Search : মধ্যপ্রাচ্য

মুসলিম বিশ্ব
নিরবেই গাজার শাসন ও নিয়ন্ত্রণ এসেছে হামাসের হাতে

গাজার ভবিষ্যৎ শাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন তর্ক তুঙ্গে, তখন খুব বেশি শব্দ না করেই নিজেদের অবস্থান শক্ত করে ফেলেছে হামাস। যুদ্ধবিরতির পরদিই দেখা যায়—ইসরাইল সেনারা যে অঞ্চলগুলো ছাড়ছে, সেসব জায়গায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে টহল দিচ্ছে হামাসের সদস্যরা। গাজার অভ্যন্তরে প্রশাসনিক কাজও এখন তাদের হাতেই। বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, কর আদায়, শুল্ক নির্ধারণ—সবই চলছে হামাসের নির্দেশনায়। স্থানীয়দের দাবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধির জন্য তারা নয়; বরং সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরাই দায়ী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ভিন্ন। তাদের মতে, পণ্যের উপর কর বসিয়ে এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে হামাস, আর তাই তারা কোনোভাবেই চাইছে না দলটি আবারো সরকার পরিচালনা করুক। অন্যদিকে গাজা থেকে হামাসকে সরানো বা নিরস্ত্র করার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো এক অবস্থানে থাকলেও এর বিরোধিতা করছে রাশিয়া, চায়না এবং কয়েকটি আরব রাষ্ট্র। পশ্চিমাদের পছন্দ মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসন বা আন্তর্জাতিক কোনো অন্তর্বর্তী সরকার—যেমন টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে। কিন্তু এই প্রস্তাব মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক শক্তি মানতে নারাজ। মাঠের বাস্তবতা বলছে—ইসরাইল দুই বছর ধরে গাজার ৮০ শতাংশ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল। যুদ্ধবিরতির পর তাদের অবস্থান সরে এলেও এখনো প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে। বাকি ৪৭ শতাংশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ, যাদের জীবনযাত্রা পরিচালিত হচ্ছে হামাসের কাঠামোর ভেতরেই। ২০০৭ সালে ফাতাহ ও মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসন থেকে গাজার ক্ষমতা নেয় হামাস। তারপর থেকে অঞ্চলটির প্রশাসন, নিরাপত্তা এবং বাজারব্যবস্থার সব ক্ষেত্রই ধীরে ধীরে তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও দলটির কাঠামো এখনো সক্রিয়। নিহত চার গভর্নরের জায়গায় নতুন চারজনকে নিয়োগ দিয়েছে তারা, আর সরকারি কর্মচারীরাও প্রতি মাসে বেতন পেয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন—হামাস স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, গাজাকে ঘিরে যে কোনো ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমীকরণ তাদের বাইরে রেখে তৈরি করা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক টানাপোড়েন যত বাড়ছে, তাদের অবস্থান ততই আরও দৃঢ় হয়ে উঠছে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
আন্তর্জাতিক
নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে ট্রাম্পের সম্ভাবনা ক্ষীণ, সোমবারই বিজয়ী নির্ধারণ করেছে নোবেল কমিটি

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগেই চূড়ান্ত হয়েছে সিদ্ধান্ত; বিশেষজ্ঞ বলছেন—“১০০ শতাংশ নিশ্চিত, ট্রাম্প এ বছরের বিজয়ী নন” ওসলো, নরওয়ে (এএফপি/টাইমস অব ইসরায়েল): নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সোমবারই নেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার আগেই বিজয়ীর নাম নির্ধারিত হয়েছে। নোবেল ইনস্টিটিউটের মুখপাত্র এরিক আসহেইম বলেন, “নোবেল কমিটির শেষ সভা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়।” তিনি জানান, সাধারণত কমিটি পুরস্কার ঘোষণার আগে কয়েক দিন বা সপ্তাহ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। তিনি আরও বলেন, “শেষ প্রস্তুতি সোমবার নেওয়া হয়েছে, তবে আমরা কখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা কখনও প্রকাশ করি না।” এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষিত হবে শুক্রবার দুপুর ১২টায় (ইসরায়েল সময়), যা বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়। এর ফলে স্পষ্ট যে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির (যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়) কোনো প্রভাব এই সিদ্ধান্তে পড়েনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, “আমার এই পুরস্কার না পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় অপমান হবে।” তিনি দাবি করেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন সংঘাত নিরসনে তার প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগ ও বিরোধী নেতা ইয়ায়ার লাপিদ সবাই ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের উপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন। তবে নোবেল বিশেষজ্ঞ ইতিহাসবিদ আসলে সভেন (Asle Sveen) বলেন, “এই বছর ট্রাম্প কোনোভাবেই পুরস্কার পাচ্ছেন না—আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।” তিনি বলেন, “ট্রাম্প অনেক আগেই নেতানিয়াহুকে গাজার ওপর অবাধ বোমাবর্ষণের অনুমতি দিয়েছিলেন এবং বিশাল সামরিক সহায়তা দিয়েছেন।” এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩৮ জন ব্যক্তি ও সংস্থা মনোনীত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিল জাপানের ‘নিহোন হিদানকিয়ো’ (Nihon Hidankyo)—হিরোশিমা ও নাগাসাকির পরমাণু বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের একটি সংগঠন, যারা পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী আন্দোলনে কাজ করে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক। আরও ২৫১ জনকে গাজায় অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকেই শুরু হয় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, যা আজও চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন যুদ্ধের অবসান ও বন্দিদের মুক্তির বিষয়টিকে তার পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে তুলে ধরেছে। সূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১০, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
হামাস নেতাদের টার্গেট করে মিসরের ভেতরে এ ধরনের কোনো হামলা হলে সেটি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য হবে

মিসর জানিয়েছে, দেশটির ভূখণ্ডে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে কোনো ধরনের হামলা হলে তা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান বিবেচিত হবে। মিস্রীয় শীর্ষ নিরাপত্তা সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে কায়রোতে থাকা হামাস নেতাদের টার্গেট করতে পরিকল্পনা করেছে এবং একাধিক চেষ্টা মিসর প্রতিহত করেছে। সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, “মিসরের ভেতরে হামলার যে কোনো প্রচেষ্টা আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন। সেই অনুযায়ী আমরা এটিকে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করব এবং প্রতিশোধ নিতে পিছপা হব না।” এই ঘোষণা এমন সময় আসে যখন গত সপ্তাহে কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা চালিয়ে হামাস নেতৃত্বকে টার্গেট করার খবরregional উত্তেজনা বাড়িয়েছে। দোহা আক্রমণের পরে মিসর–ইসরায়েল যোগাযোগ শীতল হয়ে পড়েছে এবং কায়রো এখন ইসরায়েলকে আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছে। মিসর কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে যে, সিনাই সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে — প্রাসঙ্গিক খবরে বলা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে যাতে গাজার পরিস্থিতির জেরে প্যালেস্টাইনির সম্ভাব্য তীব্র অবিলম্বে প্রবেশ ঠেকানো যায়। একই সঙ্গে মিসর বলেছে, দোহা হামলায় তাদের কোনো ভূমিকা বা সমন্বয় ছিল না। দেশটির এক সেনা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ওই হামলায় কোনো ইসরায়েলি বিমান মিসরের আকাশপথ ব্যবহার করেনি এবং মিসরের পূর্ব সীমান্তে একটি চালু চীনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কারণে অনুমতি ছাড়া কোনো বিমান প্রবেশ করা কঠিন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী Benjamin Netanyahu যে হুমকি উচ্চারণ করেছিলেন—“হামাসকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে টার্গেট করা হবে”—তার প্রেক্ষিতে কায়রোর বক্তব্য স্পষ্ট: মিসর নিজস্ব সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনও আপস করবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলছেন, মিসরের উদ্বেগ কেবল হামাসের প্রতি সিম্প্যাথি নয়; বিষয়টি দেশটির আঞ্চলিক মর্যাদা এবং মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাকে কেন্দ্র করে। কায়রো কোনোভাবেই 자신의 রাজধানীতে অপমান সহ্য করবে না, এবং এমন কোনো হামলা দেশটির কূটনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করবে। ইতিহাসগতভাবে মিসর ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করা প্রথম আরব দেশ। তবু জনমানসে ইসরায়েলবিরোধী অনুভূতি রয়েছে এবং কায়রোকে মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত সমরূপতা বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকতে দেখা যায়। মিসর কর্তৃপক্ষ এখন তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্ক করেছে যে খোলা সংঘাতের ঝুঁকি বাড়লে আঞ্চলিক সমীকরণ দ্রুত বদলে যেতে পারে। কায়রো জোর দিয়ে বলছে: উথিত কূটনৈতিক পথেই গাজার সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। এই ঘোষণার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা বলছেন, যদি ঘটনাপ্রবাহ শig হয় তবে তা শীঘ্রই আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অনিশ্চিত করে তুলবে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা, ইসরায়েলি আগ্রাসন আরও তীব্র

জাতিসংঘ-সমর্থিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (IPC) গাজার রাজধানী গাজা সিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত সামরিক হামলার কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কেই এ ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে IPC মাত্র পাঁচবার দুর্ভিক্ষ স্বীকৃতি দিয়েছে। দীর্ঘ মাসব্যাপী সতর্কবার্তার পর এবার সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে যে গাজা দুর্ভিক্ষের মানদণ্ডে পৌঁছে গেছে: অন্তত ২০% পরিবার চরম খাদ্য সংকটে, ৩০% শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে, প্রতিদিন প্রতি ১০,০০০ জনের মধ্যে অন্তত ২ জন না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। IPC-এর তথ্যমতে, গাজা গভর্নরেটের (যার অন্তর্ভুক্ত গাজা সিটি ও আশপাশের শহরগুলো) অর্ধ মিলিয়নের বেশি বাসিন্দা বর্তমানে দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এই দুর্যোগ অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ জরুরি খাদ্য সংকটে পড়তে পারে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দুর্ভিক্ষের কথা অস্বীকার করেছেন এবং অভিযোগ নাকচ করেছেন যে তাঁর সরকার যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অনাহার ব্যবহার করছে। তিনি দাবি করেছেন, “শত শত ট্রাক” খাদ্য সাহায্য প্রবেশ করেছে। কিন্তু মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েল সীমান্ত বন্ধ করে রাখায় সহায়তা কার্যত আটকে আছে। দুর্ভিক্ষ ঘোষণার সমান্তরালে, ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসী হামলা বাড়িয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করে নগরীতে অগ্রসর হচ্ছে তারা। টানা বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। এর মধ্যেই গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহারে এখন পর্যন্ত ২৭১ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ১১২ জন শিশু। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে চালানো "আল-আকসা ঝড়" অভিযানের পর থেকে ইসরায়েলি গণহত্যায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬২ হাজার ১২২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৮ জন আহত হয়েছেন। ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেনসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগণ এখন "বিপর্যয়কর" অবস্থার দ্বারপ্রান্তে। ইসরায়েল অবরোধ বজায় রেখে খাদ্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ঢুকতে না দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছে তারা। ইতিহাসে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত দুর্ভিক্ষ যা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘটিত হলো।

মুক্তধ্বনি ডেক্স আগস্ট ২৩, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে