জাতীয়

টাঙ্গাইল সহ উত্তরবঙ্গের মানুষ পেতে যাচ্ছে আইকনিক ও আধুনিক রেলস্টেশন।

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
নভেম্বর ১৩, ২০২৫ | 0

টাঙ্গাইল সহ উত্তরবঙ্গের মানুষ পেতে যাচ্ছে আইকনিক ও আধুনিক রেলস্টেশন। পুরোনো সব স্টেশনকে আধুনিকায়নের কাজ শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। বর্তমানে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস পর্যন্ত ডাবল লাইন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্প শেষ হলে ঢাকাসহ উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘটবে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। ডাবল লাইন চালু হলে— ট্রেন চলাচলে আর থাকবে না ক্রসিংয়ের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। ঘন্টার পর ঘন্টা স্টেশনে বসে থাকতে হবে না। সময় কমে আসবে, বাড়বে ট্রেনের গতি ও নিরাপত্তা। এই প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইল জেলার স্টেশনগুলোসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে নতুন রূপে সাজানো হবে — আধুনিক টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং লাউঞ্জ, উন্নত শৌচাগার, ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি স্টেশনে। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস ডাবল লাইন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রধান স্টেশনসমূহ: > জয়দেবপুর – মির্জাপুর - টাঙ্গাইল– ইব্রাহীমাবাদ– উল্লাপাড়া – নাটোর – ঈশ্বরদী বাইপাস।

সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

টাঙ্গাইল সখীপুর উপজেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর অভিযান

টাংগাইলের সখিপুরে বিভিন্ন কসমেটিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর দোকানগুলোতে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সখিপুর উপজেলার সখিপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধ ও নিষিদ্ধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নকল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাবে মনিটরিং করবে ।জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।

টাঙ্গাইল শহরের গৌরঘোষ দধি ভাণ্ডারে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।

জাতীয়

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইল সহ উত্তরবঙ্গের মানুষ পেতে যাচ্ছে আইকনিক ও আধুনিক রেলস্টেশন।

টাঙ্গাইল সহ উত্তরবঙ্গের মানুষ পেতে যাচ্ছে আইকনিক ও আধুনিক রেলস্টেশন। পুরোনো সব স্টেশনকে আধুনিকায়নের কাজ শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। বর্তমানে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস পর্যন্ত ডাবল লাইন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্প শেষ হলে ঢাকাসহ উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘটবে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। ডাবল লাইন চালু হলে— ট্রেন চলাচলে আর থাকবে না ক্রসিংয়ের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। ঘন্টার পর ঘন্টা স্টেশনে বসে থাকতে হবে না। সময় কমে আসবে, বাড়বে ট্রেনের গতি ও নিরাপত্তা। এই প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইল জেলার স্টেশনগুলোসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে নতুন রূপে সাজানো হবে — আধুনিক টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং লাউঞ্জ, উন্নত শৌচাগার, ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি স্টেশনে। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস ডাবল লাইন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রধান স্টেশনসমূহ: > জয়দেবপুর – মির্জাপুর - টাঙ্গাইল– ইব্রাহীমাবাদ– উল্লাপাড়া – নাটোর – ঈশ্বরদী বাইপাস।

নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

গোপালপুরে ব্র্যাকের উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে সবজি বীজ বিতরণ

ঐশী বাংলা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হলেন মোহাম্মদ শামীম শাহরিয়ার।

পদোন্নতি পেলেন ঐশী বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ শামীম শাহরিয়ার।

বাংলাদেশে ইস্রায়েলি শিপিং নেটওয়ার্কের গোপন কার্যক্রম ফাঁস

ভয় আর আতঙ্কের দেশে আমাদের বেঁচে থাকা।
অনিশ্চয়তা আর আতঙ্কের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন।

ভয় আর আতঙ্কের দেশে আমাদের বেঁচে থাকা আজকের বাংলাদেশে বেঁচে থাকাটাই যেন এক ধরণের চ্যালেঞ্জ। চারপাশে অদ্ভুত এক আতঙ্ক— মনে হয়, যেকোনো সময় কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। রাস্তায় বেরোলেই নিরাপত্তার অভাব, ঘরে বসেও শান্তি নেই। মানুষ যেন এক অনিশ্চয়তার দোলাচলে দিন কাটাচ্ছে। জীবনের কোনো গ্যারান্টি নেই— সকালে যে বেরিয়ে যায়, সে হয়তো আর ফিরে আসে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে বিপদ, সত্য বললে শত্রু তৈরি হয়। এ যেন এমন এক সমাজ, যেখানে সততা দুর্বলতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর মিথ্যা আর ক্ষমতার দম্ভই নিত্যদিনের নিয়ম। ভয়, আতঙ্ক, অবিশ্বাস— এগুলো এখন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। কখনও কখনও মনে হয়, আমরা স্বাধীন দেশে থেকেও এক অদৃশ্য বন্দিশালায় আটকে আছি। বিচার চাইলে হুমকি আসে, অধিকার চাইলে মামলা হয়। দুর্নীতি, মিথ্যাচার, প্রতারণা যেন এখন সমাজের চালিকাশক্তি। মানুষের মানবতা হারিয়ে যাচ্ছে— নিজের নিরাপত্তার জন্য অন্যের কষ্টকেও অনেকে উপেক্ষা করছে। তবুও, আমি এখনো আশাবাদী। কারণ এই দেশের মাটিতে এখনো সত্যিকারের সৎ মানুষ আছে— যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায় না, যারা এখনও আল্লাহর ভয়ে অন্যের ক্ষতি করতে চায় না। তাদের হাতেই একদিন পরিবর্তনের সূচনা হবে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ ভয় নয়, ভালোবাসা নিয়ে বাঁচবে। যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে সবার জন্য সমান, যেখানে সত্য কথা বলাই সাহস নয়, স্বাভাবিক অধিকার হবে। আমরা চাই এমন এক দেশ, যেখানে জীবনের গ্যারান্টি হবে নিরাপত্তা নয়— হবে শান্তি, হবে বিশ্বাস।

অক্টোবর ২৭, ২০২৫ 0

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

মসজিদের ইমাম দম্পত্তিকেরাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহনের ইন্তেকাল

অবশেষে ৩৩ বছর পর গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য উম্মুক্ত হলো রংপুর প্রেসক্লাব

রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্যভূক্তির ৩৩ বছরের রুদ্ধদুয়ার অবশেষ খুললো। এই নতুন সদস্যভূক্তির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে উচ্ছ্বাসের আনন্দ বইছে। তারা দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানান। একই সাথে তারা ক্লাবের আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য বিগত সময়ের অডিট শুরু করার জন্য আহ্বান জানান। বুধবার (১৪ অক্টোরব) সামাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগকৃত প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) কর্তৃক নতুন সদস্য অর্ন্তভূক্তির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে রংপুওে কর্মরত ১শ’৫জনকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিককে সদস্য করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনিল চন্দ্র বর্মণ জানান, প্রেসক্লাব রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত সংগঠন হিসেবে ১৯৯১ সালে তালিকাভূক্ত হয়। এর পর থেকে প্রেসক্লাব এর সদস্যরা নানা কালাকানুন তৈরি করে প্রেসক্লাবে নতুন সদস্যভূক্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখে। তিনি আরও জানান, রংপুর প্রেসক্লাব গত ১৯৯১ সালের ১৪ জুলাই জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুর কর্তৃক স্মারক-সসেআদ/রং/শা-রেজি/১১৮৩(৪) এ রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত হয়। যার নিবন্ধী নম্বর-রং/৩৫৯/৯১। যা ১৯৯১ সালের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আওতাধীন স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর আইনের আওতায় নিবন্ধিত সংগঠন। এই কারণে প্রেসক্লাব রংপুর কে উল্লেখিত রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধিমালা ও অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া বাধ্যতামূলক। এই বিধিবিধান ও অধ্যাদেশ মতে নিবন্ধিত সংস্থার গঠনতন্ত্র সংশোধন, আয়-ব্যয় এর হিসাব এবং গঠিত কার্যকরি কমিটির অনুমোদন নিবন্ধিত সংস্থা থেকে কমিটি গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নিবন্ধনের ৩৩ বছরে এই বিধি-বিধান উপেক্ষা করায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকের পক্ষ থেকে একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য গত ০১.০৯.২০২৪ খ্রীঃ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হয়। তিনি আরও জানান এর পর শুনানী এবং তদন্ত অন্তেঃ তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৯ এর ২ধারা ও বিধিমালা ১৯৬২ এর বিধান মতে রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১০.২৪.২৪ তারিখঃ ১৫.০১.২০২৪ খ্রীঃ মূলে প্রেসক্লাবের তৎকালিন কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রেসক্লাব রংপুরের এর তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করে। এরপর স্মরক নম্বর-৪১.২৭.৮৫০০.০০০.২৭.০৩১.২৫.৪৮(১৫) তারিখঃ ১৯.০১.২০২৫ মূলে প্রেসক্লাবের বরখাস্তকৃত কমিটিকে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীর কাছে দায়ীত্বভার দেয়ার জন্য নির্দেশজারী করে পত্র প্রদান করেন। কিন্তু বরাখাস্তকৃত কমিটি নির্দেশনা অমান্য করে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীকে দায়িত্ব ও নথিপত্র হস্থান্তর না করায় ২৯.০১.২৫ তারিখে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১.২৪.৫৯ মূলে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলী গঠনের আদেশ সংশোধন পূর্বক (বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, রংপুরের স্মারক নম্বর-০৫.৪৭.০০০০.০০৫.০২.০০৩.২২.৮১ তারিখ-২৭.০১.২০২৫ মূলে) রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলামকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আদেশ জারী করে। তিনি আরও জানান, সেই আদেশ মূলে প্রেসক্লাব রংপুরের নিয়োগকৃত প্রশাসক (স্মারক নম্বর-০৫.৫৫.৮৫০০.০১১.১২.০৬১.২৪-৫৪, তারিখ ২৯.০১.২৫ মোতাবেক) ৩০.০১.২৫ তারিখে-প্রেসক্লাব রংপুরের দায়িত্বভার গ্রহণ ও কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০০১০.৪২.৫১২, তারিখ ২৫.০৬.২০২৫ খ্রীঃ মূলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলাম(১৭৩৩৮) জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে বদলি হওয়ায় তাকে প্রেসক্লাব রংপুরের প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রংপুরকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সে হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রংপুর প্রেসক্লাব, রংপুরের আইনগতভাবে বৈধ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে সমাজসেবা কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পক্ষটি আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে একাধিক মামলা করেন। সেই মামলায় অদেশে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসককে নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনার কথা বলা হয়। এ বিষয়ে রংপুর জেলা জজ আদালতের জিপি একরামূল হক জানান, গত ২২ অক্টোবর’২৫ তারিখে মাননীয় জেলা জজ আদালত কর্তৃক এই সংক্রান্ত মামলার আদেশে রংপুর জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বলেছেন, “ নথি, দাখিলীয় দরখাস্ত ও বিজ্ঞ কৌশলীর বক্তব্য পর্যালোচনা করিলাম। পর্যালোচনাক্রমে দেখা যায় যে, বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য-২৭৭/২০২৫ নম্বর মোকাদ্দমার বিগত ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারিতা চলামান থাকিলে আপীলকারী পক্ষ ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত হইবেন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপীরকারী পক্ষের আনীত স্থাগীত দরখাস্ত অংশিক মঞ্জুর করা হইলো। আগামী ধার্য্য তারিখ অর্থাৎ -০৫.১০.২০২৫ খ্রীঃ তারিখ পর্যন্ত বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য- ২৭৭/২০২৫ নং মোকাদ্দমার ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারীতা স্থগিত করা হইলো। ” তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে মামলাটি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ-১ আদালতে শুনানীর জন্য প্রেরন করা হয়। শুনানীর নির্ধারিত ০৫.১০.২৫ তারিখে বাদী পক্ষ সময় প্রার্থনা করেন। আদালত ১৫.১০.২৫ খ্রীঃ তারিখে শুনানীর তারিখ নির্ধারন এবং বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। এতদিন রংপুর প্রেসক্লাবে দীর্ঘ ৩৩ বছরে মাত্র ৩৩জন সদস্য ছিলেন। কিন্তু রংপুরে শতাধিক গণমাধ্যম কর্মী কর্মরত আছেন। গণমাধ্যম কর্মীরা এই দীর্ঘ সময় প্রেসকব্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য যে আন্দোলন করে আসছিলেন ১শ’৫জন নতুন সদস্যভূক্ত হওয়ায় তা সফলতার মুখ দেখলো। এতে উচ্ছ্বাসিত তারা। খুব দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে আরও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রেসক্লাবে অর্ন্তভূক্ত করতে গণতন্ত্রকে যগোপযোগিভাবে সংশোধন-অনুমোদন করে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিগত সময়ের আর্থিক বিষয়ে অডিট শুরু করে স্বচ্ছ্বতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা। একই সাথে এই প্রেসক্লাব সকল গণমাধ্যম কর্মীর জন্য উম্মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে রংপুরের একটি পত্রিকার মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য তথ্য পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তারা। সার্বিক বিষয়ে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রমিজ আলম জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে সমাজসেবার অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রংপুরে কর্মরত ১শ’ ৫জন সাংবাদিককে নতুন সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সদস্য তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন, গঠনতন্ত্র সংশোধন, অডিটসহ অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হবে

অক্টোবর ১৬, ২০২৫ 0

ওয়াই পি এজির সভায় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের শহীদ মিনার ভাঙ্গার নিন্দা প্রকাশ

সারাদেশের মত বেগমগঞ্জে শুরু হলো টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি ; উদ্বোধন করেন টিএসও হাসান খায়ের

রাজধানীর কামরাঙ্গীচর বেড়িবাঁধে হাজী মোঃ মনির হোসেনের নেতৃত্বে ১০০ তালবীজ রোপণ

0 মন্তব্য