মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন জানান, সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের তথ্যপ্রযুক্তি এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মাদক কারবারীরা টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানাধীন অরণখোলা এলাকায় বিপুল পরিমাণে অবৈধ মাদক দ্রব্য গাঁজা নিজেদের হেফাজতে রেখে কেনাবেচা করছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধারের লক্ষ্যে মঙ্গলব্রা (৯ ডিসেম্বর) ভোর রাতে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলের একটি চৌকস আভিধানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।টাঙ্গাইলে র্যাব-১৪ এর সাম্প্রতিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে এবং একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ অভিযানে মধুপুর উপজেলা থেকে ১২৭ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১২৭ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৪) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থেকে পৃথক অভিযানে ৫ হাজার ২৮ পিস ইয়াবা এবং ৬৬ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. আকরাম হোসেন (৪০) ও মো. জুয়েল খান (৩৮)। ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৪৬০ গ্রাম হেরোইনসহ মোঃ তোহর আলী (৬০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র্যাব।র্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওসার বাঁধন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এবং মাদকবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মানবিক সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মাঠপর্যায়ে তার সক্রিয়তা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং মানবিক উদ্যোগ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার মুখে থাকা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো তার অন্যতম মানবিক কর্মকাণ্ড। ইউএনও খায়রুল ইসলামের আর্থিক সহায়তা ও উৎসাহে অনেক শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরা জানান, তার সহযোগিতা না থাকলে অনেকের শিক্ষাজীবন থেমে যেত। এতে পুরো এলাকায় তৈরি হয়েছে স্বস্তি ও আশার বাতাবরণ। কালিহাতী উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইট, সেলফি কর্নার “আমাদের ভালবাসা কালিহাতী” এবং বিভিন্ন জনবান্ধব সুবিধা। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধক ফুলের গাছ। পৌর এলাকায় নতুন সড়ক বাতি স্থাপনের ফলে বেড়েছে রাতের নিরাপত্তা। জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও’র কার্যকরী উদ্যোগ এলাকার মানুষের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে এসেছে। চুরি-ছিনতাই রোধে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিভিন্ন নির্মাণকাজ সরেজমিনে তদারকি—সব মিলিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতায় ইউএনও খায়রুল ইসলাম ইতোমধ্যেই নজর কাড়েছেন। এলাকাবাসী জানান, যে কোনো সমস্যা জানামাত্রই ইউএনও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন—রাস্তার সমস্যা, জনদুর্ভোগ বা অবৈধ কার্যক্রম, সব ক্ষেত্রে তার উপস্থিতি দ্রুত সমাধান নিয়ে এসেছে। এলাকাবাসীর কাছে তার কাছে সমস্যা জানালে সমাধান নিশ্চিত হওয়াটাই সবচেয়ে বড় স্বস্তি। মানবিকতা, কর্মদক্ষতা ও দায়িত্ববোধের কারণে ইউএনও খায়রুল ইসলাম ইতোমধ্যেই একজন কর্মবীর ইউএনও এবং প্রশাসক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে কালিহাতীর উন্নয়নচিত্র আরও এগিয়ে যাবে সামনের দিনে। উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন, শৃঙ্খলা, জনসেবা ও মানবিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ইউএনও খায়রুল ইসলামের উদ্যোগ এখন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তার দায়িত্বশীলতা, দ্রুত পদক্ষেপ ও জনবান্ধব মনোভাব সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রতারণার মামলায় আশিক (৩২) নামে এক আদম ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আশিক কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের দ্বিমুখা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালিহাতী আমলী আদালতের বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার গৌরাঙ্গী গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর আশিক, তার স্ত্রী সুমি আক্তার ও শ্বশুর সোহরাব আলীর নামে প্রতারণার মামলা করেন। অভিযুক্ত আশিক ওমানে অবস্থান করে স্ত্রী ও শ্বশুরের মাধ্যমে পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকায় ওমানের বিজনেস ভিসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। নারান্দিয়া ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার মাধ্যমে আশিকের স্ত্রী ও শ্বশুর বাদীর কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। বাদী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “আশিক ওমানে থাকা অবস্থায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিজনেস ভিসা দেওয়ার চুক্তি করেন। তার স্ত্রী ও শ্বশুরের মাধ্যমে আমি নগদ ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করি। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও ভিসা না দিয়ে আশিক তালবাহানা শুরু করে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে মামলার ভয়ভীতি দেখানো হয়।” তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টি আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা হলেও আশিক কোনোভাবে সমাধানে আসেনি; বরং হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি।” মামলার পর আশিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত তা খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে আশিকের প্রতারণার শিকার আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের জানান, আশিক তাদের ওমানে নিয়ে সাপ্লাই কোম্পানিতে বিক্রি করে দেয়। ঘাটাইলের মাহবুব আলম, মকবুল হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন এবং কালিহাতীর সাব্বির হোসেন বলেন, “আশিকের প্রতারণায় আমরা সর্বস্ব হারিয়ে আজ নিঃস্ব। তার কঠোর শাস্তি চাই।” ওমান থেকে ভুক্তভোগী পারভেজ হোসেন জানান, “৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় ভালো কাজের কথা বলে আমাকে ওমানে এনে সাপ্লাই কোম্পানিতে বিক্রি করে দেয় আশিক। পরে নিজে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। আমি এখন প্রচণ্ড কষ্টে আছি। দেশে ফেরার মতো সামর্থ্যও নেই। আশিকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।” প্রতারণার ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আশিকের বিরুদ্ধে আরও বিদেশগমন সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বলেও জানা গেছে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকানদার গফুর আলীর মর্মান্তিক মৃত্যু। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গফুর আলী (৬০) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত গফুর আলী কোকডহরা ইউনিয়নের দত্তগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং হবিবুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই গফুর আলী তার তেলের দোকানে কাজ করছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুনের তীব্রতায় দোকানের ভেতর আটকা পড়ে যান গফুর আলী। স্থানীয়রা মরিয়া হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও আগুনের দাপটে কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী বাজার ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পাই। দ্রুত দৌড়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে গফুর ভাই বের হতে পারেননি। চোখের সামনে মানুষের মৃত্যু দেখতে হল, কিছুই করতে পারলাম না।” বাজার কমিটির সভাপতি মো. ফজলু তালুকদার জানান, “আগুন লাগার পর মুহূর্তেই দোকানটি জ্বলতে থাকে। আমরা চিৎকার করে সবাইকে খবর দেই। কিন্তু গফুর ভাই আটকা পড়ে ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস এসে ১০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তখনো সব শেষ।” খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালিহাতী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। স্টেশন কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান, “দোকানের ভেতরে আটকে পড়েই গফুর আলী দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অন্য কোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।” ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আগুনে গফুর আলীর দোকানের দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। দোকানটি সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় কাগুজিপাড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাজারে ব্যবসা করে আসা গফুর আলী সকলের কাছে একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে সহকর্মী ব্যবসায়ীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা বড় আকার ধারণ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে বাজারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বৃহৎ পরিসরে গণদোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে গোহালিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অনুষ্ঠিত এ গণদোয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলে দলে নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়ে অংশ নেন। গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এবং বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোর পক্ষ থেকে আয়োজন করা এ অনুষ্ঠানে এলাকাজুড়ে ছিল স্বতঃস্ফূর্ততার ছাপ। সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারলেও বেনজীর আহমেদ টিটো মুঠোফোনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গণদোয়ায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য আমাদের সম্মিলিত দোয়া অত্যন্ত জরুরি। সবাই তাঁর আরোগ্যের জন্য আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করবেন।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (ভিপি রফিক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বালা ও শামীম প্রামাণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আতোয়ার রহমান তালুকদার লিটন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, ভারপ্রাপ্ত সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা। এছাড়াও গণদোয়ায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির দক্ষিণ আফ্রিকা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লিটন, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান লেলিন, কালিহাতী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওয়াদুদ তৌহিদ, এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মিনু, পাইকড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা আজ দেশে গণমানুষের প্রত্যাশা। তাঁকে ভালোবাসেন দেশের আপামর জনতা। তাই তাঁর রোগমুক্তি কামনায় আজকের এই গণদোয়া মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধারই প্রতিফলন। তারা আরও বলেন, দলের নেত্রী সুস্থ হয়ে আবার রাজপথে ফিরে আসবেন—এটাই সবার কামনা। গণদোয়া ও মোনাজাতে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দোয়া মাহফিলের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
১৩৩, টাঙ্গাইল ৪ কালিহাতী আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত।এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনসভার আয়োজন করা হয়।উক্ত জনসভায় সভাপতি হিসেবে ছিলেন কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহব্বায়কও বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর মাহমুদ ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কৃষিবিদ এস এম এ খালিদ । তা ছাড়াও উক্ত জনসভায় বক্তব্য রাখেন এলেঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র শাফী খান, টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রফেসর এ কে এম আব্দুল আওয়াল, মালেশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম- আহ্বায়ক মোহর আলী, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা খাতুন এবং কালিহাতীর বিভিন্ন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানগন সহ কালিহাতী উপজেলা বিএনপিও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুৎফর রহমান মতিন নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন" দেশ নেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে দেশ দ্রুত গতিতে অগ্রসর হবে এবং আমরা সকলেই ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করে যেন টাঙ্গাইল-৪ অর্থাৎ আমাদের কালিহাতী আসনটি ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারি"।
১৩৩,টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য লুৎফর রহমান মতিনের এলেঙ্গা জনসভাকে সফল করতে গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ১৫টি বাসের বহর নিয়ে মহাসমারোহে জনসভায় যোগ দেন। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মতিউল আলম তালুকদার। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আতিকুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবলু তালুকদার, কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ইমরান হোসেন তালুকদার, কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবদল নেতা আল-আমিন শিকদারসহ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও কৃষক দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী। নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে মিছিলটি জনসমুদ্রে পরিণত হয় এবং এলাকায় উৎসব মুখর অবস্থা তৈরি হয়।
১৩৩,টাঙ্গাইল ৪ (কালিহাতি) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জননেতা জনাব লুৎফর রহমান মতিন ভাইয়ের পক্ষে- ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহব্বান জানিয়ে পাইকরা ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, টাংগাইল জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও কালিহাতী উপজেলার বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক শুকুর মাহমুদ, টাংগাইল জেলা শহীদ জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল ,কালিহাতি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক হিরো, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ খালিদ মাহমুদ, কালিহাতী উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক কালিহাতী ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক যুবদল নেতা শেখ আমিনুর ইসলাম। এছাড়াও কালিহাতী উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
১৩৩, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত প্রার্থী , বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন এর নির্বাচনী কর্মী সভার আয়োজন করে হয় এলেঙ্গা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি উক্ত নির্বাচনী কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও এলেঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র সাফি খান, কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক হিরু, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও গোহালিয়া বাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মতিউল আলম তালুকদার, পর্তুগাল বিএনপির আহ্বায়ক ও টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম (ইউকের) সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মাহি খন্দকার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও যুবদল নেতা শেখ আমিনুর ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ও যুবদল নেতা ইমরান হোসেন তালুকদার,রফিক, শরীফ, আরিফ, আল আমিন সহ ছাত্রদল , যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত নির্বাচনী কর্মী সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন : ৪কোটি তরুণ ভোটার, তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে বাস্তবতা বিবেচনা করে, আমরা আশাবাদী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফায় আস্বস্ত হয়ে তরুণ ভোটারগণ ধানের শীষে ভোট দিবেন। কালিহাতীর তরুণ ভোটারগণ অবশ্যই ধানের শীষের প্রার্থী জনাব লুৎফর রহমান মতিন কে ভোট দিবে, কারণ লুৎফর রহমান মতিন তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিবেন, একই সাথে তিনি এই কালিহাতীর নারী শিক্ষার অগ্রদূত।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বালুমহাল নিয়ে সাংবাদিকদের অপব্যাখ্যা "টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলায় চল্লিশটি অবৈধ বালু মহাল গড়ে উঠেছে এবং এর ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে" বলে স্থানীয় তথাকথিত কিছু সাংবাদিক বেশ কিছু দিন যাবত সংবাদ প্রচার করে আসছে। কালিহাতী উপজেলার পৌলি ভাবলা, সল্লা, সল্লা চরপাড়া , ধলাটেংগার, জোকারচর, বিনোদ লুহুরিয়া, সরাতৈল এলাকার বালু ঘাট পরিচালনাকারি ব্যবসায়ীরা জানান, "যে আমরা সিরাজগঞ্জের বৈধ বালু মহাল থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে বালু ক্রয় করে বিক্রি করি কেননা, আমাদের কালিহাতীতে তথা টাঙ্গাইল জেলায় কোনো বৈধ বালু মহাল নেই তাহলে, আমাদের এ ব্যবসা কিভাবে অবৈধ হয়? যারা এ বিষয়ে খবর প্রচারণা করে আসছে তাদের সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন" । তারা আরো উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সময় সাংবাদিক নাম ধারী কিছু ব্যক্তি তাদের কাছে টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে যায় । এ বিষয়ে কালিহাতি উপজেলার যমুনা সেতু পূর্ব প্রান্তে গোহালিয়া বাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল এলাকার 'মন্ডল বাড়ি' বালুর ঘাটের পরিচালনাকারী বালু ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন তালুকদার ও জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডল মুক্তধ্বনি ডটকমকে জানান," আমরা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করিনা আমরা সিরাজগঞ্জের বৈধ বালু মহাল থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে বালু ক্রয় করে যমুনা সেতু পূর্ব প্রান্তে বালুর-ঘাট পরিচালনা করি আমাদের এ বালুর ঘাট সরকার অনুমোদিত ও বৈধ বালুরঘাট এর ফলে সরকার কোনো রাজস্ব হারাচ্ছে না এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ ও জনগণের অবকাঠামো গত উন্নয়নে এ বালু ব্যাবহার হচ্ছে"। আমরা দীর্ঘদিন যাবত বৈধ লাইসেন্স ও " বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০" অনুযায়ী এ অঞ্চলে বালুরঘাট পরিচালনা করে আসছি। তবে বিগত কিছুদিন যাবত টাঙ্গাইলের তথাকথিত কিছু সাংবাদিকগণ ইমরান হোসেন তালুকদার ও জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডলের বৈধ বালুর ব্যবসা নিয়ে মিথ্যা-বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ইমরান হোসেন তালুকদার আরো উল্লেখ করেন ," আমরা কোনো আওয়ামীলীগ নেতার বালুর ঘাট দখল করে ব্যবসা করছি না নিজেদের লাইসেন্স দিয়ে বৈধ উপায়ে ব্যবসা করছি এবং আমরা শঙ্কিত কেননা,নানা সময় সাংবাদিক নাম ধারী কিছু ব্যক্তি এসে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছে কারণ, আমরা তাদেরকে আর্থিক সেবা করতে পারিনা আমি (ইমরান হোসেন তালুকদার) কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য এবং বর্তমানেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কালিহাতী উপজেলার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আমাকে রাজনৈতিকভাবে ও সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল সাংবাদিকদের দিয়ে এ সকল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে"। এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান তিনি "এ অঞ্চলের বালুর ঘাট গুলোতে কিছুদিন পরপরই অভিযান পরিচালনা করে আসছি এবং এখন পর্যন্ত পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ এমন কোনো বিষয় চোখে পড়েনি তবে পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ কোন বিষয় চোখে পড়লে তার বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। স্থানীয় জনগণ এ বিষয়ে জানান যে," এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বালু ব্যবসায়ীরা বালুরঘাট পরিচালনা করে আসছে এতে করে বহু মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে" ।
কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও গোহালিয়া বাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব,মতিউল আলম তালুকদার বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব গোল চত্বরের স্কাই-ভিউ রেস্টুরেন্টে একটি সংবাদ সম্মেলনে করেন। মতিউল আলম তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন,“ গত ১৮ তারিখে বল্লভবাড়ী এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিরা মাহফিলে অংশ নেন। একটি মহলের লোকজন তার আমার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপব্যাখ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়পতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এমন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।”তিনি ৪০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন থেকে জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে স্বর্ণপদক পেয়েছেন। বিগত ১৭ বছর তিনি জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দলের ভেতরে থাকা কতিপয় কিছু লোক তার ক্লিন ইমেজ কে বিনষ্ট করার লক্ষ্যে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে হাত মিলিয়ে এই কাজগুলো করে যাচ্ছেনতাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে এই কাজগুলো করে বেড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন। এ সময় তার ছোট ভাই পর্তুগাল বিএনপির আহ্বায়ক ও টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম( ইউকের)সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও নেতা- কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ,মতিউল আলম তালুকদার ২০১১ সালে নবগঠিত গোহালিয়া বাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে, ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৎকালীন প্রশাসন এর মাধ্যমে ভোট কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা মৌজায় লায়ন ফেরদৌস আলম স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও শিল্পপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ২২ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাজু আহম্মেদ ভুইয়া কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজু আহম্মেদ ভুইয়া (পিতা: মৃত হাসান আলী ভুইয়া) ওয়ারিশ সূত্রে গান্ধিনা মৌজার এসএ খতিয়ান নং ৬৫০-এর দাগ নং ১২৪৭, ১২৪৮ ও ১২৪৯—এই তিনটি দাগে মোট ৬৬ শতক জমির মধ্যে ২২ শতাংশ জমির মালিক হন। অভিযোগকারী জানান, উক্ত জমির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের খাজনাও তিনি পরিশোধ করেছেন। রাজুর অভিযোগ, শিল্পপতি লায়ন ফেরদৌস আলম ফিরোজ প্রভাব খাটিয়ে তার মালিকানাধীন ২২ শতাংশ জমিতে জোরপূর্বক টিনশেড ঘর নির্মাণ করে দোকান হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। বিষয়টিকে তিনি সম্পূর্ণ অবৈধ ও অযৌক্তিক দাবি করেছেন। প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রতিকার না পেয়ে তিনি এসিল্যান্ডের কাছে অভিযোগ করতে বাধ্য হন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ফেরদৌস আলম ফিরোজ এলাকার একজন শিল্পপতি ও বিত্তশালী ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ২২ শতাংশ জমি দখলের ঘটনাটি তাদের অবাক করেছে। তাদের মতে, দখলকৃত জমির প্রকৃত মূল্য পরিশোধ করে সমঝোতায় আসাই তার জন্য মঙ্গলজনক হবে। অভিযোগকারী রাজু আহম্মেদ ভুইয়া বলেন, আমার ২২ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি তিনি জোর করে দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। প্রতিকার চেয়ে এসিল্যান্ড মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করেছি। অভিযোগের বিষয়ে লায়ন ফেরদৌস আলম ফিরোজের সঙ্গে সরেজমিন ও মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নাগবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) মো. কামরুজ্জামান জানান, এসিল্যান্ড অফিস থেকে অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে সরেজমিন তদন্ত করেছি। খুব দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা জানান, তিনি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি এখনো অবগত নয়। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইলে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে চার কন্যা টাঙ্গাইলে নিজ বাবার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের চার কন্যা। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তারা হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানবাবা হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারেদ্বারে ঘুরে অবশেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেল করলেন চার কন্যা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত আঃ আজিজের চার কন্যার এক কন্যা আনিকা। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ার মাইস্তানয়া পাড়া গ্রামের আনিকা তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান যে, তাদের বাবা হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছেন তাদের চাচাতো ভাই রুবেল, উজ্জল ও তাদের চাচা কাজিম উদ্দিন। তাহাদের কার সাজিতে সেচ স্কীম বেদখলের উদ্দেশ্যে এই ঘটনাটি ঘটায়। ধনবাড়ীতে গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা প্রতিপক্ষরা টেলিভিশন রিপোর্টাস ইউনিটি নর্থ টাঙ্গাইল এর কমিটি গঠন তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, “বিগত ১২ জানুয়ারী ২০২৫ দিবাগত রাতে আনুমানিক ১১ ঘটিকায় মাইস্তানয়া পাড়া গ্রামে আমাদের সেচ প্রকল্পের পাশে আবাদী জমিতে আমাদের পিতা আঃ আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিবাদীগন বেপরোয়া ভাবে মাইরপিট, নিলাফোলা রক্তাক্ত জখম করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে বিবাদীগন মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য এবং পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে পিতাকে মারতে থাকে। উক্ত সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দেখতে পাই বিবাদী আসাদুল, রাজু, দুলাল সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের বাবা আঃ আজিজকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উজ্জল, আসাদুল ও রাজু নাম বলে যান। বাবাকে তাৎক্ষনিক স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়ার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে চার কন্যা এরপর সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। আমাদের চাচাতো ভাই রুবেল চালাকি ও চতুরতার আশ্রয় নিলে তাহার বন্ধু ও বাহাম ভুক্ত পুলিশের সহযোগিতায় নিউরোসায়েন্স এরস্টোক ইউনিটে ভর্তি করে। উক্ত চিকিৎসালয়ে বাবা মৃত্যুবরণ করলে চাচাতো ভাই রুবেল মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরীকরে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হতে কোন সক্রিয় ভূমিকা না পেয়ে অতিশয় অসহায় বোধ করছি। কালিহাতী থানায় মামলা হলে বিবাদী পক্ষের কারসাজিতে থানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনরূপ সহযোগিতা করেনাই। আমরা আসামীদের বিচার চেয়ে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের বড় মেয়ে। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে তাদের বাবাকে হত্যা করা হলেও মূলহোতারা এখনও আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মামলার তদন্ত অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো নয়। আমরা চার বোন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।” এ সময় অন্যান্য কন্যারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, হত্যার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিবারের ওপর চাপ ও হুমকির কথাও তুলে ধরেন তারা। ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিহতের সন্তানরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপর। তারা তদন্ত সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পিতা হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন চার কন্যা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে আনিকা। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মাইস্তা নয়াপাড়া গ্রামের আনিকা লিখিত বক্তব্যে জানান, তাদের পিতাকে হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছেন তাদের চাচাতো ভাই রুবেল, উজ্জল ও তাদের চাচা কাজিম উদ্দিন। তাদের কারসাজিতে সেচ স্কীম বেদখলের উদ্দেশ্যে এই হত্যার ঘটনাটি ঘটায়। এ ঘটনায় কালিহাতী থানায় মামলা করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, গত (১২ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে মাইস্তা নয়াপাড়া গ্রামে আমাদের সেচ প্রকল্পের পাশে আবাদী জমিতে আমাদের পিতা আব্দুল আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে মামলার বিবাদীরা বেপরোয়াভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকাল ৮টার দিকে বিবাদীরা মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য এবং পুণরায় হত্যার উদ্দেশ্যে পিতাকে মারতে থাকে। এ সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই বিবাদী আসাদুল, রাজু, দুলালসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের পিতা আব্দুল আজিজকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উজ্জল, আসাদুল ও রাজুর নাম বলেন। এ সময় বাবাকে দ্রুত কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। এরপর সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। আমাদের চাচাতো ভাই রুবেল চালাকি ও চতুরতার আশ্রয় নিলে তার বন্ধু ও বাহামভুক্ত পুলিশের সহযোগিতায় নিউরোসায়েন্স এর স্টোক ইউনিটে ভর্তি করে। সেখা বাবার মৃত্যু হলে চাচাতো ভাই রুবেল মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরী করে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হতে কোন সক্রিয় ভূমিকা না পেয়ে অসহায় বোধ করছি। এ অবস্থায় কালিহাতী থানায় মামলা হলে বিবাদী পক্ষের কারসাজিতে থানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনরূপ সহযোগিতা করে নাই। আমরা আসামীদের বিচার দাবি করছি। সেই সাথে নিজেরা জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় আছি।
টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে একটি পামওয়েল বোঝাই ট্রাকের গতি রোধ করে ডাকাত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে যমুনা সেতু পূর্ব থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোর রাতে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) মহাসড়কের হাতিয়া অংশে পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) এবং একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) গাড়ি দিয়ে ট্রাকটির গতি রোধ করা হয়। বিষয়টি টহল পুলিশের নজরে এলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে সন্দেহ হলে প্রাইভেটকার ও পাজেরোতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে একটি লাইসেন্সকৃত শর্টগান, ছয়টি সিসা কার্তুজ, একটি লেজার লাইট, দুটি সিগন্যাল লাইট, চারটি শর্ট ওয়াকিটকি ও দুটি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়। পরে তিনটি গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটককৃতরা হলেন- পাবনা উপজেলার চকধুবুলিয়া গ্রামের আকবরের ছেলে আকাশ মিয়া (২৫), ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল (৩৪), পাবনা সদর উপজেলার নয়নামতি গ্রামের রেজাউলের ছেলে রহিম (১৯), চট্টগ্রাম জেলার আকবরশাহ উপজেলার লতিফপুর গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩০), একই জেলার কর্ণফুলী উপজেলার বাবুল লালের ছেলে সুমন মিয়া (৩৫) ও পাবনা সদর উপজেলার রাধানগর চক জায়েনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন (৩০)। যমুনা সেতু পূর্ব থানার (ওসি) সবজেল হোসেন জানান, হাইওয়েতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা প্রতিনিয়ত টহল জোরদার রেখেছি। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোর রাতে মহাসড়কে সন্দেহজনকভাবে চলাচল করায় এই তিনটি গাড়ি থামানো হয়। তল্লাশিতে একটি প্রাইভেট কার ও একটি পাজেরো থেকে শর্টগান, কার্তুজ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার হওয়ায় ছয়জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সাজিদ পিয়াল: আজ ১৬ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওসার বাঁধন আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃত তোহর আলী (৬০) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার সোয়েব আলীর পুত্র। মেজর কাওসার বাঁধন জানান, গতকাল (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তোহর আলীকে সন্দেহ হলে র্যাব সদস্যরা তল্লাশি চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি মাদক বহনের কথা স্বীকার করেন। পরে তার ব্যাগের সেলাই করা অংশ থেকে চার পুরিয়া হেরোইন এবং পেয়ারার বস্তা থেকে চারটি পলিথিন প্যাকেটে রাখা মোট ৪৬০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, আটক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জব্দকৃত হেরোইন আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হবে। কালিহাতীতে ব্যাগ সেলাই করে ও পেয়ারার বস্তায় লুকিয়ে অবৈধ মাল বহন — দুই জন গ্রেফতার টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় অভিনব কায়দায় ব্যাগের ভেতর সেলাই করে এবং পেয়ারার বস্তার নিচে লুকিয়ে অবৈধ মালামাল বহনের সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ তল্লাশিচৌকিতে অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিহাতী পৌরসভার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে একটি ভ্যান থামানো হলে চালক ও সহযাত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করলে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে ভ্যানের পেছনে রাখা দুইটি ব্যাগ ও একটি