মালয়েশিয়ায় ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন নিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৮ বছর নিখোঁজ ছিলেন নরসিংদীর জাহাঙ্গীর আলম। অবশেষে তিনি দেশে ফিরেছেন ৭ নভেম্বর। কিন্তু ঘরে ফিরে তাকে অপেক্ষা করছিল নির্মম বাস্তবতা—বাবা-মা আর জীবিত নেই, আর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী এখন অন্যের সংসারে।
নরসিংদী সদর উপজেলার চরদিঘলদি ইউনিয়নের জিতুরামপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর পেশায় ছিলেন জেলে। ১৮ বছর আগে একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া যান। শুরুতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও একসময় সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারও ধরে নেয় তিনি আর বেঁচে নেই।
আসলে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে বছরের পর বছর কারাগারের কঠোর জীবন কাটাতে হয় তাকে। সেখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাকশক্তি হারান। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশন তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলে পরিচয় শনাক্ত হয়। পরে নরসিংদী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি খরচে তাকে দেশে আনা হয়।
বর্তমানে তিনি নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রশাসন তাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এবং প্রতিবন্ধী ভাতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে।
এটাই প্রবাস জীবনের কঠিন বাস্তবতা—স্বপ্ন দেখতে দেখতে কখন যে জীবন বদলে যায়, কেউ জানে না।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো দেশের নতুন জরুরি কল সিস্টেম Next Generation Emergency Services (NG999)। রোববার (১৬ নভেম্বর) থেকে এটি পূর্বের Malaysian Emergency Responses 999 (MERS999) সিস্টেমের সম্পূর্ণ বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) থেকে জনসাধারণকে পাঠানো এসএমএস বার্তায় NG999 ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, দ্রুত ও সঠিকভাবে জরুরি তথ্য প্রেরণের জন্য অ্যাপস্টোর বা গুগল প্লে থেকে “SaveME999” অ্যাপটি ডাউনলোড করতে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, জরুরি লাইনের অপব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য। NG999 একটি সমন্বিত ডিজিটাল সিস্টেম, যা জরুরি কল সেন্টার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে তথ্য ও সম্পদ ভাগাভাগি আরও উন্নত করে। ফলে জরুরি সেবার কার্যক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বাড়বে। গত বছরের ১ জুলাই, ডেপুটি কমিউনিকেশনস মন্ত্রী তেও নি চিং জানান, নতুন এই সিস্টেমে ওয়েব-ভিত্তিক ডিজিটাল ম্যাপিং, কলার আইডি, জিওলোকেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্মার্ট মোবাইল অ্যাপসহ আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে দেশের যেকোনো স্থানে আরও কার্যকর জরুরি সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, MERS999-এর তুলনায় NG999-এর কভারেজ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন সারাদেশে ৮০০–রও বেশি স্থানে সম্প্রসারিত হয়েছে। — বারনামা
মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন পুলিশের সাম্প্রতিক অভিযানের সুযোগ নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। নিজেদের ইমিগ্রেশন অফিসার পরিচয় দিয়ে এই চক্র আটক বিদেশী কর্মীদের মুক্তির নামে নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ রিঙ্গিত হাতিয়ে নিচ্ছে। সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খাইরুল আমিনুস কামারউদ্দিন জানিয়েছেন, প্রতিটি এনফোর্সমেন্ট অপারেশনের পরই এই সিন্ডিকেট নিয়োগকর্তাদের টার্গেট করে। তারা সরাসরি ফোন করে দাবি করে যে তাদের কর্মী আটক রয়েছে এবং দ্রুত মুক্তির জন্য ১০,০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত টাচ অ্যান্ড গো ই–ওয়ালেটের মাধ্যমে অর্থ দিতে হবে। অনেক নিয়োগকর্তা দ্রুত কর্মী ফেরত পাওয়ার আশায় যাচাই–বাছাই না করেই টাকা পাঠাচ্ছেন। পরে ইমিগ্রেশন অফিসে গেলে দেখা যায় ব্যবহৃত নম্বর ইতোমধ্যে বন্ধ। শুধু গত এক মাসেই এই চক্রের প্রতারণায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৭,০০০ রিঙ্গিত। ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, প্রতারকরা আসল অফিসারের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রোফাইল তৈরি করায় অনেকে সহজেই প্রতারিত হচ্ছেন। পরিচালক খাইরুল আমিনুস কঠোর সতর্কবার্তায় বলেন, “অপারেশনের সময় যদি কোন কর্মী আটক হয়, মুক্তির জন্য কোনো ফোনকল বা এসএমএসে বিশ্বাস করবেন না। সন্দেহ হলে সরাসরি ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করুন।” তিনি আরও জানান, বৈধ নথি থাকলে নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই আসল কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি ইমিগ্রেশন অফিসে এসে যাচাই করতে হবে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কর্মীদের মুক্তি দেওয়া হবে। ইমিগ্রেশন বিভাগ নিয়োগকর্তাদের দায়িত্বশীল হওয়ার এবং প্রতারক চক্র থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।