রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্যভূক্তির ৩৩ বছরের রুদ্ধদুয়ার অবশেষ খুললো। এই নতুন সদস্যভূক্তির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে উচ্ছ্বাসের আনন্দ বইছে। তারা দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানান। একই সাথে তারা ক্লাবের আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য বিগত সময়ের অডিট শুরু করার জন্য আহ্বান জানান।
বুধবার (১৪ অক্টোরব) সামাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগকৃত প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) কর্তৃক নতুন সদস্য অর্ন্তভূক্তির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে রংপুওে কর্মরত ১শ’৫জনকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিককে সদস্য করা হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনিল চন্দ্র বর্মণ জানান, প্রেসক্লাব রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত সংগঠন হিসেবে ১৯৯১ সালে তালিকাভূক্ত হয়। এর পর থেকে প্রেসক্লাব এর সদস্যরা নানা কালাকানুন তৈরি করে প্রেসক্লাবে নতুন সদস্যভূক্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
তিনি আরও জানান, রংপুর প্রেসক্লাব গত ১৯৯১ সালের ১৪ জুলাই জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুর কর্তৃক স্মারক-সসেআদ/রং/শা-রেজি/১১৮৩(৪) এ রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত হয়। যার নিবন্ধী নম্বর-রং/৩৫৯/৯১। যা ১৯৯১ সালের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আওতাধীন স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর আইনের আওতায় নিবন্ধিত সংগঠন। এই কারণে প্রেসক্লাব রংপুর কে উল্লেখিত রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধিমালা ও অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া বাধ্যতামূলক। এই বিধিবিধান ও অধ্যাদেশ মতে নিবন্ধিত সংস্থার গঠনতন্ত্র সংশোধন, আয়-ব্যয় এর হিসাব এবং গঠিত কার্যকরি কমিটির অনুমোদন নিবন্ধিত সংস্থা থেকে কমিটি গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নিবন্ধনের ৩৩ বছরে এই বিধি-বিধান উপেক্ষা করায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকের পক্ষ থেকে একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য গত ০১.০৯.২০২৪ খ্রীঃ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হয়।
তিনি আরও জানান এর পর শুনানী এবং তদন্ত অন্তেঃ তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৯ এর ২ধারা ও বিধিমালা ১৯৬২ এর বিধান মতে রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১০.২৪.২৪ তারিখঃ ১৫.০১.২০২৪ খ্রীঃ মূলে প্রেসক্লাবের তৎকালিন কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রেসক্লাব রংপুরের এর তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করে। এরপর স্মরক নম্বর-৪১.২৭.৮৫০০.০০০.২৭.০৩১.২৫.৪৮(১৫) তারিখঃ ১৯.০১.২০২৫ মূলে প্রেসক্লাবের বরখাস্তকৃত কমিটিকে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীর কাছে দায়ীত্বভার দেয়ার জন্য নির্দেশজারী করে পত্র প্রদান করেন। কিন্তু বরাখাস্তকৃত কমিটি নির্দেশনা অমান্য করে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীকে দায়িত্ব ও নথিপত্র হস্থান্তর না করায় ২৯.০১.২৫ তারিখে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১.২৪.৫৯ মূলে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলী গঠনের আদেশ সংশোধন পূর্বক (বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, রংপুরের স্মারক নম্বর-০৫.৪৭.০০০০.০০৫.০২.০০৩.২২.৮১ তারিখ-২৭.০১.২০২৫ মূলে) রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলামকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আদেশ জারী করে।
তিনি আরও জানান, সেই আদেশ মূলে প্রেসক্লাব রংপুরের নিয়োগকৃত প্রশাসক (স্মারক নম্বর-০৫.৫৫.৮৫০০.০১১.১২.০৬১.২৪-৫৪, তারিখ ২৯.০১.২৫ মোতাবেক) ৩০.০১.২৫ তারিখে-প্রেসক্লাব রংপুরের দায়িত্বভার গ্রহণ ও কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০০১০.৪২.৫১২, তারিখ ২৫.০৬.২০২৫ খ্রীঃ মূলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলাম(১৭৩৩৮) জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে বদলি হওয়ায় তাকে প্রেসক্লাব রংপুরের প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রংপুরকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সে হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রংপুর প্রেসক্লাব, রংপুরের আইনগতভাবে বৈধ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে সমাজসেবা কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পক্ষটি আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে একাধিক মামলা করেন। সেই মামলায় অদেশে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসককে নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনার কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা জজ আদালতের জিপি একরামূল হক জানান, গত ২২ অক্টোবর’২৫ তারিখে মাননীয় জেলা জজ আদালত কর্তৃক এই সংক্রান্ত মামলার আদেশে রংপুর জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বলেছেন, “ নথি, দাখিলীয় দরখাস্ত ও বিজ্ঞ কৌশলীর বক্তব্য পর্যালোচনা করিলাম। পর্যালোচনাক্রমে দেখা যায় যে, বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য-২৭৭/২০২৫ নম্বর মোকাদ্দমার বিগত ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারিতা চলামান থাকিলে আপীলকারী পক্ষ ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত হইবেন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপীরকারী পক্ষের আনীত স্থাগীত দরখাস্ত অংশিক মঞ্জুর করা হইলো। আগামী ধার্য্য তারিখ অর্থাৎ -০৫.১০.২০২৫ খ্রীঃ তারিখ পর্যন্ত বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য- ২৭৭/২০২৫ নং মোকাদ্দমার ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারীতা স্থগিত করা হইলো। ”
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে মামলাটি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ-১ আদালতে শুনানীর জন্য প্রেরন করা হয়। শুনানীর নির্ধারিত ০৫.১০.২৫ তারিখে বাদী পক্ষ সময় প্রার্থনা করেন। আদালত ১৫.১০.২৫ খ্রীঃ তারিখে শুনানীর তারিখ নির্ধারন এবং বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন।
এতদিন রংপুর প্রেসক্লাবে দীর্ঘ ৩৩ বছরে মাত্র ৩৩জন সদস্য ছিলেন। কিন্তু রংপুরে শতাধিক গণমাধ্যম কর্মী কর্মরত আছেন। গণমাধ্যম কর্মীরা এই দীর্ঘ সময় প্রেসকব্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য যে আন্দোলন করে আসছিলেন ১শ’৫জন নতুন সদস্যভূক্ত হওয়ায় তা সফলতার মুখ দেখলো। এতে উচ্ছ্বাসিত তারা। খুব দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে আরও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রেসক্লাবে অর্ন্তভূক্ত করতে গণতন্ত্রকে যগোপযোগিভাবে সংশোধন-অনুমোদন করে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিগত সময়ের আর্থিক বিষয়ে অডিট শুরু করে স্বচ্ছ্বতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা। একই সাথে এই প্রেসক্লাব সকল গণমাধ্যম কর্মীর জন্য উম্মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে রংপুরের একটি পত্রিকার মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য তথ্য পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তারা।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রমিজ আলম জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে সমাজসেবার অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রংপুরে কর্মরত ১শ’ ৫জন সাংবাদিককে নতুন সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সদস্য তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন, গঠনতন্ত্র সংশোধন, অডিটসহ অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হবে
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।
স্বামীর অতিরিক্ত লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন ঘটনাটি ঘটে জিইসির মোর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ইসমাইল টাওয়ারের (২য়) তলায় তথ্য সুত্রে জানাযায় গত ১৬/০৯/২০১৯ সালে সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ (৩৮) এর সাথে আবিদা তাসমিন (৩২) এর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পরবর্তী কিছু বছর তাদের দাম্পত্য জীবন স্বভাবিক ছিল। কিন্তু ইসমাইল টাওয়ারের ফ্ল্যাট টি ছিল আবিদা তাসমিন (৩২) এর নামে। উক্ত ফ্ল্যাটটি তাহার স্বামির নামে লিখে দেওয়ার জন্য তাসমিনকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তাসমিন উক্ত ফ্লাটটি স্বামীর নামে লিখে না দেওয়ায় গত ২ বছর যাবৎ তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও পারিবারিক কলহে লিপ্ত হইয়া তাসমিনকে মারধর ও মানসিক অত্যাচার করতে লাগলো। তার স্বমীর এসব কর্মকান্ডে তাসমিন মানসিক ভাবে প্রচন্ড বিপর্যস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করিছিল। এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় তাসমিনকে হুমকি ও দিত। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখআনুমানিক ০৭:০০ ঘটিকার সময় আবিদা তাসমিন (৩২) তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ এর সঙ্গে প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ অনুমানিক সন্ধ্যা ০৭:৩০ হতে অনুমান ০৭:৪০ মিনিটের মধ্যে হঠাৎ বিল্ডিং এর নীচ থেকে লোকজনের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাই। শোরগোলের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা বিল্ডিং এর নীচে গিয়ে দেখতে পাই আবিদা তাসমিন (৩২) রক্তাক্ত অবস্থায় বিল্ডিং এর মূল গেইটের সামনে রাস্তায় পরে আছে। তথ্য সুত্রে জনা যায় তাসমিন ৯ তলা ভবনের ছাদের উপর থেকে আত্মহত্যার জন্য লাফ দিয়ে নীচে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাসমিনকে প্রথমে চট্টগ্রাম চকবাজার থানাধীন মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও পরবর্তীতে পার্কভিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্কভিও হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাসনিমের অবস্থা আশংকা জনক দেখে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ ১০ ঘটিকার সময় মৃত ঘোষনা করেন। ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) এর মৃত্যুর কারণ Brought in Dead/Fall from height বলে উল্লেখ করেন। উক্ত ঘটনা নিয়েঐ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশে চকবাজার থানার একটি চৌকশ টিমের সহায়তায় ঘাতক স্বামী মারুফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাই এলাকার জনগণের একটাই দাবি আর কত মেয়ে স্বামীর লোভের কারণে তার পথ বেছে নেবে তাই দ্রুত এই লোভী নরঘাতক পাষন্ড স্বামীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করার প্রশাসনের কাছে করার জন্য অনুরোধ জানান।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্যভূক্তির ৩৩ বছরের রুদ্ধদুয়ার অবশেষ খুললো। এই নতুন সদস্যভূক্তির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে উচ্ছ্বাসের আনন্দ বইছে। তারা দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানান। একই সাথে তারা ক্লাবের আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য বিগত সময়ের অডিট শুরু করার জন্য আহ্বান জানান। বুধবার (১৪ অক্টোরব) সামাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগকৃত প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) কর্তৃক নতুন সদস্য অর্ন্তভূক্তির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে রংপুওে কর্মরত ১শ’৫জনকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিককে সদস্য করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনিল চন্দ্র বর্মণ জানান, প্রেসক্লাব রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত সংগঠন হিসেবে ১৯৯১ সালে তালিকাভূক্ত হয়। এর পর থেকে প্রেসক্লাব এর সদস্যরা নানা কালাকানুন তৈরি করে প্রেসক্লাবে নতুন সদস্যভূক্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখে। তিনি আরও জানান, রংপুর প্রেসক্লাব গত ১৯৯১ সালের ১৪ জুলাই জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুর কর্তৃক স্মারক-সসেআদ/রং/শা-রেজি/১১৮৩(৪) এ রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত হয়। যার নিবন্ধী নম্বর-রং/৩৫৯/৯১। যা ১৯৯১ সালের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আওতাধীন স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর আইনের আওতায় নিবন্ধিত সংগঠন। এই কারণে প্রেসক্লাব রংপুর কে উল্লেখিত রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধিমালা ও অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া বাধ্যতামূলক। এই বিধিবিধান ও অধ্যাদেশ মতে নিবন্ধিত সংস্থার গঠনতন্ত্র সংশোধন, আয়-ব্যয় এর হিসাব এবং গঠিত কার্যকরি কমিটির অনুমোদন নিবন্ধিত সংস্থা থেকে কমিটি গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নিবন্ধনের ৩৩ বছরে এই বিধি-বিধান উপেক্ষা করায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকের পক্ষ থেকে একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য গত ০১.০৯.২০২৪ খ্রীঃ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হয়। তিনি আরও জানান এর পর শুনানী এবং তদন্ত অন্তেঃ তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৯ এর ২ধারা ও বিধিমালা ১৯৬২ এর বিধান মতে রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১০.২৪.২৪ তারিখঃ ১৫.০১.২০২৪ খ্রীঃ মূলে প্রেসক্লাবের তৎকালিন কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রেসক্লাব রংপুরের এর তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করে। এরপর স্মরক নম্বর-৪১.২৭.৮৫০০.০০০.২৭.০৩১.২৫.৪৮(১৫) তারিখঃ ১৯.০১.২০২৫ মূলে প্রেসক্লাবের বরখাস্তকৃত কমিটিকে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীর কাছে দায়ীত্বভার দেয়ার জন্য নির্দেশজারী করে পত্র প্রদান করেন। কিন্তু বরাখাস্তকৃত কমিটি নির্দেশনা অমান্য করে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীকে দায়িত্ব ও নথিপত্র হস্থান্তর না করায় ২৯.০১.২৫ তারিখে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১.২৪.৫৯ মূলে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলী গঠনের আদেশ সংশোধন পূর্বক (বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, রংপুরের স্মারক নম্বর-০৫.৪৭.০০০০.০০৫.০২.০০৩.২২.৮১ তারিখ-২৭.০১.২০২৫ মূলে) রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলামকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আদেশ জারী করে। তিনি আরও জানান, সেই আদেশ মূলে প্রেসক্লাব রংপুরের নিয়োগকৃত প্রশাসক (স্মারক নম্বর-০৫.৫৫.৮৫০০.০১১.১২.০৬১.২৪-৫৪, তারিখ ২৯.০১.২৫ মোতাবেক) ৩০.০১.২৫ তারিখে-প্রেসক্লাব রংপুরের দায়িত্বভার গ্রহণ ও কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০০১০.৪২.৫১২, তারিখ ২৫.০৬.২০২৫ খ্রীঃ মূলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলাম(১৭৩৩৮) জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে বদলি হওয়ায় তাকে প্রেসক্লাব রংপুরের প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রংপুরকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সে হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রংপুর প্রেসক্লাব, রংপুরের আইনগতভাবে বৈধ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে সমাজসেবা কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পক্ষটি আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে একাধিক মামলা করেন। সেই মামলায় অদেশে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসককে নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনার কথা বলা হয়। এ বিষয়ে রংপুর জেলা জজ আদালতের জিপি একরামূল হক জানান, গত ২২ অক্টোবর’২৫ তারিখে মাননীয় জেলা জজ আদালত কর্তৃক এই সংক্রান্ত মামলার আদেশে রংপুর জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বলেছেন, “ নথি, দাখিলীয় দরখাস্ত ও বিজ্ঞ কৌশলীর বক্তব্য পর্যালোচনা করিলাম। পর্যালোচনাক্রমে দেখা যায় যে, বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য-২৭৭/২০২৫ নম্বর মোকাদ্দমার বিগত ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারিতা চলামান থাকিলে আপীলকারী পক্ষ ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত হইবেন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপীরকারী পক্ষের আনীত স্থাগীত দরখাস্ত অংশিক মঞ্জুর করা হইলো। আগামী ধার্য্য তারিখ অর্থাৎ -০৫.১০.২০২৫ খ্রীঃ তারিখ পর্যন্ত বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য- ২৭৭/২০২৫ নং মোকাদ্দমার ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারীতা স্থগিত করা হইলো। ” তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে মামলাটি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ-১ আদালতে শুনানীর জন্য প্রেরন করা হয়। শুনানীর নির্ধারিত ০৫.১০.২৫ তারিখে বাদী পক্ষ সময় প্রার্থনা করেন। আদালত ১৫.১০.২৫ খ্রীঃ তারিখে শুনানীর তারিখ নির্ধারন এবং বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। এতদিন রংপুর প্রেসক্লাবে দীর্ঘ ৩৩ বছরে মাত্র ৩৩জন সদস্য ছিলেন। কিন্তু রংপুরে শতাধিক গণমাধ্যম কর্মী কর্মরত আছেন। গণমাধ্যম কর্মীরা এই দীর্ঘ সময় প্রেসকব্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য যে আন্দোলন করে আসছিলেন ১শ’৫জন নতুন সদস্যভূক্ত হওয়ায় তা সফলতার মুখ দেখলো। এতে উচ্ছ্বাসিত তারা। খুব দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে আরও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রেসক্লাবে অর্ন্তভূক্ত করতে গণতন্ত্রকে যগোপযোগিভাবে সংশোধন-অনুমোদন করে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিগত সময়ের আর্থিক বিষয়ে অডিট শুরু করে স্বচ্ছ্বতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা। একই সাথে এই প্রেসক্লাব সকল গণমাধ্যম কর্মীর জন্য উম্মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে রংপুরের একটি পত্রিকার মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য তথ্য পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তারা। সার্বিক বিষয়ে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রমিজ আলম জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে সমাজসেবার অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রংপুরে কর্মরত ১শ’ ৫জন সাংবাদিককে নতুন সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সদস্য তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন, গঠনতন্ত্র সংশোধন, অডিটসহ অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হবে
কুলাউড়ার জনগণের দাবি — প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরীকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় সর্বস্তরের মানুষ নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাধারণ মানুষ আজ এক কণ্ঠে বলছে — তারা প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরীকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। এলাকার সর্বস্তরের জনগণের অভিমত, তিনি একজন যোগ্য, শিক্ষিত, ত্যাগী ও পরোপকারী নেতা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কুলাউড়ার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরী সবসময় জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন। শিক্ষা, সমাজসেবা, মানবিকতা ও উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনন্য। একজন নাগরিক বলেন, “তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, বরং একজন সত্যিকারের মানবিক মানুষ। তাঁর ক্লিন ইমেজ, সততা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা আমাদের গর্ব।” এলাকার আরেক তরুণ ভোটার জানান, “আমরা এমন একজন নেতাকে এমপি হিসেবে চাই, যিনি জনগণের প্রতিনিধি হয়ে প্রকৃত অর্থে জনগণের পাশে থাকবেন। প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরী সেই যোগ্য মানুষ।” কুলাউড়ার উন্নয়নে তাঁর অবদান ও দৃষ্টিভঙ্গি ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের মতে, তার মত একজন সৎ, শিক্ষিত ও পরিশ্রমী নেতাকে এমপি হিসেবে পাওয়া কুলাউড়ার জন্য সৌভাগ্যের বিষয় হবে।
কুলাউড়ায় ড. প্রফেসর সাইফুল আলমের গণসংযোগ ও ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা বিতরণ। মোঃ শামীম শাহরিয়ার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কুলাউড়া শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরাম কুলাউড়ার সভাপতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে কুলাউড়া আসনের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থী উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি ড. প্রফেসর সাইফুল আলম রসুলগঞ্জ বাজারে গণসংযোগ করেন। তিনি তারুণ্যের অহংকার দেশনেতা তারেক রহমান মহোদয়ের ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের সাথে কৌশল বিনিময় করেন এবং পরে স্থানীয় বাজারে সাধারণ জনতার হাতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, “জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।” নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে বাজারজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।