখেনি। এত দ্রুত সিদ্ধান্ত, এত দ্রুত কাজ—এটি এলাকার মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।” ১০ ডিসেম্বর: আবেগঘন উদ্বোধন ,মাত্র চার দিনের প্রচেষ্টায় সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে ওঠে। এরপর ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, সেতুটির উদ্বোধনে ছিল অনন্য একটি দৃশ্য—কোনো রাজনৈতিক নেতা বা অতিথি নয়, সেতুটি উদ্বোধন করেন সেই শিশু-কিশোর, শিক্ষক এবং গ্রামবাসী, যাদের দৈনন্দিন জীবনের কষ্ট লাঘবের জন্যই এটি নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী মুহূর্তে উপস্থিত লোকজন বলেন, “এটি শুধু একটি সেতু নয়—এটি আমাদের বাঁচার স্বস্তি, আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা।”৬ গ্রামের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব নতুন সেতুটি চালু হওয়ায় উপকৃত হবে—২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী,পার্শ্ববর্তী জামে মসজিদের অসংখ্য মুসল্লি,কৃষক, দিনমজুর, কর্মজীবী মানুষ,এবং মোট ৬টি গ্রামের সাধারণ মানুষ, যাদের প্রতিদিনের যাতায়াত সহজ ও নিরাপদ হয়েছে। স্থানীয় নারীরা জানান, হাসপাতাল, বাজার ও স্কুলে যেতে আর আগের মতো দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগে প্রশংসা জানিয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন—মানুষের সমস্যা শুনে চুপ থাকা আমাদের কাজ নয়। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি কারণ মানুষের কষ্ট সহ্য হয় না। উন্নয়ন ও মানবসেবা—এই দুটি বিষয়ই আমার অঙ্গীকার। তিনি আরও বলেন,জনগণ সহযোগিতা করলে আরও অনেক এলাকায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলাকার জনপ্রিয় মহল এবং প্রবীণদের মন্তব্য—ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দেখিয়ে দিলেন—উদ্যোগ চাই, কাজ করা সম্ভব। এটি মানুষকে সম্মান দেওয়ার নজির। আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা আজ নিশ্চিত হলো। দুর্গাপুর–কলমাকান্দা অঞ্চলের উন্নয়নে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সক্রিয় ভূমিকা মানুষের মধ্যে নতুন আস্থা সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসা সহায়তা, রাস্তা-মেরামত, সেতু নির্মাণ, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো—সব ক্ষেত্রেই তাঁর কার্যক্রম জনমনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। এই কাঠের সেতু তাই শুধু একটি স্থাপনা নয়—এটি জনকল্যাণমুখী রাজনীতির জীবন্ত উদাহরণ।

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
মা–মেয়ে হত্যা মামলার মূল আসামি আয়েশা গ্রেপ্তার

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যা মামলার মূল আসামি আয়েশা গ্রেপ্তার। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া মূল আসামি গৃহকর্মী আয়েশাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশালের ঝালকাঠির নলছিটি এলাকার একটি আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তেজগাঁও জোনের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আয়েশার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। ঘটনার পর থেকেই তিনি নলছিটি এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের বাসায় লায়লা ফিরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় কথিত গৃহকর্মী আয়েশা। এ ঘটনায় নিহত নাফিসার বাবা আ. জ. ম. আজিজুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি উত্তরা এলাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ঘটনার দিন সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে আয়েশাকে বোরকা পরে লিফটে উঠতে দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে। এরপর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে মুখে মাস্ক, কাঁধে ব্যাগ ও স্কুল ড্রেস পরে ভবন থেকে বেরিয়ে যান তিনি। নিহত নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ ও পেছনে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না—তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
জাতীয়
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫

টাঙ্গাইলে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল থেকেই জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল প্রাণবন্ত ও ব্যস্ততম। দিনটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য র‍্যালী, আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ ‘অদম্য নারী’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‍্যালীটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। বিশিষ্ট নাগরিক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নারী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ, সামাজিক–সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে র‍্যালীটি হয়ে ওঠে বর্ণিল ও প্রাণবন্ত। র‍্যালী শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এবারের বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫ এর প্রতিপাদ্য “নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বক্তারা সমাজে নারী ও কন্যাশিশুর নিরাপত্তা, অধিকার প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সহিংসতা প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ডিজিটাল ক্ষমতায়নকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আলোচনা সভা শেষে ‘অদম্য নারী’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ অদম্য নারীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল। সম্মাননা প্রাপ্ত নারীরা নিজেদের সংগ্রাম, সাফল্য ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরির অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পুরো আয়োজন জুড়ে ছিল নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান। নারীর ক্ষমতায়ন, মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে দিনব্যাপী এ আয়োজন টাঙ্গাইলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
জাতীয়
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৫ পালিত

টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৫ পালিত। সাজিদ পিয়াল: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা : এই স্লোগানকে সামনে রেখে গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ প্রতিপাদ্যে বিভিন্ন আয়োজন।সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও আজ ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদা ও তাৎপর্যের সঙ্গে পালিত হলো আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৫। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইল-এর আয়োজনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়।দিবসের প্রধান কর্মসূচি হিসেবে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বয়ক। এতে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “দুর্নীতি জাতির অগ্রযাত্রার প্রধান বাধা। তরুণ প্রজন্মই পারে এই অনিয়ম-অবিচারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি সুশাসিত ও স্বচ্ছ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।” তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবার ও সমাজে সততা চর্চার পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ শুধুমাত্র দুদকের দায়িত্ব নয়; বরং সমগ্র জাতির সম্মিলিত দায়িত্ব। সবার অংশগ্রহণেই গড়ে উঠবে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ।অনুষ্ঠানে দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রতিপাদ্য—দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা গড়বে আগামীর শুদ্ধতা—এর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। তরুণদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।আলোচনা সভা শেষে দুর্নীতিবিরোধী শপথ গ্রহণ, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, এবং প্রতীকী র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সরকারী কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সাধারণ অংশগ্রহণকারীরা যোগ দেন। দিবসটি উপলক্ষে দুদক টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
জাতীয়
সারা দেশের ন্যায় ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

সারা দেশের ন্যায় ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত । সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলে আলোচনা সভা ও শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস-২০২৫। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক) এবং ভূঞাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে, উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে অংশ নেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি ও সর্বস্তরের মানুষ। র‌্যালির শ্লোগানে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং স্বচ্ছতা-সততার বার্তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। বক্তারা বলেন, দুর্নীতি একটি দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা, নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করা এবং তাদের ইতিবাচক ভূমিকা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। আলোচনা শেষে উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে দুর্নীতি বিরোধী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথে দুর্নীতির বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, সততা ও নৈতিকতার চর্চা এবং সমাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন সবাই। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রচনা, কুইজসহ সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এদিনের কর্মসূচি ভূঞাপুরে দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন সচেতনতার সঞ্চার করে এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানায় আয়োজকরা।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাংগাইলের বাসাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

টাংগাইলের বাসাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত। ০৯/১২/২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার বর্ণাঢ্য র‌্যালি, শপথ গ্রহণ ও আলোচনা সভায় দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বান জানান।টাঙ্গাইলের বাসাইলে যথাযোগ্য মর্যাদা, নানা কর্মসূচি এবং ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস-২০২৫। সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক) এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সকালে উপজেলা চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এতে অংশ নেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। র‌্যালির শ্লোগানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বার্তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। পরে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। বক্তারা বলেন, দুর্নীতি একটি রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। পরিবারের শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিটি স্তরে সততা, স্বচ্ছতা এবং নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব। তারা আরও উল্লেখ করেন, তরুণ প্রজন্মকে সঠিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করে দুর্নীতি প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করাই দীর্ঘমেয়াদী সমাধান। সভা শেষে সকল উপস্থিতির অংশগ্রহণে দুর্নীতি বিরোধী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথে নৈতিকতা চর্চা, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আচরণ এবং যেকোনো ধরণের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেন সবাই।দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা, পোস্টার প্রদর্শনী, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পরে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দিবসটি উদ্‌যাপনের মধ্য দিয়ে বাসাইলবাসীর মাঝে দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন সচেতনতা সৃষ্টি হয়, যা স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
সারা দেশ
নাগরপুর–টাঙ্গাইল সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

সাজিদ পিয়াল: নাগরপুর–টাঙ্গাইল সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন। নাগরপুর থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত সড়কের অবর্ণনীয় ভোগান্তি, দীর্ঘদিনের খানা-খন্দক, এবং চলাচলের চরম দুরবস্থার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও পরিবহনচালকদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টার দিকে নাগরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে তারা দ্রুত সড়ক সংস্কার ও কাজের গতি বাড়ানোর দাবি জানান। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নাগরপুর–টাঙ্গাইল প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, খানাখন্দে যাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে যানবাহন, আর ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন সময় সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। তাই অবিলম্বে রাস্তার কাজ শুরু করে দ্রুত শেষ করার দাবি জানান তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন সংগঠনগুলো। মানববন্ধনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে সরকারি এম এম আলী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি
শিক্ষাঙ্গন
টাঙ্গাইলে সরকারি এম এম আলী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি

টাঙ্গাইলের সরকারি এম এম আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আসাদুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যেমন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নবাব আলী, ছাত্রদলের নেতা রানা আহমেদ, ইব্রাহিম খান বাদশা, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা সজীব হাসান, ছাত্র শক্তির নেতা মাহতাব খান ভাসানী ও ছাত্রদলের নেতা হাবিব প্রমুখ। ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নবাব আলী স্মারকলিপি প্রদানকালে বলেন, “আমাদের অধ্যক্ষ স্যারকে বিনীত শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই যে, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, শৃঙ্খলা এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র সংসদ কেবল নির্বাচিত কমিটি নয়; এটি শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশ, সমস্যা সমাধান, সাংস্কৃতিক এবং সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার একটি গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম।” নবাব আলী আরও বলেন, “আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আসাদুজ্জামান স্যার আপনার সদয় উদ্যোগে আমাদের কলেজে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন। এটি শিক্ষার্থীদের অধিকারকে সম্মান জানাবে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আরও সুন্দর, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সমৃদ্ধ করবে।” ছাত্রদের দাবি, কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব অনুষ্ঠিত হলে শিক্ষার্থীরা তাদের নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পাবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, প্রশাসন তাদের এই বৈধ দাবি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষের দাবিতে নাগরপুরে মানববন্ধন
সারা দেশ
টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষের দাবিতে নাগরপুরে মানববন্ধন

আজ ৭ ডিসেম্বর রোববার সকালে টাঙ্গাইলের নাগরপুর সরকারি কলেজের সামনে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নাগরপুরের জনসাধারণ। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ অংশ নেন। নাগরপুর-টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন কাজের নামে অচল হয়ে আছে। সড়ক প্রশস্তকরণ ও নতুনভাবে সংস্কারের লক্ষে কয়েক বছর আগে সড়কের দু’পাশের গাছ কেটে ফেলা হয় এবং রাস্তার উপরিভাগ খুঁড়ে কাজ শুরুর পর অল্প কিছু অংশে নামমাত্র কাজ করে পুরো প্রকল্পটি কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। ফলে নাগরপুর থেকে টাঙ্গাইল বা মানিকগঞ্জমুখী যাত্রীদের প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে রাস্তার খানাখন্দে জলাবদ্ধতা আর শুকনা মৌসুমে ধুলাবালিতে পথচারী ও যানবাহন চালকদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করলেও এ ভোগান্তি যেন চিরস্থায়ী রূপ নিয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “এই সড়কটি নাগরপুরবাসীর একমাত্র ভরসা। কিন্তু বছরের পর বছর সংস্কারের নাম করে কাজ বন্ধ রেখে আমাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। রোগী, শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী মানুষের জীবন প্রতিদিন ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যায়।” তারা আরও বলেন, “দ্রুত প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ শুরু না করলে আগামীতে আরও বড় আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।” এসময় ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নাগরপুর শাখার সভাপতি মো. বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আল-আমিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মো. রানা হাসান, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সিএনজি ও অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অবিলম্বে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে নাগরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
সারা দেশ
কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত

কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে ফেরার পথে ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাওহীদ (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। রবিবার ভোরে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পাকুটিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তাওহীদ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শীতের সকালে খেজুরের রস খেতে তাওহীদ ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে ধানগড়া এলাকায় যায়। তারা রস খেয়ে বাড়ির পথে ফিরছিল। পাকুটিয়া বেইলি ব্রিজে উঠতেই হঠাৎ মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ব্রিজের লোহার রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খায়। ধাক্কা এতটাই শক্ত ছিল যে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তাওহীদ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা দুই কিশোর—জিহাদ ও হাসান—গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। কালিহাতী থানার ওসি জানান, অতিরিক্ত গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্থানীয়রা জানান, শীতকালে ধানগড়া ও আশপাশের এলাকায় খেজুরের রস খেতে ভোরে ভোরে কিশোর-যুবকদের ভিড় থাকে। কিন্তু রাস্তার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ না থাকা ও ব্রিজে বাম্পার বা সতর্কতা ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। হঠাৎ ফুলেলের কিশোরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা তাওহীদের অসময়ে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তারা ব্রিজে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
শিক্ষাঙ্গন
সিরাজগঞ্জে নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সিরাজগঞ্জ জেলায় নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কড্ডার মোড়ের তাহফিজুল কোরআন শিক্ষা একাডেমী ও মহিলা মাদরাসা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী, মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি রবিউল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল উপজেলা জিম্মাদার মাওলানা জুবায়ের, সিরাজগঞ্জ জেলা জিম্মাদার আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ সদর জিম্মাদার হাফেজ আবুহানিফ, গোপালপুর জয়নগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মোজাম্মেল হক এবং মুফতি ফয়সাল আহমেদসহ স্থানীয় মাদরাসা শিক্ষকেরা। ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও ময়মনসিংহ—চার জেলার মোট ২৫টি উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী জানান, ২০১৭ সাল থেকে তারা বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করে আসছেন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদেরও সম্মাননা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0
“প্রত্যেকটি অবদানই গুরুত্বপূর্ণ”— এই প্রতিপাদ্যে ঘাটাইলে উৎসবমুখর স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালন
সারা দেশ
“প্রত্যেকটি অবদানই গুরুত্বপূর্ণ”— এই প্রতিপাদ্যে ঘাটাইলে উৎসবমুখর স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালন

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে “প্রত্যেকটি অবদানই গুরুত্বপূর্ণ” প্রতিপাদ্যে নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। গুডনেইবারস বাংলাদেশ ঘাটাইল সিডিপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বেচ্ছাসেবার মর্মবাণী ছড়িয়ে দেন স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের পাকুটিয়া পাবলিক মডেল হাই স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে গুড নেইবারস ইয়ুথ সদস্যদের অংশগ্রহণে বের হয় এক প্রাণবন্ত র‍্যালি। র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা স্বেচ্ছাসেবা, মানবিক মূল্যবোধ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বিষয়ে নানা বার্তা সম্বলিত ব্যানার ও প্লকার্ড প্রদর্শন করেন। র‍্যালিকে ঘিরে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে উৎসর্গ, ঐক্য ও মানবসেবার মূল্যবোধে। পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব, সমাজে যুবসমাজের অবদান, কমিউনিটি উন্নয়ন ও পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। গুডনেইবারস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিডিসি’র ভাইস চেয়ারপার্সন ড. ফনীন্দ্র লাল পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাকুটিয়া মডেল পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরজিৎ কুমার। বক্তারা বলেন, স্বেচ্ছাসেবীরা সমাজের প্রকৃত পরিবর্তনকারী—তাদের একেকটি উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আলোচনা সভার পাশাপাশি আয়োজন করা হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যেখানে স্থানীয় শিল্পী ও শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবা ও মানবিকতার বার্তা বহনকারী গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এতে অনুষ্ঠানস্থলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে কমিউনিটিতে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে পরিচালিত হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ঝাড়ু দেওয়া, আবর্জনা সংগ্রহ ও বর্জ্য পৃথকীকরণে স্থানীয়দের সচেতন করেন। পরিবেশবান্ধব আচরণ উৎসাহিত করতে গুড নেইবারস বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে পাকুটিয়া মডেল পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়কে রিসাইকেলযোগ্য ও সাধারণ বর্জ্যের জন্য দুটি ৬০ লিটারের ডাস্টবিন উপহার দেওয়া হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগকে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে গুড নেইবারস বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের শেষাংশে গুডনেইবারস বাংলাদেশ ঘাটাইল সিডিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বেচ্ছাসেবাকে তারা সামাজিক পরিবর্তনের মূল শক্তি মনে করে। ভবিষ্যতেও শিশু, কিশোর, যুব ও কমিউনিটি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0
আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা, জনদুর্ভোগ চরমে
সারা দেশ
আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা, জনদুর্ভোগ চরমে

