Search : মৃত

টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
জাতীয়
টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের জেলা সদরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। সকালে রাষ্ট্রের পক্ষে জেলা প্রশাসক শরীফা হক শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে তাঁদের আদর্শ ধারণ করে দেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এরপর ক্রমান্বয়ে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রবিউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক মন্ডল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক গোলম মোস্তফা মিয়াসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এই দিনটি জাতির ইতিহাসে এক শোকাবহ ও কলঙ্কিত অধ্যায়। বক্তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও ত্যাগ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং তাঁদের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
সারা দেশ
নেত্রকোনা দুর্গাপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এ দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে পৌরসভা এলাকার বিরিশিরিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন, বৃক্ষরোপন ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরবর্তিতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা আফসানা এর সভাপতিত্বে, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার ও আবুল আজিজ, উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি ইমাম হাসান আবুচান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট এম এ জিন্নাহ, সাবেক অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান, ডিএসকে‘র নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ, অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাখাওয়াত হোসেন সজিব, বিকাশ সরকার প্রমুখ। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তান, শহীদ পরিবারের সন্তানগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উপজেলায় কর্মরত অফিসার্সবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী এ দেশীয় দোসর আল-বদর, আল সামস্ এর সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে। বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করে দিতে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। এমন ন্যাক্কার ঘটনার পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এই দিনকে “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” ঘোষণা করেন। এই দিনের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে সকলকে আহবান জানানো হয়।

আল আমিন হাওলাদার ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
জাতীয়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে টাঙ্গাইলে গভীর শ্রদ্ধা বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা

(সাজিদ পিয়াল):শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে টাঙ্গাইলে গভীর শ্রদ্ধা বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর ও গৌরবময় দিন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করতে আজ শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকালে টাঙ্গাইল বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, টাঙ্গাইল জনাব শরীফা হক। এ সময় শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হয় এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা পরিকল্পিতভাবে জাতির শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এটি ছিল স্বাধীনতার প্রাক্কালে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার একটি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন জাতির বিবেক তাঁদের চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রেরণা। তিনি আরও বলেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে সত্য ন্যায় ও মানবিকতার পথে চলার শিক্ষা দেয়। নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দেওয়া এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শে দেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।আলোচনা সভায় সম্মানিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ তাঁদের স্মৃতিচারণায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান তুলে ধরেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ শিক্ষাবিদ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আলোচনায় অংশ নেন।এছাড়াও অনুষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত থেকে কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই একটি শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। গভীর শ্রদ্ধা ভাবগাম্ভীর্য ও শোকের আবহে টাঙ্গাইলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় শাফিউল মুজনবীন দীপ্ত (২৫) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (রাত ১টার দিকে) ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতের ওই সময়ে দীপ্ত একটি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়ান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশ দিয়ে আসা আরেকটি বাস হঠাৎ সামনে চলে আসে। এ সময় দুই গাড়ির মাঝখানে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলেও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।নিহত দীপ্ত মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সদ্য স্নাতক। তিনি ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহর একমাত্র পুত্র। পরিবারের সঙ্গে তিনি মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটি কবরস্থান এলাকায় বসবাস করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সম্প্রতি দেশের একটি খ্যাতনামা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দিনাজপুর অঞ্চলে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি।পরিবারের সদস্যরা জানান, কর্মস্থল দিনাজপুর থেকে বৃহস্পতিবার মির্জাপুরে ফিরছিলেন দীপ্ত। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও তিনি মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মির্জাপুরের কাছাকাছি পৌঁছানোর কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ফেরাই যে হবে তার শেষ ফেরা—তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।শুক্রবার বাদ জুমা মির্জাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় শিক্ষক, সাংবাদিক, সহপাঠীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।দীপ্তর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষক সমাজ, স্থানীয় সাংবাদিক ও শুভানুধ্যায়ীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের  মির্জাপুরে বাস থেকে নামতেই অজ্ঞাত যানচাপা: সিঙ্গার কর্মকর্তা দীপ্ত নিহত
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাস থেকে নামতেই অজ্ঞাত যানচাপা: সিঙ্গার কর্মকর্তা দীপ্ত নিহত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনায় শাফিউল মুজনবীন দীপ্ত (২৫) নামে সিঙ্গার কোম্পানির এক তরুণ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দীপ্ত মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ খানের একমাত্র ছেলে। পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, দীপ্ত মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটী কবরস্থান এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। পরিবার জানায়, সিঙ্গার কোম্পানিতে দিনাজপুর জেলা ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন দীপ্ত। সাপ্তাহিক ছুটিতে দিনাজপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার রাতে মির্জাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় পৌঁছে বাস থেকে নামার পাঁচ মিনিট আগেই তিনি মুঠোফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু বাস থেকে নামার পরপরই অজ্ঞাত একটি দ্রুতগামী যান তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, তারা বহুবার ফোন করেও দীপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ পাননি। পরে কিছুক্ষণ পর মির্জাপুর থানা পুলিশই ফোন করে তাদের দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে। হঠাৎ করে পরিবারের ভবিষ্যৎ ভেঙে যাওয়ায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো মির্জাপুরে। সদ্য লেখাপড়া শেষ করে স্বপ্ন নিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করা এই তরুণের অকাল মৃত্যু সহপাঠী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীর মনে শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সারোওয়ার বলেন, “দুর্ঘটনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার যানটি শনাক্তে আমাদের তদন্ত চলছে।” এদিকে এলাকাবাসী দ্রুতগামী যানবাহনের বেপরোয়া গতিকে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে মহাসড়কে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী: “সবাইকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ অংশ নেবে”
রাজনীতি
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী: “সবাইকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ অংশ নেবে”

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, “দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু যদি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বাদ দিয়ে শুধু বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত নির্বাচন করে, তাহলে ২০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। সে ভোটে আমরাও অংশ নেবো না।” বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। “শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়” — কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবীর বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে আমি চিনতে পারিনি। আমার আগে আপনাকে চিনেছে শেখ হাসিনা, চিনেছে দেশের মানুষ। শেখ হাসিনার অন্যায় বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়, আওয়ামী লীগের অন্যায়ও নয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যায়ও নয়।” তিনি আরও বলেন, “এই আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হক। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জন্ম দেননি। তাকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করি না, কারণ তিনি মনে করেন দেশটা তার বাবার—আর আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু দেশের সেবক, আমিও দেশের সেবক, আমরা সবাই আল্লাহর গোলাম।” “আওয়ামী লীগের বিচার কেউ করতে পারবে না” কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, “শেখ হাসিনার বিচার করতে চাইলে করুন, কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচার করতে পারবেন না। আইয়ুব খান পারেনি, ইয়াহিয়া খান পারেনি—আপনারাও পারবেন না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে তাদের বিচার হোক, কিন্তু সবাই তো দোষ করেনি।” বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার প্রসঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি, জিয়াউর রহমানও ছিলেন। দু’জনকেই বীরোত্তম খেতাব দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু সরকার। এখানে ভিন্নতা নেই; ভিন্নতা সৃষ্টি করেই আমরা স্বাধীনতা–বিরোধী জামায়াতকে শক্তিশালী করেছি।” জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত যে ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন করেছে—বাংলাদেশের মা–বোনের সম্মান ধ্বংস করেছে—তারা ক্ষমা না চাইলে দেশে কথা বলার সুযোগ পেত না। বঙ্গবন্ধুর মানবিকতার কারণেই তারা বেঁচে যেতে পেরেছে।” টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস: ইতিহাস, স্মৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত হয়—এই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও কাদেরিয়া বাহিনী আলোচনা সভা আয়োজন করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের স্মৃতি, তখনকার পরিস্থিতি এবং স্বাধীনতার মূল্যায়ন তুলে ধরেন। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, “বাংলাদেশ আজ যেকোনো সংকটেও টিকে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কারণেই। দেশের সংকট মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে।” সভায় বক্তারা কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান আলমগীর খান মেনু, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতিক, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী হুমায়ুন বাঙ্গাল, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, দেলদুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তহের বাবলু প্রমুখ। সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বিশেষ দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
জাতীয়
১১ ডিসেম্বর আজকের দিনে হয়েছিলো হানাদার দখলদার মুক্ত টাংগাইল

টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস ইতিহাসের গৌরবময় এক অধ্যায় যেটি আজকে নানাভাবে পালিত হচ্ছে ১১ ডিসেম্বর, টাঙ্গাইলের জনগণের জীবনে এক অনন্য গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলদারিত্ব থেকে টাঙ্গাইলকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘোষণা করেন বাংলার বীর সন্তানেরা। বিজয়ের পতাকা উড়েছিল টাঙ্গাইলের আকাশে—জেগে উঠেছিল স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে টাঙ্গাইলের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বীরত্বগাঁথায় ভরপুর। টাঙ্গাইলের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও ত্যাগ শুধু দেশেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। বিশেষ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কাদেরিয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে। চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত হামলায় ১১ ডিসেম্বরের ভোরে টাঙ্গাইলের পথে বিজয়ের অগ্রযাত্রা শুরু হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই শহর শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতার এই গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণ করে টাঙ্গাইলবাসী আজও উৎসবে মেতে ওঠে। বাঁধভাঙা আনন্দে ভরে ওঠে পুরো শহর—গৌরব ও ইতিহাসের দিনটিকে ঘিরে নানা আয়োজন হয়ে থাকে জেলার সর্বত্র। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস। শহরজুড়ে আলোচনাসভা, র‌্যালি, প্রার্থনা ও স্মৃতিচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইল।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
সারা দেশ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় সিআর জিআর ও নিয়মিত মামলায় পুলিশের হাতে একদিনে গ্রেফতার-১০

বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত সিআর পরোয়ানায়-০১জন, সিআর পরোয়ানায়-০৩জন, জিআর পরোয়ানা-০১জন, নিয়মিত মামলায় ০২জন, পুলিশ আইন-৩৪ ধারায়-০৩জনসহ  মোট-১০জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে।  আজ দুপুরে অফিসার ইনচার্জ,বেগমগঞ্জ মডেল থানার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়,  জেলা পুলিশের দিক নির্দেশনা ও বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ বারী এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে থানার  এএসআই(নিরস্ত্র) মোঃ ইলিয়াছ উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত সিআর পরোয়ানা ৬৩৪/২০২১ দায়রা-১১৩৮/১৯, এর আসামী ১।দিপক মজুমদার, পিতা-হরেরাম শীল,  সিআর পরোয়ানা-৭৬২/২৫ এর আসামী ২। জাহানারা, পিতা-মোঃ মনির, মাতা-আংকুরের নেছা, উভয় সাং-গণিপুর চৌমুহনী পৌরসভা, সিআর পরোয়ানা-৭৬৪/২৫ এর আসামী ৩। বিবি উম্মে সালমা, পিতা-আবদুল মান্নান, মাতা-ছকিনা বেগম, সাং-মীরওয়ারিশপুর,  এএসআই(নিঃ) মোঃ শাহাজাদা সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় সিআর পরোয়ানা ২৯০/২০ এর আসামী ৪। কবির হোসেন মিলন, পিতা-মৃত তনু মিয়া, সাং-আলাইয়ারপুর। এএসআই(নিঃ) মোঃ করিব হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় জিআর পরোয়ানা ১৯/২৫ এর আসামী ৫। জাহাঙ্গীর(৩০), পিতা-মৃত শহিদ উল্যাহ, সাং-বারইচতল। এসআই(নিঃ) মোঃ খোরশেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় বেগমগঞ্জ মডেল থানার নিয়মিত মামলা নং-০৪(১২)২৫ এর আসামী ৬। নিজাম উদ্দিন প্রঃ রুবেল(৩৪), পিতা-মৃত আব্দুর রব, মাতা-আঙ্কুরের নেছা, সাং-হাজীপুর,  ৭। মোঃ পারভেজ(২৮), পিতা-ইমন হাওলাদার, সাং-টঙ্গীপাড়া, থানা-টঙ্গীপাড়া, জেলা-মুন্সিগঞ্জ। এসআই(নিঃ) মাহামুদুল হক সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় ৮। মহিন উদ্দিন প্রঃ নান্নু(৩০), পিতা-আব্দুল জাব্বার, মাতা-ফরিদা আক্তার, ৯। মোঃ দেলোয়ার হোসেন(৪৫), পিতা-মোঃ হানিফ, মাতা-দূরলফী বেগম, উভয় সাং-নাজিরপুর, ১নং ওয়ার্ড, চৌমুহনী পৌরসভা, ১০। মোঃ সজিব(২০), পিতা-নুরুল ইসলাম, মাতা-বিবি মরিয়ম, সাং-পশ্চিম শোলকিয়া, ৬নং ওয়ার্ড, ৯নং কালাদরাপ ইউপি, থানা-সুধারাম গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিধি মোতাবেক  আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  বেগমগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ বারী জানান,  পুলিশ কর্তৃক বিশেষ অভিযান এর কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়াও থানা এলাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেফতারসহ অবৈধ অস্ত্র ও অবৈধ মাদক উদ্ধার সংক্রান্তে অভিযান অব্যাহত থাকবে, এইসব কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য গণমাধ্যমের সহায়তা আশা করে

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
জাতীয়
গৌরব ও ঐতিহ্যের দিন টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইল, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫: গৌরব ও ঐতিহ্যের দিন টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আজ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, টাঙ্গাইলের অবদান এবং স্বাধীনতার চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতেই এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুব। তিনি তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের এই দিনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন—টাঙ্গাইলের মানুষ অসম সাহসিকতা, ত্যাগ ও ঐক্যের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিল। তাঁর মতে, টাঙ্গাইলের মুক্তির দিন শুধু একটি জেলা নয়, পুরো জাতির বিজয়সংগ্রামের বড় মাইলফলক। বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুব আরও বলেন, যে স্বাধীনতার জন্য আমরা জীবন বাজি রেখেছিলাম, সেই স্বাধীনতা আজকের তরুণ প্রজন্মের হাতে সুরক্ষিত থাকবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ইতিহাস জানতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।সভায় অন্যান্য বক্তারাও ১১ ডিসেম্বরের ঘটনা, বিডিআর বিদ্রোহী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘবদ্ধ অভিযান, টাঙ্গাইলের কৌশলগত গুরুত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখযুদ্ধে জেলার অবদান তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিকব্যক্তি, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন সড়কে র‌্যালি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ ও দেশাত্মবোধক আবেগের উচ্ছ্বাসে ভরপুর অংশগ্রহণ।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
"কালিহাতীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনে দাবিতে মশাল মিছিল" - পর্তুগাল বিএনপির আহব্বায়কের তীব্র নিন্দা
রাজনীতি
"কালিহাতীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনে দাবিতে মশাল মিছিল" - পর্তুগাল বিএনপির আহব্বায়কের তীব্র নিন্দা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বিতর্কের মধ্যে দিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে কালিহাতীতে অবরোধ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচি নির্দেশ প্রদান করেন এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো। তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পর্তুগাল বিএনপির আহ্বায়ক ও টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম (ইউকের) সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার। তার ফেসবুক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি নিজেও এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। আমরা সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী বেনজির আহমেদ টিটো ব্যতীত সকলেই লুৎফর রহমান মতিনকে সমর্থন করেছি। বেনজির আহমেদ টিটো যে মশাল মিছিল করেছেন তা দল এবং সাধারণ জনতার কাছে তার নিজ ইমেজকে ক্ষুণ্ণ করেছেন। এছাড়াও এই মহাসড়কের অবরোধের কারণে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করলে দলীয় হাই কমান্ডের কাছে তার বহিষ্কারের দাবি জানাতে পারেন কালিহাতীর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।” এ বিষয়ে আবু ইউসুফ তালুকদার মুক্তধ্বনি ডটকমকে জানান, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে তিনি এই খবর পেয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তবে, ইউসুফ তালুকদারের ভিডিও বার্তার কমেন্ট সেকশনে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম. এ. বাতেন বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে ইউসুফ তালুকদারকে হেয়-প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।" বিগত ১৭ বছরের রাজনৈতিক স্মৃতিচারণ করে ইউসুফ তালুকদার উল্লেখ করেন, “স্বৈরাচার আমলে দেশে আসতে পারিনি। দেশের বাইরে থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে আমার পরিবারের ওপর নানা অত্যাচার চালানো হয় এবং ভাইয়েরা রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে বার বার কারাবরণ করেছে।”

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোকছেদুর রহমান জানান, তিন আরোহী একটি মোটরসাইকেলে করে গারোবাজার থেকে ঘাটাইলের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে অতিরিক্ত গতি ও নিয়ন্ত্রণ হারানোয় মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশের একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী মারা যান এবং অপরজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন প্রথমে তাদের উদ্ধার করে। পরে আহত ব্যক্তিকে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )আরও বলেন, “মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী ছিলেন। অতিরিক্ত গতি এবং হেলমেট না পরার কারণে মৃত্যুঝুঁকি আরও বেড়েছে। পরিচয় শনাক্তের পর পরিবারকে জানানো হবে।”

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
সারা দেশ
নেত্রকোনা দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

‘মানবাধিকার, আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টারের আয়োজনে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জন ক্রসওয়েল খকসি‘র সভাপতিত্বে, সংস্থার উপজেলা কোঅর্ডিনেটর পল সুকান্ত বিশ^াস এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমবায় অফিসার বিজন কান্তি ধর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট এম এ জিন্নাহ্, প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাবেক সভাপতি মো: মেহান মিয়া, সংস্থার ফাইন্যান্স অফিসার পল সুকান্ত বিশ^াস প্রমুখ। এছাড়া কবি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এরপর থেকে সারাবিশ্বেই এই দিনে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের গড় হার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ এখনো অর্ধেক মানুষকে নিবন্ধন না থাকার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। নিবন্ধনহীনতা দেশে শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, মানবপাচারসহ বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ত্বরান্বিত করছে। একইভাবে, মৃত্যু নিবন্ধন না থাকায় উত্তরাধিকার প্রমাণেও জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। আইন সংস্কারের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম জনবান্ধব করতে হবে, যাতে কোনো মানুষই পরিচয়হীন না থাকে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সকল মৌলিক অধিকার সমানভাবে ভোগ করতে পারে। এ কাজে সরকারের পাশাপাশি সকলকে সহায়তা করতে আহবান জানানো হয়।

আল আমিন হাওলাদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
১০ ডিসেম্বর: গোপালপুর হানাদারমুক্ত—টাঙ্গাইলের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়
জাতীয়
১০ ডিসেম্বর: গোপালপুর হানাদারমুক্ত—টাঙ্গাইলের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন ১০ ডিসেম্বর। এই দিন গোপালপুর ও আশপাশের দুটি অঞ্চল পাক হানাদারমুক্ত হয়ে বিজয়ের পতাকা উড়েছিল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রায় আট মাস হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, লুটপাট ও অমানবিক শোষণের পর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বে এদিন মুক্তির স্বাদ পায় গোপালপুরবাসী। পাকিস্তানের দীর্ঘ ২৪ বছরের দুঃশাসন, রাজনৈতিক বঞ্চনা, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও জাতিগত নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু তার আগের রাত ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বর্বর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে, যার ছায়া নেমে আসে গোপালপুরেও। মার্চের প্রথম দিক থেকেই দেশের অবস্থা অনুধাবন করে গোপালপুরের দেশপ্রেমিক মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করেন এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। গোপালপুর থানা—যা টাঙ্গাইল জেলার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত—ছিল পাক সেনাদের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। ৭ ডিসেম্বর নিকরাইল রানী দিনমনি হাইস্কুলে ৭০ জন কমান্ডারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কাদেরিয়া বাহিনী প্রধান বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী গোপালপুর থানায় আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর নির্দেশে নূর হোসেন তালুকদার আঙ্গুর, আব্দুর রাজ্জাক ভোলা, আসাদুজ্জামান আরজু, বকুল, আব্দুল হাকিম, নূরুল ইসলাম, আনিসুর রহমান আনিস ও খন্দকার হাবিবুর রহমান কোম্পানিগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নূর হোসেন তালুকদার আঙ্গুর কোম্পানি গরুহাটি দিয়ে,আরজু কোম্পানি দক্ষিণ দিকের কীর্তনখোলা অংশ দিয়ে,আর আব্দুল হাকিম কোম্পানি মর্টারসহ পশ্চিম দিক দিয়ে আক্রমণ চালাবে।পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ ডিসেম্বর রাতভর থানা আক্রমণ শুরু হয় এবং পাক সেনারা চাপে পড়ে যায়। ১০ ডিসেম্বর দুপুর ৩টায় ভারতীয় বায়ুসেনার তিনটি মিগ-২১ বিমান গোপালপুর ও ঘাটাইল থানার ওপর একযোগে বোমা বর্ষণ ও ট্রাম্পিং করে। বিমান হামলায় ভীতসন্ত্রস্ত পাকিস্তানি সেনা ও তাদের সহযোগী রাজাকাররা রাতের আঁধারে পালাতে শুরু করে। এদিকে, গোপালপুরের সূতি, নন্দনপুর, ভূয়ারপাড়া, চরপাড়া ও গরুহাটি এলাকায় অবস্থান নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ দূরত্ব থেকে শত্রু ঘেরাও করে রাখেন। পাকবাহিনী পালিয়ে যেতে শুরু করলে মিঞা কমান্ডার ও চাঁদ মিঞার প্লাটুন ধাওয়া করে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি চালান। ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যেই পাক সেনারা পুরোপুরি গোপালপুর ত্যাগ করে। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে চাঁদ মিঞার প্লাটুন গুলি করতে করতে থানায় প্রবেশ করেন। এর পরপরই গোপালপুর থানা দখলে আসে মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রথমে চাঁদ মিঞা, সাহেব আলী, শামছুল আলম, আব্দুল লতিফ, আজাহার, কাদের তালুকদার, তোরাপ সিকদার, ইসমাইল হোসেন মৃধা ও আব্দুস সোবহান তুলা থানায় উঠেন। পরে কমান্ডার আসাদুজ্জামান আরজু, বিমল, হায়দার, জয়নাল, শুকুরসহ আরও মুক্তিযোদ্ধারা থানায় প্রবেশ করেন। সেদিন ছিল গোপালপুরের মানুষের জন্য এক অবর্ণনীয় আনন্দের দিন। বিভিন্ন এলাকার লোকজন থানায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে, কোলাকুলি করে অভিনন্দন জানান। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়। বিকেলে গোপালপুর থানার ছাদে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়—গোপালপুর হানাদারমুক্ত। এই দিনটি শুধু একটি থানা মুক্তির দিন নয়, এটি গোপালপুরবাসীর সংগ্রাম, ত্যাগ আর সাহসিকতার অবিনাশী স্মৃতি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই দিনটি স্মরণ করবে গর্ব ও শ্রদ্ধায়।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২

টাঙ্গাইলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে কাভার্ডভ্যানের পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার কান্দিলা বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতের অন্ধকারে প্রচণ্ড শব্দে দুর্ঘটনার খবর দ্রুত আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন। নিহতরা হলেন—শেরপুর জেলার বাসিন্দা ট্রাকচালক সোহেল এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মুরগি ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান। নিহত দু’জনই ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, “জামালপুর থেকে ঢাকাগামী হাঁস-মুরগি বোঝাই ট্রাকটি সামনে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত তিন জনকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় মহাসড়কে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হলেও দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্থানীয়দের দাবি, মহাসড়কে অতিরিক্ত গতি ও অসতর্ক ড্রাইভিংয়ের কারণে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে নিয়মিত নজরদারি ও কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় তরুণ ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় তরুণ ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকের চাপায় মোঃ রনি মিয়া (২০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইল–ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টের শাহপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মোঃ সায়েম হোসেন। নিহত রনি মিয়া টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জহুর আলীর ছেলে। তিনি মধুপুর তৌফিক প্লাজায় একটি দোকানে ব্যবসা করতেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য হওয়ায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে রনি মোটরসাইকেলে করে মধুপুর থেকে ঘাটাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে শাহপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তার মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর ট্রাকটি রনিকে চাপা দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ছুটে এসে রনির মরদেহ সড়কের পাশেই দেখতে পান এবং পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘাটাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এএসআই মোঃ সায়েম হোসেন বলেন, “ট্রাকটি দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। অন্ধকারের কারণে গাড়ির নম্বর কিংবা পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।” এদিকে, আকস্মিক এই মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবার, স্বজন ও স্থানীয়দের মধ্যে শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও দেখা দিয়েছে। তারা ঘাতক ট্রাক ও চালককে শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
প্রতীকী
আইন-অপরাধ
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বহুতল ভবনে বোরকা পরে বাসায় প্রবেশ করে মা–মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে নতুন নিয়োগ পাওয়া গৃহকর্মী। সোমবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিট থেকে ৯টা ৩৬ মিনিটের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত দুইজন হলেন লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। পুলিশ জানায়, চারদিন আগে গৃহকর্মী হিসেবে ‘আয়েশা’ নামে পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় কাজ নেয় মেয়েটি। ঘটনার দিন বোরকা পরে বাসায় ঢুকে মা–মেয়েকে হত্যার পর নাফিসার স্কুলড্রেস ও মুখে মাস্ক পরে বেরিয়ে যায় সে। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে তার প্রবেশ ও বের হওয়ার দৃশ্য।নাফিসার বাবা এম জেড আজিজুল ইসলাম, উত্তরা সানবীমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক,সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিনি ফিরে এসে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লায়লা আফরোজের মৃতদেহ উদ্ধার করে, আর নাফিসাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়সকাল ৭:৫১ মিনিট: বোরকা পরা গৃহকর্মী আয়েশা বাসায় প্রবেশ করে।সকাল ৯:৩৬ মিনিট: স্কুল ইউনিফর্ম পরে বেরিয়ে আসে।ভবনের সামনে থেকে রিকশায় ওঠে এবং দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।তল্লাশিতে বাথরুম থেকে একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও একটি ফল কাটার ছুরি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব দিয়েই মা–মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। ডাইনিং রুমে থাকা ইন্টারকমের তার খুলে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে,মনে হচ্ছে নাফিসা কাউকে ফোন করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়।বাসার ভেতরে রক্তের দাগ, ধস্তাধস্তির চিহ্ন, তছনছ করা আলমারি ও ব্যাগ পাওয়া গেছে। নিহত লায়লা আফরোজের মোবাইল ফোনও নেই। শিক্ষক আজিজুল ইসলাম জানান, চার দিন আগে কাজের খোঁজে একটি মেয়ে গেটে আসে। দারোয়ান খালেক তাকে বাসায় পাঠান। মেয়েটি নিজেকে ‘আয়েশা’ বলে পরিচয় দেয় এবং জানায় তার গ্রামের বাড়ি রংপুর, বাবা–মা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, আর সে জেনেভা ক্যাম্পে চাচা–চাচির সঙ্গে থাকে। তার শরীরেও পোড়ার দাগ দেখা যায়।ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেন ,দুজনের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বাসায় ধস্তাধস্তির আলামত রয়েছে। হত্যাকারী ঘটনাস্থলে বাথরুমে ফ্রেশ হয়েছে,এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।’’গৃহকর্মীর পরিচয় ও পলায়নের পথ চিহ্নিত করতে কাজ চলছে। দারোয়ান মালেককে জিজ্ঞাসাবাদে রাখা হয়েছে

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
সারা দেশ
ওয়াজের মঞ্চে স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু

ওয়াজের মঞ্চে স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু তাফসির মাহফিলের মঞ্চে তখন ছিল এক গভীর, নিবিড় নীরবতা। মঞ্চ জুড়ে বসে থাকা হাজারো মানুষ প্রিয় বক্তার বক্তব্যে ডুবে ছিলেন। তাঁর কণ্ঠের মাধুর্য, হৃদয়ছোঁয়া উপস্থাপনা, তিলাওয়াত ও ব্যাখ্যা—সবকিছুতেই মুগ্ধ হয়ে শ্রোতারা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। ঠিক এমন সময়ই ঘটে যায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা মুহূর্তেই পুরো মাহফিলস্থলকে স্তব্ধ করে দেয়। বয়ানরত অবস্থায় হঠাৎ করেই বক্তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। তিনি হাতের মাইক্রোফোনসহ মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি হয়তো অসুস্থ বোধ করায় বসে পড়েছেন; কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। মঞ্চের পাশে থাকা আয়োজকরা ছুটে গিয়ে তাঁকে ধরার চেষ্টা করেন, শ্রোতারা দাঁড়িয়ে যান, অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তৎক্ষণাৎ আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই জানান, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবার পরও তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে মাহফিল, এলাকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। বহু মানুষের জীবনে ছোঁয়া রেখে যাওয়া এই বক্তার মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করেছে। তাঁর বয়ান, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, মানুষের মন জয়ের ক্ষমতা—সবকিছুই মানুষ স্মরণ করছে গভীর আবেগে। স্থানীয় ধর্মীয় অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই এই ক্ষতিকে অপূরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় দোয়ার আয়োজন করা হচ্ছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
জাতীয়
টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতা–কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশব্যাপী যে দোয়া মাহফিল চলছে, তা প্রমাণ করে তিনি এখনো মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে জায়গা করে আছেন।’ দোয়া মাহফিল শুরুর আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শহর বিএমেহেদী হাসান আলীম, সাধারণ সম্পাদক এজাজুল হক সবুজ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপনসহ দলের অন্যান্য নেতা। বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা। তাঁরা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার নিয়মিত উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও রাজনৈতিক কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণকারী নেতা–কর্মীরা জানান, দলীয় প্রধানের সুস্থতার জন্য তারা ব্যক্তিগতভাবেও নিয়মিত প্রার্থনা করছেন। দোয়া শেষে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন। পুরো আয়োজন জুড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
জামদানির পর এবার টাঙ্গাইল শাড়ি—ইউনেসকোর ঐতিহ্যের তালিকায় স্বীকৃতি চান বাংলাদেশের তাঁতশিল্পীরা
জাতীয়
জামদানির পর এবার টাঙ্গাইল শাড়ি—ইউনেসকোর ঐতিহ্যের তালিকায় স্বীকৃতি চান বাংলাদেশের তাঁতশিল্পীরা

বাংলাদেশের তাঁত শিল্পে নতুন আশার আলো জ্বালালো টাঙ্গাইল শাড়ি। ঐতিহ্য, নকশা ও শৈল্পিক দক্ষতার অনন্য প্রদর্শন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক পরিসরে সুনাম কুড়ানো এই শাড়িকে এবার ইউনেসকোর মানবজাতির অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (Intangible Cultural Heritage) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন দেশের তাঁত শিল্পীরা। বহু প্রজন্মের স্মৃতি, পরিশ্রম আর ঐতিহ্যের বাহক এই শাড়ি ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন তাঁতিরা। বাংলাদেশের জামদানি শাড়ি ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে আলোচনায় এসেছে, তেমনই সাফল্যের আশা করছেন টাঙ্গাইলের তাঁতিরা। তাঁদের মতে, স্বীকৃতি পেলে শাড়িটির ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়বে, বিদেশি ক্রেতার আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইউনেসকোর তালিকাভুক্ত অনেক সাংস্কৃতিক উপাদানের ক্ষেত্রে পর্যটন বাড়ার পাশাপাশি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও প্রসারিত হয়েছে। এর উদাহরণ হিসেবে তাঁরা উল্লেখ করছেন বাংলার দুর্গাপুজোর কথা—যা স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই বিদেশি দর্শনার্থীর সংখ্যা দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যবাংলার টাঙ্গাইল অঞ্চলে শত বছর ধরে তাঁতশিল্পীদের বসতি গড়ে উঠেছে। এখানকার তাঁতিরা প্রজন্ম ধরে হাতে বোনা টাঙ্গাইল শাড়ির খ্যাতি ধরে রেখেছেন। অন্য শাড়ির তুলনায় অনেক হালকা ও আরামদায়ক হওয়ায় এটি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নারীরা।রঙিন সুতোর বুনন, ফুলেল নকশা ও সূক্ষ্ম কারুকাজ—এসবই টাঙ্গাইল শাড়িকে অন্যসব শাড়ি থেকে আলাদা করে। স্থানীয় তাঁতিরা জানান, এই শাড়ির প্রতিটি ইঞ্চি বুনতে সময় লাগে, প্রয়োজন হয় একাগ্রতা আর অভিজ্ঞতার। তাই টাঙ্গাইল শাড়ি শুধু একটি পোশাক নয়—এটি একটি শিল্প, একটি সংস্কৃতি, একটি ইতিহাস। টাঙ্গাইলের তাঁতিরা এখন এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। কাঁচামালের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় শাড়ি প্রস্তুতির খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাজারে দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতা সেভাবে বাড়ছে না। তিনি জানান—প্রস্তুতি খরচ বেড়েছে,বিক্রি কমছে,উৎসবের মৌসুমেও আশানুরূপ বিক্রি হয়নি,যুব সমাজ তাঁত পেশায় আসতে দ্বিধায় ভুগছে।যারা আসছে, তারাও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তাঁতশিল্পীরা মনে করেন, ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেলে এই সংকট অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। বিশ্ববাজারে নতুন দরজা খুলবে, বাড়বে চাহিদা। ফলে এই পেশায় নতুন প্রজন্ম আগ্রহী হবে। বাংলাদেশের গর্বের তালিকায় রয়েছে বহু সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান—বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ,সুন্দরবন,পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ,বাউল গান,জামদানি,শীতলপাটি,পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা।এবার, সেই তালিকায় টাঙ্গাইল শাড়ি যুক্ত হলে বাংলাদেশ আরও একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে পারবে। শিল্পীরা বিশ্বাস করেন, ঐতিহ্যবাহী এই শাড়ির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শুধু সংস্কৃতির গর্বই বাড়াবে না, বরং তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জীবিকা রক্ষা করবে। বিশ্ববাজারে পরিচিতি বাড়লে দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। টাঙ্গাইলের তাঁতিরা তাই এখন নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন—“টাঙ্গাইল শাড়ি শুধু বাংলাদেশের গর্ব নয়, এটি পুরো বিশ্বের ঐতিহ্যের অংশ হোক।”

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইল জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইল জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা। অত্যন্ত আন্তরিক ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পুলিশ, টাঙ্গাইল-এর আয়োজনে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার। অনুষ্ঠানে তিনি বিদায়ী অফিসার ইনচার্জদের দীর্ঘদিনের নিষ্ঠাপূর্ণ দায়িত্বপালনের প্রশংসা করেন এবং তাঁদের প্রতিটি থানায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসেবা, মানবিক আচরণ ও পেশাদারিত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিদায়ী ওসিদের স্মৃতিচারণে বক্তারা বলেন, তাঁরা দায়িত্ব পালনকালে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও ধৈর্য, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিযান, অপরাধ দমন, অপরাধ তদন্তসহ থানা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান জেলার পুলিশ প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করেছে। এসময় পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন— “জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ দায়িত্ব পালনকালে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রতিটি থানায় তাঁদের নেতৃত্বে জননিরাপত্তা রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা সহজ হয়েছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন ও কর্মজীবনের সফলতা কামনা করছি।” অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিদায়ী কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন পুলিশ সুপার। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন ওসির ভূমিকা শুধু প্রশাসনিক দায়িত্বে সীমাবদ্ধ নয়; বরং একজন নেতৃত্বদাতা হিসেবে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল জেলার সকল থানা’র নবাগত অফিসার ইনচার্জদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার জনাব শামসুল আলম সরকার। তিনি নবাগতদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনকালে সততা, মানবিকতা, সেবা ও শৃঙ্খলার মূলনীতি বজায় রেখে জনগণের আস্থা অর্জন করাই হবে তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, থানার প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী অফিসারদের বিদায় ও নবাগত ওসিদের জন্য শুভকামনা জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
সারা দেশ
কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত

কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে ফেরার পথে ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাওহীদ (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। রবিবার ভোরে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পাকুটিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তাওহীদ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শীতের সকালে খেজুরের রস খেতে তাওহীদ ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে ধানগড়া এলাকায় যায়। তারা রস খেয়ে বাড়ির পথে ফিরছিল। পাকুটিয়া বেইলি ব্রিজে উঠতেই হঠাৎ মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ব্রিজের লোহার রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খায়। ধাক্কা এতটাই শক্ত ছিল যে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তাওহীদ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা দুই কিশোর—জিহাদ ও হাসান—গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। কালিহাতী থানার ওসি জানান, অতিরিক্ত গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্থানীয়রা জানান, শীতকালে ধানগড়া ও আশপাশের এলাকায় খেজুরের রস খেতে ভোরে ভোরে কিশোর-যুবকদের ভিড় থাকে। কিন্তু রাস্তার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ না থাকা ও ব্রিজে বাম্পার বা সতর্কতা ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। হঠাৎ ফুলেলের কিশোরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা তাওহীদের অসময়ে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তারা ব্রিজে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে