Search : কবিতা

শিক্ষাঙ্গন
টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানীর ১৪৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ২ দিন ব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

(সাজিদ পিয়াল)-মাওলানা ভাসানীর ১৪৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ২ দিন ব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে দুই দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থা টাঙ্গাইল এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ।শুক্রবার ও শনিবার (১২ ও ১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থা টাঙ্গাইলের সভাপতি তালহা আল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক আলহাজ সুলতান টুকু।সংস্থার উপদেষ্টা অধ্যাপক তরুণ ইউসুফ এবং সাধারণ সম্পাদক এস. এম. রেজাউল ইসলাম সোহাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন টাঙ্গাইলের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মো. মাহমুদুল হক সানু।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থা টাঙ্গাইলের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ সাধারণ গ্রন্থাগার টাঙ্গাইলের সদস্য সচিব কবি মাহমুদ কামাল এবং স্বকাল পরিষদের সভাপতি নুরুল ইসলাম বাদল। আলোচনা সভায় বক্তারা মাওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার আপসহীন অবস্থান এবং এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, মাওলানা ভাসানীর আদর্শ আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া সময়ের দাবি। দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য, গান ও পুথি পাঠ পরিবেশন করা হয়। শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা এতে অংশ নেন। এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় জাতীয় আবৃত্তি শিল্পী আরিফ আহমেদ ও তার দলের পরিবেশিত পুথি পাঠ দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অনুষ্ঠানটি টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং মাওলানা ভাসানীর আদর্শ ও চেতনা নতুনভাবে স্মরণ করার এক অনন্য উপলক্ষ হয়ে ওঠে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আয়োজিত" তারুণ্যের উৎসব ২০২৫"উদযাপন

টাঙ্গাইলে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা ও পিঠা উৎসব। ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইলের জনসেবা চত্বরে শুরু হয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা ও পিঠা উৎসব। বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী উদ্যোক্তা এবং বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, “তারুণ্যের শক্তি এবং উদ্ভাবনী চিন্তাধারাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এমন উদ্যোগ তরুণদের দক্ষতা বিকাশ, মেধা চর্চা ও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ তৈরি করে। পাশাপাশি স্থানীয় খাদ্য ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেও এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মেলা প্রাঙ্গণটি সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে। মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় অর্ধশতাধিক উদ্যোক্তা স্টল, যার মধ্যে রয়েছে— নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি হস্তশিল্প, মাটি ও কাঠের কাজ স্থানীয় উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও ভ্যালু-অ্যাডেড সামগ্রী বিভিন্ন ধরনের পোশাক, নকশিকাঁথা, গৃহস্থালি পণ্য দেশীয় খাবার, গ্রামীণ ঐতিহ্যের পিঠা-পুলি এবং স্থানীয় মিষ্টান্ন দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে পারিবারিক বিশ্রামকেন্দ্র, শিশুদের বিনোদন কর্নার এবং ক্রেতা-উদ্যোক্তা পরামর্শ বুথ। আয়োজকরা জানান, তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিয়মিত প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে সহায়তা প্রদান করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ মেলা তরুণদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ দেখাবে। একইভাবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিক ক্ষমতায়ন ও বাজার সংযোগে সহায়তা দিচ্ছে। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ আলোচনা সভা, যেখানে সফল উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তরুণদের সামনে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। সন্ধ্যায় থাকবে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি এবং স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা। এছাড়া উৎকৃষ্ট পণ্যের ভিত্তিতে কয়েকটি শ্রেষ্ঠ স্টলকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। উদ্বোধনের পর থেকেই জনসেবা চত্বরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। পরিবার-পরিজন, তরুণ-তরুণী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ আয়োজন ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রকাশ করেছেন। নানা স্বাদের পিঠা ও স্থানীয় খাবারের স্টলে বেড়েছে কেনাকাটার চাপ। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আগামীকাল সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ দুই দিনব্যাপী আয়োজন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
সারা দেশ
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে মওলানা ভাসানীর ট্রাক্টর

চীন থেকে মাও জেদংয়ের উপহার পাওয়া ট্রাক্টর, টাইপরাইটারসহ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে টাঙ্গাইলের সন্তোষে। অনেক সরঞ্জাম আবার নষ্টও হয়ে যাচ্ছে। এই সরঞ্জামগুলো ভালোভাবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ, পরিবারের সদস্য, ভক্ত ও অনুসারীরা। সরেজমিন দেখা যায়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম পাশে একটি টিনশেডে রয়েছে ট্রাক্টর ও টাইপরাইটারটি। টিনশেডের চারপাশে স্বচ্ছ কাচ। ট্রাক্টর ও টাইপরাইটার মেশিনটিতে জমেছে ধুলার আস্তরণ। মওলানা ভাসানী ও চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবের নেতা মাও জেদংয়ের স্মৃতিবিজড়িত এই ট্রাক্টরের সামনের একটি চাকা নেই। এটি উচ্চতায় ৬ ফুট, লম্বায় ১০ ফুট। জানা যায়, মওলানা ভাসানী ১৯৬৩ সালে প্রথম এবং ১৯৬৪ সালে দ্বিতীয়বার চীন সফর করেন। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ‘মাও সে-তুঙ এর দেশে’ নামে একটি বইও লেখেন। ১৯৬৬ সালে মওলানা ভাসানী তৃতীয় ও শেষবার চীন সফর করেন। সে সময় চীনের নেতা মাও জেদং তাকে একটি ট্রাক্টর উপহার দেন। ১৯৬৭ সালে চীন থেকে ট্রাক্টরটি এ দেশে পাঠানো হয়। সমবায় পদ্ধতির কৃষিকাজে ট্রাক্টরটির সাহায্যে একসঙ্গে ৫০ একর জমি চাষ করা যেত। সে সময় মওলানা ভাসানীর কৃষিকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড চলমান ছিল জয়পুরহাটের পাঁচবিবির মহীপুর এলাকায়। সেখানে ট্রাক্টরটি কিছুদিন কাজে লাগানো হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে ট্রাক্টরটি টাঙ্গাইলের সন্তোষে নিয়ে আসা হয়। পরে মওলানা ভাসানী ট্রাক্টরটি বসিয়ে না রেখে কাজ করার জন্য বিএডিসিকে দিয়ে দেন। বিএডিসি সেটি জামালপুরে কিছুদিন কাজে লাগায়। জামালপুরে ট্রাক্টরটি একপর্যায়ে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকার পর বিক্রির কথা ওঠে। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড ট্রাক্টরটি ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনে। বর্তমানে ট্রাক্টরটি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ শিক্ষার্থী আক্তারুজ্জামান সাজু বলেন, মওলানা ভাসানী দলমত নির্বিশেষে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ; তিনি আছেন আদর্শ, স্মৃতি, ইতিহাস ও কবির কবিতায়। তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ ও জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। এই বঙ্গীয় ‘ব’-দ্বীপে এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়েও যে বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করা যায় মওলানা ভাসানী তার জ্বলন্ত উদাহরণ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তার রেখে যাওয়া স্মৃতিচিহ্ন ও প্রতিষ্ঠানগুলো আজ ধ্বংসের পথে। মজলুম জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর ‘হক কথা’ পত্রিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘শান্তি প্রেস’র ব্যবহার্য সরঞ্জামগুলো আজ অবহেলায় অযত্নে পড়ে আছে; এই স্মৃতি সংরক্ষণে সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারও দায় নেই। মওলানা ভাসানী জাদুঘরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে তার স্মৃতি সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি। ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন কৃষক ও মেহনতি মানুষের নেতা। তার সংগ্রামী জীবন, চীন থেকে উপহার পাওয়া ট্রাক্টরসহ নানা স্মৃতি আজ আমাদের ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এসব জিনিসপত্র অনেক জায়গায় অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাসানীর ব্যবহৃত জিনিস, যেমন-ট্রাক্টর, পোশাক, দলিল, বই ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য একটি স্থায়ী ‘ভাসানী জাদুঘর’ করা উচিত। সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাজেট ও তদারকি টিম গঠন করা দরকার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জীবন ও আদর্শ পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তার ভাষণ, চিঠিপত্র ও আলোকচিত্র ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করে অনলাইনে উন্মুক্ত করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সহজে জানতে পারবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়মিত মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করতে হবে। মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক চেতনা তরুণদের মাঝে উজ্জীবিত করতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
শিক্ষাঙ্গন
টাঙ্গাইলে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে নবীনবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত। টাঙ্গাইল সদরের ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে সকাল থেকেই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে বা এমএম আলী কলেজে বৃহস্পতিবার উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠান। নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতিনাট্যের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় নবীনবরণ অনুষ্ঠান। পরে কলেজের অধ্যক্ষ (অধ্যক্ষের নাম, জানা থাকলে) নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভালো ফল অর্জন নয়, বরং একজন সৎ, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠা।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি, সহকারী অধ্যাপকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সিনিয়র শিক্ষার্থীরা নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় এবং কলেজের ঐতিহ্য, নিয়মনীতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিকতা, সহনশীলতা ও দেশপ্রেমের চেতনা জাগিয়ে তোলার আহ্বানও জানান। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, সংগীত, নৃত্য ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দর্শকসারি মুখরিত হয়ে ওঠে। দিনব্যাপী এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে কলেজ ক্যাম্পাসে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে প্রাণ ফিরে আসে। অনুষ্ঠান শেষে সবার মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
প্রবাস
প্রবাসে সম্মাননা পেলেন শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে এক অনন্য সংবর্ধনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশী ফোরাম ইউএনএ’র (United NRB Association – UNA) আয়োজনে গত ১৮ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, নিউইয়র্কের জুইস সেন্টার, জ্যাকসন হাইটস প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী-কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আগত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। প্রধান অতিথি ছিলেন ড. এনামুল হক ভূঁইয়া, সভাপতি—প্রবাসী বাংলাদেশী ফোরাম ইউএনএ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ শওকত আলী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইউএনএ; নাজমুল আহসান, সম্পাদক, বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউইয়র্ক; এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সাগর। প্রধান অতিথি ড. এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, > “মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী শুধু একজন শিক্ষানুরাগী নন, তিনি বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাঁর ত্যাগ, পরিশ্রম ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে তিনি গ্রামীণ শিক্ষা ও নারী শিক্ষার প্রসারে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। আজ প্রবাসে তাঁকে সম্মান জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।” সংবর্ধিত অতিথি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, > “প্রবাসে থেকেও আপনারা দেশের শিক্ষা ও উন্নয়নের কথা ভাবেন—এটাই বাংলাদেশের শক্তি। আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যেতে।” তিনি আরও বলেন, > “যে কোনো উন্নয়নের মূলভিত্তি হলো শিক্ষা। প্রবাসী প্রজন্মকে মাতৃভূমির শিক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলেই দেশ আরও এগিয়ে যাবে।” অনুষ্ঠানে তাঁর শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্র ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে স্থানীয় শিল্পীদের সংগীত, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশনা অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ইউএনএ’র সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন চৌধুরী, এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। শেষে প্রবাসী অতিথিদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রমাণ করে যে, মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরীর কর্ম, দৃষ্টি ও শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকার আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমাদৃত

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১৯, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে