রাজনীতি

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
নভেম্বর ১৬, ২০২৫ | 0
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সজীব হোসেনকে সভাপতি ও নবাব আলীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত প্যাডে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন, সহ-সভাপতি আরাফাত অনিম, রেজাউল হান্নান, মাহমুদুল হাসান মিলন, আল আমিন উদয়, সুলতান খান, অনিক হাসান, এস এ শিশির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হাসেম, আমির হামজা, তামান্না ইসলাম তরী, আল আমিন, সজীব হাসান, রাসেল রানা, শামীম পারভেজ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক কায়ছার আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মেহেদী, রনি, রবিউল ইসলাম মোছা: সাজিয়া আক্তার, মমিনুর রহমান, পলাশ আহমেদ, নাজমুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সহ দপ্তর সম্পাদক জুবায়দুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নিলয়, সহ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাসরুফ মইন উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মাহাতাব আহমদ মাহি, সহ অর্থ সম্পাদক মাহীম তালুকদার, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক ফামিম হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সজীব সিকদার, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক আরিয়ান ইসলাম আশা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রনি ইসলাম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক নাঈমুল রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাজমুন নাহার শিখা, ক্রীড়া সম্পাদক ইমরুল হাসান পারভেজ, রাজনৈতিক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি সংরক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক রুহুল আমিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদ বিন মুজিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক শাহীন আল মামুন। কার্যকরী সদস্যরা হলেন- আসাদুল ইসলাম, শাহীন শাহ, কালাম শেখ, এনামুল হক, সাব্বির আহমেদ, আবদুল আওয়াল। এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী বলেন, আজ আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পাওয়া আমার জীবনের এক বিশেষ সম্মান। এই দায়িত্ব আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়-এটি আপনাদের সকলের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও ত্যাগের ফসল। আমি বিশ্বাস করি, ছাত্র অধিকার পরিষদের শক্তি হলো সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা, এবং সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায্য অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা। আমরা কখনো ক্ষমতার লোভে কাজ করি না; আমরা কাজ করি নীতি, আদর্শ ও দেশপ্রেমকে আঁকড়ে ধরে। আমি দলের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করব। যে অন্যায়, দুর্নীতি, অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে আগের মতোই অবিচল থাকব।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

রাজনীতি

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল
টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্যোগে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের পৌর উদ্যান থেকে এই মৌন মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও পৌর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান জিন্নাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম ঝলক, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হকসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কয়েকটি আসনে যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। টাঙ্গাইল-৫ আসনেও কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভ্রান্ত করে এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যার জন্ম অন্য উপজেলায়—যা স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বলেন, “যে আসনে স্থানীয় মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, সেখানে বাইরের কাউকে মনোনয়ন দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা তৈরি হয়েছে।" সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে ঘোষিত মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে স্থানীয় নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা ফরহাদ ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানান। তারা বলেন, ফরহাদ ইকবাল স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়, যোগ্য এবং দীর্ঘদিন ধরে দলের কঠিন সময়ে রাজপথে ছিলেন। মিছিলে সদর উপজেলা ও শহর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। পুরো কর্মসূচি জুড়ে দলীয় নেতারা মুখে কালো ব্যাজ ধারণ করে নীরব প্রতিবাদ জানান। স্থানীয় রাজনীতিতে এই মৌন মিছিলকে বড় ধরনের বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ

টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে যুব বিভাগের নতুন অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ

“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি
“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি

জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের শঙ্কা তৈরি করা হচ্ছে মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, “এসব শঙ্কা দূর করে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবেশ কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না।” শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরে শ্রমিক, কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষ ও নিপীড়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ‘মাথাল মার্কার মিছিল’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কার এখন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে যুক্ত। সংস্কার করতে হলে ‘ভোট ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের’ নির্বাচন প্রয়োজন। এ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া ছাড়া গণতন্ত্রের সঠিক অগ্রযাত্রার বিকল্প নেই। এই নির্বাচন যাতে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা ষড়যন্ত্রের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টার কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট রাজনীতির ধারকরা বিভিন্নভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। কিছু গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এসব অপচেষ্টা রুখে দিতে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।” এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতি দেখভালের জন্য একটি ‘পরিবেশ কমিটি’ গঠনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। মিছিলে সদর আসনের প্রার্থী গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক ফাতেমা রহমান বীথি, সংগঠক তুষার আহমেদ, সদর উপজেলার সদস্য সচিব ফারজানা জেসমিনসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জীবিকার ন্যায্য হিস্যা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, এবং সংসদীয় সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার প্রদর্শন করেন।

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী

টাঙ্গাইল সদরের জনগণের উদ্দেশ্যে এডভোকেট ফরহাদ ইকবালের আবেগঘন বার্তা

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল

টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নাকি আহসান হাবীব মাসুদ ?

টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নাকি আহসান হাবীব মাসুদ ?টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। ধানের শীষে টুকু, দাঁড়িপাল্লায় মাসুদ টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে অবশেষে মনোনয়ন পেয়েছেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তার মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় বিএনপি নেতা–কর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে আনন্দ, উৎসাহ ও নব উদ্দীপনা। এদিকে একই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আহসান হাবীব মাসুদ। ফলে দুই দলের প্রার্থীর মাঠে নামায় টাঙ্গাইল সদরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন—টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনটি বহুদিন ধরেই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ কারণে দলের জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়ন কর্মী–সমর্থকদের উত্তেজনা ও আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি ও জনভিত্তি তুলনামূলকভাবে বেশি বলেই মনে করছেন ধারণ ভোটাররা। বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর স্থানীয় ভোটারদের মাঝে ধারণা—এই আসনে বিএনপির বিজয়ের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। তবে জামায়াত কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বাড়তে থাকলেও টাঙ্গাইল সদরের সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন প্রত্যাশা করছেন। টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে অবশেষে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। দীর্ঘদিনের জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিএনপি তাকে এই আসনের প্রার্থী ঘোষণা করলে এলাকাজুড়ে নেতা–কর্মীদের মধ্যে দেখা যায় উৎসাহ-উদ্দীপনা। অন্যদিকে একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ। ফলে দুই দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টাঙ্গাইল সদরের রাজনৈতিক মাঠ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাধারণ ভোটারদের মতে, টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা দীর্ঘদিনের। দলটি তাদের শক্ত ঘাঁটিতে যোগ্য প্রার্থী ঘোষণা করায় কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। পক্ষান্তরে, জামায়াতে ইসলামের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও বিএনপির সংগঠন ও জনভিত্তি তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী বলেই মনে করছেন অনেকে। বিএনপির প্রার্থিতা ঘোষণার পর স্থানীয়দের ধারণা—এই আসনে বিএনপি বিজয়ের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। এখন দেখার বিষয়, জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ভোটের মাঠে কতটা জনসমর্থন টানতে পারে। নির্বাচন ঘিরে টাঙ্গাইল সদরে উত্তাপ বাড়তে থাকলেও ভোটাররা শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচনের প্রত্যাশা করছেন।

ডিসেম্বর ৪, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-৫ এ সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে বিএনপির মনোনয়ন- টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম (ইউকের) শুভেচ্ছা

টাঙ্গাইল-৫ এ সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে বিএনপির মনোনয়ন- টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম (ইউকের) শুভেচ্ছা

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলে দেলদুয়ার উপজেলা জাতীয় পার্টির নতুন ৭৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা

টাঙ্গাইলে দেলদুয়ার উপজেলা জাতীয় পার্টির নতুন ৭৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা

0 মন্তব্য