ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ইসরাইল গাজায় সামরিক অভিযান চালালে তার কঠোর জবাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সম্প্রতি হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড তেল আবিব লক্ষ্য করে একাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে এবং সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেছে।
হামাস দাবি করেছে, ইসরাইলি বাহিনীর নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান গণহত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে। কাসসাম ব্রিগেডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের দখলকৃত তেল আবিব শহরে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে এবং তাদের প্রতিরোধ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, গাজার খান ইউনিস এলাকা থেকে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে, যা তেল আবিবের দিকে ছুটে যায়।
হামাসের এই হামলার পর তেল আবিব ও আশপাশের এলাকায় সাইরেন বাজতে শুরু করে এবং স্থানীয় জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকি তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু অংশ তেল আবিবের দক্ষিণে রিশন লেচসিয়ন শহরে আঘাত করেছে, যা আরও নিরাপত্তা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় গাজায় ৬০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যা একদিকে মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে এবং অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরাইলের একতরফা হামলার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
হামাস স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যতদিন ইসরাইল তাদের দমননীতি চালিয়ে যাবে, ততদিন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রাম চলবে। তাদের মতে, এই যুদ্ধ শুধু ভূখণ্ডের জন্য নয়, বরং ফিলিস্তিনিদের অধিকার, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যও।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা বাড়ছে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সংকট নিরসনে কাজ করছে। তবে হামাস তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে—ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন