ভারতের 'অপারেশন সিন্দুর'–এর পাল্টা জবাব হিসেবে পাকিস্তান চালু করেছে 'অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস'। পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবি, এই অভিযানে ভারতের উধামপুর ও পাঠানকোট বিমানঘাঁটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, আঘাত হানা হয়েছে শীর্ষা এয়ারফিল্ড ও রাজৌড়ি মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স সেন্টারেও।
পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, ভারতের আদমপুরে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ভারতের সরকার নতুন করে ৮টি সহ মোট ৩২টি বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল ১৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছে।
এছাড়া, পাকিস্তান জানায় যে, ভারতের অমৃতসরে একটি সুপারসনিক ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকি দেহরাঙ্গিয়ারিতে ভারতীয় আর্টিলারি ইউনিট পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অমৃতসরে ছোড়া পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। দেশটির দাবি, পাকিস্তানের অনেক মিসাইলই তাদের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
এই উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জরুরি বৈঠকে বসেছেন ন্যাশনাল কমান্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার ঘোষণা করেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এই লড়াইয়ে পাকিস্তান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যুদ্ধ পাকিস্তান শুরু না করলেও শেষ করবে পাকিস্তান এবং গোটা বিশ্ব এর সাক্ষী হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার মধ্যরাতে ভারতের পক্ষ থেকেও পাকিস্তানের বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। তবে আইএসপিআরের দাবি, রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটিতে চালানো ভারতীয় ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।
পাকিস্তান এই ঘটনার পর ইসলামাবাদ ও করাচি বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। শুক্কুরের কাছে একটি বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় ড্রোন হামলার চেষ্টা করা হলে সেটিও প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক স্থাপনা ও নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা জরুরি বিভাগ পরিদর্শন করেছেন এবং আইএমএফ-এর পাকিস্তানকে ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ।
সাম্প্রতিক এই সংঘাত দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধাবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং গোটা বিশ্ব গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন