মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা যেন একদিনেই মরুভূমির দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। দিনব্যাপী পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানের পর একসময়ের জমজমাট বাজার, ফিলিং স্টেশনসহ অসংখ্য ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্থানে এখন শুধু ধ্বংসস্তূপ আর শূন্যতা। যেখানে প্রতিদিন মানুষের ভিড়, পণ্য উঠানামা ও ব্যবসায়িক লেনদেন চলত, আজ সেখানে কেবল ভাঙা টিন, বেঁকে যাওয়া কাঠ, ছড়িয়ে থাকা ইট-পাথর আর নির্জন নিস্তব্ধতা। উচ্ছেদের পর স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা বলেন, বহু বছরের পরিশ্রম, স্বপ্ন ও স্থিতিশীল জীবনের ভরসা মুহূর্তের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কারও দোকান ছিল সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস, কেউবা নিজের হাতে গড়া ছোট ব্যবসাটিই ছিল জীবনের সম্বল। অভিযানের পর তারা এখন দিশেহারা। এদিকে অভিযানে বড় ধরনের বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ উচ্ছেদকর্মে অর্থনৈতিক লেনদেন ও প্রভাবশালীদের ইঙ্গিত অনুযায়ী কিছু স্থাপনা রক্ষা পেলেও সাধারণ মানুষের দোকান-ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, পুনর্বাসন বা বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া এমন আকস্মিক উচ্ছেদ বহু মানুষের জীবিকা বিপন্ন করে তুলেছে। তারা সরকারের কাছে মানবিক বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ন্যায্য তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। অভিযান পরবর্তী কালিগঞ্জ এখন ভাঙা স্থাপনার শুকনো ধুলোয় ঢেকে থাকা এক নিশ্চুপ জনপদ।যেখানে মানুষের চোখে কেবল শূন্যতা আর ভাঙাগড়ার তীব্র বেদনা।
ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে একাধিকবার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ফারুক পাটোয়ারী আবারও আলোচনায়। এবার দেশবর্ণ নিউজের একজন সাংবাদিককে নিয়ে প্রকাশ্যে অশালীন গালাগাল ও হুমকি দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বারবার প্রতারণা ও গ্রেফতারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি অল্প কিছুদিন আগে উত্তরা উত্তরখানের চায়না ব্যাটারি ফ্যাক্টরিতে “সাংবাদিক” পরিচয়ে চাঁদা দাবি করতে গিয়ে পুলিশ ফারুক পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি সাতক্ষীরার একটি বেকারিতে “ম্যাজিস্ট্রেট” পরিচয়ে পুনরায় চাঁদাবাজির চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তার সঙ্গে আরও দুইজনকেও আটক করা হয়। জেল থেকে বের হয়ে তিনি পুনরায় একই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশবর্ণ নিউজ সাংবাদিককে প্রকাশ্যে গালাগাল একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়—ফারুক পাটোয়ারী দেশবর্ণ নিউজ প্রতিষ্ঠানের এক সাংবাদিকের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়ে উচ্চস্বরে বলেন, “কোনো সাংবাদিককে গোনায় ধরি না।” এই মন্তব্যের পর সাংবাদিক নাদিম শেখ আদর তাকে জিজ্ঞাসা করেন— “আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক? এবং সাংবাদিক সমাজকে এভাবে গালাগাল করছেন কেন?” প্রশ্ন শুনে ফারুক পাটোয়ারী মারমুখী হয়ে তেড়ে আসেন এবং পেশাদার সাংবাদিকদের নামে “নিউজ করে দেখে নেওয়া হবে” বলে হুমকি দেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কোনো বৈধ পরিচয় দিতে পারেননি। সাংবাদিক সমাজের প্রশ্ন—এই ভুয়া সাংবাদিকদের শেষ কোথায়? ফারুক পাটোয়ারীর মতো প্রতারকদের কারণে পেশাদার সাংবাদিকতার সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তাদের মন্তব্য— শুধু কথা বলতে পারলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না একজন প্রকৃত সাংবাদিককে প্রতিনিয়ত যে চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তার কিছুই জানেন না এসব ভুয়া ব্যক্তিরা সাংবাদিকতার মুখোশ পরে যারা পেশাটিকে কলঙ্কিত করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি—ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে যারা প্রতারণা, হুমকি ও চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। নইলে এই অপসংস্কৃতি বিস্তার লাভ করবে এবং সাধারণ মানুষসহ প্রকৃত সাংবাদিকরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে
মোস্তফা মাসুদ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা–৩ (আশাশুনি–কালীগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন বলেছেন, আশাশুনি–কালীগঞ্জে সন্ত্রাস, দখলবাজি ও চাঁদাবাজির কোনো স্থান হবে না। জনগণের অধিকার, সম্পদ ও সম্মান রক্ষায় আমি সব সময় দৃঢ় অবস্থানে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। চম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে আয়োজিত নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।কাজী আলাউদ্দিন আরও বলেন, সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও পূজা–পার্বণে নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা আমি অতীতেও করেছি, ভবিষ্যতেও এটিই হবে আমার প্রথম দায়িত্ব। এ সময় তিনি বলেন, আমি এই দূর্গত থালনায় একটি সাইক্লোন সেল্টার করে দিয়েছি, নির্বাচিত হলে আরও ২টি সাইক্লোন সেল্টার করার ব্যবস্থা করবো, শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করব।তিনি দাবি করেন, তার তৎকালীন নির্বাচনী এলাকার ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি মন্দিরে তিনি নিয়মিত অনুদান দিয়েছেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছেন। দখল ও চাঁদাবাজি রোধে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও কঠোর অবস্থানে থাকার ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।উঠান বৈঠক শেষে কাজী আলাউদ্দিনের একক প্রচেষ্টায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ চম্পাফুল ইউনিয়নের থালনা মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। সভায় ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কৃষ্ণপদ সেনের সভাপতিত্বে এবং কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. রোকনুজ্জামানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ শফিকুল ইসলাম (বাবু), সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আকতারুজ্জামান (বাপ্পী), চম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল কালাম গাজী প্রমুখ।এতে জেলা উপজেলা, ও ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে সুস্মিতা দেবনাথ (৭) ও রিয়া দাশ (৭) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ২ টার দিকে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের নামাজগড় গ্রামে। নিহত রিয়া দাশ নামাজগড় গ্রামের প্রয়াত উত্তম দাশের মেয়ে এবং সুস্মিতা দেবনাথ একই এলাকার রাম প্রসাদ দেবনাথের মেয়ে। তারা নামাজগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। নিহত রিয়া দাশের কাকাতো ভাই সুদর্শন দাশ ও দীপঙ্কর দাশ জানান, তাদের বৌদি ভারতী দাশ দুপুরে রিয়া ও সুস্মিতাকে নিয়ে প্রতিবেশী আনন্দ চক্রবর্তীর পুকুরে গোসলের উদ্দেশ্যে বের হন। তিনি শিশু দু’টিকে পুকুরপাড়ে রেখে বাড়িতে কাপড় আনতে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে ফিরে এসে রিয়া ও সুস্মিতাকে দেখতে না পেয়ে পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুর থেকে দুই শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তাদের মরদেহ সমাধি দেয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সদর এম খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫– ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য স্লিপ (স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান) প্রণয়ন টিম গঠন করা হয়েছে। এতে অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এলাকার সুপরিচিত সাংবাদিক ফজলুল হক। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক সভায় এ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—এসএমসি মনোনীত সদস্য ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গঙ্গারানী সরকার, সহকারী শিক্ষক কণিকা সরকার, সর্বোচ্চ অনুদানকারী ও শিক্ষা-অনুরাগী সদস্য রিতা খানম, এবং নারী অভিভাবক সদস্য হিসেবে সহকারী শিক্ষক নাজমুন্নাহার। সভায় বক্তারা বলেন, একটি বিদ্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের উপযোগী পরিবেশ গঠনে স্লিপ টিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই অভিভাবক ও শিক্ষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করবে।অংশগ্রহণকারীরা আরও জানান, স্লিপ টিমের সম্মিলিত উদ্যোগে আগামী শিক্ষাবর্ষে একাডেমিক কার্যক্রম, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরিসহ বিভিন্ন খাতে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সবাইকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্রীপুরের বাগে জান্নাত হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রাঙ্গণে রবিবার (২৩ নভেম্বর ২০২৫) দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। সার্জিকাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং এম.বি.বি.এস (এস. ইউ. এস.টি) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়বুর রহমান এবং ডা. ফারহানা তাসনিমের সহযোগিতায় আয়োজিত এই মানবিক উদ্যোগে সকাল থেকেই ভিড় জমায় এলাকার শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত সাধারণ মানুষ।দিনব্যাপী চিকিৎসা সেবার অংশ হিসেবে প্রদান করা হয় সাধারণ রোগ, চর্মরোগ, শিশুরোগ, নারীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্যপরামর্শসহ নানা সেবা। উপস্থিত রোগীদের মাঝে বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সেক্রেটারি রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি হামিদুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সুপার হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী সদস্য মোবারক আলী ও মোকসেদ সরদার।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সার্জিকাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক আব্দুস সালাম, গ্রাম্য ডাক্তার আবুল কাশেম ও খায়রুল আনামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। চিকিৎসাসেবা দিতে আসা চিকিৎসকরা জানান,সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এ ধরনের ক্যাম্প অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান, সামনের দিনগুলোতেও অসহায়, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এমন বিনামূল্যের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নিয়মিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তারা আরও বলেন, “মানবতার সেবা একটি চলমান প্রক্রিয়া। সমাজের সহায়শীল সবাই এগিয়ে এলে এই উদ্যোগ আরও বিস্তৃত করা সম্ভব।” এ ক্যাম্পকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা যায় গভীর সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা।মানবিক এই উদ্যোগ স্থানীয় পর্যায়ে প্রশংসার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মোস্তফা মাসুদ: মানবকল্যাণে ঐক্য সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল কালিগঞ্জ” এই প্রতিপাদ্য স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সমিতির গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সংক্রান্ত ও সমিতির কার্যকরী কমিটি গঠন বিষয়ে সর্বশেষ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরা, বাড়ি নং ৩ রোড নম্বর ১০ এবং ৭ সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম এর বাসভবনে কালিগঞ্জ উপজেলা সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুৃষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা প্রস্তাবিত সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা বকুলুজ্জামান, এ্যাডঃ মরিয়ম মনসুর, স ম মেহেদী হাসান, মুন্সি আব্দুর রাশেদ, এস এম ইমদাদ হোসেন, মোহাম্মদ রুবায়েত, শেখ সাইফুল বারী সফু, সুকুমার দাশ বাচ্চু, নুর আহমেদ প্রমুখ। এ সভায় উপজেলা সমিতির গঠনতন্ত্র অনুমোদন, সদস্য অন্তর্ভুক্তি সিদ্ধান্ত, জানুয়ারিতে সাধারণ সভা, ও পিকনিক অনুষ্ঠিত হবে। কার্যকরী কমিটির ব্লেজার সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: বিষয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বকুলুজ্জামান জানান, ঢাকা মহানগরীতে নিয়মিতভাবে বসবাসরত উপজেলার অধিবাসীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কল্যাণ সাধন এবং সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা,পরস্পারিস সৌহার্দ্য ও ঐক্য স্থাপন, তাদের কল্যাণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং একই সাথে কালিগঞ্জ উপজেলা সার্বিক উন্নয়নকে সক্রিয়ভাবে উদ্বুদ্ধকরণ করা। এছাড়া ঢাকা সহ অবস্থানরত কালিগঞ্জ উপজেলার অধিবাসীদের কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, সহায়তা, অস্থায়ী আশ্রয় প্রদান এবং মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা, উপজেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ধারা উপস্থাপন এবং সার্বিক উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালানো। কালিগঞ্জ উপজেলা সমিতির ঢাকা ও কালিগঞ্জে লাইব্রেরীতে একটি কার্যালয় প্রাথমিক পর্যায়ে থাকবে। কালিগঞ্জ উপজেলা প্রস্তাবিত সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেমকে প্রধান উপদেষ্টা করে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট পৃষ্ঠপোষক, ১৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ ও মোঃ আবু মাসুদকে সভাপতি ও মোস্তফা বকুলুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে মোট ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্র। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাইমুন রাজিব তূর্য (১৬)। সে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের পুলিশ সদস্য মৃত রবিউল ইসলামের পুত্র এবং মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে পরিবার, সহপাঠী ও এলাকাবাসীর মাঝে নেমে এসেছে গভীর শোক।একই ঘটনায় আহত হয়েছে অপর মোটরসাইকেল আরোহী সিয়াম হোসেন, পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে দুটি মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে বিপরীত দিক থেকে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে তূর্য গুরুতরভাবে আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষ, শিক্ষক ও সহপাঠীরা হাসপাতালে ভিড় করেন এবং তূর্যের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তার মৃত্যুতে বিদ্যালয় ও এলাকায় নেমে এসেছে মাতম। কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে।
মোস্তফা মাসুদ: জুলাই–আগস্ট ২০২৪ সালে সংঘটিত সহিংস ঘটনাবলীর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে উপজেলা তাঁতীদলের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা এই ঘটনাগুলোকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।রবিবার (১৬ নভেম্বর ২০২৫) বিকালে আয়োজিত এই বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে তারালি চৌরাস্তা মোড় এলাকায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হন।পরে উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক শরীফ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে মিছিলটি তারালি চৌরাস্তা মোড় থেকে শুরু হয়ে কাকশিয়ালী ব্রিজ পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিভিন্ন মোড়ে স্লোগান, ব্যানার ও ফেস্টুনে পুরো এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। কাকশিয়ালী ব্রিজ এলাকায় গিয়ে মিছিলটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।মিছিলে অংশগ্রহণ করেন— কালিগঞ্জ উপজেলা তাঁতি দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম,নুর ইসলাম,আবু হাসান,আব্দুল আলিম,এবাদুল ইসলাম, কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রদলের আহ্বায়ক হৃদয় হোসেন , রতনপুর ইউনিয়ন তাঁতী দলের আহ্বায়ক ওয়াহেদুর রহমান মান্নান, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান, দক্ষিণ শ্রীপুর তাঁতি দলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম মধু, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মথুরেশপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন,সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর ইসলাম ছোট, ভাড়াসিমলা ইউনিয়ন ইউনিয়নের আহবায়ক মহিউদ্দিন গাজী ,সদস্য সচিব আলামিন হোসেন পুটু,ইব্রাহিম খলিল ও শাওন মুখার্জি প্রমূখ। বিক্ষোভকারীরা জুলাই–আগস্ট ২০২৪ সালের ঘটনাবলীর নিরপেক্ষ তদন্ত,নিহতদের পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বক্তারা বলেন—“ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। এ ধরনের ঘটনায় বিচারহীনতা চলতে থাকলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এটি জাতির সামনে একটি বড় পরীক্ষা।”অঞ্চলের জনগণ দাবি জানায় যে, অনতিবিলম্বে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে এবং প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “আমাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ন্যায়বিচারের জন্য এই সংগ্রাম আমরা থামাবো না।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের থালনা দক্ষিণপাড়ায় এক অসহায় পরিবারের ওপর চরম হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় এক চিটার ও মামলাবাজ চক্রের নেতৃত্বে চলছে এই অমানবিক নির্যাতন। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন কুখ্যাত প্রতারক কার্তিক চন্দ্র সরকার—যিনি তার সহযোগীদের নিয়ে নিরীহ ও গরিব গাজী পরিবারকে বারবার মিথ্যা মামলা ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বিপর্যস্ত করে তুলেছেন। থালনা দক্ষিণপাড়ার ইউসুফপুর গ্রামের আলী বাক্স গাজীর দুই ছেলে আকিম গাজী (৩৬) ও তকিম গাজী (৩৮) বহু বছর ধরে সরকারি পজিশন জমিতে একটি ছোট টিনের ঘর ও সিমেন্ট পাইপের ছাউনি দেওয়া ছাপড়া ঘরে বসবাস করে আসছেন। এই জায়গায় বসবাসের জন্য তারা এক সময় স্থানীয়দের পরামর্শে টাকা দিয়ে বসবাসের অনুমতি পান। কিন্তু পরবর্তীতে কার্তিক চন্দ্র সরকার পুনরায় অর্থ দাবি করলে গাজী পরিবার তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেই থেকেই শুরু হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ, মামলা ও ষড়যন্ত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,“থালনা দক্ষিণপাড়া সর্বজনীন শ্মশান ঘাট ও শ্রীশ্রী তারকনাথ বাবার ধাম কমিটি”র নাম ব্যবহার করে কার্তিক চক্র বিভিন্ন সময় এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি প্রশাসনের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে পরিবারকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করারও চেষ্টা চালায়। সরজমিনে গেলে দেখা যায়, উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। ভাঙা টিনের টুকরো, সিমেন্ট পাইপের ভাঙা অংশ আর কান্নায় ভেজা এক পরিবার—এই যেন প্রতারণার এক বাস্তব চিত্র।পরিবারের সদস্যরা বলেন, “আমরা কারও জায়গা দখল করিনি, বৈধভাবে এখানে ছিলাম। হঠাৎ একদিন উচ্ছেদের নামে আমাদের মাথার ওপরের ছাউনিটা পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হলো। এখন আমরা পথে বসে আছি।স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনি, আজিজুর রহমান, জয়ন্ত কুমার ও নজরুল ইসলাম জানান “এই পরিবার শান্তিপ্রিয় ও পরিশ্রমী মানুষ। চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকার ও তার দলবল টাকার লোভে পড়ে এই পরিবারটিকে উচ্ছেদ করিয়েছে। প্রশাসন যেন প্রকৃত সত্য যাচাই করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। অভিযোগ রয়েছে, গত ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গাজী পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের প্রভাব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে প্রকৃত সত্য যাচাই ছাড়াই অভিযানটি পরিচালিত হয়।স্থানীয়রা দাবি করেন,“চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকার ও তার মামলাবাজ চক্রকে আইনের আওতায় আনা না হলে, তারা আরও নিরীহ পরিবারকে একইভাবে সর্বস্বান্ত করবে। এলাকাবাসী প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে তদন্ত ও অবিলম্বে চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকারসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন,ন্যায়বিচার পেলে শুধু একটি পরিবারই নয়, পুরো এলাকা প্রতারক ও মামলাবাজদের হাত থেকে মুক্তি পাবে।এ বিষয়ে অসহায় দিনমজুর আকিম গাজী ও তকিম গাজী তারা বলেন" চাম্পাফুল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম সহ একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি জানেন এই চিটার কার্তিক চন্দ্র আমার কাছে এই পজিশনের সরকারি জায়গাটি বিক্রি করে টাকা নিয়ে তারপরে আবারো টাকার দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকার করাই ,আমার নামে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিতে থাকেন বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী ও জানেন। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়, ফলে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোস্তফা মাসুদ: বিশ্ব জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ন্যায়বিচারভিত্তিক পদক্ষেপের দাবিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পালিত হলো ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক–২০২৫, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশ ও গ্লোবাল প্লাটফর্ম বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্বজুড়ে যখন ব্রাজিলের বেলেম শহরে জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন কপ–৩০ চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে কালিগঞ্জে তরুণ জলবায়ু কর্মীদের এই সমাবেশ বৈশ্বিক আন্দোলনের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করে।সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যুব সংগঠন ও পরিবেশবাদী তরুণরা অংশ নেন। রঙিন ফেস্টুন,ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের বার্তা তুলে ধরা হয়। তরুণদের দৃপ্ত ঘোষণা: “সবুজ অর্থনীতি হতে হবে তরুণবান্ধব” সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তরুণ জলবায়ু কর্মী মো. মারুফ হাসান বলেন,“ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশবান্ধব কাজের সৃষ্টি, মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং তরুণের নেতৃত্বাধীন সমাধানগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সবুজ অর্থনীতি অবশ্যই তরুণবান্ধব হতে হবে, যেখানে জলবায়ু অর্থায়ন সহজলভ্য থাকবে। টেকসই ভবিষ্যতের পথে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে একশন এইডের সংহতি এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে একশনএইড বাংলাদেশ-এর ইয়ুথ অ্যান্ড জাস্ট সোসাইটি টিমের লিড মো. নাজমুল আহসান বলেন,“ কপ৩০-এর আগে যারা জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য সোচ্চার হচ্ছে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। তরুণদের ন্যায্য রূপান্তরের দাবি যৌক্তিক,যা তাদের জীবন- জীবিকা, মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান এবং জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার অধিকারকে সম্মান করে। প্রান্তিক পর্যায়ে যুব–নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করতে নিঃশর্ত আর্থিক সহায়তার দাবিতে আমরা তাদের কণ্ঠকে সমর্থন করি। নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবি সমাবেশে বক্তারা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিতে অর্থায়ন বৃদ্ধির দাবি জানান। তারা বলেন—“সবুজ, সমতাপূর্ণ, ন্যায্য ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করে জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”জলবায়ু আন্দোলনে তরুণদের এমন সক্রিয় ভূমিকা স্থানীয় পর্যায়ে নতুন আশা ও দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে—এমনটাই মনে করছেন আয়োজকেরা।
মোস্তফা মাসুদ: উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন ধারণাকে এগিয়ে নিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ টাইগার পয়েন্টে সুশীলনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়ন নিশ্চিত করি, টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখি, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গণমাধ্যমকর্মী এবং পরিবেশ সচেতন মানুষজন। শনিবার (১৫ নভেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে অতিথিদের বরণ করতে শাপলা ফুল প্রদান, মোমবাতি প্রজ্বালন এবং ফুল ছিটিয়ে টাইগার পয়েন্টের হলরুমে উৎসবের আবহ সৃষ্টি করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানস্থল পরিণত হয় এক মিলনমেলায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,সুশীলনের পরিচালক মোস্তফা আখতারুজ্জামান পল্টু,সভাপতি অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান,কোষাধ্যক্ষ এ্যাডভোকেট জাফরউল্লাহ ইব্রাহিম,নকশি কাঁথার পরিচালক চন্ডিকা ব্যানার্জি,দেশ টিভির প্রতিনিধি শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন,উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান,চ্যানেল ২৪ টিভির প্রতিনিধি আমেনা বিলকিস ময়না, সুশীলনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিক্ষিকা কণিকা রাণী সরকার,সদস্য সেলিনা সাঈদ এবং টাইগার পয়েন্টের পরিচালক আব্দুল হামিদসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব উপকূলীয় মানুষের জীবন যাত্রাকে প্রতিনিয়ত কঠিন করে তুলছে। ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, নদী ভাঙন সহ নানা দুর্যোগে স্থায়ী জীবিকায়ন হুমকির মুখে। এ পরিস্থিতিতে সুশীলনের মতো সমাজকেন্দ্রিক সংগঠন গুলো শুধু সচেতনতা বৃদ্ধি নয়, বাস্তবভিত্তিক সহায়তা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, নারী নেতৃত্ব, যুব উন্নয়ন, সামাজিক দায়িত্বশীলতা ও উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বক্তারা আরও বলেন, উপকূলকে বাঁচাতে চাই জনগণ, সরকার ও এনজিও খাতের সম্মিলিত উদ্যোগ। সুশীলনের দীর্ঘ ৩৪ বছরের পথচলা এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, সম্মাননা প্রদান এবং কেক কাটা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সুশীলনের নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী শিশু সুরক্ষা, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জীবিকায়ন উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়ন নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়নে আরও বড় অবদান রাখতে চায় সুশীলন।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিষ্ণুপুর চৌমুহনী ঈদগাহ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাষ্টার নুর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস রবিউল বাসার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,“দাঁড়িপাল্লা হলো জনগণের ন্যায়বিচার ও কল্যাণের প্রতীক। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে আল্লাহভীরু, সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জনগণের ভোট ও বিশ্বাসে আমরা ইনশাআল্লাহ ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলব।তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের রায় নিশ্চিত করতে হবে।পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল গফফার, উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম সরদার এবং ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি আব্দুর রহিম প্রমুখ। সভা শেষে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় স্থানীয় জনগণের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। এলাকাবাসী ন্যায়, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রার্থী মুহাদ্দিস রবিউল বাসারের প্রতি সমর্থন জানান।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ধানের শীষের গণজাগরণ সৃষ্টি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের বিপক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে আগামী ২ নভেম্বর রোববার অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সমাবেশ ও মিছিল সফল করার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিকাল ৪টায় কালিগঞ্জের ভদ্রখালী বিএনপি অফিসে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক মোঃ মুরশিদ আলী।সভা পরিচালনা করেন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ রোকনুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ আরিফুর রহমান ছোটন, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল হালদার, উপজেলা জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাজান আলী, কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওমর ফারুকসহ ১২ ইউনিয়নের কৃষকদল, জাসাস ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন,“ধানের শীষ আজ জনগণের মুক্তির প্রতীক।জাতীয় নির্বাচনের নামে ভোটবিহীন নাটক ঠেকাতে এখনই ঐক্যবদ্ধ গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে। জনগণই বিএনপির শক্তি, আর সেই শক্তিতেই আসন্ন আন্দোলন সফল হবে।”নেতৃবৃন্দ আগামী ২ নভেম্বরের কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সমাবেশ ও মিছিল সফল করার জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মোস্তফা মাসুদ: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দেশনায়ক তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন ।শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের বিভিন্ন দোকান ও বাজারে তিনি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের হাতে হাতে ৩১ দফার লিফলেট তুলে দেন এবং তাদের সামনে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের অঙ্গীকার ব্যাখ্যা করেন। কাজী আলাউদ্দিন বলেন,“দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা কেবল একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়, এটি হলো ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা। এই দফাগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও জনগণের প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন,“আজ দেশ দুঃশাসন, দারিদ্র্য, মিথ্যা মামলা ও ভয়-ভীতি নির্ভর রাজনীতির অন্ধকারে। আমরা জনগণের শক্তিতে সেই অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে এগিয়ে যাব। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম,কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: হাসানুর রহমান,মথুরেশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবু, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল-মাহমুদ ছোট্টু ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল গাজী, মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আকুল, কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোঃ রোকনুজ্জামান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান ফেরদৌস রনি, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জুলফিকার আলি ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান পাড়,রতনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান,কালিগঞ্জ উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক মুরশিদ আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম, এবং ছাত্রদলের জাকির হোসেন প্রমুখ। স্থানীয় জনতার সঙ্গে কুশল বিনিময় কালে কাজী আলাউদ্দিন বলেন,এই রাষ্ট্র মেরামতের আন্দোলন কোনো দলের নয়—এটি জনগণের মুক্তির আন্দোলন। মিথ্যা মামলা, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণই হবে আগামী পরিবর্তনের মূল শক্তি। জাতীয় রাজনীতিতে নতুন আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে বিএনপির এই গণসংযোগ কর্মসূচি নলতা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো কালিগঞ্জে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের চিংড়িখালিতে মিথ্যা মামলা দায়ের, ভুমিহীন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অপ-প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন জনপদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শতশত ভুমিহীন নারী পুরুষের অংশগ্রহনে এ মানববন্ধনে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে আতঙ্ক সৃষ্টি, সন্ত্রাস, মাদক বিস্তারসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্বে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী মামলাবাজ সাইদুল ও সাত্তারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার নলতা ইউনিয়নের চিংড়িখালিতে ভূমিহীন নেতা শহিদুল ইসলাম, মধু সরদারসহ তাদের একান্ত সহযোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, নানান ষড়যন্ত্র ও অপ-প্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১লা নভেম্বর) বিকেলে চিংড়িখালি বৈরাগীর চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বসুখালী বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে মানববন্ধনে অংশ নেন চিংড়িখালি ভূমিহীন জনপদের প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ। মানববন্ধনে উপস্থিত জনতা একক কণ্ঠে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভূমিহীন জনপদের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভুমিহীন জনপদের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম গাজী, সহ- সভাপতি আব্দুল হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বুল্লা, উপদেষ্টা আবুল হোসেন গাজী, সদস্য মধু সরদার, কুতুব মোড়ল, শওকত হাজী, গোলাপ ঢালী, মজিবার, রফিকুল ইসলাম, আরিজুল সরদার, ভুমিহীন নেত্রী নুরবানু, জাহানারা, শামসুন্নাহার ও মমতাজ প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আশাশুনি উপজেলার বসুখালী গ্রামের মৃত আব্দুল হক গাজীর ছেলে মাদক সম্রাট ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী সাইদুল ইসলাম গাজী (৪৭) এবং নলতা ইউনিয়নের কাজলা কাশিবাটি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মাদকসেবী শেখ সাত্তার (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। এরা ভূমিহীন ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ভয় সৃষ্টি করে, চাঁদা দাবি করার পাশাপাশি নলতার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানসহ অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়ানো, মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনসহ এলাকায় দুঃশাসন কায়েম করে অশান্ত করার পায়তারা করে আসছে। বক্তারা আরও বলেন, বিগত সরকারের সময়ে এদের বিরুদ্ধে মাদক, নারী কেলেঙ্কারি ও চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ অভিযোগ থাকলেও প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে থেকেছে। এরা আজও রয়েছে বহালতবিয়তে ও বেপরোয়া হয়ে। তারা বৈরাগীর চক, চিংড়িখালি, বসুখালী, সন্ন্যাসীর চক ও ঝায়ামারিসহ আশপাশের এলাকায় তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। ভূমিহীন জনপদের নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,“অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে আতঙ্ক সৃষ্টি করা সন্ত্রাসীদের আর ছাড় দেয়া হবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব। ”বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মাদক-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একই সাথে তিন শতাধিক ভুমিহীনের শেষ সম্বল যায়গাটুকু ফেরত পেতে সরকার বাহাদুরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা। এছাড়াও চিংড়িখালির শান্তি স্থাপন ও ভূমিহীনদের ন্যায়সঙ্গত দাবিতে জনতার এই জাগরণ এখন পুরো কালিগঞ্জের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতা শরীফে আহছানিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর আয়োজনে বার্ষিক পাঠ, পুরষ্কার বিতরণী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১লা নভেম্বর (শনিবার) বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকায় আহছানিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তা শিক্ষক মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আহছানিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল ফজল (শিক্ষক), নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সহ-সম্পাদক আলহাজ্ব মালেকুজ্জামান, মিশনের কর্মকর্তা আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস, নলতা কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব গোলাম কিবরিয়া, পীরজাদা মোঃ রবিউল ইসলাম ও একরামুল রেজা, শিক্ষক মোহর আলী, লেকচারার আনিছুর রহমান, লেকচারার মাহমুদন্নবী খান, বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থী সহ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর অনুসারী ও সাধারণ মুসুল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। বার্ষিক পাঠ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিক্ষা সংস্কারক পীরে কামেল হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর জীবনী সম্পর্কিত পাঠ প্রতিযোগিতায় ক-গ্রুপে প্রথম স্থান দখল করে পুরস্কার তুলে নেন নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বুশরা নিশাত। খ-গ্রুপে হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর চাকুরী জীবন নিয়ে পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করে পুরস্কার গ্রহণ করেন নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান। এবং গ-গ্রপে হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) আধ্যাত্মীক জীবন নিয়ে পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করে পুরস্কার নেন নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার।পুরস্কার বিতরণী শেষে বক্তারা পীরে কামেল হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর জীবনী, আধ্যাত্মিকতা, ধর্মপ্রচার ও ইসলাম নিয়ে তার কর্ম জীবন ও তার লেখা বইগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
মোস্তফা মাসুদ: : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের এক শ্রমিক খুলনায় কাজ করতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। ঠিকাদারের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা খরচ না পেয়ে তিনি এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ঘটনায় আহত শ্রমিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নারায়নপুর গ্রামের মৃত জামাত মোড়লের ছেলে আহত শ্রমিক মোঃ আফজাল হোসেন (৪০) ,তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, সোনালি কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার আব্দুল হাকিম সরদার (৫৮) এবং তার লেবার সর্দার মোঃ ইকবাল হোসেন (৪০) এর অধীনে কাজ করতে গিয়ে তিনি গুরুতর দুর্ঘটনার শিকার হন।ভুক্তভোগী জানান,খুলনা শহরের বউবাজার এলাকায় একটি সরকারি বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের নির্মাণকাজ চলাকালীন অসাবধানতাবশত তিনি তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ঠিকাদার পক্ষ তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে মাত্র তিন দিন চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সেই সময় ঠিকাদার হাকিম সরদার প্রতিশ্রুতি দেন যে, পরবর্তীতে চিকিৎসার পূর্ণ খরচ বহন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কোনো সহায়তা বা খোঁজখবর নেয়নি। বর্তমানে আফজাল হোসেন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, “২৬ অক্টোবর বিকেলে আমি চিকিৎসা খরচ চাওয়ার জন্য ঠিকাদার হাকিম সরদার ও লেবার সর্দার ইকবালের কাছে গেলে তারা আমাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং বলে—‘তোর কিছু করার থাকলে করে নিস।এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,আমি তাকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম, কিছু খরচও দিয়েছি। বাড়ি নিয়ে এসে আরো দেবো বলেছিলাম।” এরপর তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা বলেন, “একজন দিনমজুর শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এখন ঠিকাদার চিকিৎসা ব্যয় না দিলে তা অমানবিক আচরণ ছাড়া কিছু নয়। বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।আহত শ্রমিক আফজাল হোসেন বর্তমানে চিকিৎসাহীন অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মানবিক সংগঠনগুলোর কাছে চিকিৎসা সহায়তা ও ন্যায়বিচার কামনা করেছেন।
মোস্তফা মাসুদ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম 'কে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলা তাঁতি দলের আওতাধীন ০৪ নং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল ৫টায় উপজেলা তাঁতি দলের আহবায়ক শরিফ মোঃ আব্দুল রাজ্জাক ও সদস্য সচিব শেখ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অনুমোদন পত্রে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই আহবায়ক কমিটির অনুমোদন প্রদান করা হয়। গঠিত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- আহবায়ক: মোঃ শরিফুল ইসলাম (মধু),সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক: মোঃ আবু বকর আলী কারিকর, যুগ্ম আহবায়ক: মোঃ ওহিদুল ইসলাম, মোঃ শাজউদ্দিন,মোঃ নুরুজ্জামান,সদস্য সচিব: মোঃ আল আমিন, সদস্য মোঃ মাহফুজুর রহমান,মোঃ ফারুক হোসেন,মোঃ মিজানুর রহমান,মোঃ আরিফ হোসেন ও মোঃ মুজিবর রহমান। নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, তাঁতি দলের রাজনীতিকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও শক্তিশালী ও জনমুখী করতে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। তাঁদের বিশ্বাস,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে দলীয় সংগঠন আরও সুসংহত হবে। উপজেলা আহবায়ক মোঃ আব্দুল রাজ্জাক বলেন,“ তাঁতি দল হচ্ছে বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন।আমরা প্রত্যাশা করি,নতুন এই আহবায়ক কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে আরও তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবে।এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও নতুন কমিটি গঠনের খবরে উৎসাহ ও নবউদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তাঁরা মনে করেন, নতুন এই নেতৃত্ব তাঁতি দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আনবে এবং আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদারের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল, উচ্ছেদ এবং নামজারির অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তারা এক বৃদ্ধা নারীকে ভয়ভীতির মাধ্যমে উচ্ছেদ করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষ্ণনগর মৌজার ১৪২১ খতিয়ানের ২০৭৯ দাগের ১১ শতক জমি সরকারি (১/১ খাস) খতিয়ানের আওতাভুক্ত। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে বিভ্রান্ত করে জায়গাটি প্রথমে শ্যামলী রানীর নামে নামজারি করা হয়। পরে তা বাতিল হলেও একই জমি পুনরায় সীতা রানীর নামে নামজারি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, এ ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদার। তারা কৌশলে বৃদ্ধা সীতা রানীকে ভুল বুঝিয়ে উক্ত জমি তাদের নামে কবলা দলিল করে নেন। এরপর চেয়ারম্যান তার প্রভাব খাটিয়ে সীতা রানীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে তার সম্পত্তি দখলে নেন। এমনকি পরবর্তীতে ওই বৃদ্ধাকে আটক রেখে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী উক্ত ১১ শতক সরকারি খাস জমি নিজেদের নামে নামজারির জন্য ভূমি অফিসে প্রভাব খাটাচ্ছেন। অথচ উক্ত জমি মূলত খাস খতিয়ানের রাস্তার আওতাভুক্ত, যা কোনোভাবেই ব্যক্তিমালিকানায় নামজারি বা কবলা হওয়া আইনত অবৈধ। অভিযোগকারী মিজানুর তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন যে, অসহায় এক বৃদ্ধার আশ্রয় কেড়ে নেওয়া মানবিক ও আইনি উভয় দিক থেকেই অন্যায়। প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও খাস জমি রক্ষার আবেদন জানান তিনি। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল বলেন, অভিযোগটির তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এক চুরি মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ সময় পুলিশ উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আব্দুল করিমের ছেলে মিলন হোসেন (৩৮) কে গ্রেফতার করে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।