দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।
মোস্তফা মাসুদ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম 'কে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলা তাঁতি দলের আওতাধীন ০৪ নং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল ৫টায় উপজেলা তাঁতি দলের আহবায়ক শরিফ মোঃ আব্দুল রাজ্জাক ও সদস্য সচিব শেখ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অনুমোদন পত্রে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই আহবায়ক কমিটির অনুমোদন প্রদান করা হয়। গঠিত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- আহবায়ক: মোঃ শরিফুল ইসলাম (মধু),সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক: মোঃ আবু বকর আলী কারিকর, যুগ্ম আহবায়ক: মোঃ ওহিদুল ইসলাম, মোঃ শাজউদ্দিন,মোঃ নুরুজ্জামান,সদস্য সচিব: মোঃ আল আমিন, সদস্য মোঃ মাহফুজুর রহমান,মোঃ ফারুক হোসেন,মোঃ মিজানুর রহমান,মোঃ আরিফ হোসেন ও মোঃ মুজিবর রহমান। নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, তাঁতি দলের রাজনীতিকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও শক্তিশালী ও জনমুখী করতে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। তাঁদের বিশ্বাস,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে দলীয় সংগঠন আরও সুসংহত হবে। উপজেলা আহবায়ক মোঃ আব্দুল রাজ্জাক বলেন,“ তাঁতি দল হচ্ছে বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন।আমরা প্রত্যাশা করি,নতুন এই আহবায়ক কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে আরও তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবে।এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও নতুন কমিটি গঠনের খবরে উৎসাহ ও নবউদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তাঁরা মনে করেন, নতুন এই নেতৃত্ব তাঁতি দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আনবে এবং আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে, যুবকদের উদ্দ্যেক্তা করে তুলছেন - রনি মিত্র যেদিতে চোখ যায়, শুধু মাল্টা ফলের বাগান। থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা। বাগানের গাছের ডাল গুলো যেনো মাল্টার ভারে নুয়ে পড়ছে। পতিত জমিতে মাল্টা আবাদ করে একজন সফল উদ্দ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিজয়পুর এলাকার রনি মিত্র। এই বাগান থেকে বছরে আয় করছেন ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। রনি মিত্র, নিকুঞ্জ মল্লিক ও সুমন মল্লিকের এই মাল্টাবাগান দেখে স্থানীয় যুবকরা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। রনি মিত্রের মাল্টার বাগান পরিদর্শন করে জানা গেছে, ২০২২ সাল থেকে এক একর পতিত জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় গড়ে তুলেছেন এই বিশাল মাল্টার বাগান। প্রথমে ৩শতাধিক এবং পরে আরে ২শত চারা রোপন করেছেন তিনি। বর্তমানে বাগানে প্রায় ৫ শতাধিকের বেশি চারা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছরের মধ্যেই মাল্টা বিক্রি শুরু করেছেন রনি মিত্র। ওই এলাকার কয়লা পোর্টের মামা-ভাগ্নের অনাবাদি পতিত এক একর জমিতে মাল্টার গাছ লাগিয়েছিলেন রনি। এই পতিত জমি প্রস্তুত, রাসায়নিক ও জৈব সার প্রদান, বিদ্যুৎ নামানো, শ্রমিক খরচ মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ১২লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাগানে ৫ শতাধিকের বেশি চারা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছরেই মাল্টার বাজার জাতকরণ করতে পেরেছেন তিনি। প্রথম বছরেই মাল্টা বিক্রি করেছেন প্রায় দুই লাখ টাকার মতো। তবে এ বছর যে পরিমান মাল্টার ফলন হয়েছে তাতে ৪ থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার অধিক বিক্রি করতে পারবেন। এর পরের বছর মাল্টা বিক্রি এর দ্বিগুন হবে বলেও জানা তিনি। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রনি মিত্রের মাল্টা বাগান দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবকগণ বাগান করার স¦প্ন দেখছেন। যুবকদের নিজের বাগানে এনে নানা পরমর্শ দিয়ে চাকরির আশায় বসে না থেকে, নিজের শ্রমেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার পরিকল্পনাকারী হিসেবে গড়ে তুলতে পরিশ্রমও করে যাচ্ছেন তিনি। পাইকারী দরে মাল্টা নিতে আসা ব্যবসায়ী মিলন মিয়া জানান, বর্তমান পাইকারী মুল্যে আমরা ২,৬০০/- টাকায় প্রতিমন মাল্টা ক্রয় করতেছি। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা খুবই সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। যে কারণে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। এখানের মাটি যে উর্বর, যদি সোমেশ^রী নদীতে যদি একটা ব্রিজ থাকতো, তাহলে বিজয়পুর এলাকার ফসল দিয়েই বৃহত্তর ময়মনসিংহে কৃষি বিপ্লব ঘটানো যেতো। অপর এক ব্যবসায়ী হারিছ মিয়া বলেন, এই বাগান থেকে মাল্টা নিয়ে আমরাও লাভবান। বাগানের ফলন যেভাবে আসছে, কয়েক বছরের মধ্যেই সকল খরচ উঠে যাবে। বিক্রি বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। মাত্র আড়াই বছর বয়সী একেকটি গাছে দুই মণ পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। গাছের বয়স ও আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাল্টার পরিমাণ ও স্বাদ বাড়তে থাকে। এ দেখে আমি নিজেও মাল্টা চাষ করবো ভাবছি। রনি মিত্র জানান, পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায়না। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এই বাগান করেছি আমি। গত বছরের তুলনায় এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়েছে তাতে তার সব খরচ মিটিয়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাভবান হবে। আগামী বছর এর পরিমান দ্বিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার অধিক বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী। কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় বিক্রি নিয়ে একটু চিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, যুবরাই পারে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোড়াতে। বিজয়পুর এলাকার মাটি যে উর্ব্বর, সোমেশ^রী নদীতে যদি একটা ব্রিজ থাকতো, তাহলে বিজয়পুর এলাকার যুবদের উৎপাদিত ধান, রবিশস্য এবং উৎপাদিত ফল বিক্রি দিয়েই সরাদেশে দুর্গাপুর উপজেলাকে একটা অর্থনৈতিক জোন হিসেবে পরিচিতি করানো যেতো। এথেকে কর্মহীন যুবসমাজ একজন সফল উদ্দ্যেক্তা হিসেবে গড়ে উঠতো। দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হানুল হক বলেন, আশপাশের উপজেলার তুলনায় দুর্গাপুরে প্রায় সব ধরনের ফসলই ভালো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে দিন দিন বেড়ে চলেছে মাল্টার চাষ। অত্র এলাকার কর্মহীন যুবদের উদ্দ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন বাগানের মালিক রনি মিত্র। মাল্টা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই উপজেলার কৃষকরা। রণি মিত্র মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। ওনার বাগানে এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়ে তাতে তিনি অনেক বেশি লাভবান হবেন। মাল্টা বাগানের গাছ প্রতি ১৫-২০ কেজি হারে বাজারজাত করতে পারবে। তার এই সফলতার কারণ যদি বলি, সম্পুর্নই উনার আগ্রহ ও বাগানের যতœ নিয়েছেন বলেই সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের সহযোগিতা ছিল।
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার ৪ নম্বর আওনা ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে মোঃ হারুন (৩৮) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ মাখনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন শিপ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং কিছুদিন আগে ছুটিতে নিজ বাড়িতে এসেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতের কোনো এক সময় হারুন বাটিকামারী গ্রামে তার মামার বাড়ির দরজার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে দরজায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি মানিব্যাগ (যার ভেতরে ছিল ২,৪১০ টাকা) এবং কিছু ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদকসেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, “খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান মিনারা আশরাফ ও পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।” পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের দাবি, হারুন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন এবং সম্প্রতি মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলেন, এক সময় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন হারুন, কিন্তু নেশার কবলে পড়ে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েন তিনি।