দিনাজপুরে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ দিনমুজুর স্বামী তার সুচিকিৎসা ও সংসার চালাতে মাত্র ২৫ হাজার টাকার নবজাতককেই বেঁচে দিয়েছিলেন এই তার স্ত্রী তবে স্বামীর শরীরের ক্ষতস্থানে নতুন করে দেখা দিয়েছে জটিলতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে সাধ্যমত চেষ্টার করার পরে এই অবস্থা তার গেল ৪ আগস্ট প্রসুতি স্ত্রীকে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান দিন মজুর আব্দুর রশিদ তবে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পুলিশ গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি আহত অবস্থায় স্ত্রী রোকিয়া বেগমকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন আব্দুর রশিদ তবে চারদিন পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তি করা হয় দিনাজপুর মেডিকেলে অস্ত্রপচারে গুলি বের করা হয়। তার পরদিন বাড়িতেই ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এ খবর পান স্বামী তবে এরপর ঘটে আরো দুঃখজনক ঘটনা , আব্দুর রশিদ একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে স্ত্রীর জন্য সাথে চিকিৎসায় বেশ কিছু ওষুধ কিনতে হয়েছে তাদের সব মিলিয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়ে পরিবারটি । উপায় না পেয়ে নারী ছেড়া ধন নবজাতককেই মাত্র ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন রোকিয়া আব্দুর রশিদ বলেন: আচ্ছা কারণ আমি দিন দিন ইনকাম করি দিন খাই কিন্তু এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে গেছে আমার বউ কোন কিছু না বুঝতে পারে মনে হয় কোন কিছু না ভাবে এখন টাকা পয়সা লাগবে অনেকগুলা এখন ও কি করবে, কোথায় যাবে কার কাছে টাকা নিবে, আর কার কাছে হাত পাবে, বাচ্চা হওয়ার তিন দিনের মাথায় ওর আইসিও ছিল, ওখানে খুব সিরিয়াল অবস্থা টাকা পয়সা আমাদের হাতে ছিল না, এ কারণে আজকে বাচ্চাটাকে আমি অন্য জায়গায় দিলাম ,এখন ৳২৫০০০ টাকা আমাকে দিয়েছে বিয়ে আর কি ওর চিকিৎসা করলাম খারাপ তো লাগবে কিন্তু কোন উপায় ছিল না আর কি হাতে আমার কারণ আমার স্বামীরেও তো বাঁচাইতে হবে বাচ্চারাও তো ওই কারণে আর কি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে তারা সাধ্যমত সেবা ও ঔ ওষুধ দিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে অপারেশনের জন্য তেমন কোন টাকা পয়সা লাগে না যদি একটা টুকটাক জিনিস না থাকলে তখন আনতে হয় কিনে আনতে হয় এই অপারেশন করা হয়েছে ভর্তির সময় যাবতীয় চিকিৎসা সেবা আমরা আমাদের হাসপাতাল থেকে দিয়েছি আমাদের ইভেন আমরা অনেক দূর থেকে ছুটির পরে ছুটির যে ওষুধ বাড়িতে গিয়ে খাবে সেটাও আমরা সরবরাহ করেছি এখনো সংখ্যামুক্ত নন আব্দুর রশিদ তার ক্ষতস্থানে নতুন করে দেখা দিয়েছে জটিলতা হাসপাতালে ভর্তি থাকায় একটি বারের জন্য দেখতে পারেননি নিজের মেয়ের মুখ