আইন-অপরাধ

প্রসিকিউটর তাজুল শিবির-কর্মী ও খুন মামলার আসামি ছিলেন: ফজলুর রহমান

reporter-icon
মুক্তধ্বনি নিউজ ডেক্স: রিপোর্টার
নভেম্বর ১৮, ২০২৫ | 0

ঢাকার এক আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র আইনজীবী ফজলুর রহমান পরিষ্কার ভাষায় বললেন, শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে তার কোনও ব্যক্তিগত আপত্তি নেই, কিন্তু যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো কাঠামোতে এ বিচার হওয়া তিনি গ্রহণ করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে—গণতন্ত্রহীনতা, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা—এসবের জন্য কঠোর শাস্তি প্রাপ্য। “তার ফাঁসি হোক, আমার আপত্তি নেই,”—এ কথা বললেও তিনি জোর দিয়ে বলেন—“কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে বিচার টিকবে না।”

তার মতে, ১৯৭৩ সালের যে আইনে রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের বিচার হয়েছে, সেই একই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার হওয়া আইনি দৃষ্টিতে ভুল। এটি যুদ্ধাপরাধের কোর্ট, রাজনৈতিক অপরাধের নয়।

ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশন টিম নিরপেক্ষ নয়। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান প্রসিকিউটর অতীতে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং খুনের মামলারও আসামি ছিলেন। “বরের পিশি, কনের মাসি হয়ে বিচার হয় না”—বলে তিনি প্রসিকিউটরদের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলেন।

তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে কোনও গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে উচ্চ আদালত এ ট্রাইবুনালের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। তখন দেওয়া রায়ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

“যদি কোর্টই ঠিকভাবে গঠিত না হয়—তাহলে তার দেওয়া ফাঁসির রায়ের মূল্য কী?”—তিনি বলেন।

নিজ দলের অবস্থান থেকেও ভিন্ন মত প্রকাশ করে তিনি জানান, দল তাকে অভিনন্দন জানালেও তিনি কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী হিসেবে নিজের বিবেক অনুযায়ী কথা বলছেন।

শেষে তিনি আবারও স্পষ্ট করেন—“ভারত থেকে ধরে এনে হাসিনাকে ফাঁসি দিলেও আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ভুল কোর্টে বিচার হলে সেটা আমি মানতে পারি না।”

সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

টাঙ্গাইল শহরের গৌরঘোষ দধি ভাণ্ডারে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।

২০২৪ সালের জুলাই গণহত্যা মামলায় আগামীকাল রায়: পাঁচ প্রধান অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা

২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই—সেই সময়কার ছাত্র আন্দোলনে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঘটনার বিচার এখন শেষ প্রান্তে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার প্রথম রায়ের কাউন্টডাউন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। প্রায় ৪০০ দিনের টানা শুনানি, সাক্ষ্য, প্রমাণ উপস্থাপন আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল দেওয়া হবে রায়। মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইন্টারপোল জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে কনভিকশন ওয়ারেন্ট ও রেড নোটিসের আবেদন পাঠানো হবে। পাঁচটি অভিযোগের সারসংক্ষেপ ১. উসকানিমূলক মন্তব্য ও রাষ্ট্রীয় দমন অভিযান ১৪ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের পর আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, সেই বক্তব্যের পর উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। ২. হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন আইজিপি বিশেষ নির্দেশনা দেন। তদন্ত সংস্থা হেলিকপ্টার থেকে র‍্যাবের গুলিবর্ষণের প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে। ৩. রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটিও এই মামলার অংশ। অভিযোগে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের দমননীতির ধারাবাহিকতা। ঘটনার পর এটিকে ভিন্ন খাতে নিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়। ৪. পুরান ঢাকার চাঁখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা ৫ আগস্ট চাঁখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। ট্রাইব্যুনালের নথিতে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে পরিচালিত এক অভিযান। ৫. আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলা সবচেয়ে নৃশংস অভিযোগ—আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, পাঁচজনের লাশ পুড়িয়ে ফেলা এবং আহত একজনকে জীবিত অবস্থায় আগুনে নিক্ষেপের ঘটনা। আদালতে এই ঘটনাকে জুলাইয়ের সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। উপস্থাপন করা হয়েছে অডিও-ভিডিও ফুটেজ, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলি ও ফরেনসিক রিপোর্ট। রায়ের অপেক্ষায় এখন পুরো দেশ—কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই নির্ধারণ করবে মামলার পরবর্তী গতি।

আইন-অপরাধ

আরও পড়ুন
প্রসিকিউটর তাজুল শিবির-কর্মী ও খুন মামলার আসামি ছিলেন: ফজলুর রহমান

ঢাকার এক আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র আইনজীবী ফজলুর রহমান পরিষ্কার ভাষায় বললেন, শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে তার কোনও ব্যক্তিগত আপত্তি নেই, কিন্তু যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো কাঠামোতে এ বিচার হওয়া তিনি গ্রহণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে—গণতন্ত্রহীনতা, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা—এসবের জন্য কঠোর শাস্তি প্রাপ্য। “তার ফাঁসি হোক, আমার আপত্তি নেই,”—এ কথা বললেও তিনি জোর দিয়ে বলেন—“কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে বিচার টিকবে না।” তার মতে, ১৯৭৩ সালের যে আইনে রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের বিচার হয়েছে, সেই একই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার হওয়া আইনি দৃষ্টিতে ভুল। এটি যুদ্ধাপরাধের কোর্ট, রাজনৈতিক অপরাধের নয়। ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশন টিম নিরপেক্ষ নয়। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান প্রসিকিউটর অতীতে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং খুনের মামলারও আসামি ছিলেন। “বরের পিশি, কনের মাসি হয়ে বিচার হয় না”—বলে তিনি প্রসিকিউটরদের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে কোনও গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে উচ্চ আদালত এ ট্রাইবুনালের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। তখন দেওয়া রায়ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। “যদি কোর্টই ঠিকভাবে গঠিত না হয়—তাহলে তার দেওয়া ফাঁসির রায়ের মূল্য কী?”—তিনি বলেন। নিজ দলের অবস্থান থেকেও ভিন্ন মত প্রকাশ করে তিনি জানান, দল তাকে অভিনন্দন জানালেও তিনি কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী হিসেবে নিজের বিবেক অনুযায়ী কথা বলছেন। শেষে তিনি আবারও স্পষ্ট করেন—“ভারত থেকে ধরে এনে হাসিনাকে ফাঁসি দিলেও আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ভুল কোর্টে বিচার হলে সেটা আমি মানতে পারি না।”

নভেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইলের সখিপুরে সিগার্ল রিসোর্ট থেকে কর্মরত ওয়েল্ডিং কর্মী সনজিৎ মোহন্তের লাশ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের সখীপুরে চোরাই বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

কালিহাতীতে ব্যাগ সেলাই করে ও পেয়ারার বস্তায় লুকিয়ে অবৈধ মাল বহন — ২ জন গ্রেফতার

সাজিদ পিয়াল: আজ ১৬ নভেম্বর) দুপুরে র‍্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওসার বাঁধন আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃত তোহর আলী (৬০) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার সোয়েব আলীর পুত্র। মেজর কাওসার বাঁধন জানান, গতকাল (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তোহর আলীকে সন্দেহ হলে র‍্যাব সদস্যরা তল্লাশি চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি মাদক বহনের কথা স্বীকার করেন। পরে তার ব্যাগের সেলাই করা অংশ থেকে চার পুরিয়া হেরোইন এবং পেয়ারার বস্তা থেকে চারটি পলিথিন প্যাকেটে রাখা মোট ৪৬০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, আটক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জব্দকৃত হেরোইন আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হবে। কালিহাতীতে ব্যাগ সেলাই করে ও পেয়ারার বস্তায় লুকিয়ে অবৈধ মাল বহন — দুই জন গ্রেফতার টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় অভিনব কায়দায় ব্যাগের ভেতর সেলাই করে এবং পেয়ারার বস্তার নিচে লুকিয়ে অবৈধ মালামাল বহনের সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ তল্লাশিচৌকিতে অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিহাতী পৌরসভার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে একটি ভ্যান থামানো হলে চালক ও সহযাত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করলে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে ভ্যানের পেছনে রাখা দুইটি ব্যাগ ও একটি বড় পেয়ারার বস্তা পরীক্ষা করা হয়। তল্লাশি করতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাগ দুটির ভেতর বিশেষভাবে সেলাই করে গোপনে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মালামাল। সেলাই কেটে ভিতরে ঢোকানো ছিল ছোট প্যাকেট, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, কিছু নিষিদ্ধ দ্রব্য এবং সন্দেহজনক কাগজপত্র। পেয়ারার বস্তার নিচেও একইভাবে লুকানো ছিল আরও কিছু অবৈধ পণ্য। বস্তার উপরের স্তরে পেয়ারার মতো ফল সাজিয়ে রাখা হলেও নিচের অংশে গাদাগাদি করে রাখা ছিল নিষিদ্ধ সামগ্রী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই দুই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় এসব অবৈধ মালামাল পাচার করছিল। তবে এ চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাদের গন্তব্য কোথায় ছিল— সেসব বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “অত্যন্ত চতুর উপায়ে অবৈধ পণ্য পরিবহনের চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের নিয়মিত তল্লাশির কারণেই এটি ধরা পড়ে। জব্দ করা মালামালের সঠিক হিসাব ও ধরন যাচাই করা হচ্ছে। আটক দু’জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।” পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত মালামাল থানায় রাখা হয়েছে এবং পুরো চক্র শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আপনি চাইলে উদ্ধারকৃত মালের নির্দিষ্ট ধরন, মোট মূল্য, আটক ব্যক্তিদের নাম, এবং তারিখ দিলে আমি এটি আরও নির্ভুল ও পোর্টাল-রেডি সংবাদের মতো সাজিয়ে দিতে পারব।

নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ

বেগমগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৩

**মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

নোয়াখালীতে মধ্যরাতে ফুটবল খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৮

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ও মুছাপুর ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যরাতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৮জন আহত হয়েছে।   শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো.আরাফাত (২৫), মো.আশ্রাফ (১৮) মো.সিয়াম (২১), মো.ইমন (২০), মো.সাকিব (২০), মুন্না (১৮), মো.রাহাত (১৮), আরমান (২৩, সোহাগ (৩০) নুরউদ্দিন (৩৩) ও রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জিহাদ (২৬), নভেল (২১), শাওন (২২), রাশেদ (২৭)।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক স্বরণে দিবারাত্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় বাঞ্চারাম স্পোর্টস সোসাইটি। এ টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করে পাশের মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘ। খেলার শুরুতেই মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের সমর্থকরা খেলার রেফারি রাশেদকে বিতর্কিত দাবি করে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। খেলার একপর্যায়ে মাঠে একটি থ্রো ফাউল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ওই সময় দর্শক সারি থেকে মদিনা বাজার উদীয়মান সংঘ টিমের একজন সমর্থক মাঠে নেমে প্রতিবাদ করলে রেফারি রাশেদ তাকে চড় মারেন। এনিয়ে রামপুর ইউনিয়নের অল স্টার টিম ও মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সংঘর্ষে জড়িতে পড়ে। এতে মুছাপুরের ১০জন ও রামপুর ইউনিয়নের ৮জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২জন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৪জন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ইউনিয়নের লোকজনই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন।     কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম আরও বলেন, বিষয়টি শুনেছি, ফুটবল খেলা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা, গ্রেফতার ৪

র‍্যাব-১৪ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের পৃথক দুই অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

টাংগাইল বাসাইলে তেলের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

0 মন্তব্য