দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার করটিয়া নামদার কুমিল্লি গ্রামে প্রেমের অভিযোগে কারাগারে থাকা যুবকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। রোববার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) করটিয়া ইউনিয়নের নামদার কুমিল্লি বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধনে অংশ নেয় এলাকার শত শত মানুষ যেটি একটি অন্যরকম আলোড়নায় সৃষ্টি হয় এবং প্রশাসনকে উল্লেখ করে বলা হয় যে সোহাগের নামে যে মিথ্যা এবং অন্যায় ভাবে তাকে কারাগারে নির্যাতন করা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সোচ্চার এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার এলাকাবাসীর। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গ হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া, খলিলুর রহমান, আশরাফ আলী মিঞা,ফরিদ মিঞা ,মজিবর রহমান মিঞা, আবুল কালাম আজাদ, মো. জাহিদ মিয়া ও ফরিদ মিয়া প্রমুখ। নামদার কুমল্লী গ্রামের মো. সহিদুল ইসলামের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (২৩) দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মো. লোমান মিয়ার মেয়ে নাফিছা আক্তার লুবনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে লুবনা গত দুই বছরে একাধিকবার সোহাগের বাড়িতে গিয়েছিলেন। প্রতিবারই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেন। সম্প্রতি লুবনা আবারও প্রেমিক সোহাগের কাছে চলে এলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিতা লোমান মিয়া সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর—নারী ও শিশু ১৫৭/২৫। বর্তমানে ওই মামলায় সোহাগ চার মাস ধরে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, মেয়ের পিতা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রেমের সম্পর্ককে ‘অপহরণ’ আখ্যা দিয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তারা অবিলম্বে সোহাগের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং মুক্তি না পেলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। মানববন্ধনে সোহাগের বাবা সহিদুল ইসলাম ও মা সুর্যভানু কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেলের মুক্তির আবেদন জানান। মানববন্ধন শেষে নামদার কুমিল্লি বাজার থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
গুম ও হত্যা মামলার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা ১৫ সেনা কর্মকর্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল–১ এই আদেশ দেন। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত দুইটি গুম মামলা এবং রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় এই শুনানি হয়। তিনটি মামলায় মোট ৩২ জন আসামি রয়েছেন, যাদের মধ্যে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা হাজির না হলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে ট্রাইবুনাল জানিয়েছে। হাজির হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমনসহ আরও অনেকে। আজ ভোরে বাংলাদেশ প্রিজন সার্ভিসের নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইবুনালে আনা হয়। সকাল ৭টার কিছু পর তারা ট্রাইবুনাল চত্বরে প্রবেশ করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে কোথায় তাদের রাখা হবে তা নির্ধারণ করবে কারা কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত সাব-জেলে তাদের রাখা হতে পারে। রাজধানীতে ট্রাইবুনাল এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাইকোর্ট মাজারগেট, মৎস্যভবন, কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সাংবাদিকদের প্রবেশও ছিল সীমিত।
১২ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানায় দুই সহোদর ধরাছোঁয়ার বাইরে। কোর্টের আদেশ পালনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন। সরজমিনে তথ্য নিয়ে জানা যায়, নোয়াখালীর আল আমিন বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ এর ডাইরেক্টর আপন দুই ভাই শিবলী মির্জা ও হাসান মির্জা। চেক ডিজঅনার (সিআর) মামলায় অর্থদণ্ড ও ১২বছর করে সাজাপ্রাপ্ত হলেও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের নাকের ডগায়। তাদের প্রতিষ্ঠান আল আমিন বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ ও আল আমিন সুইটস এন্ড ক্রেকার্স লিমিটেড ২০০৩ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চৌমুহনী শাখা থেকে বিনিয়োগ নেওয়া শুরু করে। বিনিয়োগ নেওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি টাকা পরিশোধে গড়িমসি শুরু করে। বাধ্য হয়ে ব্যাংক অর্থঋণ আদালতে মামলার পাশাপাশি সিআর (চেকের) মামলা করে। এর মধ্যে ১২টি মামলার আমলী আদালত নং-৩ নোয়াখলী এর সিআর মামলা নং-৩৯০/২১ এর (২টি), ৩৯১/২১ এর (২টি), ৩৯৪/২১ এর (২টি), ৩৯৫/২১ এর(২টি), ১৫৫/২২ (২টি) ১৫৬/২২ (২টি) রায় হয়েছে, যার প্রত্যেকটিতে ১বছর করে সাজা হয়েছে দুই ভাইয়েরই। পাশাপাশি কোর্ট থেকে ৩৬.১০ কোটি টাকা প্রদানেরও আদেশ হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশের কর্মকর্তারা তাদেরকে গ্রেফতার করছেনা। পুলিশের এমন অবহেলা মূলক আচরণে সাধারণ জনগণ হতাশ হয়ে তাদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাথেসাথে অতিবিলম্বে কোর্টের আদেশ পালনে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিবে বলে আশা করে।