টাঙ্গাইলের আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর হয়ে সদর পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নয়ন ও প্রসারণ প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০২4 সালের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও প্রকল্পের অগ্রগতি ‘কচ্ছপ গতির’ বেশি নয়। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, এলাইমেন্ট নকশায় বারবার পরিবর্তন, বনবিভাগের গাছের মূল্য নির্ধারণে বিলম্ব ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের অসহযোগিতা—সব মিলিয়ে প্রকল্পটি এখন প্রায় স্থবির। এতে শুধু দৈনিক যাতায়াতকারীরাই নয়, বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন ও জরুরি সেবাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ দেরিতে হওয়ায় মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে মাটি ভরাট করে রেখে দেওয়া, নির্মাণ সামগ্রী স্তূপ করে রাখা, পুরাতন রাস্তায় বিশাল গর্ত—এসব কারণে রাস্তার অবস্থা এখন ভয়াবহ।জরুরি রোগী পরিবহন, শিক্ষক–শিক্ষার্থীর দৈনিক যাতায়াত, কৃষিপণ্য ও শিল্পপণ্যের ট্রাক—সবাই একই দুর্ভোগের শিকার। দেলদুয়ার, নাগরপুর ও টাঙ্গাইল সদরের একমাত্র কানেক্টিং আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রায় ব্যবহার-অনুপযোগী। কয়েক লক্ষাধিক মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় এ পথ দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। অনেক চালকদের মতে, “এই রাস্তায় গাড়ি ওঠা মানেই ক্ষতির ঝুঁকি।” টাঙ্গাইল জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখা জানায়—মোট ৪৬টি মৌজায় ২৪৫.৫৫৭৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় তিন বছর ধরে চললেও পুরোপুরি শেষ হয়নি এখনো। কেস নং ৩২, ৩৩ ও ৩৪–এর ক্ষতিপূরণ প্রদান চলমান কেস ৩১–এর আওতায় অলোয়া, বরটিয়া ও ভবানী এলাকায় ৮ ধারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে।কেস নং ২২, ২৩, ২৫, ২৬ ও ৩০–এ আপত্তি শুনানি ও তদন্ত চলছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জমির মূল্যহার পাঠানো হয়নি—চাষাভাদ্রা, সাটিয়াগাজী, আররা কুমেদ, ভাদ্রা, টেংরীপাড়াসওজের এলাইমেন্ট নকশা আটকে আছে—দুয়াজানি, বাড়াপুষা, কাঠুরি, বাবনাপাড়া, ঘিওরকোল, ডাঙ্গা।বনবিভাগের গাছের মূল্য নির্ধারণে বিলম্বে কেস নং ১৫ ও ২৪ স্থবির।এই দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত জমির মালিকরা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং সবচেয়ে বেশি—সাধারণ মানুষ। সিএনজি যাত্রী জাহানারা আক্তার বলেন— “প্রতিদিন টাঙ্গাইল শহরে যাওয়ার জন্য এ পথ ব্যবহার করি। পাঁচ মিনিটের ঝাঁকুনিতেই মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। জরুরি প্রয়োজনে ছাড়া আমরা আর শহরে যেতে চাই না।” ট্রাকচালক শহীদ মিয়া বলেন— “বড় বড় গর্তে ভরা রাস্তা। গাড়ির হায়াত কমে যায়, দুর্ঘটনা বাড়ে, খরচ বাড়ে। এই রাস্তায় ট্রাক নিয়ে চলা মানেই ঝুঁকি।” এনডিই-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আবু তালিব ফাহমিদুর রহমান জানান— “শুধু মানুষই ভুক্তভোগী নয়, আমাদের প্রতিষ্ঠানেরও লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শ্রমিক, মাটি বহন, উপকরণ পরিবহন—সব ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে। পুরোপুরি কাজ শুরু করতে না পারায় প্রকল্প অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত।” টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান জানান— “দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন বিলম্বে কাজ থমকে গেছে। তবে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই কাজের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” এদিকে ১৬৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্পে শুধু টাঙ্গাইল অংশের জন্য বরাদ্দ ১১৩৫ কোটি টাকার বেশি। চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান—ডিয়েনকো, হাসান টেকনো, মীর ব্রাদার্স ও এনডিই—প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান— “ডিসি স্যারের বিশেষ নজরদারিতে সব জটিলতা দ্রুতই সমাধান করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দ্রুতই প্রদান করা সম্ভব হবে। নাগরপুর, দেলদুয়ার, ঘাটাইল, দৌলতপুর অঞ্চলের মানুষ বহু বছর ধরে অপেক্ষায়। কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল–কলেজে যাতায়াত, রোগী পরিবহন—সবখানে এই পথের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয়দের একটাই দাবি— “রাজনৈতিক জটিলতা, ফাইল–পত্র আর বিভাগীয় সিদ্ধান্তে যদি রাস্তা আটকে থাকে, তবে ক্ষতি হয় শুধু আমজনতারই।” অনেকেই আশা করছেন—মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে আগামী দুই বছরের মধ্যেই মহাসড়কটি আধুনিক ও নিরাপদ সড়ক হিসেবে চালু হবে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে