ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুইডেনে কোরআন পোড়ানো ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা, বিশ্বজুড়ে আলোড়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম

সুইডেনে কোরআন পোড়ানো ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা, বিশ্বজুড়ে আলোড়ন
HTML tutorial

সুইডেনে কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব সালোয়ান মমিকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে নিজের বাসায় টিকটকে লাইভ করার সময় তাকে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

২০২৩ সালে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আলোচিত মমিকা টিকটকে লাইভ করছিলেন, তখনই অজ্ঞাত বন্দুকধারী তাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

সালোয়ান মমিকা ছিলেন একজন ইরাকি বংশোদ্ভূত খ্রিস্টান, যিনি সুইডেনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি একাধিকবার প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটিয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম-বিরোধী বার্তা প্রচার করেছেন। এমনকি তিনি কোরআন নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন।

২০২৩ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে একটি মসজিদের সামনে মুসলিম-বিরোধী বিক্ষোভের সময় তিনি কোরআন পোড়ান, যা বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সুইডিশ সরকার তখন বিষয়টিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে দেখলেও মুসলিম বিশ্ব এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।

মমিকার কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম বিশ্ব তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ সুইডেনের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। ইরাকের বাগদাদে সুইডেনের দূতাবাসেও হামলা হয়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সুইডেনকে বয়কটের ডাক দেন, আর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি এটিকে ‘মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে মন্তব্য করেন।

সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, মমিকার হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিদেশি শক্তি জড়িত থাকতে পারে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও হত্যাকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

মমিকার হত্যাকাণ্ডের ফলে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্ব ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে কী প্রভাব পড়বে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Google News Icon গুগল নিউজে দেখুন
HTML tutorial