টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মো. হুমায়ুন কবিরের নির্বাচনি পথসভায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত একজন জামায়াত কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফলদা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় কিছু সময় উত্তেজনা বিরাজ করে। জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, মাওলানা হুমায়ুন কবিরকে সঙ্গে নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনি পথসভা ও প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সভা চলাকালে হঠাৎ স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জামায়াত নেতাকর্মীরা সভা শেষ করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের দাবি, জামায়াতের নেতাকর্মীরা অন্য পথ দিয়ে সরে যাওয়ার সময় একপাশে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয় এবং সভাস্থলে থাকা চেয়ার, টেবিল ও মাইক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে জামায়াতের এক কর্মী আহত হন। ভূঞাপুর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের সভার আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। এটি পরিকল্পিত হামলা। এ ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের হামলা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু। তিনি বলেন, “এটি কোনো পরিকল্পিত হামলা নয়। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র, যা ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। আমরা কাউকে প্রতিহত করিনি, বরং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতেও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে আমরা প্রস্তুত।” এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাব্বির রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।” এ ঘটনার পর স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে যুব বিভাগের নতুন অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে অফিসের উদ্বোধন করেন জননেতা মাওলানা মোঃ হুমায়ুন কবির, যিনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী–এর নেতৃবৃন্দের একজন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন যুব বিভাগের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, নতুন অফিস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলাকার যুব সমাজ আরও সংগঠিত হবে এবং বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম আরও গতিশীলভাবে পরিচালিত হবে। এসময় এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, “যুবকদের দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সুসংগঠিত ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে এ ধরনের অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও উপস্থিত সবার সাথে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অফিস উদ্বোধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
ভুঞাপুর ওয়ার্ডের উদ্যোগে নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি ও টাংগাইল ২ আসনের নমিনি জনাব হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন,উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। নির্বাচনী উঠান বৈঠক সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। এই ধরনের সভা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনুষ্ঠানে জনাব হুমায়ুন কবির, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং মাওলানা নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি সভাটিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। আশা করি এই বৈঠক এলাকার মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং আসন্ন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে সংঘটিত লগি-বৈঠার তাণ্ডব ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা থানা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আমির অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের জামায়াত মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবির। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইদ্রিস হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা রাফিউল আলম রুমু, উপজেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান এবং উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক উবাইদুল্লাহ। ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা বাজার ও প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। বক্তারা বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের পল্টন হত্যাযজ্ঞ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। আমরা সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।” সমাবেশে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইল জেলায় আসন্ন ২০২৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর ৫ আসন জুলাই সনদ এবং নানাবিধ কার্যকলাপ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (২৭ অক্টোবর ২০২৬ ইং) তারিখে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে তারা। দাবিগুলো হলো, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনে PR পদ্ধতি চালু, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা আমির আহসান হাবীব মাসুদের সভাপতিত্ব করেন। টাঙ্গাইল জেলার জামায়াতী ইসলামে সদর ৫ আসনের প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ বলেন,দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতিকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বাদলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির, সহকারী সেক্রেটারি হোসনে মোবারক বাবুল, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিসের জেলা সহসভাপতি মুফতি আব্দুর রহমান মাদানি, খেলাফত মজলিসের জেলা সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কোরায়েশী, শহর আমির অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। এই বিক্ষোভ সমাবেশে সবাইকে ধৈর্য এবং শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানান এবং দেশের সকল নেতাকর্মীদের সঠিকভাবে কার্যকলাপ অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানান।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর–ভূঞাপুর) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে গোপালপুরে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় সুতী ভি.এম. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। এতে তিন শতাধিক মোটরসাইকেলে দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় সমর্থকরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি গোপালপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পথে পথে মাওলানা হুমায়ুন কবির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাঁর উন্নয়ন ভাবনা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার তুলে ধরেন। আয়োজকরা জানান, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজিত এই শোভাযাত্রা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং এলাকায় নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ড. মো. আতাউর রহমান, উপজেলা জামায়াত আমির মো. হাবিবুর রহমান তালুকদার, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মান্নান, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক উবায়দুল্লাহসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী
আইনি ভিত্তি সহ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি এবং পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গোপালপুর উপজেলা শাখা। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার পৌর শহরের সুতী গোরস্থান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গোপালপুর বাজারে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। উপজেলা জামায়াতের আমির মো. হাবিবুর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুয়াপুর) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবির। উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মো. ইদ্রিস হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন উপজেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মো. আব্দুল মান্নান, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ। এসময় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) গাজীপুরের কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় (মডেল মসজিদ সংলগ্ন) এক বিশাল বিজয় সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইজুদ্দিন আহম্মেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ মজিবুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতার উজ জামান, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান,জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হযরত আলী মিলন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ তপন খান,পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন ও সদস্য সচিব আমজাদ হোসেন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ শামসুজ্জামান শিপলু বকসীসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।নেতারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, “গত বছরের এই দিনে ছাত্র-জনতার বীরত্বপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রবিরোধী আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে। এ বিজয় শুধু বিএনপির নয়, এটি দেশের স্বাধীনতাকামী ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী সকল মানুষের অর্জন।সমাবেশ শেষে এক বিশাল বিজয় র্যালি বের হয়, যা কালিয়াকৈরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন ও নানা স্লোগানে সরকারের দমননীতি ও গণতন্ত্র হরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।বৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও সমাবেশ ও র্যালিতে সাধারণ জনগণসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।নেতাকর্মীরা এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন আরও বেগবান করার ঘোষণা দেন।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।