দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সাজিদ পিয়াল: গোপালপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ২৭/১০/২০২৬ইং তারিখে গোপালপুর উপজেলা ও পৌর মৎস্যজীবী দল এর উদ্যোগে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। উক্ত মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম সভাপতি গোপালপুর উপজেলা মৎস্যজীবী দল সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিম তালুকদার মোঃ দোলয়ার হোসেন সহ সভাপতি গোপালপুর উপজেলা মৎস্যজীবী দল যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম মোঃমারুফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক পৌর মৎস্যজীবী দল আরো উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন ওয়ার্ড মৎস্যজীবীদলের নেতৃবৃন্দ।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শরীফা হক। এসময় তিনি বলেন, শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা পর্ব শেষে জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে সখীপুর সরকারি কলেজ মোড়ের এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, “আমি নিজেই যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা, সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করে এসেছি এবং করে যাব।” তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। কয়েকটি ফেসবুক আইডি থেকে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সখীপুর উপজেলার কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আযম খান দীর্ঘদিন ধরেই সখীপুর-বাসাইলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা, এ তথ্য আগে কখনো আমাদের জানা ছিল না। তারা বলেন, হয়তো তাদের তথ্য অসম্পূর্ণ থাকতে পারে, তবে আহমেদ আযম খান একজন মুক্তিযোদ্ধা, এমন দাবির কথা এর আগে শোনা যায়নি। তবে সোমবার (২৪ নভেম্বর) সখীপুর উপজেলার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমি সক্রিয় আঞ্চলিক (বাসাইল অঞ্চলের) সংগঠকদের মধ্যে একজন ছিলাম। আমি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই তখনকার আমাদের যিনি ছাত্রনেতা ছিলেন, খন্দকার আব্দুল বাতেনের সঙ্গে। আমরা যাঁরা খন্দকার আব্দুল বাতেনের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিলাম, তাঁদের কেউই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতাপ্রাপ্ত নই এবং তালিকাভুক্তও নই। কারণ উনি (আব্দুল বাতেন) কোনো স্বীকৃত সাবসেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। আমরা তখন তুখোড় ছাত্র রাজনীতি করেছি। এই দেশ স্বাধীনের জন্য ভূমিকা পালন করেছি। কোনো ভাতার জন্য চিন্তা করে এসব করিনি।’ আহমেদ আযম খান আরও বলেন, ‘এর আগে আওয়ামী লীগের সময়েও আমি টক শোতে অনেকবার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলাতে ডিজিএফআইয়ের কথা শুনেছি। তাঁরা বাসাইল ও সখীপুরে তদন্ত করতে এসেছে যে, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি কি-না। কিন্তু আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এবং মুক্তিযুদ্ধের একজন আঞ্চলিক সংগঠকও ছিলাম।’
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মানিক মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর মা। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ঘড়িয়া এলাকায় সংঘটিত বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কৃষক দলের এক নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রী ঘড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত মানিক মিয়া একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে। যৌন নিগ্রহের শিকার ওই স্কুলছাত্রী ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার ভ্যানচালক বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। তার মা অতি কষ্টে ধার-দেনা করে তার বাবার চিকিৎসা ও মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ওই শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে পূর্বচড়ায় (ক্ষেতে) শাক তুলতে গেলে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের ডিপ মেশিন ঘরে নিয়ে যায় এবং তার উপর যৌন নিগ্রহ চালায়। পরে কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। অসহায় অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে গিয়ে জানালে মা তাকে নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযোগ দিতে যায়। ওই সময় মানিকের ছেলে ও পরিবারের লোকজন তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার সময় তাদের বহনকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে ফোন দিয়ে অটোরিকশা ঘুরিয়ে থানায় না গিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন। এদিকে নারান্দিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুম। তিনি অভিযুক্তের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করে ভুক্তভোগী। পরে স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানোর পর গ্রাম্যসালিশী বৈঠক পন্ড হয়ে যায়। ওই ছাত্রী আরো অভিযোগ করেন, তার সাথে যা হয়েছে তা যেনো আর অন্য কারো সাথে না হয়- এজন্য তিনি যৌন নিগ্রহকারী মানিক মিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। ভুক্তভোগীর মা জানান, যৌন নিগ্রহের ঘটনা জানাতে গেলে অভিযুক্ত ও তার সহযোগীরা তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। নারান্দিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের (ঘড়িয়া) সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নারান্দিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুম সিএনজি চালকের মাধ্যমে তাদেরকে ‘দরবার’ করে বিষয়টি সমাধানের জন্য ডেকে আনেন। পরে সাবেক মেম্বার ও তার ছেলে কৌশলে অভিযুক্ত মানিক মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। নারান্দিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুম জানান, সামাজিকভাবে তাদের অনেক দ্বায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে তিনি ফোন দিয়ে তাদেরকে থানায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। সামাজিকভাবে অনেক কিছুরই মিমাংসা হয়ে থাকে। পরে তিনি বিভিন্ন মহল থেকে সাংবাদিকদের সংবাদ না করার অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই স্কুলছাত্রীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।