রাজনীতি

টাঙ্গাইল ভূঞাপুরে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকী পালন-উপস্থিতি ছিলেন আব্দুস সালাম পিন্টু

reporter-icon
কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল: সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
অক্টোবর ২৯, ২০২৫ | 0
টাঙ্গাইল ভূঞাপুর উপজেলায় ২৮/১০/২০২৫ ইং তারিখে ভূয়াপুর যুবদল এর আয়োজনে পালিত হলো ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এর গোলচত্বর এ উপজেলা ও পৌর যুবদলের উদ্দ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত শিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার জুলহাজ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক উপমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অনির্বাণ আমীর দুখু ও পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান গিয়াস, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান কবির লিটন, হাবিবুর রহমান ভুট্টো সহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃবৃন্দ। তাঁরা উপজেলার বিভিন্ন রোড এ আনন্দ মিছিল করেন এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেন পুরো এলাকা।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

রাজনীতি

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল। টাঙ্গাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে দোয়া মাহফিল ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বিকেলে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১০ নং হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে পুরো মাঠ মুখর হয়ে ওঠে। দোয়া মাহফিল শুরুর আগেই কলেজ মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ সমবেত হতে শুরু করেন। ব্যানার–ফেস্টুন ও দোয়ার ব্যানারে মাঠজুড়ে সৃষ্টি হয় আধ্যাত্মিক পরিবেশ। অনেকেই খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ব্যক্তিগতভাবেও মোনাজাত করেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের এমপি প্রার্থী এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।তার বক্তব্যে তিনি বলেন— বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের গণতন্ত্র আন্দোলনের অগ্রবর্তী মুখ। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং দেশের মানুষের স্বাধীনতা, অধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতীক। তার সুস্থতা আজ শুধু দলের নয়—সারা জাতির কামনা। আমরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং সেই প্রার্থনায় আজ সবাই একত্রিত হয়েছি।”তিনি আরও বলেন,শীতের সময় অসহায় মানুষের কষ্ট আরও বাড়ে। তাই সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আজ শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে অন্তত কিছু মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায়।”দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হুগড়া এলাকার স্থানীয় মসজিদের ইমাম। মোনাজাতে— বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য,দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা,মানুষের পারস্পরিক সম্প্রীতিএবং আগত দিনগুলোতে জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ইমাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মানুষের সেবাই ইবাদত। আজকের এই সমাবেশ মানবতার উদাহরণ। আল্লাহ যেন প্রার্থনার সবকিছু কবুল করেন।” অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।মোনাজাত শেষে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নারী, পুরুষ ও বয়স্ক মানুষদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। শতাধিক পরিবারের হাতে কম্বল ও অন্যান্য শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হয় বলে আয়োজকেরা জানান। শীতবস্ত্র পেয়ে অনেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন,এই আয়োজন শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই করা হয়েছে। উপস্থিত অনেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে আরও সুসংগঠিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে শৃঙ্খলা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় ছিল। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে শীতবস্ত্র বিতরণ প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।

ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের ৪টি আসনে এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা

টাঙ্গাইলের ৪টি আসনে এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা - মনোনীত হলেন যারা

টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব

টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব

টাংগাইল সদর আসন ৫ জামাতে ইসলাম হতে মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল সদরে মৌন মিছিল: মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ

টাঙ্গাইল সদরে মৌন মিছিল: মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা শহরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছে সাধারণ জনগণ। সোমবার বিকেলে শহরের নিরালা মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা চত্বরের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। মুখে কালো কাপড়, হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড—কিন্তু স্লোগানহীন নীরব প্রতিবাদই ছিল তাদের প্রধান বার্তা। অংশগ্রহণকারীরা জানান, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও নাগরিক সমস্যাগুলো নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষোভ প্রকাশের উদ্দেশ্যে তারা এই মৌন মিছিলে যোগ দিয়েছেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষের দাবি–দাওয়া ও ভোগান্তির বিষয়গুলো যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্যই এই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তারা জানান, দাবি পূরণ না হলে আরও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ

টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে যুব বিভাগের নতুন অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এ সমাবেশে স্থানীয় নেতাকর্মী, সুধীজন ও সাধারণ মানুষ ব্যাপক উপস্থিতি জানান। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডা. একেএম আব্দুল হামিদ। দেলদুয়ার উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আল মোমেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল–৬ আসনে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা পরিচালক রাশেদুল হাসান এবং জামায়াতপ্রার্থী ডা. আব্দুল হামিদের ছেলে ব্যারিস্টার হাসনাত জামিল। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীকে বিজয়ী করা সময়ের দাবি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, জনগণের সমর্থনই হলো জামায়াতের সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রধান অতিথি ডা. একেএম আব্দুল হামিদ তার বক্তব্যে বলেন,“আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে দেলদুয়ার–নাগরপুরবাসী আমাকে তাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনী প্রচারণায় নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আমরা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। জয়ী হলে জনগণের অধিকার ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব।” তিনি আরও বলেন,“এ অঞ্চলের অবহেলিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচিত হলে নাগরপুর–দেলদুয়ারকে উন্নয়নের নতুন মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো।” সমাবেশ শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে মিছিলসহকারে উপজেলা পরিষদ চত্বর ত্যাগ করেন।

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0
“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি

“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী

টাঙ্গাইল সদরের জনগণের উদ্দেশ্যে এডভোকেট ফরহাদ ইকবালের আবেগঘন বার্তা

0 মন্তব্য