সারা দেশ

টাঙ্গাইলের বাসাইল বাজারের সড়কের দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ

reporter-icon
কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল: সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
অক্টোবর ২৯, ২০২৫ | 0
২৮ অক্টোবর২০২৫ ইং রোজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের বাসাইল বাজারের সড়কের দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। দুপুরে বাসাইল পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, বাসাইল বাজারের আঞ্চলিক সড়কের দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান উচ্ছেদে অভিযানে নামেন পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম। বাসাইল কোটিপতি মার্কেটের সামনে থেকে শুরু করে সাহাপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের দুপাশের দোকান এবং ঘরগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। এই উচ্ছেদ অভিযান এ বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, বাসাইল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রবিউল আলম উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন বাসাইল পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম । উচ্ছেদ অভিযান পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আকলিমা বেগম বলেন মানুষের হাঁটার জন্য রাস্তার দুপাশে ৭ফিট পরিস্কার রাখা হবে। আমরা খুব দ্রুতই মানুষের চলাচলের জন্য সিসি ঢালাইয়ের ব্যবস্থা করবো। ভবিষ্যতে নতুন করে কেউ রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ করতে না পারে। আজকের পর থেকে কেউ যেন কোনো প্রকার স্থাপনা করতে না পারে আমরা সেইদিকে কঠোর ভাবে মনিটরিং করবো।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

সারা দেশ

আরও পড়ুন
হার্টে ছিদ্র ২ বছরের আছিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতায় ভুগছিল ছোট্ট ইসরাত জাহান আছিয়া। বয়স মাত্র ২ বছর ৩ মাস—কিন্তু এতটুকু বয়সেই জীবনের সঙ্গে লড়াই করছে সে। নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রানীগাঁও গ্রামের এই নিষ্পাপ শিশুটির হৃদপিণ্ডে জন্মগত ছিদ্র ধরা পড়ে কয়েক মাস আগে। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারটির পক্ষে এমন ব্যয়বহুল চিকিৎসা বহন করা ছিল প্রায় অসম্ভব। তখনই এগিয়ে আসেন দেশের আলোচিত মানবিক ব্যক্তিত্ব, অসহায়ের শক্ত ভরসার নাম—ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক—কেন্দ্রীয় বিএনপি এবং মহাসচিব—জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।পরিবারটির আর্থিক অসহায় অবস্থা জানার পর তিনি দ্বিধাহীনভাবে ঘোষণা দেন, আছিয়ার সম্পূর্ণ চিকিৎসা, ভর্তি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অপারেশন ও পরবর্তী সকল খরচ আমার ব্যক্তিগত দায়িত্বে। তার এই উদ্যোগ পরিবারে ফিরিয়ে এনেছে আশার আলো ও বাঁচার সাহস। ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আছিয়াকে ভর্তি করা হয় ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। চিকিৎসক দল জানিয়েছে—আছিয়ার অপারেশনটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তবে সময়মতো সার্জারি হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা ও সার্জিক্যাল টিম। পারিবারিক বাস্তবতা: দারিদ্র্যের মধ্যেও সন্তানের প্রতি অসীম স্নেহ, আছিয়ার বাবা আইনুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর, মা ময়না আক্তার গৃহিণী। পরিবারের দুটি সন্তান—এক ছেলে ও এক মেয়ে। আছিয়া সবার ছোট; সবার আদর ও স্নেহের কেন্দ্রবিন্দু। শিশুটির জন্মের পর থেকেই তাদের জীবনে শুরু হয় দুঃশ্চিন্তার দিন। স্থানীয় চিকিৎসকদের ব্যাখ্যায় জানা যায়—আছিয়ার হৃদযন্ত্রে গুরুতর ছিদ্র রয়েছে, যা সময়মতো চিকিৎসা না হলে জীবন সংকট তৈরি করতে পারে। হাতে ছিল না প্রয়োজনীয় অর্থ, ছিল শুধু অসহায়ত্ব। মানবতার ফেরিওয়ালা কায়সার কামালের ধারাবাহিক সেবা, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ইতিমধ্যেই পরিচিত নাম। থেলাসেমিয়া, কিডনি বিকল, ক্যান্সার, চোখের চিকিৎসা, হার্ট সার্জারি—এমন বহু ব্যয়বহুল চিকিৎসার দায়িত্ব তিনি নিঃস্বার্থভাবে গ্রহণ করেছেন। আছিয়ার চিকিৎসা উদ্যোগটি তার পরিচালিত ৬ নম্বর ছিদ্র হার্ট অপারেশন । মানুষের কষ্ট লাঘব ও মানবতার সেবা তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। মানুষের দোয়া—আছিয়ার শক্তি ,রানীগাঁও গ্রামে এখন একটাই প্রার্থনা—আছিয়ার অপারেশন সফল হোক। পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়সহ এলাকার মানুষ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। নিষ্পাপ এই শিশুটির মুখের হাসি ফিরিয়ে আনার জন্য সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন তিনিও। শিশু আছিয়ার অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হোক—এই কামনাই সকলের। মানবতার কল্যাণে, অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও আরও প্রসারিত হবে—ইনশাআল্লাহ।

ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0

নেত্রকোনা দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

টাঙ্গাইলে কাভার্ড ভ্যানকে ট্রাকের ধাক্কা: নিহত ২

টাঙ্গাইলে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২

টাঙ্গাইলে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২

টাঙ্গাইলের তিন সংগঠনের সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন এসপির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলের তিন সংগঠনের সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন এসপির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের তিনটি সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয় এ মতবিনিময় সভা। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সমন্বয় জোরদার করার উদ্দেশ্যে এটি ছিল পুলিশ সুপারের প্রথম আনুষ্ঠানিক পরিচিতি সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামসাদুল আখতার শামীম, সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন, উত্তর টাঙ্গাইল টেলিভিশন রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।এ ছাড়া তিন সংগঠনের শতাধিক সাংবাদিক, রিপোর্টার, ক্যামেরাপার্সন ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মতবিনিময় সভায় বক্তারা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সাংবাদিকদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা বলেন, টাঙ্গাইলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সাংবাদিকদের সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সমাজ ও প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার তার বক্তব্যে বলেন,“পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। আমরা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবো, আপনারা সঠিক সংবাদ প্রচার করে সমাজকে সহায়তা করবেন। একসঙ্গেই টাঙ্গাইলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও স্থিতিশীল ও উন্নত করা সম্ভব।” তিনি আরও বলেন,“আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট টাঙ্গাইলসহ দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ যেন নিরাপদে, বাধাহীনভাবে ভোট দিতে পারে—এটাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কোনো অনিয়ম যাতে না ঘটে সেদিকে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবো।” পুলিশ সুপার জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় নতুন করে পুলিশ সুপার পদায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন,“আমি টাঙ্গাইলে দায়িত্ব নিয়েছি নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করতে। ভোটারদের যেন বিগত নির্বাচনের মতো কোনো দুর্ভোগে না পড়তে হয়। কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা, টহল ও নজরদারির সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সভা শেষে সাংবাদিকরা পুলিশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং টাঙ্গাইলের সার্বিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কাজের সঙ্গে গণমাধ্যমের অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে বলে মত দেন।

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় তরুণ ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় তরুণ ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু

টাংগাইলের বাসাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

নাগরপুর–টাঙ্গাইল সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

ওয়াজের মঞ্চে স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু

ওয়াজের মঞ্চে স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু তাফসির মাহফিলের মঞ্চে তখন ছিল এক গভীর, নিবিড় নীরবতা। মঞ্চ জুড়ে বসে থাকা হাজারো মানুষ প্রিয় বক্তার বক্তব্যে ডুবে ছিলেন। তাঁর কণ্ঠের মাধুর্য, হৃদয়ছোঁয়া উপস্থাপনা, তিলাওয়াত ও ব্যাখ্যা—সবকিছুতেই মুগ্ধ হয়ে শ্রোতারা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। ঠিক এমন সময়ই ঘটে যায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা মুহূর্তেই পুরো মাহফিলস্থলকে স্তব্ধ করে দেয়। বয়ানরত অবস্থায় হঠাৎ করেই বক্তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। তিনি হাতের মাইক্রোফোনসহ মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি হয়তো অসুস্থ বোধ করায় বসে পড়েছেন; কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। মঞ্চের পাশে থাকা আয়োজকরা ছুটে গিয়ে তাঁকে ধরার চেষ্টা করেন, শ্রোতারা দাঁড়িয়ে যান, অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তৎক্ষণাৎ আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই জানান, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবার পরও তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে মাহফিল, এলাকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। বহু মানুষের জীবনে ছোঁয়া রেখে যাওয়া এই বক্তার মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করেছে। তাঁর বয়ান, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, মানুষের মন জয়ের ক্ষমতা—সবকিছুই মানুষ স্মরণ করছে গভীর আবেগে। স্থানীয় ধর্মীয় অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই এই ক্ষতিকে অপূরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় দোয়ার আয়োজন করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

টাংগাইল জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিস এবং সকল ইউনিট কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রশ্ন: ‘চারজন আটক, তিনজনকে ছাড়লো পুলিশ’—চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রশ্ন: ‘চারজন আটক, তিনজনকে ছাড়লো পুলিশ’—চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে

0 মন্তব্য