বড় পেয়ারার বস্তা পরীক্ষা করা হয়। তল্লাশি করতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাগ দুটির ভেতর বিশেষভাবে সেলাই করে গোপনে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মালামাল। সেলাই কেটে ভিতরে ঢোকানো ছিল ছোট প্যাকেট, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, কিছু নিষিদ্ধ দ্রব্য এবং সন্দেহজনক কাগজপত্র। পেয়ারার বস্তার নিচেও একইভাবে লুকানো ছিল আরও কিছু অবৈধ পণ্য। বস্তার উপরের স্তরে পেয়ারার মতো ফল সাজিয়ে রাখা হলেও নিচের অংশে গাদাগাদি করে রাখা ছিল নিষিদ্ধ সামগ্রী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই দুই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় এসব অবৈধ মালামাল পাচার করছিল। তবে এ চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাদের গন্তব্য কোথায় ছিল— সেসব বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “অত্যন্ত চতুর উপায়ে অবৈধ পণ্য পরিবহনের চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের নিয়মিত তল্লাশির কারণেই এটি ধরা পড়ে। জব্দ করা মালামালের সঠিক হিসাব ও ধরন যাচাই করা হচ্ছে। আটক দু’জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।” পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত মালামাল থানায় রাখা হয়েছে এবং পুরো চক্র শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আপনি চাইলে উদ্ধারকৃত মালের নির্দিষ্ট ধরন, মোট মূল্য, আটক ব্যক্তিদের নাম, এবং তারিখ দিলে আমি এটি আরও নির্ভুল ও পোর্টাল-রেডি সংবাদের মতো সাজিয়ে দিতে পারব।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে র্যাবের অভিযানে অভিনব পন্থায় পাচারের জন্য বহনকৃত বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইনসহ এক মাদক কারবারী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ তোহর আলী (৬০)। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার মৃত সোয়ব আলীর ছেলে। রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে যমুনাসেতু-ঢাকা মহাসড়কের টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ৪৬০ গ্রাম নিষিদ্ধ অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন, একটি বাটন মোবাইল ফোন এবং নয়শত পঁয়ষট্রি টাকা উদ্ধার করা হয়। সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোঃ কাওসার বাঁধন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের আভিযানিক দল নিয়মিত টহল ডিউটি ও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চাপাইনবাবগঞ্জ হতে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী রিয়াজ পরিবহনে একজন মাদক কারবারি অবৈধ মাদক দ্রব্যসহ যাত্রীবেশে টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকা যাচ্ছে। প্রাপ্ত গোপন সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যমুনাসেতু-ঢাকা মহাসড়কের টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে পাঁকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশীকালে চাপাইনবাবগঞ্জ হতে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী রিয়াজ পরিবহনের বাসটি চেকপোস্টে আসা মাত্রই সিগনাল দিয়ে বাসটি থামিয়ে সন্দেহজনক মাদক কারবারি মোঃ তোহর আলী কে বাস হতে নামিয়ে দেহ তল্লাশী করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার হেফাজতে থাকা কালো রঙের ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে সেলাই করা অবস্থায় বিশেষভাবে রক্ষিত চার পুড়িয়া এবং একটি বস্তার মধ্যে রক্ষিত কাগজের কার্টুনের ভিতরে পেয়ারার নিচ হতে চারটি পলিথিনের প্যাকেটসহ সর্বমোট ৪৬০ গ্রাম কথিত অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কথিত অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন এর অবৈধ বাজার মূল্যে ৪৬ লাখ টাকা। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি মোঃ তোহর আলী’র বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় চারটি মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামী এবং জব্দকৃত হেরোইন হস্তান্তর করা হয়েছে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে বিগত ৩ রা নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৩৭ টি আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষনা করে। এরই মধ্যে ১৩৩ টাঙ্গাইল -৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব লুৎফর রহমান মতিন। তার নির্বাচনের প্রচারণায় পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক ও টাঙ্গাইল জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে’র সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার আগামী কাল পর্তুগাল থেকে বাংলাদেশ আসছেন। শেখ হাসিনার জুলুমের শিকার হয়ে প্রবাস জীবনে ১৭ বছরে টাঙ্গাইল থেকে একমাত্র লড়ে যাওয়া ব্যাক্তি আবু ইউসুফ তালুকদার বলেন, আমাদের দলের হাই কমান্ট ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাঠের পরিস্থিতি ভালোভাবে অবজার্ভ করে সেদিকে খেয়াল রেখে একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। টাঙ্গাইল -৪ আসনে নির্বাচনী আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন জনাব লুৎফর রহমান মতিন’কে। তিনি যোগ্য সৎ ও ভালো মানুষ। তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত আমি তার সব কথা মাথাপেতে নিবো কারণ তিনি কাউকে বঞ্চিত করেন না। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে। আমি সেদিকে লক্ষ্য রেখে বলতে চাই, আমার নির্বাচনী এলাকায় যারা আমার সমর্থক রয়েছেন যারা শান্তিপূর্ণভাবে আমার পক্ষে মিছিল করেছেন। আগামী দিনেও তারা যেন কোনও ধরনের সহিংসতায় না যায় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে অবস্থান নেন তার আহ্বান জানাচ্ছি। জনাব লুৎফর রহমান মতিন সাহবের প্রচারণায় আমি আগামী কাল দেশে আসবো ইনশাল্লাহ আমার জন্যে দোয়া করবেন। উল্লেখ্য, এ আসনে একাধিক বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই জনাব লুৎফর রহমান মতিনকে সমর্থন দিয়ে ও দলীয় আদেশ মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।মনোয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো: কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শুকুর মাহমুদ, ডাক্তারস্ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নেতা জনাব ডঃশাহ আলম তালুকদার, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব বেনজীর আহম্মেদ টিটো, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার জনাব মো: আব্দুল হালিম মিয়া, মালেশিয়া বিএনপির সভাপতি জনাব প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক ও টাঙ্গাইল জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে’র সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার, মো: শফি খান কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জনাব মোজাম্মেল হক হিরু, টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি জনাব এ কে এম আবদুল আওয়াল। মনোনয়ন প্রত্যাশী দের মধ্যে শুধু মাত্র বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ – সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো ব্যতীত সকল প্রার্থীই লুৎফর রহমান মতিন কে সমর্থন দিয়েছেন।
আজ ১৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি তে কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী সদ্য জামিন প্রাপ্ত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে সংবর্ধনার জন্য এক আয়োজন করা হয়। এ সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে কাদের সিদ্দিকী বলেন“ ডঃ ইউনুস কে প্রথম চিনেছিল শেখ হাসিনা " তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন সারাদেশের রাজনীতি ও আইন শৃঙ্খলা একটি ভঙ্গুর অবস্থায় আছে । সারাদেশে যেভাবে আওয়ামীলীগের নেতা- কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তা কখনও দেশের রাজনীতি ও আইন -শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কে স্বাভাবিক না করে আরো ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি তার বক্তব্য আরো উল্লেখ করেন যখন সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তখন ইউনুস সাহেবের পাশে এক আমি (কাদের সিদ্দিকী) দাঁড়িয়েছি তার পক্ষে কথা বলেছি। তাই আমি বলবো, ডাঃইউনুস আমি আপনাকে বিশেষ ভাবে আহ্বান করছি সারাদেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন আপনার প্রশাসন কে নির্বিচারে গ্রেফতার বন্ধ করতে বলুন।
জীবনে আর কোনো রাজনৈতিক দল করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য কারামুক্ত সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটিতে উপস্থিত কর্মী-সমর্থক-অনুসারীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘জীবদ্দশায় আমি আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না, কিন্তু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর পাশে সারাজীবন থাকব। ’ তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর সরকারের প্রতি মানুষের অনেক আকাঙ্ক্ষা, অনেক আশা ছিল। কিন্তু তার লক্ষ ভাগের এক ভাগও পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেননি, জিয়া পারেননি, এরশাদ পারেননি, খালেদা জিয়াও পারেননি। আর একজনের নামই আমি বলতে চাই না। ’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য লায়লা সিদ্দিকী ও কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামিম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন এলাকার সিদ্দিকী পরিবারের কর্মী-সমর্থক-অনুসারীরা।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে বিগত ৩ রা নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৩৭ টি আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষনা করে। এরই মধ্যে ১৩৩ টাঙ্গাইল -৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব লুৎফর রহমান মতিন। তিনি দীর্ঘদিন জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ও বহুবার রাজনৈতিক মামলায় জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। এ আসনে একাধিক বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই জনাব লুৎফর রহমান মতিনকে সমর্থন দিয়ে ও দলীয় আদেশ মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। মনোয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো: কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শুকুর মাহমুদ, ডাক্তারস্ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নেতা জনাব ডঃশাহ আলম তালুকদার, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব বেনজীর আহম্মেদ টিটো,, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার জনাব মো: আব্দুল হালিম মিয়া, মালেশিয়া বিএনপির সভাপতি জনাব প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জনাব মোজাম্মেল হক হিরু, টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি জনাব এ কে এম আবদুল আওয়াল। মনোনয়ন প্রত্যাশী দের মধ্যে শুধু মাত্র বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ - সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো ব্যতীত সকল প্রার্থীই লুৎফর রহমান মতিন কে সমর্থন দিয়েছেন। এ বিষয়ে জনাব বেনজীর আহমেদ টিটো বলেন দল এখনো চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা করেনি তিনি এখনো আশাবাদী তার দল তাকে মূল্যায়ন করবে এবং তিনি তার নেতা - কর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।