বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও নেত্রকোণা ১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বিএনপি জাতীয় সংসদে গেলে ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস হওয়ার কোন সুযোগ নেই। শনিবার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উলামাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ইসলাম ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। ফলে ইসলাম বা ধর্মবিরোধী কোনো আইন জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কখনো বলি না যে আমাদের ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমানে কেউ কেউ এ ধরনের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এই বক্তব্য কতটুকু যুক্তিসংগত, তা আমার জানা নেই।’ কায়সার কামাল বলেন, ‘বিএনপির কোন নেতা যদি কখনো ইসলামবিরোধী কোন বক্তব্য দিয়ে থাকেন, সেটি তার ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে। তবে দল হিসেবে বিএনপি কখনোই ইসলামবিরোধী কোন আইন প্রণয়নের পক্ষে নয় এবং বিএনপি সংসদে গেলে এমন কোন আইন পাস হতে দেয়া হবে না।’ মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দল গঠনের পর সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে বিএনপি ইসলামকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চায় না; বরং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সম্মান রেখেই রাজনীতি করে।’ তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি করা অনুচিত। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশের প্রকৃত কল্যাণ সম্ভব।’ বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
(সাজিদ পিয়াল):বাসাইল শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। মহান শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহিদ হওয়া দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন শহিদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন জাতির মেধা ও মননের আলোকবর্তিকা। স্বাধীনতার প্রাক্কালে পরিকল্পিতভাবে তাঁদের হত্যা করে দেশকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের আদর্শ ও ত্যাগ আজও জাতিকে পথ দেখাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের ইতিহাস জানানো অত্যন্ত জরুরি বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন। সভায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসান হাবীব মাসুদ, জেলা আমীর, টাঙ্গাইল জেলা শাখা। সভায় সভাপতিত্ব করেন মিজানুর রহমান চৌধুরী, আমীর, টাঙ্গাইল শহর শাখা। আলোচনা সভায় বক্তারা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্মমভাবে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তারা বলেন, দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল, কিন্তু শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা আজও আমাদের পথ দেখায়। বক্তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও দেশপ্রেম নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের চিন্তা-চেতনা ধারণ করেই একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আলোচনা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক দরবার হলে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মওলানা ভাসানীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “মওলানা ভাসানী ছিলেন আপসহীন রাজনীতির প্রতীক। তিনি আজীবন মজলুম মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর আদর্শ আজও আমাদের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে মওলানা ভাসানীর ন্যায় সাহসী ও জনবান্ধব নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। তাঁর দেখানো পথে দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে।” মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রফেসর এ. কে. এম. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানীর আদর্শ ও দর্শন নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিয়মিত গবেষণা, আলোচনা সভা ও স্মরণ কর্মসূচি জোরদার করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, “দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু যদি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বাদ দিয়ে শুধু বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত নির্বাচন করে, তাহলে ২০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। সে ভোটে আমরাও অংশ নেবো না।” বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। “শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়” — কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবীর বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে আমি চিনতে পারিনি। আমার আগে আপনাকে চিনেছে শেখ হাসিনা, চিনেছে দেশের মানুষ। শেখ হাসিনার অন্যায় বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়, আওয়ামী লীগের অন্যায়ও নয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যায়ও নয়।” তিনি আরও বলেন, “এই আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হক। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জন্ম দেননি। তাকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করি না, কারণ তিনি মনে করেন দেশটা তার বাবার—আর আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু দেশের সেবক, আমিও দেশের সেবক, আমরা সবাই আল্লাহর গোলাম।” “আওয়ামী লীগের বিচার কেউ করতে পারবে না” কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, “শেখ হাসিনার বিচার করতে চাইলে করুন, কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচার করতে পারবেন না। আইয়ুব খান পারেনি, ইয়াহিয়া খান পারেনি—আপনারাও পারবেন না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে তাদের বিচার হোক, কিন্তু সবাই তো দোষ করেনি।” বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার প্রসঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি, জিয়াউর রহমানও ছিলেন। দু’জনকেই বীরোত্তম খেতাব দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু সরকার। এখানে ভিন্নতা নেই; ভিন্নতা সৃষ্টি করেই আমরা স্বাধীনতা–বিরোধী জামায়াতকে শক্তিশালী করেছি।” জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত যে ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন করেছে—বাংলাদেশের মা–বোনের সম্মান ধ্বংস করেছে—তারা ক্ষমা না চাইলে দেশে কথা বলার সুযোগ পেত না। বঙ্গবন্ধুর মানবিকতার কারণেই তারা বেঁচে যেতে পেরেছে।” টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস: ইতিহাস, স্মৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত হয়—এই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও কাদেরিয়া বাহিনী আলোচনা সভা আয়োজন করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের স্মৃতি, তখনকার পরিস্থিতি এবং স্বাধীনতার মূল্যায়ন তুলে ধরেন। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, “বাংলাদেশ আজ যেকোনো সংকটেও টিকে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কারণেই। দেশের সংকট মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে।” সভায় বক্তারা কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান আলমগীর খান মেনু, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতিক, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী হুমায়ুন বাঙ্গাল, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, দেলদুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তহের বাবলু প্রমুখ। সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বিশেষ দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্ত কামনায় বলেছেন,“বেশ কিছু দিন ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তার জন্য দেশের মানুষ নামাজ পড়ে, রোজা রেখে দোয়া করছেন। মানুষের স্বার্থেই তার সুস্থতা অত্যন্ত প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর দেশে-বিদেশে কোটি মানুষের মনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার সুস্থতার জন্য কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ দান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। “এশিয়া মহাদেশে এমন আর কোনো নেত্রী নেই যার সুস্থতার জন্য এত বিশাল সংখ্যক মানুষ দোয়া করছেন।” তার মতে, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রী নন, বরং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, টাঙ্গাইল সদরকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ এলাকায় পরিণত করতে আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটই হবে তার শক্তি। তিনি কর্মী–সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের ধৈর্য, শৃঙ্খলা, ঐক্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে মাঠে থাকতে হবে। আমরা যেমন দেশনেত্রীর মুক্তি ও সুস্থতার জন্য দোয়া করছি, তেমনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” সভায় সভাপতিত্ব করেন সকাল-সন্ধ্যা পরিবহনের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাদিদুল হক জাদিদ।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি খন্দকার নাজিম উদ্দিন আহমেদ,সাবেক সভাপতি খঃ ইকবাল হোসেন,মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি খঃ আতিকুজ্জামান টুটুল,জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু,সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শফিকুর রহমান লিটন,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মালিক সমিতির সদস্য শফিকুর রহমান খান শফিক,জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মমিনুল হক খান নিকছন,জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খঃ রাশেদুল আলম,মালিক সমিতির সদস্য বাসুদেব,জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম লাবু প্রমুখ। সভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মালিক–শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এতে অংশ নেন।
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইল, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫: গৌরব ও ঐতিহ্যের দিন টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আজ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, টাঙ্গাইলের অবদান এবং স্বাধীনতার চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতেই এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুব। তিনি তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের এই দিনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন—টাঙ্গাইলের মানুষ অসম সাহসিকতা, ত্যাগ ও ঐক্যের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিল। তাঁর মতে, টাঙ্গাইলের মুক্তির দিন শুধু একটি জেলা নয়, পুরো জাতির বিজয়সংগ্রামের বড় মাইলফলক। বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুব আরও বলেন, যে স্বাধীনতার জন্য আমরা জীবন বাজি রেখেছিলাম, সেই স্বাধীনতা আজকের তরুণ প্রজন্মের হাতে সুরক্ষিত থাকবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ইতিহাস জানতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।সভায় অন্যান্য বক্তারাও ১১ ডিসেম্বরের ঘটনা, বিডিআর বিদ্রোহী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘবদ্ধ অভিযান, টাঙ্গাইলের কৌশলগত গুরুত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখযুদ্ধে জেলার অবদান তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিকব্যক্তি, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন সড়কে র্যালি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ ও দেশাত্মবোধক আবেগের উচ্ছ্বাসে ভরপুর অংশগ্রহণ।
জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতায় ভুগছিল ছোট্ট ইসরাত জাহান আছিয়া। বয়স মাত্র ২ বছর ৩ মাস—কিন্তু এতটুকু বয়সেই জীবনের সঙ্গে লড়াই করছে সে। নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রানীগাঁও গ্রামের এই নিষ্পাপ শিশুটির হৃদপিণ্ডে জন্মগত ছিদ্র ধরা পড়ে কয়েক মাস আগে। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারটির পক্ষে এমন ব্যয়বহুল চিকিৎসা বহন করা ছিল প্রায় অসম্ভব। তখনই এগিয়ে আসেন দেশের আলোচিত মানবিক ব্যক্তিত্ব, অসহায়ের শক্ত ভরসার নাম—ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক—কেন্দ্রীয় বিএনপি এবং মহাসচিব—জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।পরিবারটির আর্থিক অসহায় অবস্থা জানার পর তিনি দ্বিধাহীনভাবে ঘোষণা দেন, আছিয়ার সম্পূর্ণ চিকিৎসা, ভর্তি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অপারেশন ও পরবর্তী সকল খরচ আমার ব্যক্তিগত দায়িত্বে। তার এই উদ্যোগ পরিবারে ফিরিয়ে এনেছে আশার আলো ও বাঁচার সাহস। ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আছিয়াকে ভর্তি করা হয় ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। চিকিৎসক দল জানিয়েছে—আছিয়ার অপারেশনটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তবে সময়মতো সার্জারি হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা ও সার্জিক্যাল টিম। পারিবারিক বাস্তবতা: দারিদ্র্যের মধ্যেও সন্তানের প্রতি অসীম স্নেহ, আছিয়ার বাবা আইনুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর, মা ময়না আক্তার গৃহিণী। পরিবারের দুটি সন্তান—এক ছেলে ও এক মেয়ে। আছিয়া সবার ছোট; সবার আদর ও স্নেহের কেন্দ্রবিন্দু। শিশুটির জন্মের পর থেকেই তাদের জীবনে শুরু হয় দুঃশ্চিন্তার দিন। স্থানীয় চিকিৎসকদের ব্যাখ্যায় জানা যায়—আছিয়ার হৃদযন্ত্রে গুরুতর ছিদ্র রয়েছে, যা সময়মতো চিকিৎসা না হলে জীবন সংকট তৈরি করতে পারে। হাতে ছিল না প্রয়োজনীয় অর্থ, ছিল শুধু অসহায়ত্ব। মানবতার ফেরিওয়ালা কায়সার কামালের ধারাবাহিক সেবা, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ইতিমধ্যেই পরিচিত নাম। থেলাসেমিয়া, কিডনি বিকল, ক্যান্সার, চোখের চিকিৎসা, হার্ট সার্জারি—এমন বহু ব্যয়বহুল চিকিৎসার দায়িত্ব তিনি নিঃস্বার্থভাবে গ্রহণ করেছেন। আছিয়ার চিকিৎসা উদ্যোগটি তার পরিচালিত ৬ নম্বর ছিদ্র হার্ট অপারেশন । মানুষের কষ্ট লাঘব ও মানবতার সেবা তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। মানুষের দোয়া—আছিয়ার শক্তি ,রানীগাঁও গ্রামে এখন একটাই প্রার্থনা—আছিয়ার অপারেশন সফল হোক। পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়সহ এলাকার মানুষ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। নিষ্পাপ এই শিশুটির মুখের হাসি ফিরিয়ে আনার জন্য সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন তিনিও। শিশু আছিয়ার অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হোক—এই কামনাই সকলের। মানবতার কল্যাণে, অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও আরও প্রসারিত হবে—ইনশাআল্লাহ।
টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল। টাঙ্গাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে দোয়া মাহফিল ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বিকেলে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১০ নং হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে পুরো মাঠ মুখর হয়ে ওঠে। দোয়া মাহফিল শুরুর আগেই কলেজ মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ সমবেত হতে শুরু করেন। ব্যানার–ফেস্টুন ও দোয়ার ব্যানারে মাঠজুড়ে সৃষ্টি হয় আধ্যাত্মিক পরিবেশ। অনেকেই খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ব্যক্তিগতভাবেও মোনাজাত করেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের এমপি প্রার্থী এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।তার বক্তব্যে তিনি বলেন— বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের গণতন্ত্র আন্দোলনের অগ্রবর্তী মুখ। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং দেশের মানুষের স্বাধীনতা, অধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতীক। তার সুস্থতা আজ শুধু দলের নয়—সারা জাতির কামনা। আমরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং সেই প্রার্থনায় আজ সবাই একত্রিত হয়েছি।”তিনি আরও বলেন,শীতের সময় অসহায় মানুষের কষ্ট আরও বাড়ে। তাই সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আজ শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে অন্তত কিছু মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায়।”দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হুগড়া এলাকার স্থানীয় মসজিদের ইমাম। মোনাজাতে— বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য,দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা,মানুষের পারস্পরিক সম্প্রীতিএবং আগত দিনগুলোতে জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ইমাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মানুষের সেবাই ইবাদত। আজকের এই সমাবেশ মানবতার উদাহরণ। আল্লাহ যেন প্রার্থনার সবকিছু কবুল করেন।” অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।মোনাজাত শেষে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নারী, পুরুষ ও বয়স্ক মানুষদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। শতাধিক পরিবারের হাতে কম্বল ও অন্যান্য শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হয় বলে আয়োজকেরা জানান। শীতবস্ত্র পেয়ে অনেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন,এই আয়োজন শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই করা হয়েছে। উপস্থিত অনেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে আরও সুসংগঠিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে শৃঙ্খলা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় ছিল। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে শীতবস্ত্র বিতরণ প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় টাঙ্গাইলের মধুপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ভুটিয়া চৌরাস্তা মোড়ে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-০১ (মধুপুর–ধনবাড়ী) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন (স্বপন ফকির)। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বলেন, “দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফেরাতে বেগম খালেদা জিয়া যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জাতি তা কখনো ভুলবে না। তাঁর সুস্থতা দেশের মানুষের প্রত্যাশা।” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। দোয়া মাহফিল শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, দ্রুত রোগমুক্তি এবং দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। তাই তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোয়া মাহফিলে যোগ দিয়ে তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন।
ওয়াজের মঞ্চে স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু তাফসির মাহফিলের মঞ্চে তখন ছিল এক গভীর, নিবিড় নীরবতা। মঞ্চ জুড়ে বসে থাকা হাজারো মানুষ প্রিয় বক্তার বক্তব্যে ডুবে ছিলেন। তাঁর কণ্ঠের মাধুর্য, হৃদয়ছোঁয়া উপস্থাপনা, তিলাওয়াত ও ব্যাখ্যা—সবকিছুতেই মুগ্ধ হয়ে শ্রোতারা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। ঠিক এমন সময়ই ঘটে যায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা মুহূর্তেই পুরো মাহফিলস্থলকে স্তব্ধ করে দেয়। বয়ানরত অবস্থায় হঠাৎ করেই বক্তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। তিনি হাতের মাইক্রোফোনসহ মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি হয়তো অসুস্থ বোধ করায় বসে পড়েছেন; কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। মঞ্চের পাশে থাকা আয়োজকরা ছুটে গিয়ে তাঁকে ধরার চেষ্টা করেন, শ্রোতারা দাঁড়িয়ে যান, অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তৎক্ষণাৎ আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই জানান, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবার পরও তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে মাহফিল, এলাকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। বহু মানুষের জীবনে ছোঁয়া রেখে যাওয়া এই বক্তার মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করেছে। তাঁর বয়ান, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, মানুষের মন জয়ের ক্ষমতা—সবকিছুই মানুষ স্মরণ করছে গভীর আবেগে। স্থানীয় ধর্মীয় অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই এই ক্ষতিকে অপূরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় দোয়ার আয়োজন করা হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতা–কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশব্যাপী যে দোয়া মাহফিল চলছে, তা প্রমাণ করে তিনি এখনো মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে জায়গা করে আছেন।’ দোয়া মাহফিল শুরুর আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শহর বিএমেহেদী হাসান আলীম, সাধারণ সম্পাদক এজাজুল হক সবুজ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপনসহ দলের অন্যান্য নেতা। বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা। তাঁরা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার নিয়মিত উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও রাজনৈতিক কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণকারী নেতা–কর্মীরা জানান, দলীয় প্রধানের সুস্থতার জন্য তারা ব্যক্তিগতভাবেও নিয়মিত প্রার্থনা করছেন। দোয়া শেষে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন। পুরো আয়োজন জুড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বাদ যোহর জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন—টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইমান আলী। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শ্যামল ব্যানার্জি,জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন,সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম,সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হোসেন, এবং সংগঠনের আরও নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা। দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বহুদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। দেশের মানুষের নেতা হিসেবে তার সুস্থতা শুধু বিএনপির জন্য নয়, পুরো দেশের জনগণের প্রত্যাশা। তারা আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসবেন। বক্তারা আরও বলেন, দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা সবসময় জনমানুষের সমস্যা-সংকটে পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও মানবিক সহায়তায় কাজ করবে। পরে খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনাও করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে যুব বিভাগের নতুন অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে অফিসের উদ্বোধন করেন জননেতা মাওলানা মোঃ হুমায়ুন কবির, যিনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী–এর নেতৃবৃন্দের একজন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন যুব বিভাগের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, নতুন অফিস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলাকার যুব সমাজ আরও সংগঠিত হবে এবং বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম আরও গতিশীলভাবে পরিচালিত হবে। এসময় এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, “যুবকদের দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সুসংগঠিত ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে এ ধরনের অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও উপস্থিত সবার সাথে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অফিস উদ্বোধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ইউনিটির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হলরুমে আয়োজিত পরিচিতি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান মিয়া। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান আলো, টাঙ্গাইল জজ কোর্টের এপিপি জামাল উদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক দেওয়ান, সদস্য শেখ ফিরোজ, হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার কেবি কায়সার, সদস্য আবু সাইদ মিয়া ও খন্দকার বদরুদুজা কায়ছার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাসাইল পৌরসভা ও সদর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব রুকন উদ্দিন আলমগীর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আহ্বায়ক শামীমা খান সীমা এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সভায় বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী বৃদ্ধি, চিকিৎসাসেবা শক্তিশালীকরণ, পরিবার-পরিজনের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্থায়ী কল্যাণ তহবিল তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় একতা, শৃঙ্খলা ও সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন কমিটির সদস্যদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়। পরিচিতি সভার শেষে দেশ, জাতি এবং সকল বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দেশের অসংখ্য মানুষ নামাজ পড়ে, রোজা রেখে তার সুস্থতা কামনা করছেন। শুধু দলীয় নয়, দেশের মানুষের স্বার্থেই তার সুস্থতা অত্যন্ত জরুরি।” বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। টুকু আরও বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তার সুস্থতার জন্য দেশ-বিদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। অনেকেই কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ দানের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক তার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন। এশিয়া মহাদেশে সম্ভবত তিনিই একমাত্র নেত্রী যার জন্য এত পরিমাণ মানুষ একযোগে দোয়া করছেন।” তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “আল্লাহর রহমত ও জনগণের দোয়া থাকলে দেশনেত্রী অবশ্যই দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশের মানুষের মাঝে ফিরে আসবেন।” দোয়া মাহফিলে নিজের মনোনয়ন প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে টুকু বলেন, “টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এটি শুধু একটি প্রার্থীতা নয়—এটি মানুষের নিরাপত্তা, অধিকার ও স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। আমি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুঃশাসনমুক্ত একটি সমাজ গড়তে কাজ করতে চাই। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জনগণের মূল্যবান ভোট প্রয়োজন।” তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক এলাকা, এখানে মানুষ গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের প্রতি অনুগত। তাই জনগণের সমর্থন নিয়ে আগামীর নির্বাচনকে তিনি শান্তিপূর্ণ ও অর্থবহ করতে চান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু,সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকেরুল মওলা,সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান,প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন,আতোয়ার রহমান আজাদসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। অনুষ্ঠানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা, দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
টাঙ্গাইলে ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডি-ম্যাব) উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে টাঙ্গাইল সরকারি ম্যাটসের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই দোয়া মাহফিলে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও শিক্ষাঙ্গনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— ডি-ম্যাবের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ড. শহিদুল্লাহ সিদ্দিকী,ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম শামীম,ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সদস্য সচিব সোহেল রানা,সরকারি ম্যাটসের প্রিন্সিপাল ড. আশরাফ,জেলা যুবদলের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবু,জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম এ বাতেন দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন,“বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর সুস্থতা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তারা দ্রুত রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ুর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন। বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সময় দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তারা দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের সীমাবদ্ধতা দূর করতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান এবং নেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে ডি-ম্যাবের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শতাধিক সদস্য অংশ নেন। মনোমুগ্ধকর পরিবেশে পবিত্র দোয়া পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদের উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)–এর চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং দেশনেত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। তিনি তাঁর বক্তব্যে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দেশবাসীর কাছে তাঁর জন্য দোয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে টাঙ্গাইল শহর বিএনপি। নেতাকর্মীরা বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব আজও বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিস্মরণীয়। তাঁর সুস্থতা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাহফিল শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে সমাপনী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা জাতীয় পার্টির ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আব্দুল আউয়াল তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আলআমিন হোসেন। গত ২৬ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটির অনুমোদন প্রদান করে। নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সোবহান আলী মীর, আবুল হোসেন, সামছুল হক মাস্টার, নূর আলী মেম্বার, খলিল ফরাজি ও আব্দুল মজিদ মিয়া। সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন লাল মাহমুদ, ফারুক তালুকদার ও বাদশা আলমগীর। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে কায়কোবাদ মিলনকে এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন কায়সার মিয়া। এছাড়া প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন আব্দুল বাতেন খান। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে মোন্তাজ মিয়াকে এবং সহ-অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রফিক খান। কমিটির অনুমোদনের পর গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেলদুয়ার উপজেলা সদরের মৌলভীপাড়ায় অবস্থিত জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল আউয়াল তালুকদার। সভায় বক্তারা বলেন, নতুন কমিটির নেতৃত্বে দেলদুয়ার উপজেলা জাতীয় পার্টি আরও সুসংগঠিত হবে এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। তারা দলীয় আদর্শ বাস্তবায়ন ও জনসেবামূলক রাজনীতি এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরিচিতি সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে নবগঠিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সভা শেষে দলীয় কার্যালয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং সবাই নতুন নেতৃত্বের সফলতা কামনা করেন।
গত ৩ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেল নাগাদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া’র দ্রুত সুষ্ঠু চিকিৎসা ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। এই দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে বরাবরই সাধারণভাবেই দলীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু — দোয়া মাহফিল শুরু হওয়ার আগেই রবিউল আওয়াল লাভলু’র কিছু সমর্থক এসে হট্টগোল শুরু করে। নির্বাচনী বেলাভ্যের কারণে, দোয়া-আয়োজনে তার নাম না থাকায় তারা প্রতিবাদ জানায়। এরপরই দোয়া মাহফিল বন্ধের দাবি জানানো হয়। পরে, ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় থেকে জোর করে দোয়া-নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে, দোয়া মাহফিল কোনোভাবেই অনুষ্ঠিত হয়নি। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এই ঘটনা দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন। তাদের বক্তব্য — সারাদেশে দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আন্তরিক দোয়া থাকা উচিত, কিন্তু মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই দলীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে। সেই ভাঙনই এবার দোয়া মাহফিলেও দেখা মিলেছে। সলিমাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন পল বলেছেন, “দলে যারা যোগ দিয়েছে — তাদের মধ্যেই রয়েছে বিভাজন; কিছু মানুষ দানের নামে দোয়া আয়োজন করলেও, দলের মনোনীত প্রার্থীর নাম না থাকার কারণ দেখিয়ে অন্যরা প্রতিবাদ করেছে; ফলে দোয়া সম্ভব হয়নি।” অপর দিকে, রবিউল আওয়াল লাভলু জানিয়েছেন, “দোয়া মাহফিলের ব্যানারে যে ব্যক্তি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেখানো ছিল — তার নাম ছিল তুহিন; যিনি দলের বিরোধী বলে আমার কর্মী-সমর্থকরা বিশ্বাস করে। তাই দোয়া-ব্যানারে তার নাম থাকলে, আমাদের সমর্থকরা স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করবে।” এই ঘটনাকে বিএনপির স্থানীয় তৃণমূল তথা সাধারণ নেতাকর্মীরা দলীয় ঐক্য আনন্দঘন পরিবেশ বলে না, বরং “মোড়কবদল, ঘাঁটি দখল এবং মনোনয়ন আগ্রাসন” থেকে ঊদ্ভূত অন্যায় বিভাজন ও প্রতিযোগিতার অংশ মনে করছেন।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট ওবায়দুল হক নাসিরের উদ্যোগ ও সমর্থনে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ঘাটাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজারও নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। ঈদগাহ মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে বেগম জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা হাত তুলে মোনাজাত করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল হক ছানা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট এসএম ওবায়দুল হক নাসির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. বিল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর রহমান শাহীন, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল বাছেত করিমসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম প্রতীক। তার সুস্থতা জাতির প্রত্যাশা। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন গতি ফিরে আসবে। আলোচনা শেষে বেগম জিয়ার সুস্থতা, দীর্ঘায়ু এবং দেশের শান্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।