বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের পক্ষে এবং সুনাসমগঞ্জ-৪ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এড.নুরুল ইসলাম নুরুলকে প্রার্থী করার দাবিতে জেলা মহিলা বিএনপির হাজাঁরো হাজাঁরো নারীদের উপস্থিতিতে স্মরণকালের মহা-নারীসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সদর,পৌরসভা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সকল ধর্মের নারীদের খন্ড খন্ড মিছিলে নারীদের উপস্থিতিতে বাসস্ট্রেশন এলাকায় তিল ধারনের ঠাই মিলেনি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি মহিলা দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি মহিলা দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি লুৎফা আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাফেজা ফেরদৌস লিপনের সঞ্চালনায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আকবর আলী,আ ত ম মিসবাহ,এড. মাসুক আলম, এড. শেরেনুর আলী,মোঃ রেজাউল হক,আবুল কালাম আজাদ,নজরুল ইসলাম,মোঃ ফুল মিয়া,সদর বিএনপির আহবায়ক ফারুক আহমদ লিলু,জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি সুহেল আহমদ,সদর উপজেলা বিএনপির পৌর বিএনপির আহবায়ক ফারুক আহমদ লিলু,সদস্য সচিব আব্দুর রহিম,পৌর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল্লাহ হাসান জুনেদ,সপ্রথম যুগ্ম আহবায়ক মুর্শেদ আলম,সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা কলি,যুগ্ম সাধারন সম্পাদসাইফুল্লাহ হাসান জুনেদ,ক রুমি বেগম,রুনা আক্তার,প্রচার সম্পাদক মণিরা আক্তার লিজা,যুগ্ম সম্পাদক লায়লা বেগম,মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমদ মণি,সদর উপজেলা মহিলা বিএনপির সভাপতি আফসানা রহমান এলসি,সাধারন সম্পাদক মুর্শেদা উদ্দিন,পৌর বিএনপি মহিলা দলের সভাপতি সাবরিনা জেনি,সাধারন সম্পাদক মার্জিয়া বেগম,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা মহিলা বিএনপি নেত্রী নাজমা আক্তার,রহিমা বেগম ও সুফিয়া আক্তার,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মুনাজ্জির হোসেন,সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম,যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সোহেল মিয়া,জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তফাজ্জল হোসেন,মমিনুল হক কালারচাঁন,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু,শাহজাহার মিয়া,সহ জেলা,উপজেলা বিএনপি,যুবদল মহিলা দল স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা। নারীনেত্রীরা শ্লোগানে শ্লোগনে মুখরিত করে তুলে সমাবেশস্থল।
নারীনেত্রীরাা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট দাবি করেন,এই সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনটি যদি বিএনপির দখলে আনতে হয় তাহলে আগামী ফেব্রুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল থেকে গড়ে উঠা সবার অভিভাবক সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এ্যডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের বিকল্প কোন জনপ্রিয় প্রার্থী আর কেহ হতে পারেন না। তাই নুরুল ইসলাম নুরুলকে ধানের শীষের সংসদ সদস্য প্রদপ্রার্থী করতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলের হাইকমান্ডের নিকট জোর দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল বলেছেন,বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সকল ধর্মের মানুষের সমধিকার প্রতিষ্ঠা করে নারীদের শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে বিএনপির সরকার কাজ করেছে। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন বিএনপি জনগনের ভোটে আগামীতে ক্ষমতায় আসলে দেশে সকল নারীদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড করে দিবেন এবং বয়স্ক ও বৃদ্ধ নারীদের বিধবা ভাতা বয়স্কভাতা সহ সকল ধরনের সুযোগ করে দিতে দেশের জনগনের মাঝে আমরা বিএনপির কর্মী হিসেব ৩১ দফা কার্যক্রমের লিফলেট বিতরণ করছি। তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে উপস্থিত হাজাঁরো নারী সমাজের প্রতি আহবান জানান। পরে নারীদের একটি মিছিল বিশাল মিছিল পুরাতন বাসস্ট্রেশন থেকে শুরু শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্রেশনে এসে শেষ হয়।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষে দলীয় ঐক্যের সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। দলীয় ঐক্য অটুট রেখে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার আহ্বান জানানো হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফারুকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। রফিকুল ইসলাম ফারুক স্মৃতি সংঘের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। উল্লেখ্য, তিনি নিজেও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি প্রকাশ্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। দলীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘আপনার ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাওয়া কি উচিত নয়? অবশ্যই উচিত। আমি আপনাদের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদরে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করবেন। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে টুকু সাহেব বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, ‘টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে দল অত্যন্ত যাচাই-বাছাই করে আমাদের প্রিয় নেতাকে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছে। এখন আপনাদের দায়িত্ব হলো—টাঙ্গাইলের অন্য সব আসনের তুলনায় সদর আসনে সর্বোচ্চ ভোটে তাকে নির্বাচিত করা।’ অন্যান্য বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে টাঙ্গাইল-৫ আসনে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তা দলের ঐক্য ও দায়িত্ববোধের প্রতিফলন। দল ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে অতীতের সব বিভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো এবং নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী। এছাড়াও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ. কে. এম. মনিরুল হক (ডিপি মনির)সহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে ধানের শীষের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল দলীয় সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। দায়িত্ববোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও দলের প্রতি গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তিনি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাঁর সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ছয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন: এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তবে দলের মনোনয়নবঞ্চিত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত বা বহিষ্কৃত নেতাদের অংশগ্রহণ এই আসনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে দলের মনোনয়ন না পাওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোরহাব এবং বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ফিরোজ হায়দার খান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ নিয়ে মির্জাপুর আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির মনোনয়ন দাবি করা সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল, যিনি কোনো দলীয় পরিচয় বহন করেন না। এছাড়া বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সখীপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শেখ হাবিবও মনোনয়নপত্র তুলেছেন। টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত মোট ২১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত বা বহিষ্কৃত নেতা-সমর্থকদের অংশগ্রহণ নির্বাচনী বৃত্তে দলীয় স্থিতিশীলতা এবং ভোটের ফলাফলের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থীদের প্রচারণা কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের মনোযোগ মূলত দলীয় প্রার্থী বনাম স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বিভাজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ হাবিব এবং সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর ২০২৫) নির্ধারিত সময়ে তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় প্রার্থীরা বলেন এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষা স্বাস্থ্যসেবা যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিকে তারা তাদের অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল-৮ আসনে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যে নির্বাচনী উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে।