Search : আবু সাঈদ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স তুলে দেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স তুলে দেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শরীফা হক। এসময় তিনি বলেন, শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা পর্ব শেষে জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ২৬, ২০২৫ 0
জাতীয়
যেসব অভিযোগে হাসিনার ফাঁসির রায়: আমার দেশ প্রতিবেদনে উত্থাপিত তথ্য

অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম আমার দেশ তাদের সাম্প্রতিক ভিডিও প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুলাই–আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে—এমন দাবি তারা উপস্থাপন করেছে। একই মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। ভিডিওতে যেভাবে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে— ১) ১৪ জুলাইয়ের বক্তব্যকে উস্কানিমূলক উল্লেখ ভিডিও দাবি করে, আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা রাজাকার বংশধর বলে মন্তব্য করেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়। ২) হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রতিবেদন মতে, আন্দোলনকারীদের দমন করতে এসব অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ৩) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যু রংপুরে গুলিতে নিহত হওয়া শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার দায়ও মামলার অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ৪) চাংখারপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকায় ছয়জন আন্দোলনকারী গুলিতে নিহত হন—এ অভিযোগও মামলার অন্তর্ভুক্ত। ৫) মার্চ টু ঢাকা চলাকালে আশুলিয়ায় গুলি ও লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ ভিডিওতে বলা হয়, আশুলিয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনা মামলার বড় অংশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই–আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে এটি প্রথম যার বিচার কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এর আগে আদালত অবমাননার আরেক মামলায় শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বলেও ভিডিওতে উল্লেখ আসে। ভিডিওটিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৮৩টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলা, দুদক মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এবং গুমের মামলাও অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করা হয়। বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত চলছে এবং কিছু বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, এই সংবাদে বর্ণিত সব তথ্যই আমার দেশ ভিডিও রিপোর্টে উপস্থাপিত দাবি—স্বাধীনভাবে এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
জাতীয়
২০২৪ সালের জুলাই গণহত্যা মামলায় আগামীকাল রায়: পাঁচ প্রধান অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা

২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই—সেই সময়কার ছাত্র আন্দোলনে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঘটনার বিচার এখন শেষ প্রান্তে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার প্রথম রায়ের কাউন্টডাউন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। প্রায় ৪০০ দিনের টানা শুনানি, সাক্ষ্য, প্রমাণ উপস্থাপন আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল দেওয়া হবে রায়। মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইন্টারপোল জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে কনভিকশন ওয়ারেন্ট ও রেড নোটিসের আবেদন পাঠানো হবে। পাঁচটি অভিযোগের সারসংক্ষেপ ১. উসকানিমূলক মন্তব্য ও রাষ্ট্রীয় দমন অভিযান ১৪ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের পর আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, সেই বক্তব্যের পর উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। ২. হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন আইজিপি বিশেষ নির্দেশনা দেন। তদন্ত সংস্থা হেলিকপ্টার থেকে র‍্যাবের গুলিবর্ষণের প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে। ৩. রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটিও এই মামলার অংশ। অভিযোগে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের দমননীতির ধারাবাহিকতা। ঘটনার পর এটিকে ভিন্ন খাতে নিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়। ৪. পুরান ঢাকার চাঁখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা ৫ আগস্ট চাঁখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। ট্রাইব্যুনালের নথিতে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে পরিচালিত এক অভিযান। ৫. আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলা সবচেয়ে নৃশংস অভিযোগ—আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, পাঁচজনের লাশ পুড়িয়ে ফেলা এবং আহত একজনকে জীবিত অবস্থায় আগুনে নিক্ষেপের ঘটনা। আদালতে এই ঘটনাকে জুলাইয়ের সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। উপস্থাপন করা হয়েছে অডিও-ভিডিও ফুটেজ, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলি ও ফরেনসিক রিপোর্ট। রায়ের অপেক্ষায় এখন পুরো দেশ—কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই নির্ধারণ করবে মামলার পরবর্তী গতি।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ বন্দকাটিতে বেপরোয়া অনলাইন জুয়ার এজেন্টরা : নিঃস্ব যুবকরা ঝুঁকছে অপরাধে
আইন-অপরাধ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ বন্দকাটিতে বেপরোয়া অনলাইন জুয়ার এজেন্টরা : নিঃস্ব যুবকরা ঝুঁকছে অপরাধে

মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রামে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অনলাইন জুয়ার এজেন্টরা। অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়েছে একাধিক যুবক। অনেকে ঋণের দায়ে এলাকায় আসতে পারছে না। অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কেউ প্রতিবাদ করলে প্রকাশ্য হুমকি দেয়। রাজনৈতিক ছত্রছায়া ব্যবহার করার চেষ্টা চালায়। সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, বন্দকাটি গ্রামের অনলাইন জুয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে বন্দকাটি গ্রামের সাইকেল মিস্ত্রী হায়দারের পুত্র রবিউল ইসলাম। সে বন্দকাটি গণ গোরস্থান মোড়ে চায়ের দোকানের আড়ালে জুয়ার এজেন্ট চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন। জুয়ার এজেন্ট চালিয়ে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। কিন্তু একসময় ছিল ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। দুবেলা- দুমুঠো খাওয়া জুটত না মা মানুষের বাড়ি গৃহচারিকার কাজ করত। এখন জুয়ার এজেন্ট রবিউল রাজকীয় ভাবে জীবনযাপন করে। গড়েছে একতলা বাড়ি, গাড়িসহ লক্ষ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। রবিউল সিন্ডিকেটে ৭-৮ জন অনলাইন জুয়ার এজেন্ট রয়েছে। এসব এজেন্টদের প্রভোলনে পড়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়েছে। আবার অনেকে নিঃস্ব হয়ে ঋণের দায়ে এলাকায় আসতে পারছে না। এজেন্টরা অভিনব কায়দায় বিভিন্ন ছত্রছায়ায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়ার নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে বন্দকাটি গণ গোরস্থান মোড়ে আব্দুল্লাহ টেলিকমের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ। একসময় আব্দুল্লাহর বিকাশ-নগদে-ফেক্সিলোড়ের রমরমা ব্যবসা ছিল। জুয়ার এজেন্ট রবিউল সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ টাকা হেরে ঋণের দায়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বছর পর বছর এলাকায় আসতে পারছে না পাওনাদারদের চাপে । আরেকজন অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হয়েছে বন্দকাটি গ্রামের আবু সাঈদের পুত্র বিপ্লব হোসেন। বাড়ি তৈরি ৪-৫ লক্ষ টাকা অনালইন জুয়ায় হেরে সে আজ নিঃস্ব হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে গণমাধ্যমে সামনে তার নিঃস্ব হওয়ার গল্প তুলে ধরেছে। অনলাইন জুয়ার এজেন্ট রবিউল ইসলামের শাস্তি দাবি করেছে। একই গ্রামের যুবক লেদ মিস্ত্রী মিলন ও চায়ের দোকানদার সবুজ হোসেন অনলাইন জুয়ার খপ্পরে পারে নিঃস্ব হয়ে দোকানপাট বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে ঋণের দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পাওনাদারা তাদের টাকার জন্য খুজে বেড়াচ্ছে বন্দকাটি গ্রামের অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হয়েছে শতাধিক যুবক অনেকে প্রশাসনের ভয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে সাহস পায়নি। অনলাইন জুয়ার নিঃস্ব হয়ে যুবকরা ভয়ংকর অপারধে ঝুঁকছে বেড়েছে চুরি ডাকতির মত ভয়ংকর অপরাধ। অনেকে সংঘবদ্ধ হয়ে রাতে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে ডাকাতি করে লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব। গত কয়েকমাসে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে চেতনাশক স্প্রে ব্যবহারে ডাকাতি করে ২০ টি পরিবারের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। নাগরিক নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হয়ে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। জুয়ার এজেন্টদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তারা ধোরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত অভিযানের মাধ্যমে জুয়ার এজেন্টদের ধরে আইনের আওতায় আনা হোক। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন,অনলাইন জুয়ার বিষয় পুলিশ সচেতন রয়েছে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযান করে বিভিন্ন এজেন্ট করে আটক করেছি। অনলাইন জুয়ার বাকি এজেন্টদের ধরার চেষ্টা করছি।অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের তালিকা তৈরি করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১৪, ২০২৫ 0
রাজনীতি
গফরগাঁওয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক জনসভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী গফরগাঁও উপজেলার পাইথন ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে  এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।  আজ ২৫ আগস্ট সোমবার সময় বাদ আসর জয়গরখালীতে অনুষ্ঠিত হয়।  জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গফরগাঁও উপজেলা শাখার  আমীর ও ময়মনসিংহ জেলা মজলিসে শূরার অন্যতম সদস্য এবং ময়মনসিংহ-১০ আসনে জামায়াত ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জননেতা মাওলানা ইসমাঈল হোসেন সোহেল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইনসাফভিত্তিক ও আদর্শনিষ্ঠ দল, যেখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষই নিরাপদ। আগামী দিনে জামায়াত সরকার গঠন করলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে, সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। ইনসাফ কায়েম করতে হলে এবং ইসলামের বিজয় প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদেরকে দাঁড়িপাল্লার সমর্থক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। শহীদ আব্দুল মালেক থেকে শুরু করে আবু সাঈদ মুগ্ধের মতো ত্যাগ ও উৎসর্গের মানসিকতা নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, তবেই বিজয়ের সোপান রচিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড সভাপতি আকরাম হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন সেক্রেটারি শামসুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের মজলিসে শূরার অন্যতম সদস্য ও পাগলা থানা আমীর মাওলানা এমদাদুল হক,পাগলা থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও ওলামা বিভাগের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু তালেব, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে মাওলানা সাইদুল ইসলাম ও এডভোকেট আতিকুর রহমান হীরা।  সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাইথল ইউনিয়ন সভাপতি ডা. রোকন উদ্দিন,মশাখালী ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা কামরুল হাসান, লংগাইর ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ সোহেল রানা, ছাত্রশিবির গফরগাঁও উপজেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,পাগলা থানা সভাপতি শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।  

মুক্তধ্বনি ডেক্স আগস্ট ২৭, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে