(সাজিদ পিয়াল)- গোপালপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা—এই প্রতিপাদ্যে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টাঙ্গাইল কার্যালয় ও গোপালপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির যৌথ আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় গোপালপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নবাব আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন গোপালপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন। সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান সিকদার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৌরভ কুমার দে, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জুবায়েরুল হক, গোপালপুর প্রেসক্লাবের সম্পাদক অটল শরিয়ত উল্লাহ, সূতী ভিএম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান, উপজেলা অবসর কল্যাণ সমিতির সভাপতি আহমেদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ উদ্দিন, লাইটহাউজ স্কুলের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান তালুকদারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। বক্তারা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতা অপরিহার্য। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করে নৈতিকতা ও স্বচ্ছতার চর্চা জোরদার করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
সখীপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে একটি মাটি খননযন্ত্র জব্দ করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর নাম আতোয়ার রহমান (৩৮)। তিনি উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুন নাহার শিলা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় আতোয়ার রহমানকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, আতোয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলেই আদালত বসিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডাদেশ কার্যকরের পর বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে আতোয়ার রহমানকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুন নাহার শিলা জানান, অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে। পরিবেশ ও কৃষিজমি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মর্যাদাপূর্ণভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (১৪ ডিসেম্বর) এবং মহান বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তুহিন হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নবাব আলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, উপজেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. গোলাম মোর্শেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খাইরুল আলম, গোপালপুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম তালুকদার লেলিন, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বক্তারা বলেন, বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাযজ্ঞ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। নতুন প্রজন্মের কাছে শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমা তুলে ধরতে এসব কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার আহ্বান জানান। উপজেলা প্রশাসন জানায়, দিবসগুলোকে সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে পালন করতে সকল দপ্তর, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ চত্বরে শিশুদের বিনোদনের জন্য নির্মিত উপজেলা পরিষদ শিশু পার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পার্কের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আকলিমা বেগম। ফিতা কেটে উদ্বোধনের মাধ্যমে শিশুদের জন্য আনন্দ ও বিনোদনের নতুন এই কেন্দ্রটি উন্মুক্ত করা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা, বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাত্তাউর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বীথি, উপজেলা কৃষি অফিসার শাহজাহান আলী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আল আমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও আকলিমা বেগম বলেন, “শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও মানসম্মত বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা ছিল সময়ের দাবি। শিশু পার্কটি শুধু বিনোদন নয়, সুস্থ-সবল মানস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” শিশুদের খেলাধুলা ও আনন্দের জন্য নির্মিত এ পার্কটিতে বিভিন্ন রাইড, দোলনা, স্লাইড, বসার ব্যবস্থা ও সবুজ পরিবেশ রাখা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পার্কটি শিশুদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। স্থানীয় অভিভাবক ও উপস্থিত অতিথিরা শিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
টাঙ্গাইলে নতুন রূপে উন্মুক্ত হলো পাঠকবান্ধব পাবলিক লাইব্রেরি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি নতুন রূপে পাঠক-সমাজের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া ইন্টেরিয়র উন্নয়ন, আধুনিক সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে লাইব্রেরিটি এখন আরও আকর্ষণীয় ও পাঠকবান্ধব রূপ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবনির্মিত লাইব্রেরিটির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত মোহাম্মদ নোমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে তিনি বলেন,“একটি আধুনিক ও পাঠকবান্ধব লাইব্রেরি গড়ে তোলা আমাদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল। তরুণ প্রজন্মের জ্ঞানচর্চা এবং মানসিক বিকাশে এই লাইব্রেরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”তিনি আরও উল্লেখ করেন, নতুন পরিবেশ শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরিমুখী করবে এবং নাগরপুরে জ্ঞানচর্চার নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী তোরাপ আলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিজ উদ্দিন,নাগরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান বকুল,এ ছাড়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পাঠকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। নাগরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করে নতুন রূপে সাজানো এই লাইব্রেরি জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে একটি উজ্জ্বল ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।পাবলিক লাইব্রেরিকে আরও পাঠকবান্ধব করার লক্ষ্যে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে ইন্টেরিয়র ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। সংস্কার কাজ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফিতা কেটে নতুন করে লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত মোহাম্মদ নোমান।উদ্বোধনকালে ইউএনও আরাফাত মোহাম্মদ নোমান বলেন, একটি আধুনিক ও পাঠকবান্ধব লাইব্রেরি গড়ে তোলা আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। তরুণ প্রজন্মের জ্ঞানচর্চা ও মানসিক বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন রূপে সাজানো লাইব্রেরি শিক্ষার্থীদের আরও আকৃষ্ট করবে এবং নাগরপুরে জ্ঞানচর্চার নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার, এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী তোরাপ আলী, সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিজ উদ্দিন, নাগরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান বকুল প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা মৌজায় লায়ন ফেরদৌস আলম স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও শিল্পপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ২২ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাজু আহম্মেদ ভুইয়া কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজু আহম্মেদ ভুইয়া (পিতা: মৃত হাসান আলী ভুইয়া) ওয়ারিশ সূত্রে গান্ধিনা মৌজার এসএ খতিয়ান নং ৬৫০-এর দাগ নং ১২৪৭, ১২৪৮ ও ১২৪৯—এই তিনটি দাগে মোট ৬৬ শতক জমির মধ্যে ২২ শতাংশ জমির মালিক হন। অভিযোগকারী জানান, উক্ত জমির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের খাজনাও তিনি পরিশোধ করেছেন। রাজুর অভিযোগ, শিল্পপতি লায়ন ফেরদৌস আলম ফিরোজ প্রভাব খাটিয়ে তার মালিকানাধীন ২২ শতাংশ জমিতে জোরপূর্বক টিনশেড ঘর নির্মাণ করে দোকান হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। বিষয়টিকে তিনি সম্পূর্ণ অবৈধ ও অযৌক্তিক দাবি করেছেন। প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রতিকার না পেয়ে তিনি এসিল্যান্ডের কাছে অভিযোগ করতে বাধ্য হন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ফেরদৌস আলম ফিরোজ এলাকার একজন শিল্পপতি ও বিত্তশালী ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ২২ শতাংশ জমি দখলের ঘটনাটি তাদের অবাক করেছে। তাদের মতে, দখলকৃত জমির প্রকৃত মূল্য পরিশোধ করে সমঝোতায় আসাই তার জন্য মঙ্গলজনক হবে। অভিযোগকারী রাজু আহম্মেদ ভুইয়া বলেন, আমার ২২ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি তিনি জোর করে দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। প্রতিকার চেয়ে এসিল্যান্ড মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করেছি। অভিযোগের বিষয়ে লায়ন ফেরদৌস আলম ফিরোজের সঙ্গে সরেজমিন ও মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নাগবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) মো. কামরুজ্জামান জানান, এসিল্যান্ড অফিস থেকে অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে সরেজমিন তদন্ত করেছি। খুব দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা জানান, তিনি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি এখনো অবগত নয়। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তারুণ্যের উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৫-২৬ আর্থিক সালের আওতায় টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় নাগরপুর উপজেলায় অনূর্ধ্ব-১৬ বালকদের ব্যাডমিন্টন ও ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নাগরপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় উপজেলা চত্বরে জেলা ক্রীড়া অফিস ফাইনাল খেলার আয়োজন করে। টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া অফিসার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত মোহাম্মদ নোমান। এ সময় নাগরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক. উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মিজানুর রহমান লাভলু, জাহিদ হাসান, এরশাদ মিয়া, রাজীব মিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খেলা শেষে ব্যাডমিন্টন ও ভলিবল ফাইনালের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত মোহাম্মদ
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের থালনা দক্ষিণপাড়ায় এক অসহায় পরিবারের ওপর চরম হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় এক চিটার ও মামলাবাজ চক্রের নেতৃত্বে চলছে এই অমানবিক নির্যাতন। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন কুখ্যাত প্রতারক কার্তিক চন্দ্র সরকার—যিনি তার সহযোগীদের নিয়ে নিরীহ ও গরিব গাজী পরিবারকে বারবার মিথ্যা মামলা ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বিপর্যস্ত করে তুলেছেন। থালনা দক্ষিণপাড়ার ইউসুফপুর গ্রামের আলী বাক্স গাজীর দুই ছেলে আকিম গাজী (৩৬) ও তকিম গাজী (৩৮) বহু বছর ধরে সরকারি পজিশন জমিতে একটি ছোট টিনের ঘর ও সিমেন্ট পাইপের ছাউনি দেওয়া ছাপড়া ঘরে বসবাস করে আসছেন। এই জায়গায় বসবাসের জন্য তারা এক সময় স্থানীয়দের পরামর্শে টাকা দিয়ে বসবাসের অনুমতি পান। কিন্তু পরবর্তীতে কার্তিক চন্দ্র সরকার পুনরায় অর্থ দাবি করলে গাজী পরিবার তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেই থেকেই শুরু হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ, মামলা ও ষড়যন্ত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,“থালনা দক্ষিণপাড়া সর্বজনীন শ্মশান ঘাট ও শ্রীশ্রী তারকনাথ বাবার ধাম কমিটি”র নাম ব্যবহার করে কার্তিক চক্র বিভিন্ন সময় এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি প্রশাসনের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে পরিবারকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করারও চেষ্টা চালায়। সরজমিনে গেলে দেখা যায়, উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। ভাঙা টিনের টুকরো, সিমেন্ট পাইপের ভাঙা অংশ আর কান্নায় ভেজা এক পরিবার—এই যেন প্রতারণার এক বাস্তব চিত্র।পরিবারের সদস্যরা বলেন, “আমরা কারও জায়গা দখল করিনি, বৈধভাবে এখানে ছিলাম। হঠাৎ একদিন উচ্ছেদের নামে আমাদের মাথার ওপরের ছাউনিটা পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হলো। এখন আমরা পথে বসে আছি।স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনি, আজিজুর রহমান, জয়ন্ত কুমার ও নজরুল ইসলাম জানান “এই পরিবার শান্তিপ্রিয় ও পরিশ্রমী মানুষ। চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকার ও তার দলবল টাকার লোভে পড়ে এই পরিবারটিকে উচ্ছেদ করিয়েছে। প্রশাসন যেন প্রকৃত সত্য যাচাই করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। অভিযোগ রয়েছে, গত ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গাজী পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের প্রভাব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে প্রকৃত সত্য যাচাই ছাড়াই অভিযানটি পরিচালিত হয়।স্থানীয়রা দাবি করেন,“চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকার ও তার মামলাবাজ চক্রকে আইনের আওতায় আনা না হলে, তারা আরও নিরীহ পরিবারকে একইভাবে সর্বস্বান্ত করবে। এলাকাবাসী প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে তদন্ত ও অবিলম্বে চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকারসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন,ন্যায়বিচার পেলে শুধু একটি পরিবারই নয়, পুরো এলাকা প্রতারক ও মামলাবাজদের হাত থেকে মুক্তি পাবে।এ বিষয়ে অসহায় দিনমজুর আকিম গাজী ও তকিম গাজী তারা বলেন" চাম্পাফুল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম সহ একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি জানেন এই চিটার কার্তিক চন্দ্র আমার কাছে এই পজিশনের সরকারি জায়গাটি বিক্রি করে টাকা নিয়ে তারপরে আবারো টাকার দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকার করাই ,আমার নামে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিতে থাকেন বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী ও জানেন। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়, ফলে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলের বাসাইলে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই দোকান মালিককে জরিমানা করেছেন। গত ১০ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে এই অভিযান চালানো হয় এবং দুই দোকান মালিককে মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাসাইল পৌর শহরে পরিচালিত এই অভিযানে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় এই জরিমানা আদায় করা হয়। এই ধরনের দাহ্য পদার্থ যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখ্য, সরকার সম্প্রতি রাস্তার পাশে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে, কারণ এই তেল দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে পারে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে।টাঙ্গাইলের বাসাইলে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ সঠিকভাবে অনুমোদন না থাকার অপরাধে দুই দোকান মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা। জানা গেছে, দুপুুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় দাহ্য পদার্থ অনুমতি ব্যতীত খোলা বাজারে বিক্রি করার অপরাধে দোকান মালিক এমদাদুল হক ও আফাজ মিয়াকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতীত খোলা বাজারে বিক্রি করায় দুজন দোকান মালিককে পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৬ এর ৪ (ক) (খ) ধারা লঙ্ঘনে ২০ ধারায় ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাশিল বটতলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে অবৈধ জাল বিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে একটি চক্র। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার কাশিল বটতলা এলাকায় অবৈধ জাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর। এসময় প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা। অভিযানের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুল ইসলামসহ বাসাইল থানার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং মৎস্য দপ্তরের কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ছোট মাছ, মা মাছ রক্ষার্থে এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ এ ধরণের জালের ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার যমুনা নদীতে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান’ পরিচালনা করেছে প্রশাসন। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনব্যাপী সদর উপজেলার কাকুয়া ও মাহমুদনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেওয়ান আসিফ পেলে। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান চলাকালে প্রায় ১৩ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে এসব জাল জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মা ইলিশ রক্ষায় ও জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর বাস্তবায়নে প্রায় ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ- সুবিধাসম্পন্ন এই ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। নতুন ভবনটি নির্মিত হলে সাধারণ মানুষের ভূমি-সংক্রান্ত সেবা গ্রহণে গতি আসবে এবং স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপস্থিত বক্তারা। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন,উপ-সহকারী প্রকৌশলী সজল কুমার রায়,ঠিকাদার ইলিয়াস হোসেন,ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, “সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। এই ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে মৌতলা ইউনিয়নের মানুষ দ্রুত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ভূমি সেবা পাবে। এ জন্য সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।” কালিগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাগদা চিংড়িতে জেলি ও ভেজাল পদার্থ পুশ করার অপরাধে এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। একইসাথে জব্দকৃত ২৫ কেজি চিংড়ি পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৪৫), পিতা: শেখ হোসেন আলী, বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশ করার অপরাধে হাতেনাতে ধরা পড়েন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং খাদ্য নিরাপত্তা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। আদালত নির্দেশে জব্দকৃত ২৫ কেজি বাগদা চিংড়ি অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, “চিংড়িতে পুশ করা এক ধরনের প্রতারণা। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং দেশের সুনামের জন্যও হুমকি। খাদ্যে ভেজাল কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” অভিযানে কালিগঞ্জ থানার এসআই সমির গাইনসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “চিংড়ি আমাদের রপ্তানির অন্যতম গৌরবময় পণ্য। এখানে ভেজাল হলে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে। প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।